মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনা, আবারো এশিয়ার শেয়ারবাজারে দরপতন

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার শেয়ারবাজারে গতকাল দরপতন লক্ষ করা গেছে। ওয়াশিংটনের নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এবং বেইজিংয়ের পাল্টা পদক্ষেপের হুমকিতে শেয়ারবাজারে এ প্রভাব পড়েছে। খবর রয়টার্স।

এ দুই দেশ রোববার যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে বাণিজ্য আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা আইনের বাস্তবসম্মত পরিবর্তন আনা আবশ্যক। এদিকে বেইজিং বলছে, তাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন ‘তেতো ফল’ গিলতে প্রস্তুত নয় তারা।

শুক্রবার চীনের ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ঘোষণায় চীন কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা। পূর্বের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে চীন ‘চুক্তিতে পৌঁছার পথ বন্ধ করেছে’—যুক্তরাষ্ ্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ অভিযোগের পর পরই চীনা পণ্যে ওই শুল্ক আরোপ করা হয়।

বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে নতুন করে এ উত্তেজনা দেখা দেয়ায় এসঅ্যান্ডপি সূচকের ১ শতাংশ পতন হয়েছে। জাপান বাদে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর এমএসসিআই সূচক শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ পতন হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার যা দুই মাসের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছিল।

চীনের শেয়ারবাজারেও ব্যাপক দরপতন দেখা গেছে। সাংহাই কম্পোজিট এবং ব্লু-চিপ সিএসআই-৩০০ সূচকের পতন হয়েছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৬০ ও ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। ছুটি চলায় হংকংয়ের শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল।

জাপানের নিক্কেইয়ের পতন হয়েছে ১ শতাংশ, যা গত ২৮ মার্চের পর সর্বনিম্ন। সর্বশেষ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে লেনদেন হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ট্রেজারি নোটের উৎপাদন ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।