পোস্টটি নতুন পুরাতন সকলের জন্য কাজ এ লাগলেউ লাগতে পারে।

প্রথমেই বলি, এত ভালো আমি লিখি না,লিখাটা আমার নয়,কেউ ভুল বুঝবেন না সুধু জানার আর বোঝার জন্য আমি কপি করে আনতে বাধ্য হয়েছি,আপনি পরলেই বুঝবেন কেন কপি করেছি!!!

বিষয় টাইমফ্রেমঃ

লিখাটা সাঈদ ভাই এর

যদি কেউ চান আমি কমেন্ট এ লিঙ্ক টাউ দিয়ে দিতে পারব আপাতত পড়ে ফেলুন।
অনেকে বলে থাকে , ভাই একেক টাইমফ্রেমে একেক রকম ধারনা পাওয়া য়ায়। কোনটায় বাই অথবা কোনটায় সেল । কনফিউজড হয়ে যাই। কি করনীয়?

সাধারণ উত্তর ঃ টাইমফ্রেম ভালো ভাবে বুঝতে হবে।

আসুন জেনে নেই খুটি নাটি কিছু বিষয়।

(১) আপনি ৫ কিলো দূরে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলেন। ২ কিলো দূরে রাস্তায় বন্ধুর সাথে দেখা। বন্ধুর দাবী , তার বাসায় গিয়ে এক কাপ চা খেতে হবে। তাই ১ কিলো পেছনে যেতে হবে। ( এক ঘন্টার টাইমফ্রেম)

(২) ওই ১ কিলো যাওয়ার পথে মনে হলো আপনি রাস্তায় মানি ব্যাগ ফেলে এসেছেনে তাই আবার ফিরে যাচ্ছেন। খোজার জন্য। (১৫/৩০ মিনিটের টাইমফ্রেম)

(৩) খুজতেছেন কখনো দশ হাত সামনে অথব দশ হাত পেছনে। পেয়ে গেছেন। ( ৫ মিনিটের টাইফ্রেম)

(৪) এবার ওই ১ কিলো যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলেন। যাচ্ছেন বন্ধুর বাসায় চা খেতে। ( ১ঘন্টার টাইমফ্রেম)

(৫) খাওয়া শেষ। এবার রওয়ানা হয়েছেন সেই বাজারের দিকে। যাচ্ছেন দ্রুত, কারন সময় অনেক নষ্ট হয়েছে।
( ১ঘন্টার টাইমফ্রেম)

(৬) দ্রুত চলার কারনে আপানাকে ধাক্কা খেতে হলো কোন এক যানবাহনের সাথে। যেতে হলো আরো একটু পেছনে যেখানে হসপিটাল। (৫ মিনিটের টাইমফ্রেম)

(৬) প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে বাজারও দরকার আবার.....বাসায়ও ফিরতে হবে। তাই আপনার আপনজন কোন এক ব্যাক্তি বাজার করে দিলো এবং সুন্দর একটি যানবাহন করে সোজা বাসায় পৌছে দিল। (সারাদিনের কাহানী খতম) ( ৪ ঘন্টার টাইমফ্রেম)

(৭) যত কদম পড়েছে সবই ছিলো (১মিনিটের টাইম ফ্রেম)

(৮) পুরো ঘটনায় যা পাওয়া গেল তা হলো , এখনো ঘরেই বসে আছে। না লাভ না লস। এতো পরিশ্রম কোথায় গেল। তাই অপেক্ষা আবার যাবে বাহির পানে সেই কোন সকালে। ( চারঘন্টার টাইম ফ্রেম)

আশা করি কিছুটা হলেও পরিস্কার। একটি কাজের খন্ড খন্ড চিত্র। প্রত্যেক খন্ডের সময়কাল এক সমান নয়। তাই বুঝতে হবে প্রত্যের খন্ডের সময়কাল কতো।

সবশেষে যিনি বাজার ও বাসায় পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন তিনি হলেন নিউজ কারিগর। যখন অবস্থা খারাপ দেখেন তখন অতি দ্রুত বাজারসহ এবং সযতনে জায়গা মতো পৌছে দেন।

সমাস্যা ও সমাধানঃ এখন কেউ, বাজারে যাওয়াকে দেখে, কেউ বন্ধুর বাড়িতে যাওয়াকে দেখে, কেউ হসপিটালে যাওয়াকে দেখে, কেউ মানিব্যাগ খোজাকে দেখে, এরকম আর কি। বুঝতে হবে হসপিটালে যেতে কতসময় লাগে, বন্ধুর বাড়িতে যেতে কত সময় এরকমভাবে টাইমফ্রেমকে বুঝতে হবে। যদি ৫মিনিটের কাজকে একদিনের কাজ মনে করে আর একদিনের কাজকে এক মিনিটের কাজ মনে করে তাহলে তো মুশকিল।

তাই উত্তম হলো কারেন্সী ষ্ট্রেংথ পর্যবেক্ষণ করা। একটা কারেন্সী মূলত কতসময় ধরে ষ্ট্রেংথ ধরে রাখে। এটা বের করে সেই রকম টাইম ফ্রেমে কাজ করা। যেমন উদাহরনের জন্য বলা- ৬ ঘন্টা গতি সম্পন্ন কারেন্সীটা , ৩/৪ ভাগে কাজ করবে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে চার বার গতি পরিবর্তন করবে। অর্থাত ৬/৮ ঘন্টা বাই যাবে, ছয় ঘন্টা সেল যাবে , সাইডওয়ে সহ কম বেশী মিলিয়ে মিনিমাম ৩/৪ বার রূপ পরিবর্তন করবে। তাহলে এই পরিস্থিতিতে আপনি যদি চার ঘন্টার টাইম ফ্রেম ধরে রাখেন দিনের শেষে খালি হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। আর যদি ১ ঘন্টার টাইমফ্রেম ধরে শুরু করেন...তাহলে ৩/৪ বার এন্ট্রি নিতে পারেন এবং প্রফিটও নিতে পারেন..আপনি তার অবস্থাকে অণুধাবন করতে পারবেন।

এটা শুধু একটা বিষয় তুলে ধরলাম এরকম অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনাকে টাইমফ্রেমের উপর চর্চা করে বুঝে নিতে হবে।
এই জন্যই শুরুতে বলেছিলাম.....টাইমফ্রেম ভালোভাবে বুঝতে হবে।

****ভুল আমারও থাকতে পারে--সংশোধন আমারই বেশী দরকার। **

বুঝতে কষ্ট হলে কমেন্টস করুন(ধন্যবাদ)