Originally Posted by
HELPINGHAND
মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবনেও ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন অনেক বেশি। সুতরাং রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধৈর্যের চর্চা এবং ধৈর্যের ওপর অটল থাকার প্রয়োজনীয়তা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও এখন অনেক বেশি। মহান আল্লাহ মানুষের শিক্ষা লাভের জন্য এমন বহু দৃষ্টান্ত দুনিয়ায় রেখে দিয়েছেন। হজরত আইয়ুব (আ:) এর ঘটনা এর একটি যথার্থ উদাহরণ। তাঁর সারা শরীর পোকায় খাওয়ার পরও তিনি যে পবিত্র জিহ্বা দিয়ে আল্লাহর জিকির করতেন সে জিহ্বাও পোকায় খেতে শুরু করে। তবুও কিন্তু তিনি মহান আল্লাহর জিকির ও স্মরণ থেকে বিমুখ হননি। আল্লাহ আমাদের সেই ধৈর্য ও সহনশীলতা দান করুন।
ধৈর্য ব্যতীত কেউ ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ অর্জনে সে ধৈর্যের মুখাপেক্ষী। কেননা আমল অল্প হোক কিংবা বেশি, তা আদায় করতে হলে উপযুক্ত ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই তো এর প্রতি উৎসাহ দিয়ে অনেক আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। ইবনে মাসউদ (রা:) বলেন, ধৈর্য ঈমানের অর্ধেক। রাসূল (সা:) বলেন, কোনো বান্দাকে ধৈর্যের মতো উত্তম সম্পদ অন্য কিছু দেয়া হয়নি। (বুখারি)। যে ব্যক্তি ধৈর্যের অনুশীলন করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যধারণের তৌফিক দিয়ে দেন। (বুখারি)।