-
1 Attachment(s)
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আতঙ্ক কাটিয়ে তেলের বাজার প্রায় আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। যেখানে এপ্রিল মাসে তেলের মূল্য সর্বনিম্ন -0.04 ডলারে নেমেছিলো সেখান থেকে তেলের মূল্য একটা ভারসাম্যপূর্ন অবস্থায় অবস্থান করছে। বর্তমানে তেলের মূল্য 40 ডলারে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগেও কোভিড-১৯ পরবর্তী সর্বোচ্চ 43.47 ডলার স্পর্স করেছিলো। সকল ঝক্কি কাটিয়ে তেলের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। কোভিড-১৯ সংকট কাটিয়ে খুব শীঘ্রই আবারো আগের অবস্থানে ফিরবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে তেলের উৎপাদন কিছুটা ব্যহত হওয়ার কারনেও এর উপর প্রভাব ফেলছে। নির্বাচন শেষে আবারো আগের অবস্থানে ফিরবে বলে আশা করা যায়।
[ATTACH=CONFIG]12430[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল টানা চতুর্থ দিনের মতো জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটেছে। আবার লিবিয়ার উত্তোলন বৃদ্ধিও জ্বালানি তেলের বাজারে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারসে এদিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৩২ সেন্ট বা দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ ডলার ৩০ সেন্টে, যেখানে আগের দিন কমেছিল ৩১ সেন্ট। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২৬ সেন্ট বা দশমিক ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ ডলার ৫৭ সেন্টে, যা আগের দিন কমেছিল ৫ সেন্ট।
[ATTACH]12640[/ATTACH]
গত সোমবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ সংক্রমণ চার কোটি ছাড়িয়ে যায়। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্তের হার বাড়তে থাকায় ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় আবারো অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে। ফলে জ্বালানি তেলের বাজার আবারো নিম্নমুখী হওয়া শুরু করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারবিষয়ক তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ভান্দানা ইনসাইটের জ্বালানি বিশ্লেষক ভান্দানা হরি মনে করেন, জ্বালানি তেলের বাজার আবারো ক্রমান্বয়ে বিষণ্নতায় ঢেকে যাচ্ছে। কারণ জ্বালানি পণ্যটির চাহিদার চিত্র এরই মধ্যে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
-
2 Attachment(s)
হ্যালো ট্রেডার ভাইয়েরা,
গতকাল থেকে দামটি রেজিস্টেন্স জোনে পৌঁছেছিল তবে 41.50 এর লেভেলটি হিট করতে ব্যর্থ হয়েছিল। অতএব, আমি ধরে নিয়েছি যে এই পেয়ারটি আজ 36 এর অঞ্চলে নেমে যাবে। ক্রড ওয়েল বেশ দীর্ঘ সময় ধরে ফ্ল্যাট ছিল। সুতরাং, কেন এইভাবে আরও বেশি দিন থাকবেন না। সাধারণভাবে, আমি আশা করি ক্রড ওয়েল এর মুভমেন্ট ডাউনসাইডের দিকে চলে যাবে। আমি বিশ্বাস করি না যে দামটি 41.50 এর লেভেলটি ভেঙে স্থির হতে পারে। এই লেভেলে বরং একটি শক্তিশালী রেজিস্টেন্স রয়েছে। তবে এগুলি কেবল আমার অনুমান, m30 চার্ট অনুসারে, বর্তমান ট্রেন্ডটি আপওয়াড রয়েছে। প্রাইস কোর্ট 39.50 লেভেল বা 37.85-37.75 এর ক্ষেত্র থেকে বিপরীত হতে পারে। ফলে দামটি 39 এর ঘরের মধ্যে ভেঙে গেলে আপনি লং পজিশনে ট্রেডখোলা শুরু করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে 38.80 এর নিকটতম সাপোর্ট লেভেলে রং পজিশনটি বিবেচনা করা উচিত। দাম যদি এর নীচে চলে যায়, তবে কেবাই ডিলগুলি আর প্রাসঙ্গিক হবে না এবং আপনার ছোট অবস্থানগুলি খোলার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। একটি সুন্দর ট্রেডিং দিনের প্রত্যাশায়!
[attach=config]12827[/attach][attach=config]12828[/attach]
-
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারকে টালমাটাল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে চাহিদায় রেকর্ড পতন জ্বালানি পণ্যটির দাম কমিয়ে দেয়। তবে বাজার বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী বছর করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে তাদের সেই আশা ফিকে হতে শুরু করেছে। শীত মৌসুমের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। প্রতিদিনই রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ফলে আগামী দিনগুলোয় বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনটা হলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার নতুন করে ধাক্কা খাবে। কমতে পারে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা ও দাম। এ সম্ভাবনা মাথায় রেখে গোল্ডম্যান স্যাকস ও সিটি গ্রুপের মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২১ সালের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সম্ভাব্য দামের প্রাক্কলন কমিয়ে এনেছে। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এসব প্রতিষ্ঠান বলছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা সুদূরপরাহত।চলতি বছরের জানুয়ারিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার ধাক্কা খেতে শুরু করে। ওই সময় চীন ছাড়িয়ে ইউরোপের দেশগুলোয় ছড়িয়ে পড়ছিল করোনা সংক্রমণ। পরে পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে তছনছ করে করোনার বিশ্বজুড়ে বিস্তার ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনা সংক্রমণকে মহামারী ঘোষণা করে। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনে চলে যায় একের পর এক দেশ। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। থমকে যায় যোগাযোগ ও পরিবহন খাত। স্থবির হয়ে পড়ে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কমতে শুরু করে। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদায় যে হারে পতন দেখা গেছে, তা ইতিহাসে কখনই ঘটেনি। বিশেষত দেশে দেশে যানবাহন বন্ধ থাকা ও কারখানাগুলোর কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসায় জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা হু হু করে কমতে শুরু করে। চাহিদা পতনের সাথে পাল্লা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও কমতে শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জ্বালানি পণ্যটির ব্যারেল শূন্য ডলারের নিচে নেমে যায়। অর্থাৎ পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালানি তেলের সাথে সাথে এর পরিবহন ব্যয়ও ক্রেতাদের পরিশোধ করেছে। জ্বালানি পণ্যটির ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
নজিরবিহীন এ পরিস্থিতিতেও আশার কথা শুনিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াতে পারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতি। বাড়তে পারে দাম। সেই অনুযায়ী পূর্বাভাসও দিয়েছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে বছরের শেষ ভাগে এসে বাস্তবতা বিবেচনায় সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করেছে পূর্বাভাসকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস এর আগে বলেছিল, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম দাঁড়াতে পারে ৫৯ ডলার ৪০ সেন্টে। আর প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) গড় দাম ৫৫ ডলার ৯০ সেন্ট প্রাক্কলন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দুই ধরনের জ্বালানি তেলের সম্ভাব্য গড় দামের পূর্বাভাস কমিয়ে এনেছে গোল্ডম্যান স্যাকস। প্রতিষ্ঠানটি এখন বলছে, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম দাঁড়াতে পারে ৫৫ ডলারে। আর ডব্লিউটিআইয়ের সম্ভাব্য গড় দাম দাঁড়াতে পারে ৫২ ডলার ৮০ সেন্টে।
একই পথে হেঁটেছে মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপও। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে বলেছিল, আগামী বছর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআইয়ের গড় দাম ৫৪ ডলার হতে পারে। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি এর গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার কমিয়ে ৪৯ ডলারে নামিয়ে এনেছে। সিটি গ্রুপের প্রতিবেদনে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দামের প্রাক্কলনও কমানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২১ সালে আন্তংর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির গড় দাম দাঁড়াতে পারে ৫৪ ডলারে। আগের প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি ব্রেন্ট ক্রুডের সম্ভাব্য গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৯ ডলার প্রাক্কলন করেছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/623532401.jpg[/IMG]
-
মঙ্গলবার সকালে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকে। তেল বাজারে এই ইতিবাচক বৃদ্ধি করোনভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে অন্য একটি ভ্যাকসিনের সফল পরীক্ষার খবরের কারণ হিসাবে ছিল, পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মহামারীর কারণে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে তেল উত্পাদন বৃদ্ধির সময় পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে ওপেকের সিদ্ধান্তের প্রত্যাশাও ছিলো। সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সংস্থা করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরবর্তী পর্যায়ে কাজ শেষ করেছে। পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে ড্রাগের কার্যকারিতা 94.5% এর চেয়ে বেশি। এটি আরও বেশি আশা জাগিয়ে তোলে যে কোভিড-১৯ মহামারীটি পূর্বের চিন্তার চেয়ে দ্রুত মোকাবেলা করা হবে।
লন্ডনে ট্রেডিং ফ্লোরে জানুয়ারির ডেলিভারির জন্য ব্রেন্ট ক্রুড তেলের জন্য ফিউচার চুক্তির দাম 0.84% বা $0.37 ডলার বেড়েছে, যা এটাকে ব্যারেল প্রতি $44.19 পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। সোমবারের ব্যবসায়িক দিনটিও ইতিবাচক ছিল: সেশন শেষে চুক্তিগুলি যথেষ্ট পরিমাণে 2.4% বা 1.04 ডলার বেড়েছে। সুতরাং, সমাপ্তির দাম ছিল ব্যারেল প্রতি $ 43.82। নিউইয়র্কের ইলেক্ট্রনিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে ডিসেম্বরে ডাব্লুটিআই লাইট অপরিশোধিত তেলের জন্য ফিউচার চুক্তির দাম 0.7% বা 0.29 ডলার বেড়েছে, যার ফলে ব্যারেল প্রতি 41.63 ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবারের ট্রেডিং সেশন 3% বা $1.21 বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে, যার ফলে প্রতি ব্যারেলের দাম 41.34 ডলারে দাঁড়িয়েছে। তেল বাজার ওপেকের কাছ থেকে ভাল সমর্থন নিয়েছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্ধারিত কালো সোনার উত্পাদন বৃদ্ধির সম্ভাব্য স্থগিতাদেশের বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার এই সংস্থার মনিটরিং কমিটির মন্ত্রীদের একটি বৈঠক বসেছে। স্মরণ করুন যে দেশগুলির মধ্যে চুক্তি অনুসারে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তেল উৎপাদনে প্রতিদিন ২ মিলিয়ন ব্যারেল পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল, তবে মহামারী ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে বলা যায় তেলের বাজারের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে বলে এই বৃদ্ধি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সোমবার ওপেকের কারিগরি কমিটির বৈঠকে মন্ত্রীদের প্রায় তিন থেকে ছয় মাস সময়কালের জন্য উত্পাদনশীল স্তরের বজায় রাখার সুপারিশ করা হয়। ধারণা করা হয় যে এই সময়ের মধ্যে কাঁচামালের বাজার স্থিতিশীল হতে সক্ষম হবে।এখন তেলের দাম বাড়ছে, যা টেকসই বিবেচনা করা যায় না। ভ্যাকসিনের খবর এর কারণে এখন দাম বাড়ছে। কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করেছেন যে ওষুধ ছয় মাসের আগে আর ব্যাপকভাবে পাওয়া যাবে না। এই ক্ষেত্রে, সফল পরীক্ষাগুলির প্রায়শই হাইপটি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অস্থায়ী ফ্যাক্টরের মতো দেখায়, যা শীঘ্রই বাজারগুলিতে প্রভাব ফেলবে। এবং তারপরে বিনিয়োগকারীরা আবার মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করবেন, এটি লক্ষ্য করা উচিত, কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে না। বিশ্বে করোনভাইরাস সংক্রমণের নতুন সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনই দ্রুত বাড়ছে, এর সাথে আরও কঠোর পদক্ষেপের ব্যবস্থা করা যা আরও অস্থিতিশীল।
ওপেক যদি উত্পাদন অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তবে এটি কমপক্ষে লিবিয়া থেকে কাঁচামাল সরবরাহের বৃদ্ধির ক্ষতিপূরণ দেবে, যা ইতিমধ্যে বাজারের অংশগ্রহণকারীদের মেজাজকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। স্মরণ করুন যে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশে উত্পাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এটি ইতিমধ্যে প্রতিদিন 1 মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে। তেলের কাঁচামালগুলির চাহিদা কম থাকা আজও সবচেয়ে তীব্র সমস্যা। যতক্ষণ না করোনভাইরাস মহামারী এ জাতীয় উল্লেখযোগ্য চাপ প্রয়োগ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত স্থিতিশীল হওয়া অত্যন্ত কঠিন। দ্বিতীয় তরঙ্গ এবং নতুন বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থার কারণে এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/323366385.jpg[/IMG]
-
সৌদি আরব থেকে রফতানি হওয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অন্যতম গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। এ দুই মিত্র দেশের মধ্যে প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি বাণিজ্য হয়। তবে করোনা মহামারীর মধ্যে সৌদি-মার্কিন জ্বালানি তেল বাণিজ্যে ভাটার টান দেখা গেছে। এ ধারাবাহিকতায় গত অক্টোবরে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। অক্টোবরে আগের সেই রেকর্ড ভেঙেছে। এ সময় সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি আরো কমে দৈনিক গড়ে এক লাখ ব্যারেলের নিচে নেমে এসেছে। ৩৫ বছরের মধ্যে কোনো মাসে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন এক লাখ ব্যারেলের কম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়নি। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে রাশিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের মূল্যযুদ্ধ চলছিল। ওই সময় দাম কম থাকায় মার্কিন ক্রেতারা সৌদি জ্বালানি তেল কেনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এর জের ধরে এপ্রিলে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছিল। করোনা মহামারীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কমালেও চীনে জ্বালানি তেলের রফতানি বাড়িয়েছে সৌদি আরব। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) সৌদি আরব থেকে চীনের বাজারে প্রতিদিন ১৬-১৭ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চীনে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বাজারে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতায় নেমেছে সৌদি আরব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/998255251.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের আগে উত্থান-পতনে জ্বালানি তেলের বাজার।
[ATTACH]13456[/ATTACH]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের দায়িত্ব নেয়ার আগের দিন উত্থান-পতনের মিশ্র প্রবণতায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কেনাবেচা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এক ব্যারেল অপরিশোধিত ইন্টারন্যাশনাল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট তেল বিক্রি হয়েছে ৫৫.০১ ডলারে। আগের দিনের সর্বশেষ দামের চেয়ে এই বাজার দর দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। তবে, এরপরও বাজারের তথ্য বলছে, এই তেলের দাম গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় প্রতি ব্যারেলে ২ ডলার করে কম।
আবার এদিন এক ব্যারেল আমেরিকান বেঞ্চমার্ক কেনাবেচা হয়েছে ৫২.৩২ ডলারে। অপরিশোধিত এই জ্বালানি তেলের দাম আবার আগের দিনের (সোমবার) তুলনায় দশমিক ১৯ শতাংশ কম।
২০২০ সালে করোনার দাপটের মধ্যেও যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপকহারে কমতে থাকলেও ২য় শীর্ষ তেল শোধনকারী দেশ চীনে এর চাহিদা ঠিকই তুঙ্গেই ছিল।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মহামারিকালেও ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ৩ শতাংশ বেশি জ্বালানি তেল শোধন করেছে। চীনের এই চাহিদাই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তবে, দুশ্চিন্তায় ফেলেছে করোনার ২য় ধাপের সংক্রমণ। এরই মধ্যে এটি রোধে চীনের ৩টি প্রদেশের অন্তত ১১টি অঞ্চল লকডাউনে গেছে। সোমবারের (১৮ জানুয়ারি) লকডাউনের হিসাবে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস তাদের রাতের কারফিউ চলমান রাখছে আর জার্মানি এ ব্যাপারে কতটা কঠোর হবে তা নির্ভর করছে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে সে দেশের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার আয়োজিত বৈঠকে গৃহিত সিদ্ধান্তের ওপর।
এদিকে, ডেনমার্কের স্যাক্সো ব্যাংকের পূর্বাভাসের পরিষ্কার কিছু বলা না হলেও সোমবার ব্যাংকটি জানিয়েছে, করোনার এই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
-
বিশ্বব্যাপী জ্বালানী ব্যয় আগের মাসে বৃহত্তর অংশে কমেছে। সম্প্রতি, সৌদি আরব এবং রাশিয়ায় তেলের দাম কপোতিত। করোনার সংক্রমণের (কোভিড -১৯) মহামারীর কারণে এই ফোরটির আগ্রহ পুরোপুরি বিকশিত হয়েছে। কাঁচা পেট্রোলিয়ামের দাম ব্যারেল প্রতি 22.56 ডলারে নেমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (৩০ মার্চ) বৈঠক করেছেন। রাশিয়ান সরকার অনুসারে, ট্রাম্প এবং পুতিনের তেলের ব্যয় নিয়ে দীর্ঘ টেলিফোনে আলোচনা হয়েছিল।
-
1 Attachment(s)
ওপেক গ্রুপের অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হিসাবে শুক্রবার তেলের দামগুলি তাত্পর্যপূর্ণভাব বেড়ে গেছে ৬৯.১৪ মার্কিন ডলার। এছাড়াও, একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে মার্কিন অর্থনীতি ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরে বাজারটি আরও বাড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দিক নন-ফারম বেতনভিত্তিক প্রতিবেদনটি ইতিবাচক লক্ষণ দেখায় যে আমেরিকানরা মহামারীবহুল আচরণের নিকটে রয়েছে এবং এটি ক্রুড অয়েলের জোরালো চাহিদা বাড়িয়ে তুলবে। তেলের দাম পুনরুদ্ধার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেল ডিলারদের ভালভাবে ফিরে আসতে উত্সাহিত করেছিল। শক্তি পরিষেবা সংস্থা বাকের হিউজেস কো-এর মতে, ছয় মাস সরাসরি বেড়ে যাওয়ার পরে গত সপ্তাহে তেলের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
[ATTACH=CONFIG]13850[/ATTACH]
-
গোল্ডম্যান স্যাকস এবং ব্যাংক অব আমেরিকা সম্প্রতি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে শীতকালে তেলের দাম 100 ডলারে পৌঁছাবে। তারা বলেছিল যে এর মধ্যে চাহিদা বাড়তে হবে, যা সর্বনিম্ন মূল্যকে $ 85 লেভেলে নিয়ে যাবে। মূল্যায়নটি গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছিল, যখন গোল্ডম্যান স্যাকস ২০২১-এর শেষ প্রান্তিকে তার পূর্বাভাস প্রকাশ করেছিল। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, তারা বলেছিল যে তেলের দাম হবে প্রতি ব্যারেল প্রায় $০ ডলার, কারণ স্বাভাবিক গ্যাসের ঘাটতি এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শীত। ইউরোপ এবং এশিয়ায়, চতুর্থ-চতুর্থাংশের মূল্য পূর্বাভাস থেকে দাম $ 5 / বিবিএল বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিনিয়োগ ব্যাংক উল্লেখ করেছে যে এই শীতে সীমিত সরবরাহ তেলের বাজারের জন্য একটি স্পষ্ট এবং সম্ভাব্য উল্লেখযোগ্য বুলিশ অনুঘটক তৈরি করবে, যা অন্য একটি সম্ভাব্য কোভিড -১৯ তরঙ্গের কারণে বৈশ্বিক তেলের চাহিদা হ্রাসের ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে যাবে। তারপর, পরবর্তী ছয় মাসে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল $100 হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংক অফ আমেরিকার বৈশ্বিক গবেষণা দল। তবে এটি কেবল তখনই ঘটবে যদি আসন্ন শীত প্রকৃতপক্ষে স্বাভাবিকের চেয়ে শীতল হয়ে যায়। ব্যাংক বিশ্লেষকরা বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকা হবে আবহাওয়া। এর আগে, তেলের দাম প্রায় তিন বছরের উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং বিশ্ববাজারে উৎপাদনে বাধা থাকায় জ্বালানির সংস্থাগুলিকে মজুদ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল উত্তোলন করতে বাধ্য করেছিলো।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/846920989.jpg[/IMG]