এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
জাতিসংঘ সারাবিশ্বের উন্নয়ন টেকসই করতে ১৭টি লক্ষ্য (এসডিজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে, বাংলাদেশ এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যগুলো নিচে দেওয়া হল
#মাতৃমৃত্যুর হার ৭০%-এ নামিয়ে আনা (প্রতিলাখে)।
#সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুমৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ১২ ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার প্রতিহাজারে ২৫-এ নামিয়ে আনা।
#এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি অবহেলিত উষ্ণম-লীয় রোগ, হেপাটাইটিস, পানিবাহিত ও অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা।
#অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মাধ্যমে এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা।
#মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসাব্যবস্থা জোরদার করা।
#২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
#পরিবার পরিকল্পনাসহ সবার জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা নিশ্চিত করা। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাকে জাতীয় কৌশল ও কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
#বিশ্বব্যাপী সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা, ওষুধের সরবরাহসহ সার্বজনীন চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ু, পানি, মাটিসহ পরিবেশ দূষণজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা।
#বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাঠামো অনুযায়ী বিশ্বের সব দেশে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করা।
#বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা কার্যক্রমে সাহায্য-সহযোগিতা বাড়ানো। ট্রিপস চুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণের জন্য ওষুধ ও প্রতিষেধক প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ।
#সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ যেগুলো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এ রকমের বিস্তার রোধে ঔষধ ও টিকা আবিষ্কারের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য সহায়তা করা। সহায়তা সম্প্রসারণ করা, যা কার্যকর জরুরি ঔষধ, এবং টিকা যা ট্রিপস চুক্তি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দোহা ঘোষণা অনুসারে জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ও জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, যা সবার জন্য ঔষধ ও সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিষয়ক উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকারকে বোঝায়, যা ট্রিপস ও মেধাস্বত্ব আইনে বর্ণিত রয়েছে।
#স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অর্থায়ন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ। উন্নয়নশীল, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো স্বাস্থ্য খাতের মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ।
#উন্নয়নশীল দেশগুলোসহ বিশ্বের সব দেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঝুঁকি মোকাবিলার সামর্থ্য বাড়ানো।