ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মধ্য ডানপন্থী ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টি (ইপিপি) ও মধ্য বামপন্থী সোস্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাট শিবির তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সমর্থন বেড়েছে লিবারেল ও গ্রিনদের প্রতি। তবে ইপিপির আসন কমলেও এককভাবে তারা পার্লামেন্টে বড় জোট হিসেবে অবস্থান বজায় রেখেছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।

প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ক্ষমতার নতুন ভারসাম্য তৈরি হতে যাচ্ছে। মধ্যপন্থী অ্যালায়েন্স অব লিবারেল অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস ফর ইউরোপ (এএলডিই), উগ্র ডানপন্থী ইউরো সংশয়ী দলগুলো এবং গ্রিনস/ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্সের আগের চেয়ে বড় ধরনের অর্জনের মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রায় ৫১ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড এবারের নির্বাচনে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেখানে উপস্থিতি ছিল ৪৩ শতাংশ। জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি ও পপুলিস্ট পার্টিগুলোর কর্মতত্পরতা এবার ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যদিও পপুলিস্ট ও উগ্র ডানপন্থী দলগুলো কয়েকটি দেশে কিছুটা শক্ত অবস্থান গেড়েছে, তবে যতটা পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, সে রকম কিছু দেখাতে পারেনি তারা।

২০১৪ সালে ২১৬টি আসন পাওয়া ইপিপি এবার ১৭৯টি পেতে যাচ্ছে। আর সোস্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা ১৯১ থেকে কমে ১৫০-তে নেমে এসেছে। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ৬৯টি আসন পাওয়া এএলডিই শিবির ও তাদের মিত্ররা এবার ১০৭টি পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকছে। তার পরই রয়েছে গ্রিনস/ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্সের অবস্থান। গতবার ৫২টি পেলেও এবার ৭০টি আসন পূরণ করতে পারে তারা।