-
বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট
গত ১১ মে ২০১৮ বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। স্যাটেলাইটটি শিগগিরই দেশে বিদেশে টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বাবদ ভাড়া এবংপার্বত্য ও হাওড় ও ৪২টি দ্বীপে ব্যান্ডউইডথ সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি এটার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করার পর ব্যবসায়িক কার্যক্রমও শুরু করেছে। থাইল্যান্ডের থাইকম নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশে কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিসিএসসিএল। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল শ্রীলংকার মত দেশগুলোতে তারা আগামী দুই বছর বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছে বিসিএসসিএল।
-
দেশীয় চ্যানেলগুলোকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আওতায় আনতে বিকল্প উপায় চিন্তা করছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিসিএসসিএল। নভেম্বরেই যার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছেন বিসিএসসিএলের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভি-স্যাট সেবা দিতে সমঝোতা চুক্তি করেছে স্কয়ার ইনফোরমেটিক্স
-
জল্পনা কল্পনা আর সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে মহাকাশের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১, যার মাধ্যমে ২০১৯ সালের শুরু থেকেই বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচার চালানো শুরু করবে। যার মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যাচ্ছে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি। একই সময়ে ৪২টি দ্বীপেও ইন্টারনেট সংযোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নামে আরো একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
-
আপনার পোষ্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যেহেতু বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন হয়েছে সেহেতু আমরা অনেক গর্বিত। আশা করি খুব শ্রীঘ্রয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বর্তমান ইন্টারনেট এর দাম অনেকটা হ্রাস পাবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ বর্তমানে আমাদের যে দামে ইন্টারনেট এমবি ক্রয় করতে হয় সেটা অনেক বেশি ব্যয় বহুল যা আমাদের পক্ষে অনেক কষ্ট কর হয়ে যায়। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে যেন দ্রুত পদক্ষেপ বিনে বলে আমার বিশ্বাস। আরও আশা রাখি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ যেন দ্রুত উৎক্ষেপনে আরও বেশি সহায়ক হবে বাংলাদেশ সরকার। ধন্যবাদ
-
মহাকাশে প্রায় ৫০টির উপর দেশের দুই হাজারের উপর স্যাটেলাইট বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি। তবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হল বিএস-ওয়ান টাইপের যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট। যার মুল কাজ হল টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করা। এছাড়াও বন্ধু স্যাটেলাইটের এর সাহায্যে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস। এছাড়া যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন কেবল পৌছায় নি সেসব জায়গায় এ স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিশ্চিত হতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সরকারি ৩টি টেলিভিশনসহ ৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সুবিধা গ্রহণ করছে। কিছুদিনের মধ্যে সবকটি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে তখন বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
-
আগামী ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের-১ এর বর্ষপূর্তি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের এক বছর পূর্তি বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিক র প্রাক্কালে দেশের দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০টি টেলিভিশন চ্যানেলকে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের আওতায় আনার পাশাপাশি নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে প্রায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৭ হাজার এটিএম বুথ বা অটোমেটেডে টেলার মেশিনের সাথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যুক্ত হবে। একইসাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ এটিএম বুথ ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিক র দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে। হাতিয়া দ্বীপ এবং ইন্টারনেট বঞ্চিত দেশের অন্যান্য অঞ্চলে থ্রিজি এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার সূচনাও এদিনে হবে।
-
গত বছরের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল হতে ‘স্পেস এক্স’ এর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী যান ফ্যালকন-৯ এর মাধ্যমে স্থানীয় সময় ৪টা ১৪ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। এরপরের প্রায় ছয় মাস পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য স্যাটেলাইটটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস এলেনিয়া স্পেস এর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সে বছরেরই ৯ নভেম্বর দেশের প্রথম এই কৃত্রিম উপগ্রহের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয় বাংলাদেশ। তারপর থেকে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্যাটেলাইটটি। মূলত দেশের দূর্গম অঞ্চলগুলোতে টেলিযোগাযোগ স্থাপন, নিরবিচ্ছিন্ন সম্প্রচার সেবা প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক বা ট্রান্সমিশন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যোগাযোগ্য ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখাসহ বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যে দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। উৎক্ষেপণের সময় থেকে স্যাটেলাইটটির মেয়াদকাল ১৫ বছর। তবে বর্তমানে এক হিসেব অনুযায়ী, এটির মেয়াদকাল ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে বিদেশি স্যাটেলাইটের উপর নির্ভরশীলতা আর নেই এবং বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রদেয় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উন্নত টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। টেলি-মেডিসিন, ই-লার্নিং বা ই-এডুকেশনের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে দুর্গম অঞ্চলে শহরের মতো সুবিধা দেওয়া যাবে। ডিটিএইচসহ (ডিরেক্ট টু হোম) স্যাটেলাইট ভিত্তিক নতুন সেবার মাধ্যমে নতুন আয়ের সুযোগ হবে এবং এসব বিভিন্ন সেবায় লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।