ব্রিটেনের ক্যাবিনেটে ঝড় ওঠার সম্ভাবনা ।

এমন এক সময়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রিটেনের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন যখন চারদিকে ব্রেক্সিটের ঝড় বইছে ।যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও এই জোটে অন্তভু্ক্ত দেশগুলোর সাথে তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক কিরকম হবে তা নিয়ে ব্রিটেনের ক্যাবিনেটে তূমুল বিতর্ক ওঠার সম্ভাবনা দেখা গেছে ।ট্রেড সেক্রেটারি লিয়াম ফক্সের ইইউর কাস্টমস জোট থেকে বেরিয়ে যাবার প্রস্তাব ইতিমধ্যে ডাউনিং স্ট্রীট ফিরিয়ে দিয়েছে ।

সবাই একমত জোট থেকে বেরিয়ে গেলেও ইইউর সাথে যাতে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য সম্পর্ক ঠিক থাকে কিন্তু সেই মডেলটা কিরকম হবে তা নিয়ে তুমুল গবেষণা চলছে ।তার উপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে থেরেসা মে এমন তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছেন যারা সবাই ব্রেক্সিটপন্থী । বরিস জনসনকে ফরেন সেক্রেটারি, ডেভিড ডেভিডকে ব্রেক্সিট সেক্রেটারি এবং লিয়াম ফক্সকে ট্রেড সেক্রেটারি ।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তার এই নিয়োগকে একটি দক্ষ চাল হিসেবে দেখছে , যাতে ব্রেক্সিটপন্থীরা নিজেদের ডেকে আনা বিপদ নিজেরাই মোকাবেলা করে এবং কোন কারণে যদি ইইউর সাথে বাণিজ্য সম্পর্কিত আলোচনা বিফলে যায় তবে তাদের দোষারোপ করা যায় ।

ব্রেক্সিট চান বা না চান থেরেসা মে এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ।সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমতকে সন্মান জানানো তার দ্বায়িত্ব । কিন্তু থেরেসা মে নিজেও জানেন ব্রেক্সিটের কারণে যদি যুক্তরাজ্যের অর্থণীতির চাকা ধীর হয়ে যায় , তা যুক্তরাজ্যকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে ।বিশেষ করে স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করে বসতে পারে । এই বিষয়ে বিষদভাবে জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন ।