-
ক্রড এর গন্তব্য কোথায় ?
গতকাল ক্রড ওয়েল এ একটা ট্রেড ওপেন করেছিলাম ৫৩.০৭ লেভেল থেকে। ৪ ঘন্টার চার্টে একটা স্পিনিং টপ ক্যান্ডেল দেখে মনে হলে এবার মার্কেট ফল করবে কিন্তু মার্কেট তো পড়ে না - খালি উঠে। বুঝতে পারছি না মার্কেট কোথায় যাবে। এদিকে ফিবো দেখলাম ১০০ এবং ৬১ এর মাঝখানে ঘুরছে। ধরে থাকব না ছেড়ে দেব বুঝতে পারছি না।
-
গত সপ্তাহ থেকে আমি ক্রড ওয়েলকে হ্রাস পেতে দেখছি এবং ইরানের চাপের কারণে ক্রড ওয়েল এর দাম এখনও আরো নিচে নামবে, যদিও আমার একটি ছোট পজিশন 20% বৃদ্ধি পর ক্লোজ করে দিয়েছিলাম।
[IMG]https://i.imgur.com/w9vE966.png[/IMG]
-
ইরানের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এশিয়ার দেশগুলো আশা করছিল, এতে তেলের সরবরাহ কমে যাবে। কিন্তু এশিয়ার বাজারে তেলের রেকর্ড পরিমাণ সরবরাহে তেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি তেলের চাহিদা রয়েছে এমন অর্থনীতিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ার পূর্বাভাসে বৈশ্বিক তেলের দাম অক্টোবরের শুরু থেকে এক-চতুর্থাংশ কমেছে। শিপ-ট্র্যাকিং ডাটা অনুযায়ী, নভেম্বরে এশিয়ার মূল বাজারগুলোয় প্রতিদিন ২ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল (বিপিডি) অপরিশোধিত তেল সরবরাহ হচ্ছে, যা ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি এবং চলতি বছরের শুরু থেকে প্রায় ৫ শতাংশ বেশি।
-
[IMG]https://i.imgur.com/bxTGX9o.png[/IMG]
গতকাল আমার ক্রড ওয়েল এর একটা শর্ট ট্রেড ক্লোজ করে দিই, কারণ প্রাইজ সাপোর্টে ব্রেক করবে না করবে না সেটা নিয়ে দ্বিধায় ছিল, কিন্তু আজ নিউজ এসেছে যে ক্রড ওয়েল (CL) এর দাম আরও বেশি হ্রাস পেতে পারে, তাই আমি আরও কিছু লট সেল করেছি এবং আশা করি দাম আরও কমবে।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও চীনের ট্রেড ওয়ার আরো চাঙ্গা হলে ক্রড ওয়েল এর দাম আরো কমে যেতে পারে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট জি-২০ সম্মেলনের পর চীনের উপর আরো ৩০০ বিলিয়ন ডলার ট্যারিফ চাপিয়ে দেয় তাহলে চীন সরকার চীনা ইয়ুয়্যানের দাম কমিয়ে ডলারের বিপরীতে 7.3 করে দিতে পারে এবং এর ফলে ক্রড ওয়েল এর দাম প্রায় ৫০% কমে প্রতি ব্যারেল ৩০ ডলার হতে পারে। যদিও তেলের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
-
যুক্তরাষ্ট্রের শেল তেল উৎপাদন বাড়ার ফলে আগামী বছর জ্বালানি তেলের দাম ৪৫-৫৫ ডলারের মধ্যে থাকবে। ব্রিটিশ জ্বালানি কম্পানির (বিপি) প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রিয়ান গিলভারি রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক চাহিদা কিছুটা শক্তিশালী মনে হচ্ছে। এর পরও তেলের বর্তমান দরই আগামীতে একটু বাড়বে-কমবে। বছরের দ্বিতীয়ভাগে তেলের চাহিদা বাড়বে দৈনিক ১.৪ থেকে ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল। ব্রিয়ান গিলভারি জানান, বছরের প্রথমভাগে ব্রেন্ট অশোধিত তেলের দাম ছিল গড়ে ৫১.৭১ ডলার। বর্তমানে ব্যারেলপ্রতি দাম ৫৩ ডলারের নিচে। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা ছিল দৈনিক প্রায় ৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বিপি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের শেল উৎপাদন বাড়ায় তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নেই। ফলে ব্রেন্ট তেলের বর্তমান দামই ২০১৮ সালে অপরিবর্তিত থাকবে।
-
সৌদি আরব পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্বালানী তেল রপ্তানিকারক। প্রতিদিন তারা ৭০ লাখ ব্যারেলের বেশি জ্বালানী তেল রপ্তানি করে, আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার বা সৌদি আরবের বৃহৎ দুটি তেলক্ষেত্রে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় পর বিশ্বে জ্বালানী তেলের সরবরাহ ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে এবং জ্বালানী তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে শংকা তৈরি হয়েছে। কেননা এতে বিশ্বের বৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশটির তেলের উৎপাদন নেমে আসবে অর্ধেকে। যা বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সৌদি আরবের দুটি তেল ক্ষেত্রে হামলার পর অপরিশোধিত তেলের দাম গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকের দিনের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানী তেলের মূল্য ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৭২ ডলার হয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির রিজার্ভ থেকে তেল ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করার পর জ্বালানী তেলের দাম আবারো কমে আসে। সৌদি আরবের যে দুটি তেলক্ষেত্রে হামলা হয়েছে সেগুলো পুনরায় উৎপাদনে আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
-
সৌদি তেল ক্ষেত্রে হামলায় ঘটনায় তেহরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মোটামুটি নিশ্চিত সৌদি আরবের দুটো প্রধান তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলার পেছনে সরাসরি ইরানের হাত ছিল। প্রমাণের জন্য তারা বিভিন্ন স্যাটেলাইট চিত্র এবং অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেছে। সৌদি আরবের দুটো প্রধান তেল ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ অন্তত পাঁচ শতাংশ কমে গেছে। সরবরাহে ঘাটতি এবং যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় তেলের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার অপরিশোধিত তেলের বাজারে দাম একদিনে ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। দাম বৃদ্ধির এত দ্রুত হার গত ৩০ বছরে দেখা যায়নি।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10068[/ATTACH]
নতুন করে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার। নতুন চ্যালেঞ্জের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। ভাইরাসের সংক্রমণে চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমতে শুরু করেছে। ক্রমশ শ্লথ হয়ে পড়ছে অর্থনীতি। এ পরিস্থিতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে টানা কমতে কমতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের কাছাকাছি নেমে এসেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তারে দ্রুত লাগাম টানা সম্ভব না হলে আগামী দিনগুলোতে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10309[/ATTACH]
কভিড-১৯ আতঙ্কে বছরের শুরু থেকেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল। সোমবার বাজার পরিস্থিতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। একদিনেই রেকর্ড দরপতনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ৩০ ডলারে নেমে এসেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুর পর এদিন জ্বালানি পণ্যটির সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে। তবে এবারের আঘাত নভেল করোনাভাইরাস নয়। বরং রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি পণ্যটির রফতানিকারকদের জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারা। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমা এবং চলমান মূল্যযুদ্ধের জের ধরে স্বল্প সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস