-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]6727[/ATTACH]
একটি খুশির খবর হল চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে চলা তিক্ত ‘ট্রেড ওয়ার’ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। গত শনিবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে দেশ দুটির প্রেসিডেন্টের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের মিটিংয়ের পর এই সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। যদিও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি-২০ সম্মেলনে যাওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা আমদানি পণ্যে শুল্কের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার বুয়েন্স আয়ার্সের বৈঠকের পর ওই পদক্ষেপ ‘এখনি কার্যকর করা হচ্ছে না’ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। দু্ই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ’ কৃষি, জ্বালানি, শিল্পপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও ভাষ্য তাদের। “দ্রুতই চীন আমাদের কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি পণ্য কিনবে,” বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়। বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি স্থানান্তর, মেধাসত্ত্ব আইনের সংরক্ষণ, শুল্কমুক্ত বাধা, সাইবার অনুপ্রবেশ ও চুরি, কৃষি এবং চাকরিখাতের অবকাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরুর ক্ষেত্রেও দুই নেতা সম্মত হয়েছেন। এ ‘লেনদেন’ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে, নাহলে চীনা পণ্যের ১০ শতাংশ শুল্ক ২৫ শতাংশেই উন্নীত হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
-
বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী ২০টি শিল্পোন্নত দেশকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত জি২০’র এবারের জি২০ সম্মেলনটি কেন্দ্র করে তিন মাসের জন্য বানিজ্য যুদ্ধ স্থগিত করেছে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে এর একটি স্থায়ী সমাধানে পৌছাতে একমত হয়েছে। ডব্লিউটিওর বিষয়ে প্রথমবারের মতো আলোচনায় সম্মত হয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের আগের হুমকিগুলো বিবেচনায় নিলে জি২০ সম্মেলনে ডব্লিউটিও সংস্কারের ব্যাপারে ঐকমত্যের মতো বিষয়টি সত্যিই বেশ মজার।
-
বাণিজ্যযুদ্ধ ৩ মাসের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে চীন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে মার্কিন গাড়ি আমদানিতে ট্যারিফ কমানো এবং মেধাসম্পদ চুরি ও বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি স্থানান্তর বন্ধের মতো প্রতিশ্রুতির অতি শীগ্রই বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটি। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিলেও চীন এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ চীনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা সফরের কারণে দেশের বাইরে থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ দুই দেশের বিবাদ ঘুচবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাবে মঙ্গলবার এশিয়ার বেশির ভাগ শেয়ারবাজারে পতন দেখা যাচ্ছে।
-
দুই পক্ষের বাণিজ্য বিবাদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে গত সপ্তাহে একমত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির সম্পর্কে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চীন খুব দ্রুত তাদের থেকে পণ্য কেনা শুরু করবে, কিন্তু বেইজিং এখনো এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ছাড়িয়ে নভেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। যদিও এ সময় চীনের আমদানি ও রফতানি দুটিতেই শ্লথগতি ছিল। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্যে এ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাসের বিষয়টিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি হারে আরো পতন ঠেকাতে চীনা কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে
-
সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মিটিংয়ে ৯০ দিন পর্যন্ত শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে একমত হবার পর চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে চীন। গত মে মাসে ওয়াশিংটনে আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হুমকি বন্ধে একমত হয়। চীন সে সময় বিদেশী গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্টের মন্ত্রিসভা বিষয়টি পর্যালোচনা করবে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা এ সময় মার্কিন গাড়ির ওপর শুল্ক কমানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছে।
-
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। জি২০-এর বুয়েন্স আয়ার্স সম্মেলনে ৯০ দিনের জন্য একে অন্যের পণ্যে শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছিল উভয় পক্ষ। গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জবাবে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। দেশটি বলছে, গত ডিসেম্বরে পৌঁছানো ‘গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা’ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত তারা। কয়েক মাস ধরে তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধের পর উভয় পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
-
চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে কমতে শুরু করেছে নামীদামী ব্র্যান্ডের বিক্রি আর আয়। বিক্রি কমে গেছে আইফোনের। যা কমিয়ে দিয়েছে অ্যাপলের আয়। আয় কমার তালিকায় আছে বিশ্বখ্যাত চেইনশপ স্টারবাকস, কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠান ফেডএক্স, জার্মান গাড়ি নির্মাতা মার্সিডিজ বেঞ্জ আর বিএমডব্লিউও। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতে কর্মতত্পরতা দুই বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। নতুন করে ক্রয়াদেশ ও কারখানাগুলোয় কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়ায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে চীন ও ইউরোপের ধীর প্রবৃদ্ধির মতো যুক্তরাষ্ট্রও একই দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদিকে উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে আগামী সপ্তাহে বেইজিংয়ে এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
-
দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে সম্প্রতি বছরে তারা লিপ্ত হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধে। বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত বছর উভয় দেশ একে অপরের পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারে শুল্ক আরোপ করে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ও উভয় দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে এই বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানের জন্য এবার আলোচনায় বসছে দেশ দুটি। সোমবারে চীনের রাজধানী বেইজিং এ বাণিজ্য যুদ্ধের সমঝোতার জন্য দেশ দুটি ৯০ দিনের জন্য একে অপররের শুল্ক আরোপ করবে না এমন চুক্তির পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দিনের আলোচনায় বসতে যাচ্ছে।
-
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ওয়ার যদি আরেকটু বৃদ্ধি পায় তাহলে এটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তীব্র মন্দা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং কঠোর আর্থিক পরিস্থিতি সিংহভাগ দেশের অর্থনীতির কার্যক্রমকে আক্রান্ত করছে। চলতি মাসে পাঁচশর বেশি অর্থনীতিবিদকে নিয়ে রয়টার্সের সর্বশেষ মতামত জরিপে ৪৬টি অর্থনীতির মধ্যে ৩৩টির চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস হ্রাস করা হয়েছে এবং ১০টি অর্থনীতির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কেবল তিনটি ছোট অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া সিংহভাগ অর্থনীতির চলতি বছরের মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসও কমিয়ে লোয়ার লো এবং লোয়ার হাইয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে গত বছর প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে চীন। এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সর্বশেষ মন্থরতার আভাসে গত ছয় মাসে ড্রাই-বাল্ক ও কনটেইনার জাহাজের পরিবহন ভাড়ায় উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।
-
অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে চলতি বছরও পতনের মুখে পড়তে পারে চীনের ভোক্তা প্রবৃদ্ধি। আর এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধে থাকা দেশটির অর্থনৈতিক ঝুঁকি আরো বাড়তে যাচ্ছে। ভোক্তা প্রবৃদ্ধির পতনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ব্যবসা ও বিনিয়োগে বাণিজ্য বিরোধের প্রভাব ঠেকাতে এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক শ্লথগতি ঠেকাতে দেশটির বিশাল ভোক্তাশ্রেণীর ওপরও নির্ভর করছে কর্তৃপক্ষ