-
প্রিয় ট্রেডার বাজেটের প্রতিটি কথা ভাল করে বুঝতে হবে,
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যে পরিমাণ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করবে, কমপক্ষে তার সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। যদি কোম্পানি ঘোষিত স্টক লভ্যাংশের পরিমাণ নগদ লভ্যাংশের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে স্টক লভ্যাংশের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।.....
অর্থাদ এ পর্যন্ত cash এর উপর Tax পেত সরকার এখন স্টক এর উপর Tax বসাল । এতে যারা নাম মাত্র স্টক দিত তারা z এ যাবে ।কারন তাদের আয় ৭০-৮০ পয়সা । তাই এ হতে ৩০% লভ্যংস দিতে পারবে তো ?
অর্থ মন্ত্রী ঠিকই বলেছেন z গুলোর দিকে নজর দিতে হবে মানে আলাদা বাজার করতে হবে বর্তমানে z গুলো দিয়ে আলাদা বাজার তৈরি করতে একটু কেমন কেমন যেন লাগছে। তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে করপরবর্তী নিট লাভের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিং, ফান্ড, রিজার্ভে স্থানান্তর করতে পারবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। বাহিরের কোম্পানি গুলো ৬০% পর্যন্ত বোনাস দেয় কিন্তু এদেশের আইন হল ৩০% দেয়া। দেখাযাক কি হয়। কোম্পানি গুলো এবং ইচ্ছা করে ইপিএস কারসাজি করবে। দেশিয় মোটর সাইকেল এর ক্ষেত্রে এবং Textile এ লোক দেখানো প্রনোদনা । একদিক দিয়ে দেবে অন্য দিকে নেবে গ্যসের এবং বিদু্তের দাম বাড়িয়ে। বিদেশি কোম্পানি গুলোকে multiple Tex হতে অব্যহতি। তাই যেন তেল এ মাথায় তেল। সঞ্চয় পত্রের লাভের উপর Tax বেড়ে গেল। আইন তো অনেক হল মান্য করবে কে? কাল লেনদেন শুরু করার আগে বার বার বুঝুন এবং তারপর লেনদেন করুন। সবাই ভাল থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
-
ঢাকা শেয়ার মার্কেটে বা ডিএসই তে গত ১৬.০৬.১৯ তারিখের পর থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ডাউনওয়ার্ডের প্রতিদিনের প্রত্যেকটা মুভমেন্টের খুঁটিনাটিসহ আজকে ২৩.০৭.২০১৯ পর্যন্ত আপনাদের সকল আপডেট দেয়ার চেষ্টা করবো। যা বলা যায় মার্কেটের বাস্তবতার সাথে ১০০ভাগ মিল ছিলো তাই মার্কেট আপডেট হিসেবে আজকে খুব বেশী কিছু বলার নেই। প্রনোদনার সাইড এফেক্ট অনেক আগেই শুরু হয়েছিলো, এখন যা দেখছেন তা ফুল ফেজ এফেক্ট তবে এই এফেক্ট আশা করছি চলতি সপ্তাহেই অনেকটা কমে অাসবে, মার্কেট ধীরে ধীরে স্লো হয়ে আসবে অর্থাৎ কারেকশনের গতি কমে আসবে তবে নতুন করে আপওয়ার্ড হওয়াটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই নতুন করে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই তাতে বরংচ ক্ষতির পাল্লাই শুধু ভারী হবে এবং আজকে টার্নওভার গত কয়েকদিনের তুলনায় ভালো হওয়ার পরও মার্কেটের একই পরিনতির পিছনে কিন্তু মূল কারন ছিলো এই অতিরিক্ত আতঙ্কিত হয়ে লসে সেল করার প্রবনতা।
সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
-
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়, ঢাকা শেয়ার মার্কেটের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফরচুন সুজ ৪০ লাখ ডলারের জুতা রপ্তানি করবে। সূত্র মতে, এজন্য কোম্পানিটি গত ১৯ জুলাই, ২০১৯ পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের বৃহৎ ফ্যাশন ডিজাইনার স্টিভ ম্যাডডেন এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এবং এই রপ্তানিটি আগামী অক্টোবর,২০১৯ এ জাহাজযোগে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোনো কোম্পানির কাছে এই প্রথম অর্ডার করেছে স্টিভ ম্যাডডেন ।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]8505[/ATTACH]
মুন্নু সিরামিক এর একটা চার্ট এনালাইসিস আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরেছিলাম, যেখানে ১ ,২, যথাক্রমে ৩ নাম্বার মারকিং পয়েন্ট দেখানো হয়েছিল যা একে একে সব ই পূরণ করেছে, পরবর্তীতে এই সাপোর্ট লাইন ভেঙ্গে কোথায় নামতে পারে সেটা দেখান হয়েছিল যা ১২৪ টাকা ছিল , তা ইতি মধ্যে পূরণ করেছে ,
এবার দেখান ৮৪ টাকা এবং ৬৮ টাকা কবে দেখতে পাব সেটার ই অপেক্ষায় আছি। একই সাথে আপনারা ও বলছেন এই শেয়ার কিনলে ১০০% লস হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই এবার দেখার পালা আপনাদের ভাবনার বহিঃর প্রকাশ কি ঘটে ।
-
অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় নাজুক দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। এ খাতের ৯ কোম্পানি এখন সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে অর্থাৎ ‘রেড জোনে’অবস্থান করছে। চাপ সহনশীল (স্ট্রেস টেস্টিং) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ জোনে ফেলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তালিকায় ‘রেড জোনে’ থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বিআইএফসি, পিপলস লিজিং, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্সিং, জিএসপি ফাইন্যান্স ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স।আর্থি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা জানার জন্য কয়েকটি সূচকের ওপর বিশেষ পদ্ধতিতে নিরীক্ষা চালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদহার বৃদ্ধিজনিত ঝুঁকি, ঋণঝুঁকি, সম্পত্তির (ইকুইটি) মূল্যজনিত ঝুঁকি ও তারল্য অভিঘাত এ চার ঝুঁকি বিবেচনায় নেয়া হয়।নিরীক্ষার ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ভালোগুলোকে ‘গ্রিন’ জোন, ভালোর চেয়ে একটু খারাপ অবস্থায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ইয়েলো’ জোনে এবং চরম খারাপ অবস্থায় থাকাগুলোকে ‘রেড’ জোনে ভাগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
-
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে । প্রতিষ্ঠানগুলোর সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত এবং ৩১ মার্চ, ২০১৯ ও ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ৩০ জুলাই, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে। একই বোর্ড সভায় কোম্পানিটি ৩১ মার্চ, ২০১৯ পর্যন্ত প্রথম এবং ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ৩০ জুলাই, বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে। সভায় কোম্পানিটি ৩১ মার্চ, ২০১৯ পর্যন্ত প্রথম এবং ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বোর্ড সভা ৩০ জুলাই, বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত সময়ের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
-
পুঁজিবাজারে প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা প্রশংসনীয়, কেননা লাগাতার দরপতনে পুঁজি হারিয়ে যখন বিনিয়োগকারীরা হায়-হুতাশে নির্বাক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছিলো তখনই অগ্রদূতের মতো এগিয়ে এলো বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের অর্থনীতি রক্ষার জন্য পুঁজিবাজারের অপরিসীম ভূমিকার কথা মাথায় রেখে এই বাজার রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। শেয়ারবাজারের লাগাতার দরপতন ঠেকাতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যাবতীয় পলিসি সাপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে অন্তত ১৮টি ব্যাংক শেয়ারবাজারে দুই হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। খাদের মধ্যে পড়ে থাকা শেয়ারবাজারকে টেনে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য এই সময়ে বাজার থেকে শেয়ার কিনলে ব্যাংকগুলোই বিপুল পরিমাণ মুনাফা নিতে পারবে।
কারণ বর্তমানে মার্কেট পি/ই ১৩.৭৫ যা অত্যন্ত বিনিয়োগ উপযোগী। অল্প কিছু শেয়ার ছাড়া বেশিরভাগ শেয়ারের দরই বিনিয়োগের অনুকূলে রয়েছে। এই অবস্থায় ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে ব্যাপক মুনাফা করা সম্ভব। যেখানে খেলাপী ঋণের বোঝা বয়ে চলতে ব্যাংকগুলো হিমসিম খাচ্ছে, সেখানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলাতে পারবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সেই সুযোগটিই ব্যাংকগুলোকে নেওয়ার জন্য রাস্তা খুলে দিয়েছে। এতে শেয়ারবাজারের তারল্য সংকটও কাটবে আবার ব্যাংকগুলোর মুনাফাও হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সাপোর্টের জন্য বিনিয়োগকারীদের মনে চলমান আতঙ্ক কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। ব্যাপক লোকসানে থাকার পরও যারা শেয়ার ছেড়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন তারা গেলো দুই-তিন সেল প্রেসার তৈরি করেননি। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী যার যার অবস্থান থেকে শেয়ার ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। সিকিউরিটিজ হাউজ-মার্চেন্ট ব্যাংকের নির্বাহীরা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধরতে পরামর্শ দিচ্ছেন। সর্ব মহল থেকেই্ মার্কেটকে ভালো করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারকে যতটা গুরুত্ব দিয়েছেন আগে কখনোই এতো গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি। এখন শুধু প্রয়োজন মার্কেট মেকারের দায়িত্বে থাকা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করা। সিন্ডিকেট করে শুধু নিজেদের লাভ দেখলে হবে না, নৈতিকতা থেকে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও দেখতে হবে। সবাই এই বাজারে মুনাফা করতে এসেছে। এতে কেউ হারবে কেউ জিতবে এটাই পুঁজিবাজারের ধর্ম। কিন্তু টাকার জোরে নৈতিকতার অবক্ষয় হওয়াটা সত্যিই হতাশাজনক।
-
একনজরে ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস: বাড়া-কমার শীর্ষে যারা.... পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংক তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’১৯-জুন’১৯) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৬ ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে। ব্যাংকগুলো হলো: আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, সাউথইষ্ট ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড। উল্লেখিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইপিএস বৃদ্ধির শীর্ষ ৫ ব্যাংক হলো: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (৭২০%), ট্রাস্ট ব্যাংক (৩৬৯.৫৭%), আইএফআইসি (২৮৬.৬৭%), ওয়ান ব্যাংক (১৭৭.৭৮%) এবং আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক (১৩৩.৩৩%)। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১২ ব্যাংকের ইপিএস কমেছে। ব্যাংকগুলো হলো: এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্রাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইষ্টার্ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং ইউসিবি ব্যাংক লিমিটেড। এদিকে উল্লেখিত ২৮ ব্যাংক ছাড়া বাকি দুই ব্যাংকের মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লোকসান কমিয়েছে এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক মুনাফা থেকে লোকসানে নেমে এসেছে। নিম্নে তালিকাভুক্ত প্রতিটি ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পারফরমেন্স তুলে ধরা হলো: এবি ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.২৪ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে এবি ব্যাংকের ইপিএস কমেছে ০.৯১ টাকা বা ৭৯.১৭ শতাংশ। আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.০৩ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.০৪ টাকা বা ১৩৩.৩৩ শতাংশ। ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৫৪ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০৭ টাকা বা ১২.৯৬ শতাংশ। ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.০৬ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০৬ টাকা বা ৫.৬৬ শতাংশ। সিটি ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.০৫ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০৭ টাকা বা ৬.৬৭ শতাংশ। ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.২৪ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.০২ টাকা বা ৮.৩৩ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৮৮ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৯৭ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৯১ টাকা বা ৪৬.১৯ শতাংশ। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১.০২ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.১৩ টাকা বা ১২.৭৫ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৪৭ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.১৮ টাকা বা ৩৮.৩০ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.০৫ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৬ টাকা বা ৭২০ শতাংশ। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৫ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০.১৮ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি লোকসান কমেছে কমেছে ০.০৩ টাকা বা ১৬.৬৭ শতাংশ। আইএফআইসি দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৮ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.১৫ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৪৩ টাকা বা ২৮৬.৬৭ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৫২ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.১২ টাকা বা ৭.৮৯ শতাংশ। যমুনা ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.০৬ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০২ টাকা বা ১.৮৯ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১৬ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৮৮ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.২৮ টাকা বা ৩১.৮২ শতাংশ। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৫ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৭৮ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০৩ টাকা বা ৩.৮৫ শতাংশ। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৩৯ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.১৪ টাকা বা ৩৫.৯০ শতাংশ। এনসিসি ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৮ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৬১ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.২৭ টাকা বা ৪৪.২৬ শতাংশ। ওয়ান ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.০৯ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.১৬ টাকা বা ১৭৭.৭৮ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৫০ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৪ টাকা বা ৬৮ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৪০ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.১৩ টাকা বা ৩২.৫০ শতাংশ। পূবালী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৪৩ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০৯ টাকা বা ৬.২৯ শতাংশ। রূপালী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.১৪ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.১১ টাকা বা ৭৮.৫৭ শতাংশ। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৫৫ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.১৪ টাকা বা ২৫.৪৫ শতাংশ। এসআইবিএল দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.০৭ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.০৩ টাকা বা ৪২.৮৬ শতাংশ। সাউথইষ্ট ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮২ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৮৩ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৯৯ টাকা বা ১১৯.২৮ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক মুনাফা থেকে লোকসানে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৩ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.০৩ টাকা। ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৮ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.২৩ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৮৫ টাকা বা ৩৬৯.৫৭ শতাংশ। ইউসিবি দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৭৪ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ০.০৩ টাকা বা ৪.০৫ শতাংশ। উত্তরা ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৮ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৯৮ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ০.৬০ টাকা বা ৬১.২২ শতাংশ।
-
ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি থেকে বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। ২০১৮ সাল থেকে পুঁজিবাজারে চলা মন্দায় স্থানীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি বিদেশিরাও পুঁজি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। চলতি বছর টানা পাঁচ মাস শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বিদেশিরা।এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরবর্তী দুই মাস ইতিবাচক ধারা থাকার পরও চলতি বছর শেয়ার বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় নিট বিনিয়োগে ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। এর ফলে গত ১৯ মাসে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ পুঁজিবাজার প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিদেশিরা। মূলত ভালো শেয়ারের অভাব ও টাকার অবমূল্যায়ন না হওয়ায় বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১৮ সাল থেকে সদ্য শেষ হওয়া জুলাই মাস পর্যন্ত ১৯ মাসের মধ্যে ১৪ মাসই শেয়ার ক্রয়ের চেয়ে বিক্রি বেশি ছিল। পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০১৮ সালে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়। এ সময় বিদেশিরা ৫৯৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেন। জাতীয় নির্বাচনে পূর্ববর্তী সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিট বিনিয়োগ করেন বিদেশিরা। তবে পরবর্তী পাঁচ মাস ধারাবাহিকভাবে শেয়ার ক্রয়ের চেয়ে বিক্রি বেশি হওয়ায় চলতি বছর তাদের নিট বিনিয়োগ ১৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
-
পুঁজিবাজারে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক দরপতন হয়েছে, আর এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ দরপতনের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখতে গত ২১ জুলাই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর থেকে তদন্ত কমিটি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। এর মধ্যে দরপতনের পেছনে অস্বাভাবিক লেনদেনের নেপথ্যে হোতাদের তথ্য এসেছে তদন্ত কমিটির কাছে। জানা যায়, দর পতনের কারণ অনুসন্ধানে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লেনদেনের হিসাবসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য চেয়েছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে, শেয়ার বিক্রির ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০ স্টক ব্রোকারের তথ্য এবং তাদের ডিলার হিসাবের মোট সম্পদ মূল্যের হিসাব; তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান বিনিয়োগের চিত্র; যেসব ডিলারের বিও হিসাবে ২ কোটি টাকা বা তার বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে তাদের হিসাব বিবরণীর কপি; স্টক ব্রোকার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পোর্টফোলিও’র হিসাব বিবরণী; আর্থিক খতিয়ান; ট্রান্সজেকশন ফি; ব্যাংক হিসাব; মোট অর্থ স্থানান্তর; জমা ও উত্তোলন; মোট শেয়ার বিক্রির পরিমাণ ও মূল্যের হিসাব।
পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রির পরিমাণ, মূল্য ও অর্থ উত্তোলনের হিসাব। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিং এবং সার্ভিলেন্স বিভাগ থেকে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রতিবেদন, স্টক এক্সচেঞ্জের নিজস্ব বিচারে বাজার নেতিবাচক হওয়ার কারণ, গুজব বা অন্য কোনো তথ্য থাকলে সে সম্পর্কে প্রতিবেদন। মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে পত্রিকার এমন প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য চেয়েছে তদন্ত কমিটি।
পুঁজিবাজারে দরপতনের নেপথ্যে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনকারী শীর্ষ ১৭ প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীকে তলব করেছে বিএসইসি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। তাদেরকে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে গত সোমবার সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে চিঠি পাঠানো হয়েছেও ডাকা হয়েছে এর মধ্যে ১৭ প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীকে। এর মধ্যে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেড, কোয়ান্টা ইক্যুইটিজ লিমিটেড, রেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এবং নাহার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানি। আর শুনানির জন্য ডাকা ব্যক্তিরা হলেন: নারায়ণ চন্দ্র পাল, মিশু পাল, সুজন পাল, আরতি পাল, তাপস পাল ও নারায়ণ চন্দ্র পাল, তাপসী রানী পাল, প্রিতম পাল, নিতু পাল, সুলাইমান রুবেল, নাজমুন নাহার, মোহাম্মদুজ্জামান ও মো. মুহিবুল ইসলাম।
বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট এই ১৭ প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীর নামে শুনানির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিএসইসি’র এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৭টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীকে চিঠি দিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক ১৭ প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীকে শুনানির খবর পুঁজিবাজারে ছড়িয়ে পড়লে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।