ক্যান্ডেলস্টিকের বিভিন্ন প্যাটার্ন # ০২

ফরেক্স দুনিয়াতে অসংখ্য প্যাটার্ন রয়েছে। কেননা বিভিন্ন সময়ে মাকেটে ট্রেন্ড ও বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এসকল প্যাটার্নগুলো তৈরী হয় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও সবগুলো ইন্ডকেটরের পরিচিতি দেওয়া সম্ভব নয় তাই নিচে কিছু ফরেক্স দুনিয়া বহুল প্রচলিত প্যাটার্নগুলো ও তাদের ব্যবহার চিত্রসহকারে প্রদান করা হল। পর্ব-০২

[IMG]https://fxn.instaforex.com/i/img/indicators/morning_evening_doji_star_graph.jpg[/IMG] মর্নিং ডোজি স্টার এবং ইভিনিং ডোজি স্টার: ট্রেন্ড রিভার্সালের পূর্বে ডোজি স্টার প্যাটার্ন চার্টে আবির্ভূত হয়। পরের দিন যে ক্যান্ডেলস্টিক আবির্ভূত হয়, তা দ্বারা চলতি ট্রেন্ড এর পরিবর্তন নির্দেশিত হয়।

[IMG]https://fxn.instaforex.com/i/img/indicators/breakaway_graph.jpg[/IMG] ব্রেক ব্রেকঅ্যাওয়ে: ব্রেকঅ্যাওয়ে প্যাটার্ন বুলিশ প্রবণতার (ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা) সময় তৈরি হয় এবং বিক্রির নির্দেশ দেয়। মূল্য মাঝে মাঝে ওভারসোল্ড অঞ্চলে পৌঁছায়। এই প্যাটার্ন তৈরির শুরুতে একটি লম্বা কালো ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হয় এবং সেটা অনুসরণ করে আরও একটি কালো ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হয়। ক্যান্ডেলদ্বয়ের মধ্যে ওপেনিং গ্যাপ থাকে। নিচের দিকে এই গ্যাপ তৈরি হওয়ার সময় আরও তিনটি ক্যান্ডেল মূল্য কমিয়ে দেয়। ব্রেকঅ্যাওয়ে কালো ক্যান্ডেল দিয়ে তৈরি। তবে তৃতীয় দিন ক্যান্ডেল সাদা বা কালো যেকোনো রঙের হতে পারে। গ্যাপ সহকারে তিনটি ক্যান্ডেল তৈরি হওয়ার কারণে এটা থ্রি ব্ল্যাক ক্রোউস প্যাটার্নের মত হয়, কারণ হাই এবং লো মিলে একটি নিম্নমুখী পর্যায়ক্রম তৈরি করে। সর্বশেষ ক্যান্ডেল পূর্বের সবগুলো ক্যান্ডেলকেও পুরোপুরি আবৃত করে।

[IMG]https://fxn.instaforex.com/i/img/indicators/two_crows_graph.jpg[/IMG] টু ক্রোউস (নিয়া গারাসু): টু ক্রোউস প্যাটার্নকে রিভার্সাল বা বিয়ারিশ প্যাটার্ন হিসাবে বিবেচনা করা যায়। একটি দীর্ঘ সাদা ক্যান্ডেল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে নির্দেশ করে। পরের দিন একটি ছোট গ্যাপ তৈরি হয় এবং দিনের সবচেয়ে কম প্রাইসে ক্লোজ হয়, কিন্তু প্রথম ক্যান্ডেলের উপরে থাকে।

[IMG]https://fxn.instaforex.com/i/img/indicators/three_inside_down_graph.jpg[/IMG] থ্রি ইনসাইড আপ এবং থ্রি ইনসাইড ডাউন (হারামি এইজ এবং হারামি সেইজ): থ্রি ইনসাইড আপ এবং থ্রি ইনসাইড ডাউন প্যাটার্ন হারমি মডেলকে নিশ্চিত করে, কারণ এই প্যাটার্ন দুইটির প্রথম দুই দিন হারামি মডেলে থাকে। প্যাটার্নের তৃতীয় দিন ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী প্রবণতায় ক্লোজিং প্রাইস নিশ্চিত হয়।

ক্যান্ডেলস্টিকে চার্ট সবচেয়ে জনপ্রিয়, যা কারেন্সীতে দামের উঠা-নামা ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুলত চার্টে কোন ক্যান্ডেল বড় এবং কোন ক্যান্ডেল ছোট হয়ে থাকে। আর এগুলোর মধ্যেই মার্কেটরে লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। যেমন ওপেনিং প্রাইস বডির নিচে হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস উপরে হয়। প্রাইস যদি টাইফ্রেমের মধ্যে নিচে নামে, তাহলে ক্যান্ডেল সাধারনত কালো অথবা লাল হিসেবে অঙ্কিত হয়। এক্ষেত্রে ওপেনিং প্রাইস বডির উপরে হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস নিচে হয়। শ্যাডোর চুড়া হচ্ছে "হাই" যা সেই সময়সীমার মধ্যে তৈরি হয়, আর শ্যাডোর নিচের অংশটি হচ্ছে "লো"।
আসলে ক্যান্ডেলস্টিক একসাথে করলে প্রতিটি ক্যান্ডেলস্টিক এর প্রাইস অ্যাকশন পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। বডি যতো বড় হবে, বাই/সেলের চাপ ততো বেশী হবে। অন্যদিকে, ছোট ক্যান্ডেলস্টিক, কম প্রাইস মুভমেন্টের সংকেত দেয় এবং কনসলিডেশনের চিত্রিত করে। ক্যান্ডেলস্টিক যার বডি অনেক ছোট (ওপেন এবং ক্লোজ প্রায় সমান) তাকে “দজি” বলা হয়। দজি নিজে একটি নিরপেক্ষ ক্যান্ডেল।

মজার ছবিতে প্যাটার্ন
[ATTACH=CONFIG]5995[/ATTACH]

ইলিয়ট ওয়েভ: এলিয়ট ওয়েভ হল ফ্রাক্টাল। প্রতিটা ওয়েভ কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়, যার আবার প্রতিটাকে একই রুপে চিনহিত করা যায়। যেমন
[ATTACH=CONFIG]6004[/ATTACH]

টুইজার টপ ও টুইজার বটম
[IMG]http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/arjansoul/arjansoul-1457042671-76016d2_xlarge.jpg[/IMG]
টুইজার ট্রেন্ড রিভার্সালের সংকেত দিয়ে থাকে। সাধারনত টুইজার ট্রেন্ডের শেষের দিকে ফর্ম হয়ে থাকে। সবচেয়ে কার্যকরী টুইজারের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য হল প্রথম ক্যান্ডেলটা ট্রেন্ডের অনুরুপ হবে। যদি আপট্রেন্ড হয়, তাহলে প্রথম ক্যান্ডেলটা বুলিশ হবে। ২য় ক্যান্ডেলটা ট্রেন্ডের বিপরীত হবে। যদি আপট্রেন্ড হয়, তাহলে ২য় ক্যান্ডেলটা বিয়ারিশ হবে। ক্যান্ডেলের শ্যাডোগুলো সমান দৈর্ঘ্যর হবে। টুইজার টপের সমান হাই হবে আর টুইজার বটমের সমান লো হবে।

থ্রি ইনসাইড আপ ও ডাউন

[IMG]http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/arjansoul/arjansoul-1457043281-e282325_xlarge.jpg[/IMG]
থ্রি ইনসাইড আপ ও ডাউন হল রিভার্সাল প্যাটার্ন যা ট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায়। এটি ট্রেন্ড শেষ হবার সংকেত দিয়ে থাকে।

[IMG]http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/arjansoul/arjansoul-1457041156-38a6f60_xlarge.jpg[/IMG]
মারোবোজু ক্যান্ডেলস্টিক: মারোবোজুর কোন শ্যাডো থাকে না। হাই এবং লো, ওপেন ও ক্লোজ প্রাইসের সমান থাকে।
বুলিশ মারোবোজু,
ওপেন = লো,
ক্লোজ = হাই
এটি ইঙ্গিত করে যে বুলরা পুরো পিরিয়োডটায় রাজত্ব করেছে। এটি যখন দেখা যায় তখন বুলিশ ট্রেন্ড সম্প্রসারণ অথবা বুলিশ রিভার্সালের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

আসসালামুয়ালাইকুম, ক্যান্ডেলস্টিকে চার্ট সবচেয়ে জনপ্রিয়, যা কারেন্সীতে দামের উঠা-নামা ক্যান্ডেলস্টিক এর বিভিন্ন ফর্মে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুলত চার্টে কোন ক্যান্ডেল বড় এবং কোন ক্যান্ডেল ছোট হয়ে থাকে। আর এগুলোর মধ্যেই মার্কেটরে লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। যেমন বুলিশ কেন্ডেলের ক্ষেএে ওপেনিং প্রাইস বডির নিচে হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস উপরে হয় আবার বেওরিশ কেন্ডেলের ক্ষেএে ঠিক উল্টো ওপেনিং প্রাইস উপরে হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস বডির নিচে হয় । মোট কথা ক্যান্ডেলস্টিক মার্কেটর খুব সুন্দর গল্প বুঝায় । উপরে অনেকে খুব সুন্দর করে ক্যান্ডেলস্টিক এর বরননা দিয়েছেন যা থেকে আমরা বিস্তারিত বুজতে পারব ।

ভাই এখানে ক্যান্ডেলস্টিকের প্যাটার্ন মিলায় কোন লাভ হবে না। কারন মার্কেটের প্রত্যেকটা সিনারীয় আলাদা, এখানে আপনি যে প্যার্টান নিয়ে কাজ করেন না কেন সেটা দু-একবার হয়তোবা মিলবে কিন্তু সবসময় এরকম হবে না, এটাই এ মার্কেটের একটা বৈশিষ্ট্য। কাজেই আপনাকে মার্কেটের প্রেসার বুঝতে হবে এবং এর উপর নির্ভর করে আপনাকে একটা স্ট্রাটিজি বানাতে হবে।

ফরেক্স মার্কেটে আমি একজন নতুন প্রাইসএকশন ট্রেডার।আমি মূলত প্রাইসএকশন ট্রেডিং এর জনক নেইল ফুলারের ট্রেডিং স্ট্রেজি ফলো করি।প্রাইসএকশন ট্রেডিং এর মূল কনসেপ্ট হল ট্রেন্ড লেভেল ও সিগনাল।আর এই সিগনালের মধ্যে পিনবার, ইনসাইড বার ও ফেকি সেটাপ অনুসরন করে ট্রেড করি।এছারাও w ও m প্যাটার্ন মেনে ট্রেড করি।