-
ফের টানা দরপতনে দেশের শেয়ারবাজার। সেই সঙ্গে কমছে লেনদেনের গতি। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। এমন টানা দরপতনের সঙ্গে উভয় বাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন কমে সাড়ে চারশ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। এতে বাজারটিতে নয় কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটলো।
সূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে গত কয়েক কার্যদিবসের মতো তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ে। ক্রেতা সংকটে পড়ে নতুন করে আরও ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) চলে এসেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে। অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ার দিনে ডিএসইতে মাত্র ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৮টির এবং ১৮৩টির দাম অপরিবর্তিত। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ কমেছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেনি, গত ৩০ মার্চের পর বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন খরার বাজারে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, জেমিনি সি ফুড, জেনেক্স ইনফোসিস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, এডিএন টেলিকম, বিচ হ্যাচারি এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1235691403.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৬টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/812758492.jpg[/IMG]
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ভালো গতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে এ বাজারটিতে লেনদেনে ধীরগতি রয়েছে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম ঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত রয়েছে।
-
দেড় মাস পর ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে টাকার অঙ্কে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা পার করেছে। মঙ্গলবার এ বাজারে লেনদেন হওয়া শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৭১৩ কোটি টাকা। এর আগে গত ৬ মার্চ ৭২৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। যদিও এরপর ধারাবাহিকভাবে কমে গত ২৮ মার্চ ২৭২ কোটি টাকায় নামে। অপেক্ষাকৃত ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারে মার্জিন ঋণ পাওয়ার নীতি শিথিল করার কারণে লেনদেন বাড়তে পারে শেয়ারবাজারসংশ্লি ্টদের কেউ কেউ মনে করছেন। আইডিএলসি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন সমকালকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাজার মন্দার মধ্যে চলছিল। এর মধ্যে ইতিবাচক কিছু পেলে তা আঁকড়ে ধরে নতুন করে স্বপ্ন দেখেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো শেয়ারে মার্জিন ঋণ নীতিমালা শিথিল করার ইস্যুটি হয়তো তেমনই কিছু। অবশ্য বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের খুব ভালো শেয়ার হিসেবে বিবেচিত, তার সবই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। এগুলোর মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০-এর অনেক নিচে। যেমন– স্কয়ার ফার্মার পিই রেশিও মাত্র পৌনে ৯। ৫০ পিই রেশিও পর্যন্ত মার্জিন ঋণ পাওয়া যাবে– এ নীতি এসব শেয়ারের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেনি। গতকালও এসব শেয়ারের সামান্য লেনদেন হয়েছে। নতুন নীতির কারণে ঋণ সুবিধা মিলবে বিএসআরএম লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, আমান কটন ফাইব্রস ও আমান ফিডের শেয়ারে। কিন্তু যেগুলোর পিই রেশিওই নেই, সেগুলোর দর বাড়ছে।
গতকাল ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে প্রথম চারটিরই কোনো পিই রেশিও নেই, কারণ এগুলো সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসানের তথ্য দিয়েছে। শেয়ার চারটি হলো– হেইডেলবার্গ সিমেন্ট, এমারেল্ড অয়েল, আরামিট সিমেন্ট ও বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। অথচ এ চার শেয়ারের দর পৌনে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সার্বিক হিসাবে গতকাল ৩৪২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ২০৬টির দর।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৬৩ পয়েন্টে উঠেছে। সূচকের এ অবস্থান গত ১৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। একক কোম্পানি হিসেবে গতকালও লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইউনিক হোটেলের শেয়ার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/487900520.jpg[/IMG]
-
বিত্র ঈদুল ফিতর পরবর্তী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (২৭ এপ্রিল) পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান হলো। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। আজ ডিএসইর লেনদেন সাড়ে ৯শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবারও পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৬২ ও ২২০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২০২ কোটি টাকা বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1945798426.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ মে) পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৬৭ ও ২২০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৮৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৫৮ কোটি টাকা বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৬৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৩৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টি কোম্পানির, কমেছে ৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- অলিম্পিক, ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনিক হোটেল, সী পার্ল, লাফার্জহোলসিম, নাভানা ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, জেনেক্স, আমরা নেটওয়ার্কস ও এপেক্স ফুট।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/886835947.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই মঙ্গলবার ২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৪৭২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। মঙ্গলবার সিএসইতে ৭ কোটি ৯৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৯ মে) পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৩৬৯ ও ২২০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে ৮৩১ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭২ কোটি টাকা বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির, কমেছে ৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো— লাফার্জহোলসিম, ইন্ট্রাকো, অগ্নি সিস্টেম, এপেক্স ফুটস, জেমেনী সী ফুড, বিএসসি, আইটি কনসালটেন্ট, বিডিকম, বিচ হ্যাচারি ও সী পার্ল।[ATTACH=CONFIG]19416[/ATTACH]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫০৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির কোম্পানির শেয়ার দর।
মঙ্গলবার সিএসইতে ১৬ কোটি ৪১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
সপ্তাহের শুরুর দিন আজ রোববার লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তিনটি সূচকই নিম্নমুখী। ডিএসইএক্স সূচকের পতন হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট, ডিএসইএস সূচকের পতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট আর ডিএস ৩০ সূচকের পতন হয়েছে ৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বেশ কিছু শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সেগুলোর দাম কমে যাওয়ার কারণে বাজারে সামগ্রিকভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যে দেখা গেছে, আজ সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে সি পার্লের। লেনদেনের শুরুতে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ২১২ টাকা। বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে এই শেয়ারের দাম ছিল ১৯২ টাকা। দাম কমেছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। অথচ সম্প্রতি এই কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। [ATTACH=CONFIG]19421[/ATTACH]
সেই সঙ্গে দাম কমেছে জেমিনি সি ফুডের। লেনদেনের শুরুতে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৮৮২ টাকা। বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে এই শেয়ারের দাম ছিল ৮৪৫ টাকা। দাম কমেছে ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। এই দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণে অনেক বিনিয়োগকারী এই দুটি শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু আজ সে দুটির দাম কমে যাওয়ার কারণে অনেকে শেয়ার বিক্রি করতে পারেননি, যার প্রভাব সামগ্রিকভাবে বাজারের ওপর পড়েছে।
আজ দিনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৪৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বা বিএসসি। এদিকে দাম কমলেও লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে জেমিনি সি ফুড।
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৫ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭১ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৭১ ও ২১৮৯ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৩৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সোমবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৭টি কোম্পানির শেয়ার।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- জেমেনী সী ফুড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, বিএসসি, এপেক্স ফুডস, অগ্নি সিস্টেম, সী পার্ল, পেপার প্রোসেসিং, রূপালি লাইফ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও ইউনিক হোটেল।
এর আগে সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ১ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ের মধ্যে ২৭টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/218939329.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৪ মে) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়ে গেছে ২০০ কোটি টাকার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/557451897.jpg[/IMG]
-
বিমার শেয়ারেই ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন। বিমা খাতের শেয়ারের বিক্রির চাপে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (২৯ মে) দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি এদিন দাম বাড়ার চেয়ে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। তবে যথারীতি এদিনও প্রায় ২০০ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। ফলে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। সূচক পতনের দিনে ডিএসইতে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগের দিন রোববার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের। এদিন পৌনে ১২শ কোটি টাকার মধ্যে বিমা খাতের ৫৭টি শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ২৯৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
ডিএসইর তথ্যমতে, সোমবার দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে ৩৮০ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৭ শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1461316492.jpg[/IMG]
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই ৩০ সূচক ১ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ার। পরের তালিকায় রয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। এছাড়া শীর্ষ ১০-এ ছিল যথাক্রমে- সি পার্ল হোটেল অ্যান্ড স্পা, ইউনিকি হোটেল, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা ফার্মা, আমরা টেকনোলজিস এবং সানলাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ২২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৭টির দাম।
দিন শেষে সিএসইতে ১২ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৮৫১ টাকার।