-
1 Attachment(s)
আজ রবিবার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। কমেছে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৩০ কোটি ৫৪ লাখ ১৩ হাজার টাকার। যা গত কার্যদিবস থেকে ৩৩ কোটি টাকা কম। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৬৩ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। আজ ডিএসইতে ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১ শতাংশ বা ৭৩টির, কমেছে ৬৯ শতাংশ বা ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০ শতাংশ বা ৩৫টির। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৪১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
[ATTACH=CONFIG]7476[/ATTACH]
-
2 Attachment(s)
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায় যে, চলতি বছরের ১লা জা্নুয়ারী দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধন মূল্যসূচক ছিল ৬২৫৪ পয়েন্ট। ছয় মাসের ব্যবধানে ২৮ জুন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪০৫ পয়েন্টে। এ সময়ে সূচকের পতন হয়েছে ৮৪৯ পয়েন্ট। আলোচ্য সময়ে অব্যাহত মন্দার কবলে পড়ে শেয়ারবাজারের সিংহভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। এর মধ্যে ৮ কোম্পানির শেয়ারদরে বড় হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। এদিকে, টানা দরপতনের মধ্যেও তালিকাভূক্ত দুর্বল মৌলের অনেক কোম্পানির শেয়ার দরে বড় উল্লম্ফন হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ কোম্পানির শেয়ারদর শতভাগের বেশি বেড়েছে। [ATTACH]7550[/ATTACH]
দর বিপর্যয়ের ৮ কোম্পানি : প্রাপ্ত তথ্যমতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ৩৪৩টি কোম্পানির মধ্যে (৩৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ) যে ৮ কোম্পানির শেয়ারদর শতভাগের বেশি কমেছে, সেগুলোর মধ্যে জেমিনি সী ফুডের দর কমেছে ৩৪০ শতাংশ, বিবিএস কেবলসের ১২০ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ১১৩ শতাংশ, ফরচুন সুজের ১১০ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ১০৮ শতাংশ, নর্দার্ন জুটের ১০৭ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কের ১০৫ শতাংশ এবং বিবিএসের ১০৪ শতাংশ। এছাড়া, লভ্যাংশ কমে যাওয়া এবং মুনাফা কমে যাওয়ায় ব্যাংক ও লিজিং খাতের অনেক কোম্পানির শেয়ার দরেও ব্যাপক পতন হয়েছে।
[ATTACH]7551[/ATTACH]
-
নতুন বছরের ফেব্রুয়ারী মাস বিনিয়োগকারীদের হতাশ করছে। ফলে টানা দরপতনের কারনে বাজার মাঝে ঘুরে দাঁড়ালোও এর স্থায়িত্ব ছিল না। ফের সেই হতাশার বিরাজ আজও চলছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে আশা-নিরাশার দোলাচলে কেটেছে বিনিয়োগকারীদের। তার পরও বিনিয়োগকারীরা আশায় বুক বেঁধেছেন।কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আশা দিন দিন নিরাশ করছে। পুঁজিবাজারে একটি সিন্ডিকেট চক্র বাজারকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে। এ অস্থিতিশীলতার নেপেথ্যে কারসাচি চক্র জড়িত। তাই একটি স্থিতিশীল বাজার প্রতিষ্ঠা এখন সর্বস্তরের মানুষের কাম্য। যা বর্তমানে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া পুঁজিবাজারে দরপতন থামছে না। ভালো খবরেও সাড়া দিচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা।
একটি সূত্র জানায়, বিশেষ একটি গোষ্ঠী বিশেষ উদ্দেশ্যে শেয়ারবাজারের দরপতনকে উস্কে দিচ্ছে। ওই গোষ্ঠীটি বড় বড় ব্রোকারেজ হাউজে গিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সামনে আরও বড় পতন হবে বলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছেড়ে দিতে প্রলুব্দ করছেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অজানা আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। সূত্রটি জানায়, এ গুজবের সাথে কয়েকটি কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহীরাও জড়িত। এছাড়া সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখনই তদন্ত করা উচিত। ২০১৯ সালের শুরুতে বাজার চাঙ্গাভাব শুরু হলেও ১ মাসের মাথায় টানা দরপতন শুরু হয়। দরপতনের নেপেথ্যে মুন্নু সিরামিক ও মুন্নু স্ট্যাফলার্স কারসাজি চক্র জড়িত বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়। এ চক্রটি দরপতন বাজারকে উস্কে দেয়। ফলে এক মাসের মাথায় শেয়ার দর ১০০ শতাংশ কমেছে।
ফলে মুন্ন সিরামিকস ও মুন্নু স্ট্যাফলার্স টানা দরপতন হয়। মুন্নু সিরামিকস ও মুন্নু স্টার্ফলাসের এ দরপতনে কোম্পানির পরিচালক থেকে শুরু করে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জড়িত। বাজারে গুজব রয়েছে মুন্নু সিরামিক ও মুন্নু স্ট্যাফলার্স বড় দরবৃদ্ধির কারিশমা রয়েছে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হাতে। এছাড়া এ কারসাজিতে মিজানুর রহমান জড়িত বলে সুত্রে জানা গেছে।গত ১৩ মার্চ মুন্নু সিরামিকের মুনাফায় উল্লম্ফন ও শেয়ার দরে অস্বাভাবিক উত্থান-পতনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে কৃত্রিমভাবে মুনাফা ও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এর মূল উদ্দেশ্য কোম্পানির একটি করপোরেট পরিচালকের শেয়ার বিক্রি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিরুদ্ধে মুন্নুর মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের বক্তব্য, কোম্পানির দেওয়া তথ্য কোনো যাচাইবাছাই না করে, অস্বাভাবিক মুনাফার বিষয়ে কোম্পানির কাছে কোনো ব্যাখ্যা না চেয়ে ওই তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ডিএসই।উল্লেখ, গত ৩০ জানুয়ারি মুন্নু সিরামিক লিমিটেড তাদের সর্বশেষ অর্ধবার্ষিক (জুলাই’১৮-ডিসেম্বর’১৮) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে কোম্পানির মূল ব্যবসা (ক্রোকারিজ পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি) থেকে মুনাফা দেখানো হয় ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কারখানার পরিত্যক্ত বিভিন্ন জিনিস বিক্রি থেকে আয় দেখানো হয় ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে অন্যান্য খাতে আয় ছিল ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এই খাতে আগের বছরের চেয়ে ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা প্রায় ৭০০ শতাংশ বেশি আয় দেখানো হয়। সব মিলিয়ে বছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মুন্নু সিরামিকের ইপিএস দাঁড়ায় ৮ টাকা ১৩ পয়সা ও আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা। মুন্নু সিরামিকের মুনাফার এই কৃত্রিম উল্লম্ফনে বাজারে শেয়ারের দামও তরতর করে বাড়তে থাকে। অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগের কর্মদিবস তথা ২৭ জানুয়ারি বাজারে মুন্নুর শেয়ারের দাম ছিল ২৪৯ টাকা ২০ পয়সা। গত ৪ মার্চ কোম্পানির করপোরেট পরিচালক মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের শেয়ার বিক্রির ঘোষণার আগের দিন পর্যন্ত তা বেড়ে ৪৪১ টাকা ৩০ পয়সা হয়। ঐ সময়ে এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম বাড়ে ৭৭ শতাংশ। উল্লেখ, গত ৪ জানুয়ারি মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ৭ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। এর বড় অংশই ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাড়তি দামে পরিচালকের শেয়ার বিক্রি করার উদ্দেশ্য থেকেই কোম্পানিটি পরিত্যাক্ত বা ওয়েস্টেজ জিনিস বিক্রির নামে বাড়তি আয় দেখিয়ে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের মূল্য বাড়িয়ে ছিলেন। এদিকে কোম্পানির একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনে মুন্নু সিরামিকের শেয়ারের পতনের পেছনে কোম্পানিটিতে অন্তকলহ প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে। এক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকায় রয়েছে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অর্থ পরিচালকের দ্বন্ধ। এই দ্বন্ধে এরইমধ্যে অর্থ পরিচালক মুন্নু সিরামিক থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের গুজ্জন ছিল। অন্যদিকে, কোম্পানিটির বড় শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষেরও দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। এ কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দরে বড় পতন দেখা দিয়েছিল।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের তথাকথিত কিছু বড় বিনিয়োগকারী যোগসাজস করে কোম্পানি দুটির শেয়ার দরে বড় বিপর্য়য় ঘটিয়েছে। বাজারকে অস্থির করার পেছনেও এসব বিনিয়োগকারীর হাত রয়েছে বলে তারা মনে করেন। বাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এসব অশুভ কারসাজি চক্রকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিশ্চিুক এক সিকিউরিটিজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পুঁজিবাজার অস্থিরতার নেপেথ্যে মুন্নু সিরামিক ও মুন্নু স্টার্ফলার দায়ী। কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা ও এক কারসাজি চক্র বেশি দর শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন। বাজারে মুন্নু গ্রুপের বড় অঙ্কের টাকায় শেয়ার বিক্রির ফলে দরপতন তরান্বিত হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, গত যা ৩ মার্চ তারিখে মুন্নু সিরামিকসের দর ছিল ৪৪১ টাকায়। এসময় বাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে কোম্পানির পরিচালক ও কারসাজি চক্রের মুল হোতা মিজানুর রহমান শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। শেয়ার বিক্রির ফলে দরপতন আরো তরান্বিত হয়।
ফলে টানা দর কমতে কমতে গত বৃহস্পতিবার ২১৭ টাকায় নামলেও দিন শেষে ২৪৫ টাকায় লেনদেন হয়।
এদিকে ঐ চক্রটি আবার নতুন করে মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে শুরু করছেন বলে সুত্রটি জানায়। তারা নেতিবাচক ইপিএসের গুজব ছড়িয়ে নতুন করে শেয়ার কেনায় ধান্ধায় মগ্ন হচ্ছেন।
-
সংকটে ৩১ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা!
বিগত বছরগুলোর বাজার পতন, কোম্পানির ব্যবসায়িক দুরাবস্থা, ডিভিডেন্ড না দেওয়া, উৎপাদন বন্ধ থাকা ইত্যাদি কারণে তালিকাভুক্ত ৩১ কোম্পানির শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে নেমে এসেছে। এতে কোম্পানির পাশাপাশি বিপত্তিতে রয়েছেন সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা। যারা ফেসভ্যালু বা তার বেশি দিয়ে শেয়ার কিনেছেন তাদের পোর্টফোলিও’ ব্যালেন্স অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন তাদের অবস্থাতো আরো করুণ। তবে সামগ্রিক পুঁজিবাজার গতিশীল হলে এসব কোম্পানির শেয়ার দর আবার বাড়তে শুরু করবে। এতে সংকটে থাকা বিনিয়োগকারীরা নিজেদের পুঁজি উদ্ধার করতে পারবেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে টেক্সটাইল ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো। টেক্সটাইল খাতের ১৩ কোম্পানি এবং আর্থিক খাতের ৮ কোম্পানির শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে। ব্যাংক খাতের দুই কোম্পানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ৪ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর ৮.৯০ টাকা। ক্রমাগত লোকসানে থাকায় আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং মাত্রাতিরিক্ত বোনাস শেয়ার দেওয়ার ফলে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে।
প্রকৌশল খাতের দুই কোম্পানি অ্যাপোলো ইষ্পাতের শেয়ার দর ৬.৮০ টাকা এবং গোল্ডেন সনের শেয়ার দর ৯.৪০ টাকা। এ দুই কোম্পানির মধ্যে অ্যাপোলো ইষ্পাত লোকসানে জড়িয়ে পড়া এবং গোল্ডেন সনের লোকসানের পাশাপাশি ডিভিডেন্ড না দেয়ার কারণে হতাশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
ফেসভ্যালুর নিচে থাকা আর্থিক খাতের ৮ কোম্পানির মধ্যে বিআইএফসি’র শেয়ার দর ৫.১০ টাকা, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ৫.৬০ টাকা, এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ৮ টাকা, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ৫.৩০ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৯.৪০ টাকা, পিপলস লিজিং ৪.৫০ টাকা, প্রিমিয়ার লিজিং ৭.৮০ টাকা এবং প্রাইম ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ৯ টাকা। দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ফিন্যান্স কোম্পানি সংকটের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত বোনাস শেয়ার ও নো ডিভিডেন্ড ঘোষণায় উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর তলানিতে পড়ে আছে।
এদিকে মুনাফা থাকা সত্ত্বেও নো ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জিবিবি পাওয়ারের শেয়ার দর ৯.৫০ টাকা। বিবিধ খাতের ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার দর ৮.৫০ টাকা। ওষুধ ও রসায়ন খাতের দুই কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ার দর ৬ টাকা এবং কেয়া কসমেটিকসের শেয়ার দর ৪.৭০ টাকা।
টেক্সটাইল খাতের ১৩ কোম্পানির শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে। এর মধ্যে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং ের শেয়ার দর ৮.৯০ টাকা, সিএনএ টেক্সটাইল ৩ টাকা, ঢাকা ডাইং ৪.৫০ টাকা, ডেল্টা স্পিনার্স ৬.১০ টাকা, ফ্যামিলিটেক্স বিডি ৩.৯০ টাকা, জেনারেশন নেক্সট ৫.৭০ টাকা, ম্যাকসন স্পিনিং ৬.৫০ টাকা, মেট্রো স্পিনিং ৭ টাকা, আরএন স্পিনিং ৫.৬০ টাকা, তাল্লু স্পিনিং ৫.৫০ টাকা, তুংহাই নিটিং ৩.৯০ টাকা, জাহিন স্পিনিং ৮.৮০ টাকা এবং জাহিনটেক্স এর শেয়ার দর ৮.৩০ টাকা। উৎপাদনে না থাকা, লোকসানে জড়িয়ে পড়া, কৌশলে কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তন করার কারণে টেক্সটাইল খাতের উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর করুণ অবস্থা চলছে।
এদিকে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের দুই কোম্পানি বিডি সার্ভিসের শেয়ার দর ৫.২০ টাকা এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের শেয়ার দর ২.৮০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
-
শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ হিসাব করার ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হবে। বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ, যা দৈনন্দিন লেনদেনে প্রভাব ফেলে না তা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে এমন নীতিগত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে আইসিবিতে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একক গ্রাহকের ঋণসীমার শর্ত শিথিলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে গতকাল দুপুরে বৈঠকটি বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির এমডি কাজী ছানাউল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী ও এসকে সুর চৌধুরী, ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরও দু'জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গভর্নর ও বিএসইসির চেয়ারম্যানের আলোচনার সূত্র ধরে বৈঠকে বলা হয়, শেয়ারবাজার পরিস্থিতি কোনোভাবে এমন পর্যায়ে যেতে দেওয়া যাবে না যাতে সরকার আরও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। এজন্য নিজ নিজ সংস্থার অবস্থান থেকে নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।
শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন নিয়ে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের মধ্যে সম্প্রতি বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার বিএসইসি আইপিও প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্টধারীদে শেয়ারের লক ইন (বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা) সীমা লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ফিক্সড প্রাইস ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতি, প্লেসমেন্ট, আইপিও পরবর্তী সময়ে বোনাস শেয়ার ইস্যু, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধনে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত ৯০০ কোটি টাকা তহবিলের মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধি এবং তহবিলটি ঘূর্ণায়মান তথা অর্থ ফেরত আসার পর আবার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে আরও আলোচনা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত ৯০০ কোটি টাকার ঘূর্ণায়মান তহবিলের অব্যবহূত অর্থ এখন থেকে সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া আইসিবিতে ব্যাংকগুলোর একক গ্রাহকের ঋণসীমার শর্ত আপাতত শিথিল করা হবে। কেননা বর্তমানে আইসিবিতে সোনালীসহ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকের যে পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে তা একক গ্রাহকের ঋণসীমার তুলনায় বেশি। একক গ্রাহকের ঋণসীমার নিয়মের কথা বলে কোনো কোনো ব্যাংক আইসিবির কাছ থেকে টাকা চাইছে। এ পরিস্থিতিতে ঋণসীমার শর্ত শিথিলের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাজারে তারল্য বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বাইরে ব্যাংক খাতে তারল্য বাড়াতে আরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা দেখবে।
বিদ্যমান নিয়মে ব্যাংকগুলো আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের ২৫ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। আর সমন্বিত পদ্ধতিতে ব্যাংক ও তার সাবসিডিয়ারি মিলে বিনিয়োগ করতে পারে ৫০ শতাংশ। এই বিনিয়োগ হিসাবের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ধারণ করা সব ধরনের শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনাপত্রের বাজার মূল্যের হিসাব করা হয়। সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহককে দেওয়া মার্জিন ঋণের স্থিতি, ভবিষ্যৎ মূলধন প্রবাহ বা শেয়ার ইস্যুর বিপরীতে বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া ব্রিজ ঋণ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত তহবিলের চাঁদাও এ হিসাবের মধ্যে ধরা হয়।
-
ডিএসই সূত্রে কোন কোম্পানির কতো শেয়ার কিনতে হবে দেখে নিনঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যতাবাধকতা বিগত ৮ বছর ধরেই চলে এসেছে। এরপরেও তালিকাভুক্ত ৪৬ কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারেনি। ৮ বছর পর এই নির্দেশনার সংযোজন, বিয়োজন করে গতকাল(২১ মে) নতুন করে নোটিফিকেশন জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ব্যর্থ ৪৬ কোম্পানির পরিচালকদের তাদের পদ ধরে রাখতে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে। অন্যথায় ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানি রাইট ওফার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, কোম্পানি একীভূতকরণসহ কোনো প্রকারের মূলধন উত্তোলন করতে পারবে না। এছাড়া কোনো পরিচালক যদি এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়; তাহলে এই শূন্য পদ পূরণ করতে যাদের এই ২ শতাংশ পরিমাণ শেয়ার আছে তাদের থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিচালক মনোনীত করতে হবে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা পরিচালকগণ সম্মিলিতভাবে এই শেয়ারধারণে ব্যর্থ হলে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ওই কোম্পানির জন্য একটি আলাদা ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে বিএসইসি’র নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে।
এদিকে তালিকাভুক্ত ৪৬ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে কম শেয়ার রয়েছে ইনটেক লিমিটেডের। এ কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ মাত্র ৩.৯৭ শতাংশ। ইনটেক লিমিটেডের পরিচালকদের আরো ২৬.০৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ কোম্পানির মোট ৩ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ পদ ধরে রাখতে হলে কিংবা শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ইনটেক লিমিটেডের পরিচালকদের আরো ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৯১৫টি শেয়ার কিনতে হবে। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৩৫ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইনটেক লিমিটেডের পরিচালকদের শেয়ার কেনার পেছনে ব্যয় করতে হবে প্রায় ২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এরপরের অবস্থানেই রয়েছে ফাইন ফুডস লিমিটেড। এ কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ মাত্র ৫.০৯ শতাংশ। ফাইন ফুডস কোম্পানির পরিচালকদের আরো ২৪.৯১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ কোম্পানির মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৮টি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ পদ ধরে রাখতে হলে কিংবা শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ফাইন ফুডস লিমিটেডকে আরো ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ৯০০টি শেয়ার কিনতে হবে।বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৪২ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফাইন ফুডস লিমিটেডের পরিচালকদের শেয়ার কেনার পেছনে ব্যয় করতে হবে প্রায় ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ফ্যামিলিটেক্স বিডি’র পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ মাত্র ৪.০২ শতাংশ। কোম্পানির পরিচালকদের আরো ২৫.৯৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ কোম্পানির মোট ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ পদ ধরে রাখতে হলে কিংবা শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে ফ্যামিলিটেক্স পরিচালকদের আরো ৯ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ৮৭০টি শেয়ার কিনতে হবে। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার দর ৪ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার কেনার পেছনে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এ কোম্পানির পরিচালকরা শেয়ার কিনবেনতো দূরের কথা উল্টো শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন। যে কারণে কোম্পানির শেয়ার দর তলানিতে পড়ে রয়েছে। আজ এই খবরে কোম্পানির শেয়ার দর ১০ পয়সা বাড়লেও সামনে এর ভবিষ্যত পুরোই অন্ধকার।
উল্লেখিত কোম্পানি ছাড়াও
৩. ইউনাইটে এয়ারওয়েজ(বিডি) লিমিটেড (৪.১৬%), ৪.ফু-ওয়াং সিরামিক (৫.৩৩%),
৫.ফু-ওয়াং ফুডস (৫.৩৬%),
৬.আইএফআইসি ব্যাংক (৮.৩৩%),
৭.অগ্নি সিস্টেমস (৯.৩৯%),
৮.সুহৃদ ইন্ডাষ্ট্রিজ (৯.৯৯%),
৯.একটিভ ফাইন (১২.০৪%),
১০.বেক্সিমকো ফার্মা (১৩.১৯%),
১১.ফাস ফাইন্যান্স (১৩.২০%),
১২.জেনারেশন নেক্সট (১৩.৮২%),
১৩.বিজিআইসি (১৪.৮৯%),
১৪.নর্দার্ন জুট (১৫.২৭%),
১৫.আলহাজ্ব টেক্সটাইল (১৬.৮১%),
১৬.মিথুন নিটিং (১৭.২০%),
১৭.পিপলস ইন্স্যুরেন্স (১৭.৭৯%),
১৮.ডেল্টা স্পিনার্স (১৮%),
১৯.বারাকা পাওয়ার (১৮.০১%),
২০মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১৮.০৭%),
২১.এপেক্স ফুটওয়্যার (১৯.৪২%),
২২.বেক্সিমকো লিমিটেড (২০.১৫%),
২৩.এ্যাপোলো ইষ্পাত কমপ্লেক্স (২০.২৪%), ২৪.অলিম্পিক এক্সেসরিজ (২০.৬৮%),
২৫.উত্তরা ব্যাংক (২০.৮৮%),
২৬.দুলামিয়া কটন (২১.০৪%),
২৭. ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক (২১.৬২%), ২৮.সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল (২২.১৪%),
২৯.সালভো কেমিক্যাল (২২.১৪%),
৩০.বিডিকম অনলাইন (২৩.১০%),
৩১.পিপলস লিজিং (২৩.২১%),
৩২.জাহিন স্পিনিং (২৩.৯৪%),
৩৩.কে অ্যান্ড কিউ (২৪.০৬%),
৩৪.ফার্মা এইডস (২৪.২২%),
৩৫.সেন্ট্রাল ফার্মা (২৫.৮৯%),
৩৬.অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ (২৭.৭৭%),
৩৭.বিডি থাই (২৮.২৩%),
৩৮.বে-লিজিং (২৮.২৬%),
৩৯.ম্যাকসন স্পিনিং (২৮.৩৭%),
৪০.আফতাব অটোমোবাইলস (২৮.৪২%), ৪১.এমারেল্ড অয়েল (২৮.৪২%),
৪২.স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক (২৮.৫০%),
৪৩.পপুলার লাইফ (২৮.৯২%),
৪৪. তাল্লু স্পিনিং (২৯.০৪%) এবং
৪৫.কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড (২৯.৮৮%) কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]8106[/ATTACH]
অবশেষে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন। উভয় শেয়ারবাজারে সন্তোসজনক সূচকের উত্থান হয়েছে। বেড়েছে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এবং আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২০৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০৩ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকার। যা গত গত কার্যদিবস থেকে ৫২ কোটি টাকা বেশি। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫১ কোটি ৪৪ লাখ ৯ হাজার টাকা।
আজ ডিএসইতে ৩৪৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪ শতাংশ বা ২২৫টির, কমেছে ২০ শতাংশ বা ৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬ শতাংশ বা ৫৪টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ২৬০ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]8133[/ATTACH]
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে ডিএসই এবং আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কার্যদিবস। ফলে আজ ঈদের ছুটির আগে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও অনেক বৃদ্ধি পায় এবং শেয়ার ইনডেক্স এর উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪২৫ কোটি ৭২ হাজার টাকার। যা গত কার্যদিবস থেকে ৯৩ কোটি টাকা বেশি। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৩২ কোটি ৯৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আজ ডিএসইতে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৩ শতাংশ বা ১৮০টির, কমেছে ৩৩ শতাংশ বা ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪ শতাংশ বা ৫০টির। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৪৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির।
-
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫-এর খসড়া সংশোধনীতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন ৬৫ শতাংশের কম জমা পড়লে সংশ্লিষ্ট আইপিও বাতিল হবে। আর ৬৫ শতাংশ বা এর বেশি আবেদন জমা পড়লে বাকি শেয়ার আন্ডাররাইটার নেবে। অন্যদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটায় সব শেয়ার বিক্রি না হলে আইপিও বাতিল হবে, এই ধরনের নিয়ম করা হয়েছে। ১৭ জুন পর্যন্ত স্টেকহোল্ডাররা এই খসড়ার ওপর মতামত জানাতে পারবেন। কমিশন স্টেকহোল্ডারদের মতামত বিবেচনা করে খসড়া আইন চূড়ান্ত করবে এবং গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করবে।
-
আমি অল্প কিছুদিন হলো শেয়ার বিজনেস করছি। কিছু ফেইসবুক গ্রুপ এ ঘুরে এসে একটা জিনিস বুঝলাম, সেটা হলো গ্রুপ এ সবাই যে শেয়ার গুলো কে ভাল বলে বা কেনার পরামর্শ দেয়, ওই গুলোই পরবর্তি কয়েকদিনের মধ্যে ডাউন হতে শুরু করে। আমি ১ম জেএম আই শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বিজনেস শুরু করি। ৪৩৬.৪ টাকা দরে ১০০০টা কিনেছিলাম। ফার্স্ট শেয়ার। তাই গ্রুপে জানতে চেয়েছিলাম এটা তে লস এ পড়তে পারি কিনা। দাম বেশি হয়ে গেল কিনা। বেশিরভাগ পাবলিক বলেছিল, এত দাম দিয়ে কেন্ ঠিক হয় নি। যাই হোক, শেয়ার মার্কেট এ নতুন হলেও মার্কেট সম্পর্কে অনেক ধারনা নিয়েই এখানে এসেছি। ৬ মাস এটার পিছনে সময় ব্যয় করে তবে একাউন্ট খুলেছি। জে এম আই এক সপ্তাহের মধ্যেই ৪৯২ টাকা করে ছেল দেই। ওই দিন ই আবার বিপিএম এল ক্রয় করি ৬৫.২ টাকা করে। এটা নিয়ে কেনার আগের দিন ই গ্রুপের কিছু শেয়ার বিশারদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছিল এটা কিনে ধরা খাবেন। বাট আমার মনে হলো, লাস্ট এক বছরে এটা শুধু কমছেই, বাজেট পাশের আগে পাছে কয়দিনে এটা বাড়বে কিছুটা। এটা ও গতকাল ৭৩.৪ এ ছেল করে দিলাম। কাল ই আবার আর একটা শেয়ার কিনেছি। আমার ৩য় শেয়ার এটা। ইন্সুরেন্স সেক্টরের একটা শেয়ার। আমি জানি, সবাই বলবে, বা ভাবছে যা লাভ করেছি তার ডাবল লছ হবে এবার। দেখুন, একজন মেডিকেলের ছাত্রী হয়ে অন্যদের মতো টিউশনিতে না যেয়ে শেয়ার বিজনেসের মতো একটা রিস্কি জায়গায় ইনভল্ভ হওয়াটা খুব সহজ ডিসিশন ছিল না। রুমে বসে স্ট্যাডির পাশাপাশি এটাকেই আমার বেস্ট মনে হয়েছে। এবার আসি আমি ইনসুরেন্স কেন কিনলাম সে বিষয়ে। আপনারা খেয়াল করে দেখেন, জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে শুধু ডিসেঃ ক্লোজিং নয়, জুন ক্লোজিং এর শেয়ার গুলো ও বৃদ্ধি পেয়েছিল। হয়তো বা কম। বাট বেড়েছিল। এখন জুনক্লোজিং এর একটা আইটেমের যে দাম, লাস্ট ফেব্রুয়ারিতে সেটা আরো ও ২৫% বেশি দামে ছিল। মোট কথা হলো, জুলাই - সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব সেক্টরের শেয়ারের ই দাম কিছু কিছু করে বারবে। যারা বলছেন ইন্সুরেন্স একদম তলানিতে যাবে, তারা এত বেশি বুঝলে এফ বি তে নিউজ দেখতে আসতো না। আর মামা রা কখনো একটা শেয়ারের পাবলিকের অংশের ৭০% কিনে নিয়ে সেটা থেকে একবারে বের হতে পারে না। আপনি ভালো করে লক্ষ্য করুন, যে শেয়ারটি গেম হইছে, সেটা প্রথমে দ্বিগুন তিনগুন হওয়ার পর অনেক কমে যায়, তারপর আবারো বাড়ে। এবার আগের চেয়েও বেশি বাড়ে। মন্নু সিরামিকের টা দেখেন। গতবছর এটা ৬৫ টাকা থেকে টান দিয়ে জুলাই আগস্ট এ ৩৮৫ পর্যন্ত নিলো। এরপর জনুয়ারি পর্যন্ত কমায়ে ২৪৫ এ নিয়ে আসলো। তারপর ই ৪৫ দিনের মধ্যে ৪৫০ এ নিয়ে গেল। এটা তো জুন ক্লোজিং এর আইটেম। সবাই ধারনা করেছিল। আর বারবে না। কিন্তু পাবলিকরে ঠিক ভয় দেখিয়ে সব শেয়ার কেড়ে নিয়ে আবারো টান দিলো। আমার এই লেখাটা তাদের জন্য, যারা ইন্সুরেন্স নিয়ে টেনশনে আছেন। অন্যরা প্লিজ কোন মন্তব্য করবেন না। ইন্সুরেন্স এই জুলাই- সেপ্টেমবরের মধ্যে আবারো ফেব্রুয়ারির জায়গায় ফিরে যাবে। আমরা আমাদের টাকা দিয়ে কিনেছি। সুতরাং অন্যের কথায় ভয় পেয়ে লছে ছেল করব কেন? যুক্তি আর মেধার সংমিশ্রণে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ, আমরাই জয়ী হবো। সময়ই সব কিছুর জবাব দেবে।