চীনভিত্তিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ও স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বের অনেক দেশ ফাইভজি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির সরঞ্জাম ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে গত শুক্রবার ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিলটন মৌরাও জানিয়েছেন, তারা দেশটির পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনায় চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। ব্রাজিলের ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনায় হুয়াওয়েকে রাখছে দেশটি। বিষয়টিকে হুয়াওয়ের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।

হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই নয়, একই সঙ্গে মিত্র দেশগুলোকে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বর্জনে প্ররোচিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রচারণা চালানো হচ্ছে, দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি অবকাঠামো নির্মাণে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ব্যবহার করা হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যাবে। যদিও এমন দাবির পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। এবার একই ধরনের ঘোষণা দিলেন ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে হ্যামিলটন মৌরাওর চীন সফরের সময় হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেন ঝেংফেই তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় টেলিযোগাযোগের উন্নত প্রযুক্তি ঘিরে মৌরাওর সঙ্গে হুয়াওয়ে সিইওর বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশ্ববাসীকে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন রেন ঝেংফেই। ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন, ফাইভজি প্রকল্প থেকে হুয়াওয়েকে বাদ রাখার পরিকল্পনা তাদের নেই।

হ্যামিলটন মৌরাও জানান, হুয়াওয়ের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে তারা সন্দিহান নন। উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য ব্রাজিলের চীনা প্রতিষ্ঠানটির সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি দরকার।

হুয়াওয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইভজি প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প থেকে হুয়াওয়েকে বাদ রেখেছে। জাপান সরকারও গত বছর চীনা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ক্রয় নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

নিউজ বনিকবার্তা