-
বুলিঙ্গার ব্যান্ড অনবদ্য
আজ আমি আপনাদের অত্যন্ত কার্যকরী একটা স্ট্র্যাটেজী শিখাতে যাচ্ছি, আশা করছি যারা নতুন আছেন, বা অনেক দিন ধরে ট্রেড করছেন কিন্তু ভালো প্রফিট করতে পারছেন না, তারা খুব ভালো উপকার পাবেন। তবে একটা কথা আগেই বলে রাখি, সকল স্ট্র্যাটেজীই ভালো, এটা আপনি যত নিজের মতো করে ভালোভাবে আয়ত্ব করতে পারবেন। ফরেক্স ততোই আপনার কথা শুনবে। আপনার ঝুলিতে এসে জমা হবে ফরেক্স সাফল্য। এবার স্ট্র্যাটেজীর কথায় আসিঃ
বুলিঙ্গার ব্যান্ডের সেট আপঃ
প্রথমে আপনার mt4 চার্ট হতে ইন্ডিকেটর অপশনে যেয়ে বুলিঙ্গার ব্যান্ড খুজে বের করুন।
ডেভিয়েশানঃ ২
পিরিয়ডঃ ২০ দিবেন, তবে ১৪ তেও মোটামুটি ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
স্ট্র্যাটেজী ফলো করবার নিয়মঃ
যদি মার্কেট প্রাইস বুলিঙ্গার ব্যান্ডের মাঝের লাইনের নিচে থাকে তবে মার্কেট ডাউন ট্রেন্ডে আছে বুঝতে হবে।
যদি মার্কেট প্রাইস বুলিঙ্গার ব্যান্ডের মাঝের লাইনের উপরে থাকে তবে মার্কেট আপ ট্রেন্ডে আছে বুঝতে হবে।
যদি মার্কেট প্রাইস বুলিঙ্গার ব্যান্ডের মাঝের লাইন টাচ করে তবে ট্রেড নেবার পজিশান এসে গেছে বুঝতে হবে। এবার অপেক্ষা শুধু পারফেক্ট সেট আপ নেবার।
কখন সেল নিবেনঃ
যখন মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে থাকবে আর প্রাইস বুলিঙ্গার ব্যান্ডের মাঝের লাইন টাচ করবে নিচে থেকে, তখন আপনি রেডী হয়ে যাবেন এন্ট্রী নেবার জন্য।
মাঝের লাইন টাচ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি টাচ করা ক্যান্ডেলের ৩-৫ পিপ্স নিচে একটা সেল স্টপ দিয়ে রাখুন, অথবা অপেক্ষা করুন মারকেট প্রাইসের রিভার্স করা ক্যান্ডেলের জন্য যা আগের ক্যান্ডেলের ৩-৫ পিপ্স নিচে ঘুরে নামবে। তখন একটা সেল এন্ট্রি নিন।
বুলিঙ্গার ব্যান্ডের মাঝ লাইন টাচ করা ক্যান্ডেলের ৫-১০ পিপ্স উপরে স্টপ লস দিয়ে রাখুন।
আর টেক প্রফিটের ক্ষেত্রে বুলিঙ্গার ব্যান্ডের নিচের লাইন বরাবর দিয়ে রাখুন।
নিচের ছবিটা দেখে নিন।
কখন বাই এন্ট্রি নিবেনঃ
বাই এন্ট্রি সেল এন্ট্রির ঠিক উল্টোটা হবে। এখানে মারকেট উপর থেকে নিচে নেমে মাঝের লাইন টাচ করবে। আর একই ভাবে স্টপ লস আর টেক প্রফিট ব্যবহার করবেন।
-
যদি ও ছবি দেন নাই। দেখে মনে হল কপি পেস্ট মারছেন। তবুও ধন্যবাদ। অনেকদিন পর কৌশলটি চোখে পরল। ঝালাই হোল আরকি। ভাই বুলিঞ্জার এর আর কোন ব্যবহার জানা থাক্লে জানাবেন। আর বুলিঞ্জার ব্যন্ড এর মান কেম্নে কাজ করে জানাবেন।
-
আমি মনে করি যে মার্কেট সম্পর্কে বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ন, আমি এটা ব্যবহার করি, ফলাফল ভাল
-
বলিঙ্গার ব্যান্ডস জন বলিঙ্গার নামে একজন তৈরী করেছিলেন। বলিঙ্গার ব্যান্ডস মার্কেটের ভলাটালিটি পরিমাপ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বলিঙ্গার ব্যান্ডস দ্বারা আরো অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। যেসব তথ্য আমরা বলিঙ্গার ব্যান্ডসের মাধ্যমে পেতে পারি তা হল:
ট্রেন্ডের দিকনির্দেশনা
ট্রেন্ড সম্প্রসারন অথবা মার্কেট কনসোলিডেশন (একীকরন) পেরিয়োড
আসন্ন বড় ধরনের ভলাটাইল ব্রেকআউট
মার্কেটের আনুমানিক টপ ও বটম
প্রাইস টার্গেট
বলিঙ্গার ব্যান্ডস চার্টে ৩ টি লাইন আকারে দেখা যায়। প্রাইস শতকরা ৮৫% সময় এই লাইনগুলোর সীমানার মধ্যে থাকে। লাইনগুলি হল:
মধ্যের লাইনটা হল সিম্পল মুভিং এ্যাভারেজ যার ডিফল্ট ভ্যালু হল ২০ পেরিয়োডের।
লোয়ার ব্যান্ড - এসএমএ বিয়োগ ২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন।
আপার ব্যান্ড - এসএমএ যোগ ২ স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন।
-
বুলিঙ্গার ব্যান্ডে আমরা তিন ধ রনের ব্যান্ড দেখা যায়। আপার ব্যান্ড লোয়া রব্যান্ড এবং মিডল ব্যান্ড মার্কেট মুভমেন্ট কিছু সময় ব্যান্ড কে সংকোচিত করে আবার প্রসারণ করে কিছু সময় আবার ব্যান্ডকে ক্রস করে আবার আগের পজিশন এ ফিরে আসে তা দেখে আমরা ট্রেড করে প্রফিট নিয়ে থাকি
-
আমার দেখা কিছু কাস্টম ইন্ডিকেটরের মধ্যে বোলিঙ্গার ব্যান্ড অন্যতম। এর 100% সফলতা সপ্তাহে কমপক্ষে একবার হলেও আপনারা মার্কেটে পাবেন। আর সেদিন 35 পিপস থেকে 100+ পিপস প্রফিট পাবেন। ভাগ্য ভাল হলে ট্রেড যদি দুই দিন ধরে রাখতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই।
-
প্রায় ট্রেডাররা মনে করেন যে,মেটা ট্রেডারের সাথে যে ডিফল্ট ইন্ডিকেটরগুলো দেওয়া থাকে,
ট্রেডিং এর জন্য এগুলোই বেস্ট।সুতরাং বিভিন্ন ইন্ডিকেটরের মধ্যে বুলিঙ্গার সর্বোচ্চ ব্যবহূত একটি ইন্ডিকেটর।যা উপরিউক্ত নিয়মে ভাল কাজ করে।
জিনিসটা একদম পিনবার স্ট্রাটেজির মত ।তবে ভালই হল ।স্ট্রাটেজিটাকে আরেকটু উন্নত করা যাবে।আসলে কিছু কিছু স্ট্রাটেজি আছে অন্য স্ট্রাটেজির সাথে কিছুটা হলেও মিলে।এর থেকে সঠিক ধারণা পেলাম।
:rules:
-
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে হলে এনালইসিস করে ট্রেড করতে হয়।এই এনালাইসিস আবার তিন প্রকার ফান্ডামেন্টাল,টেকনিক্যাল,ও সেন্টিমেন্টাল এনালাইসিস।ফরেক্স মার্কেটে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করার তন্যতম টুলস হচ্ছে বলিঞ্জার ব্যান্ডস।বলিঞ্জার ব্যান্ড ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে কখন আমরা মার্কেটে প্রবেশ করবো এবং প্রফিট নিয়ে মার্কেট থেকে বেড় হয়ে আসবো সেই নির্দেশনা প্রদান করে।
-
আমি বুলিন্জার ব্যান্ডসহ অনেক ইনডিকেটর অসংখ্যবার ব্যাবহার করে দেখেছি কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এসব ইনডিকেটর প্রফিটেবল ট্রেডের জন্য আগাম ও সঠিক পূর্ভাবাস দিতে পারেনা৷যে কোনোও ইনডিকেটর প্রায়ই ভূল সিগনাল দেয়৷তাই আমি আমার ট্রেডিং চার্ট ইনডিকেটর বিহীন পরিষ্কার ঝঁকঝঁকা রেখে ট্রেড করি ও নিয়মিত অল্প করে কিছু প্রফিট পাই৷
-
ইন্ডিকেটর এর মাঝে বহুল ব্যবহৃত হয় যা, তার নাম 'বুলিঙ্গার ব্যান্ড'। এই বুলিঙ্গার ব্যান্ডে তিনটি লেভেল থাকে। মাঝের লেভেল সিম্পল মুভিং এভারেজ ২০ দেওয়া আছে। তার এভারেজ ধরে উপরের ও নিচের লেভেলও মুভ করে।কিভাবে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা এবার জেনে আসি,
১) অনেকেই ডিফল্ট বুলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের লেভেলে মার্কেট টাচ করলে সেল ট্রেড ও নিচের লেভেলে মার্কেট টাচ করলে বাই ট্রেড নিয়ে থাকেন।
২) যেহেতু হাই ইম্প্যাক্ট নিউজের আগ-মুহুর্তে উপরের ও নিচের ব্যান্ড দুটো একেবারে কাছাকাছি চলে আসে, এটিকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নিউজ চলাকালীন মার্কেট যেদিকের লেভেল ব্রেক করবে, সেদিকে এন্ট্রি নিয়ে থাকে।
৩) অনেকেই বুলিঙ্গার ব্যান্ডের মাঝের লেভেল ক্রসিং পয়েন্টকে এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে ধরে থাকেন।
৪) এটির এডভান্স ইউজও অনেকেই করেন এভাবে-
দুটো বুলিঙ্গার ব্যান্ড ইউজ করে একটিতে ডেভিয়েশন ২ ও একটিতে ডেভিয়েশন ১ করে দিয়ে এবার ডেভিয়েশন ১ এর আপার ও লোয়ার ব্যান্ড ক্রস করার পয়েন্টকে এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন।আমার লেখাগুলো পড়ে যদি আপনি কিছু না বুঝতে পারেন অথবা আপনার ট্রেডিং চার্টের সাথেও মিলাতে না পারেন, তবে আপনাকে আরেকটু স্টাডি করতে হবে বেসিক বিষয় ও ফরেক্স ট্রেডিং টুলসের ব্যাপারে। এরপর স্ট্রাটেজী তৈরির বিষয় চলে আসবে।