মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হল জিডিপি প্রতিবেদন। সাধারণত, জিডিপি হল কোন অর্থনীতির সবচেয়ে বড় পরিমাপক সূচক। জিডিপি হল বছরের এক চতুর্থাংশ সময়ে আন্তর্জাতিক কার্যাবলী ব্যতীত অভ্যন্তরীণ সমস্ত পণ্য বা সেবামূলক পণ্যের একটি গড় আর্থিক মূল্য। এই প্রতিবেদনে দেখার মত মূল সংখ্যাটি হল জিডিপি বৃদ্ধির হার। সাধারণত, সাধারণ পর্যায় থেকে বেরিয়ে আসাটা অর্থনীতির শক্তিশালী প্রবণতার প্রমাণ দেয়। এই মাত্রার উপরে বৃদ্ধি পেলে এটাকে অস্বাভাবিক ভাবা হয় এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হয়। আবার এই মাত্রার নিচে দিকে চলে যাওয়া মানে অর্থনীতি ধীর গতিতে চলছে যা বেকারত্ব বাড়ায় এবং খরচ কমায়। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে প্রতিটি প্রাথমিক জিডিপি প্রতিবেদন চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারণের পূর্বে দুবার সংশোধন করা হবে: এই অগ্রিম প্রতিবেদনটি প্রায় এক মাস পরের খসড়া প্রতিবেদন এবং এরও এক মাস পরের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের আলোকে তৈরি হয়। বড় ধরণের সংশোধনী বাজারে অতিরিক্ত গতিবেগ তৈরি করে।
মোট জাতীয় উৎপাদন(জিএনপি) এর সাথে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) মিলিয়ে ফেলবেন না। জিডিপি হল শুধুমাত্র কোন দেশের নিজস্ব ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে যেকোনো জাতীয়তার পরিচয়দানকারী উৎপাদকের উৎপাদিত পণ্য ও সেবার পরিমাণকে বুঝায়। জিএনপি এর মধ্যে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনকে গণনা করা হয় না তবে দেশি কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে উৎপাদিত পণ্য বা সেবাকে বিবেচনা করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, যদি কোন মার্কিন কোম্পানি ফ্রান্সে একটি চেইন স্টোর পরিচালনা করে তাহলে এসব দোকানের মাধ্যমে প্রদত্ত পণ্য ও সেবা জিডিপি তে অন্তর্ভুক্ত হবে না কিন্তু জিএনপি তে যুক্ত হতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনীতি বড় হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশগুলোতে জিডিপি এবং জিএনপি এর মধ্যকার ব্যবধান কমে আসছে। কিন্তু ছোট, উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য পার্থক্যটা বেশ বড়।