-
চলমান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরচক্র থেকে বের হতে পারছে না চীন। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও (এপ্রিল-জুন) কমেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যা ১৯৯০ সালের পর সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। আজ সোমবার দেশটির পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়। চলতি বছরে অর্থনীতিকে চাঙা করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয় চীন। ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি কর কমিয়েছে সরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেই অর্থনীতির গতি বাড়েনি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। গত বছর ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট হারে কমে যাচ্ছে অর্থনৈতিক গতি। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, দেশের বাইরে ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে।
প্রবৃদ্ধি কমলেও শিল্প খাতে গতি বেড়েছে দেশটির। গত বছরের চেয়ে এ বছরের জুনে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে খুচরা বিক্রয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
-
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক বছর ধরে চলা ট্রেড ওয়ার বন্ধ করার জন্য গত বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেছেন, এছাড়া শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিনের বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। তবে উভয় পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসতে পারে, কেননা বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব যেমন দুই দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে, তেমনি তা বিশ্ব অর্থনীতিরও ক্ষতি করছে।
-
বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে নেয়ার কথা বলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফা শুল্ক কার্যকর করবে ওয়াশিংটন। প্রথম দফায় ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প, যার বেশির ভাগই ছিল শিল্পপণ্য। এর বিপরীতে সর্বশেষ যেসব পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হলো জুতা, পোশাক ও সেলফোনের মতো ভোগ্যপণ্য; যা আমেরিকান ভোক্তারা ব্যবহার করেন। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উত্কণ্ঠায় রয়েছে রিটেইলাররা। এরই মধ্যে গভীর সংকটে থাকা রিটেইলারদের সামনে দুটি কঠিন পথ অপেক্ষা করছে—হয় নতুন শুল্কের উচ্চ ব্যয় বহন করা কিংবা দাম নিয়ে সংবেদনশীল গ্রাহকদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে বাধ্য করা।
তার ওপর মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছে চীন, যা মার্কিন রফতানিকারকদের জন্য গোদের উপর বিষফোড়া হিসেবে দেখা দেবে। করপোরেট মুনাফায় কেমন প্রভাব পড়বে, সে বিষয়ে উদ্বেগের কারণে শুক্রবার শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা গেছে।
-
‘টাইমিং’ এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯, জার্মানির সামরিক বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে প্রবেশ করে, যার সঙ্গে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ওইদিনের ৮০ বছর পর, অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানীকৃত আরো চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছেন। যদি এটি ঘটে, তবে তা হবে বাণিজ্য নিয়ে চলমান ‘কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের’ তেতে ওঠার মুহূর্ত।
এতে কোনো ভুল নেই যে, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত ঘোষণায় মারাত্মক ফলাফল দেখতে পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শুল্কারোপের জন্য সতর্কতার সঙ্গে চীনা পণ্য নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে মার্কিন ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। আগামী মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যে শুল্কারোপ হতে যাচ্ছে। এখনো এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানা গেলেও এটা প্রায় নিশ্চিত যে, মার্কিন ক্রেতাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও কাপড় কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। ট্রাম্প বড়াই করে বলেছেন, চীনের ওপর শুল্ক অস্ত্র নিয়ে চড়াও হবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নিজেদের অর্থনীতি নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা করে বসে রয়েছেন তিনি। আদতে চীন থেকে আমদানীকৃত পণ্যের জন্য মার্কিনদেরই ওই শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ের ১৮ মাসের কম সময় আগে, ট্রাম্প যে কৌশল গ্রহণ করেছেন, তা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গে জুয়া খেলছেন ট্রাম্প। তিনি চাইছেন শুল্কারোপের মাধ্যমে চাপ দিয়ে চীনের সঙ্গে একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি করতে। যে চুক্তির মাধ্যমে চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলো বৃহত্তর বাজার প্রবেশাধিকার পাবে, মার্কিন কৃষিপণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কিন মেধাস্বত্ব সম্পদ চুরি হওয়া রোধ হবে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1940253410.jpg[/IMG]
চীন-আমেরিকা এর ট্রেডওয়ার আরও জোরলো হচ্ছে এবং উভয় দেশের মধ্যে অবিশ্বাস ও দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। চীন-আমেরিকার গত ৩১ জুলাই একটি বাণিজ্য আলোচনা হয়েছিল, এই আলোচনাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘গঠনমূলক’ উল্লেখ করেলেও এরপরই জানা যায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চীনের আরও ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করবে। যার মানে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চীনা প্রায় সব পণ্যকেই শুল্কের আওতায় নিয়ে আসছে। এ ধরনের ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলবে। চীন বিষয়টিকে নিজেদের মতো করেই মোকাবিলা করবে। এই ঘোষণা বাণিজ্য আলোচনা ‘ব্যর্থ হয়েছে’ বলেই বার্তা দেয়। ফলে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারেই, যা এরই মধ্যে দৃষ্টিগ্রাহ্য হচ্ছে। ঘোষণাটি আসার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক একটি ঝাঁকুনি লেগেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তি সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট জানাচ্ছে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে মার্কিন বিভিন্ন শেয়ারের দাম এরই মধ্যে নিম্নমুখী হয়েছে। কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের বিপরীতে সুদহার।
-
বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুই দেশের বাণিজ্যযুদ্ধ আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে হাজির হয়েছে। চীন আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে মার্কিন কৃষকদের হাতছাড়া হলো তাদের অন্যতম বৃহৎ এক ক্রেতা। শস্য ও পণ্যের দাম নিয়ে এমনিতেই চলতি বছর সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল দেশটি। তদুপরি চীনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের এ খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের এ সিদ্ধান্তে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং জন ডিয়ারের মতো কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কোম্পানিটি দেশটির কৃষি ব্যবসায় সরাসরি জড়িত।
বিরাজমান শুল্কের কারণে দেশটির চলতি শস্য মৌসুম এমনিতেই শ্লথ হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে দেশটি চীনে কোনো ধরনের কৃষিপণ্য রফতানিতে ব্যর্থ হলে সেটি দেশটির কৃষিবাজার ও দামের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও কৃষিনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্যাট ওয়েস্টহফ। নিজেদের কৃষিবাজার থেকে চীনের সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাতের বড় ক্ষতি করবে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1872951132.jpg[/IMG]
চীন এবং আমেরিকার মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বরং দুপক্ষ নতুন করে একে অপরের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ শুরু করেছে। আজ রোববার মার্কিন সরকার চীনের ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর নতুন করে শতকরা ১৫ ভাগ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। এসব পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই ভোগ্যপণ্য। জবাবে চীনও মার্কিন জ্বালানি তেলের ওপর শতকরা ৫ ভাগ বাড়তি শূল্ক এবং মার্কিন অন্য পণ্য সামগ্রীর উপর ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বছরেরও আগে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম মার্কিন তেলের উপর শূল্ক আরোপ করল চীন। এছাড়া, দুপক্ষই চলতি বছরের শেষের দিকে পরস্পরের পণ্যের ওপর আরো বাড়তি শূল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি বলেছে, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এসব বাড়তি শূল্ক আরোপের কারণে চীনের উন্নয়ন থেমে থাকবে না। পত্রিকাটি বলছে, চীনের বিস্ফোরণোন্মুখ অর্থনীতি এখানকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রকে এত বেশি উর্বর করেছে যে, বিদেশী কোম্পানিগুলো তা উপেক্ষা করতে পারবে না।
-
লমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। রবিবার থেকে শুল্ক আরোপের প্রথম দফা কার্যকর হয়েছে এই দুই দেশে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন জ্বালানি পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করেছে চীন। অন্যদিকে, রবিবার থেকেই সাড়ে ১২হাজার কোটি ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ আগামী ১৫ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে রেখেছে বেইজিং। একই দিন চীনের পোশাক ও প্রযুক্তি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করবে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে, চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানে চলতি মাসেই দুদেশের বাণিজ্যিক দল আলোচনায় বসবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/626949767.jpg[/IMG]
চিনের সঙ্গে আমেরিকার দ্বি-পাক্ষিক শুল্ক নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মাঝে কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরস্পরকে জবাব দিতে অস্ত্র হয়ে উঠেছিল শুল্ক। সম্প্রতি ফের বেজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে। কিন্তু ওয়াশিংটন নানা সময়ে এক একরকম বার্তা দিয়ে চলেছে। ফলে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হতে পারছে না বিভিন্ন মহল। সমস্যা পুরোপুরি না-মেটা পর্যন্ত সংস্থাগুলিও নতুন করে লগ্নির সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এর আগে ১২ দফা আলোচনায় বসেও সন্ধিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। ফলে আগামী দিনে অবস্থা কী দাঁড়ায়, সে দিকেই নজর রাখছে বিনিয়োগকারীরা।
-
রফতানির ওপর দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম কমে ১০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। এদিকে মার্কিন ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রমের এ পতনের ধাক্কায় গতকাল বিশ্বব্যাপী শেয়ারদর এক মাসের সর্বনিম্নে নেমে যায়। গত সপ্তাহে আগস্টে মার্কিন ভোক্তা ব্যয় প্রশমিত হওয়ার পরিসংখ্যান প্রকাশের পর মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (আইএসএম) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম নিয়ে জরিপ প্রকাশ করল। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিটির ক্রমাগত ম্লান হয়ে পড়ার পেছনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চীনের সঙ্গে ১৫ মাসব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ বাণিজ্যযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা আস্থার অবনতি ঘটিয়েছে ও উৎপাদন ক্ষুণ্ন করেছে। গত মাসে কারখানা কর্মসংস্থান সূচক আগস্টের ৪৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৬ দশমিক ৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানা কার্যক্রম এক দশকের সর্বনিম্নে নামায় বিশ্বব্যাপী শেয়ারদর বড় ধাক্কা খেয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব বিস্তৃত হচ্ছে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।