1 Attachment(s)
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে কিভাবে স্প্রেড হিসাব করা হয়?
ফরেক্স বা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে সাধারনত একটি কারেন্সীর বিপরীতে অন্য আর একটি কারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় বা বাই-সেল করতে হয়। যেমন ডলার, ইউরো, পাউন্ড, ইয়েন, রুপী, লিরা ইত্যাদি ভিন্ন দেশের কারেন্সীগুলো একটির বিপরীতে প্রতিদিন অন্য একটি কারেন্সী হাতবদল করে কিছু প্রফিট পাওয়া যায়। বিশ্বের বড় বড় ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রেডিং হলেও কিছু ব্রেকারের মাধ্যমে সাধারন লোকেরা এই ট্রেডিং করতে পারে এবং তার বিনিময়ে সেই ব্রেকারকে কিছু স্প্রেড মানি বা ব্রোকারের কমিশন দিতে হয়। এটা বেশিরভাগ ব্রেকার নির্ধারিত বা ফিক্সড থাকরেও কিছু ব্রেকারে নির্ধারন করা থাকে না। ফলে ফরেক্স ট্রেডিংয়ে স্প্রেড হিসাব এর কারনে ট্রেডারদের অসুবিধায় পড়তে হয়। এখন দেখো নেয়া যায় ফরেক্স ট্রেডিংয়ে কিভাবে স্প্রেড হিসাব করা হয়।
[ATTACH=CONFIG]8467[/ATTACH]
ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সীর দামকে জোড়া বা পেয়ার আকারে দান নির্ধারন (প্রাইস কোট) করা হয়। যেমন EUR/USD। এখানে আমেরিকান ডলার (United States Dollar) এর সংকেত হল USD এবং (Euro) এর সংকেত হল EUR। কোন পেয়ারের প্রথম কারেন্সিটি হল বেজ বা মুল কারেন্সি, এটা দিয়ে পরের কারেন্টিসির মুল্য নির্ধারিত হয়। EUR/USD এর মানে হল ১ ইউরো দিয়ে আপনি কি পরিমান ডলার পাবেন, এটিকে কারেন্সি পেয়ার বা জোড়া বলা হয়। যেমন ১ ইউরো=১.৫৪ ডলার কিন্তু কারেন্সি মার্কেটে আরো সুক্ষভাবে রাখার জন্য দশমিকের পরের ৪ সংখ্যা পর্যন্ত হিসাব করা হয়। যেমন ১ ইউরো=১.৫৪৬০ ডলার। এখানের দশমিকের ২ ঘর পর থেকে সংখ্যাকে পিপস বলে। মুলত এখানেই মুল্য উঠা নামা করে থাকে। এখন ব্রেকারের চার্টে বা তালিকায় এই প্রাইস কোট এর মধ্যে একটি থাকে বিড প্রাইস ১.৫৪৬০ এবং অন্যটি আস্ক প্রাইস ১.৫৪৬৩। মূলত বিড প্রাইস হচ্ছে ব্রোকারের যে প্রাইসে কোট কারেন্সির ক্রয় করে এবং যে প্রাইসে সেটা ট্রেডারের কাছে বিক্রি করে সেটা আস্ক প্রাইস বলে। মাঝখানে যে ব্যবধান হয় .০০০৩ সেটেই হল স্প্রেড বা ব্রোকারের কমিশন। মার্কেটে অসংখ্য পেয়ার আছে যেগুলোতে ট্রেড করা হয় এবং যে পেয়ারগুলোতে ডলার নেই তাদের ক্রশ কারেন্সি বলা হয় কেননা তাদের মুল্যমান পরবর্তিতে আবার ডলারে পরিবর্তন করতে হয়।