এই দুটি বিষয় কি বোঝায়? এই প্রকার ট্রেডিং, মার্কেটে প্রতিদিন কারেন্সিপ্রাইস উঠানামা থেকে প্রফিট অর্জন করার সুযোগ দেয়। এসব লেনদেন দুই মিনিটের বেশি খোলা অবস্থায় ঘটেনা। একটি সিঙ্গেল পিপ্সিং বা স্কাল্পিং ট্রেডিং আপনাকে বেশি প্রফিট দেবে না, যে কারণে এই দুই প্রকার ট্রেডিং পদ্ধতিতে পজিশনগুলো যথাসম্ভব বন্ধ থাকে।
পিপার এবং স্কাল্পারদের মাধ্যমে পরিচালিত ট্রেডের সংখ্যা দৈনিক ২০০ এটা যদিও অবিবেচকের মত হবে যদি সকল ট্রেডকে প্রফিটযোগ্য হিসাবে আশা করা হয়। সারা দিন কষ্ট শেষে ফলাফল হিসাবে একটি ভাল পরিমানে প্রফিট হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন স্টপ-লস বন্ধ করে প্রাইসরেট খুলে রাখা। এটি লস কমাতে সহায়তা করবে যদি প্রাইস বিপরীতমুখীও হয়।
এটা একটা পরিচিত ব্যাপার যে ফরেক্স হল বিশ্বে সবচেয়ে বড় লিকুইড মার্কেট। ফরেক্সে প্রাইস মিক্স, উঠা বা নামা, একটি সার্কেল অনুসরণ করে। যদি প্রাইস একদিনে আনুমানিক ৬০ পয়েন্ট অতিক্রম করে, এটার হাই এবং লো এর ব্যবধান উল্লেখযোগ্য। ঘন্টাপ্রতি প্রাইসের উঠানামা ভিত্তিক ট্রেডিং বরঞ্চ বেশি প্রফিট নিশ্চিত করে। যেকারণে পিপ্সিং এবং স্কাল্পিং ট্রেডারদের নিকট খুব জনপ্রিয়। ফরেক্সে নতুনরা পুনরায় বিনিয়োগ করার সুযোগ গ্রহণ করে, হয়তো এই ভেবে যে, এমন ট্রেডিংএর মাধ্যমে প্রফিট করা সম্ভব, এমনকি ধারনাকৃত সমষ্টি যেকোনো প্রকৃত সীমা অতিক্রম করতে পারে। ইন্টারনেটে কিছু ভাগ্যবান ট্রেডারদের নানা উপায়ে তাদের ডিপোজিট বৃদ্ধির কাহিনি বর্ণিত থাকলেও এরকম ধারণা কদাচিৎ সত্য। প্রকৃতপক্ষে, এই স্ট্রেটেজি আপনাকে কোন সফলতার নিশ্চয়তা দেয় না। আসুন আমরা এর কারণ অনুসন্ধান করি।
প্রথমে, যদি বুলস এবং বেয়ারের শক্তি সম্পর্কে ভুল অনুমান করে থাকেন তাহলে একটি প্রাইসহারের নিকট স্টপ-লস লেভেল বৃদ্ধি, নামমাত্র উঠানামার মাধ্যমে লস বয়ে আনতে পারে। এমনকি ভবিষ্যৎ ট্রেন্ডের আগে ভাগে জানা গেলেও এটা হতে পারে। একটা ভুল করা অনেক বেশি সহজ যদি পুরো একটা দিনের জন্য প্রাইসের নির্দেশনা নির্দিষ্ট না করে খুবই অল্পসময়ের(১-২ ঘন্টা) জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
লসের ঝুঁকি নিয়ে নির্দেশনাকে চূড়ান্ত পরিনতি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সহজতম উপায় হল এরকম নির্দেশনা না থাকা, কিন্তু পরবর্তীতে আপনার বিপরীতে শক্তিশালী গতিবিধির পর সেখানে অনেক উৎস হারানোর ঝুঁকি চলে আসে। এটা ঘটে যখন প্রাইস অনেক বেশিদূর যায় এবং নিকট ভবিষ্যতে এটার প্রাথমিক মূল্যে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না। যদি একজন ট্রেডার তার তহবিলের একটা বড় অংশ মার্জিন হিসাবে রেখে দেয় এবং কোন স্টপ-লস লেভেল স্থাপন করে না তবে, সে একটি ভাল মার্জিন কল পেতে পারে এবং পরবর্তীতে অ্যাকাউন্টের সকল ডিপোজিট হারাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, যখন প্রকৃত অর্থ দিয়ে লেনদেন করে তখন অধিকাংশ ট্রেডারগন বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। নিয়ম হিসাবে, এই ধরনের ট্রেডিংএর প্রথমে নমুনা অ্যাকাউন্টে পরীক্ষা করা হয় যতক্ষণ কোন প্রকৃত অর্থ জড়িত না হয়। ফলশ্রুতিতে এটা নষ্ট হওয়ার কোন ঝুঁকি থাকে না। এভাবেই একটি প্রকৃত অ্যাকাউন্ট চালানোর সময় ট্রেডারের আবেগী অবস্থান প্রতিটা পিপ নস্ট করতে পারে যদি প্রাইস কোন ভুল নির্দেশনায় চলতে থাকে।
পিপ্সিং এবং স্কাল্পিং প্রকাশ করে যে, একজন ট্রেডারকে ধারাবাহিকভাবে মার্কেটে পজিশন করতে হয়, যেটা অবশ্যই অনেক চাপ এবং এটা অতিরিক্ত দ্রুত গতিতে অবিবেচনা প্রসূত পদক্ষেপ গ্রহণ করায়।