-
যদিও চলতি সপ্তাহে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের একটি মিটিংয়ে এ কথা বলা হয়েছে, সেখানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি সম্পর্কে একটি নীতিনির্ধারণী ধারণা পাওয়া গেছে। চার বছরের মার্কিন অর্থনীতি এখন সবচেয়ে চাঙ্গা, প্রবৃদ্ধি গড় ৩ শতাংশ। অবশ্য ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার ফলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে ওয়াল স্ট্রিটের অন্যতম সূচক এসঅ্যান্ডপি-৫০০।
-
মার্কিন অর্থনীতি পর্যালোচনায় সংস্থার বার্ষিক আর্টিকেল ফোরের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছে আইএমএফ। পর্যালোচনার সমাপনী বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, চীন, মেক্সিকোসহ অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ তা সত্ত্বেও চলতি বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো ত্বরান্বিত হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
-
যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাপনের গড়পড়তা ব্যয়ের সঙ্গে দেশটির ন্যূনতম মজুরির পার্থক্য বেশ স্পষ্ট বলে মনে করেন গবেষকরা। চার সদস্যের একটি পরিবারে যেখানে মাতা-পিতা দুজনই চাকরি করেন, পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য বছরে তাদের গড়পড়তা ৬৭ হাজার ১৪৬ ডলার প্রয়োজন। চার সদস্যের একটি পরিবারের বার্ষিক ব্যয় নির্বাহে ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৬ দশমিক ১৪ ডলার মজুরি হওয়া উচিত বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটি সম্প্রতি টানা ১০ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে বলে জনিয়েছে ইউএসএ টুডে। তবে একই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলেও জানিয়েছে একই সূত্র।
-
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) মুদ্রানীতি শিথিল করবে—এমন প্রত্যাশায় রয়েছে বাজারগুলো। সম্প্রতি ফেড কর্মকর্তাদের সুদহার কর্তন নিয়ে ভিন্ন সুরে কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে এ প্রত্যাশা। এর প্রভাবে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোয় পতন দেখা গেছে। একই সঙ্গে দ্রুতই সুদহার বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা না থাকায় তিন মাসের সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ডলার।
-
ইউ,এস, ডলার নিয়ে একটু গভীরে আলোচনার যাই। । ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে ১% ইন্টারেষ্ট রেট ধারাবাহিক ভাবে বাড়াতে বাড়াতে ২০১৯ এর মাঝামাঝি সময় আসার আগে, ২.৫০% এসে থেমে যায়। আগামী fomc নিউজ হবে ১লা অগাস্ট ২০১৯ বাংলাদেশের সময়ে রাত ১২টা বা ১২.৩০ মিনিটের সময়ে নিউজ প্রকাশিত হবে। শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গেলো ইউ,এস, ডলার ০.২৫% ইন্টারেস্ট রেট কার্ট দিতে যাচ্ছে, শুধু মাত্র ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের জন্য ০.২৫% রেট কার্ট দিলে ইউ,এস, ডলার দুই বা চার দিনের জন্য দুর্বল থাকবে, তার বিপোরিতে মেজর কারেন্সি গুলো স্টং থাকবে, পরে আবার ইউ,এস, ডলার পুনরায় ধিরে ধিরে স্টং হতে শুরু করবে। fomc নিউজ প্রকাশিত হওয়ার ৩০ মিনিট পরে প্রেস কনফারেন্স মিটিং হবে সেই সময়ে যদি ঘোষনা দেয় যে ইন্টারেস্ট রেট ধারাবাহিকভাবে ২০১৯ থাকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধিরে ধিরে কমাতে কমাতে পূর্বের যায়গায় ১% নিয়ে আসবে তাহলে ইউ,এস, ডলার দুর্বল থেকে দুর্বল হতে থাকবে। এদিকে যদি ব্রেক্সিট ইসুর কারনে ৩১শে অক্টোবর যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যায় তাহলে ইউ, এস, ডলার স্টং থেকে স্টং হতে থাকবে। ধন্যবাদ।
-
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী দুই বছরের মধ্যে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতি খুবই ভাল যাচ্ছে’ বলে অর্থবাজারকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, তিনি মন্দার কোনো লক্ষণ দেখছেন না। একই কথা বলেছেন হোয়াইট হাউজের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলোও। গত সপ্তাহে অর্থবাজারের পরিস্থিতি মন্দার দিকে মোড় নিতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। গত বুধবারে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে প্রায় ৩ শতাংশ ধ্বস নামে। যদিও সপ্তাহের শেষ দিকে আবার কিছুটা চাঙ্গা ভাব ফিরে আসে। তবে এর আগের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো সুদের হার কমায়। এবং তা আরো কমবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বছরের শেষার্ধে এসেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
তাছাড়া, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিদেশে অর্থনৈতিক মন্দার কারণেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অবনতির দিকে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, বিশ্বে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। সব মিলিয়েই বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র ২০২০-২১ সালেই মন্দায় পড়তে পারে।
কিন্তু রোববার ট্রাম্প অভয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মন্দার কোনো আভাস দেখতে পাচ্ছেন না। বিশ্ব এ মুহূর্তে মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্প বলেন, “আমরা মন্দায় পড়ছি বলে আমি মনে করি না। আমরা খুবই ভাল করছি। বাদবাকী বিশ্ব আমাদের মত ভাল অবস্থায় নেই।”
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9172[/ATTACH]
উচ্চ সরকারি ব্যয় এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদ পরিশোধে ২০১৯ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বাজেট ঘাটতি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিতে দেশটির বাজেট ঘাটতি প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্স ও এএফপি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ বাজেট বর্ষে যখন শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে কর ভিত্তি সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বেকারত্ব হার ৫০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, ঠিক সে সময়ে এই উপাত্ত প্রকাশিত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ৯৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা দেশটির জিডিপির ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ছিল ৭৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ২০০৯ সালে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছিল, যার আকার ছিল ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
-
চলতি সপ্তাহে আমেরিকান ডলারের মেজর নিউজগুলো হচ্ছে :
• ১৩ই নভেম্বর সন্ধ্যা ০৭টা ৩০মিনিটে CPI(m/m) এবং Core CPI(m/m) নিউজ রিপোর্ট।
• ১৪ই নভেম্বর সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে PPI(m/m) এবং Core PPI(m/m) নিউজ রিপোর্ট।
• ১৫ই নভেম্বর সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে Retail Sales(m/m) এবং Core Retail Sales(m/m) নিউজ রিপোর্ট।আমেরিকান ডলারের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো চাঙ্গা করার লক্ষ্যে চলতি বছর কয়েক দফায় রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সেই ধারাবাহিকতায় গত FOMC মিটিং ২৫ বিপি রেট কমিয়ে ১.৭৫% করা হয়েছে। গতমাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত CB Consumer Confidence নিউজ রিপোর্ট কিছুটা খারাপ আসলেও প্রান্তিক Advance GDP q/q নিউজ রিপোর্ট বেশ ভালো ছিলো। ISM Manufacturing PMI নিউজ রিপোর্ট কিছুটা খারাপ আসলেও ISM Non-Manufacturing PMI নিউজ রিপোর্ট ছিলো বেশ ভালো। গত মাসের লেবার মার্কেট রিপোর্টে আর্নিং( ০.০০%) অনেকটা ড্রপ করলেও এবার আর্নিং রিপোর্ট(০.২%) গতবারের তুলনায় ভালো এসেছে। গতবারের তুলনায় বেকারত্বের হার কিছুটা বাড়লেও ( ৩.৬%) সেটা বেশ সহনীয় পর্যায়ে আছে।আমেরিকান ডলারের গত ১মাসের নিউজ রিপোর্ট কিছুটা মিক্স ছিলো এবং গত মিটিং এ রেট কমানো হয়েছে সেই হিসেবে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স গত মাসের থেকে টানা পড়তির দিকে ছিলো। যেহেতু লেবার মার্কেট নিউজ এবং জিডিপি নিউজ রিপোর্ট মোটামুটি ভালো ছিলো এবং লাস্ট মিটিং এ রেট কমানো হয়েছে সেই হিসেবে ইনফ্ল্যাশন ( সিপি আই এবং পিপি আই ) রিলেটেড রিপোর্ট ভালো আসার সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি আমেরিকা-চায়না ট্রেড ডিল নিয়ে নতুন করে সমঝোতা হবার কথা আছে। তাই যদি ইনফ্ল্যাশন রিপোর্ট খারাপ না আসে এবং আমেরিকা-চায়না ট্রেড ডিলে নতুন করে সমঝোতা হয় তবে আসা করা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহ সহ সামনের কিছুদিন মেজর পেয়ারগুলিতে আমেরিকান ডলার বাই মুডে থাকতে পারে।
-
1 Attachment(s)
চতুর্থ প্রান্তিকে নিউইয়র্ক ফেডের জিডিপি পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এর আগে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। অক্টোবরজুড়ে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে উৎপাদন হ্রাসসহ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর কারণে এ রকম ‘নেতিবাচক পূর্বাভাস’ দিতে হয়েছে বলে জানায় নিউইয়র্ক ফেড।
প্রবৃদ্ধির দেখা না পেতে পারে মার্কিন অর্থনীতিওয়াল স্ট্রিটে সাম্প্রতিক চাঙ্গা ভাবে মনে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে চলতি বছরের শেষ তিন মাসে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়তে পারে। শুক্রবার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের (ফেড) দুটি আঞ্চলিক শাখার প্রতিবেদনে এ রকম নেতিবাচক ছবিই ফুটে উঠেছে। খবর সিএনএন বিজনেস।
[ATTACH=CONFIG]9327[/ATTACH]
আটলান্টা ফেডের জিডিপি পূর্বাভাস আরো খারাপ। শুক্রবার চতুর্থ প্রান্তিকের জন্য তাদের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশের। মাত্র এক সপ্তাহ আগে যেখানে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। গাড়ি ও গ্যাসোলিন বাদে রিটেইল বিক্রি সংকোচন এবং ভোক্তা ব্যয় হ্রাসের ফলে পূর্বাভাস কমাতে হয়েছে বলে জানায় আটলান্টা ফেড। শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, অক্টোবরে ভোক্তা ব্যয় মাত্র শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থনৈতিক উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এ পূর্বাভাস দিয়েছে ফেডের দুটি আঞ্চলিক শাখা। তবে নতুন উপাত্তের ভিত্তিতে পূর্বাভাসে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে বছর শেষে অর্থনীতি মারাত্মক সংকটাপন্ন বলেই প্রতীয়মান হতে পারে। জেনারেল মোটরসের ধর্মঘট বন্ধের ফলে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
য়াল স্ট্রিটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য চতুর্থ প্রান্তিক নিয়ে বেশ সতর্ক। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি পূর্বাভাস ১ দশমিক ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে গোল্ডম্যান স্যাকস। ফেডের জিডিপি মডেলে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি একেবারেই নগণ্য থাকবে। নেতিবাচক পরিক্রমা আরো খারাপ আকার ধারণ করলে দেশটি মন্দায় পড়তে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। তবে সব পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বেশ চাঙ্গা অর্থনীতিরই বার্তা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি বেশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।’ তবে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল অবশ্য ভিন্ন কথাই বলছেন। বৃহস্পতিবার আইনপ্রণেতাদের সামনে তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনীতির দিকে তাকালে সেখানে চাঙ্গা ভাবের কিছুই দেখছি না।
তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। অথচ নতুন বছর শুরু হয়েছিল ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে। যদিও ভোক্তা ব্যয় কিছুটা চাঙ্গা রয়েছে, তবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সংকোচন চলছে এবং টানা দুই প্রান্তিক ধরে ব্যবসায় ব্যয় সংকুচিত হয়েছে। এর পেছনে ভূমিকা রাখছে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি। তবে বিনিয়োগকারীরা এখনো বেশ আশাবাদী। বছরান্তে সব অন্ধকার কেটে যাবে বলে মনে করছেন তারা। শুক্রবার শেয়ারবাজারে ডাও জোনস, এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ও নাসডাক সব সূচকই সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের আসন্ন বাণিজ্য চুক্তি এবং ফেডের কাছ থেকে পাওয়া ইজিমানিতে শেয়ারবাজারে এ আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে।
অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীরা অতটা আশাবাদী নন। সিসকোর প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহ হ্রাসের পেছনে আজকের বৈশ্বিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেছেন কোম্পানিটির সিইও চাক রবিনস। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, আপনি যদি বিশ্ব ঘটনাপ্রবাহ অনুসরণ করেন, তাহলে দেখবেন হংকংয়ে কী ঘটছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিরোধ কোন জায়গায় আছে, ওয়াশিংটনে কী চলছে। তার সঙ্গে আপনার সামনে রয়েছে ব্রেক্সিট এবং লাতিন আমেরিকায় অনিশ্চয়তা। বৈশ্বিক অর্থনীতি কোন দিকে এগোচ্ছে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মনে করেন চাক রবিনস।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9501[/ATTACH]
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধায় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজী নববর্ষকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারীর প্রায় শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আমেরিকান স্টক মার্কেটে প্রচুর পরিমানে প্রোফিট টেকিং হয়। মূলত এই কারনেই বছরের এই সময়টাতে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স কিছুটা নিম্নমূখী থাকে, পাশাপাশি যেহেতু চাইনিজ ইকোনোমিক নিউজগুলোতে গোল্ড, অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলারে ভালো প্রভাব পরে এবং সাম্প্রতিক চাইনিজ রিপোর্টগুলো বেশ পজেটিভ তাই গোল্ড, অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলারে এর পজেটিভ প্রভাব পরার সম্ভাবনাও প্রবল এবং অলরেডি পরতে শুরু করেছেও। সাম্প্রতিক ট্যারিফ ইস্যু, চাইনিজ ইকোনোমিক্যাল নিউজ ভালো আসা এবং আমেরিকান ইকোনোমিক নিউজ কিছুটা খারাপ আসার ফলে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স কিছুটা ফল করেছে। কিন্তু যদি সামনে শুক্রবারের লেবার মার্কেট নিউজ আমেরিকান ডলারের পক্ষে আসে এবং পরের সপ্তাহের এফওএমসি মিটিং এ তুলনামূলক হকিশ টোন আসে তবে আমেরিকান ডলার সাময়িক সময়ের জন্য হলেও কিছুটা রিকভার করবে, এবং আসা করা যায় গোল্ডসহ মেজর কারেন্সিগুলো আমেরিকান ডলারের বিপক্ষে এখান থেকে কিছুটা হলেও ফল করবে। অপরপক্ষে , যদি লেবার মার্কেট নিউজ খারাপ আসে এবং ট্যারিফ ইস্যু নিয়ে ঝামেলা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে আমেরিকান ডলার এখান থেকে আরো ডাউন হবে।