দেশে বায়িং হাউজ ব্যবসা চালু হয় প্রায় তিন দশক আগে। এ দীর্ঘ সময়েও কোনো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি ব্যবসাটির ওপর। বায়িং হাউজগুলোর নিবন্ধনে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই তা মানছে না। এ অবস্থায় অনিবন্ধিত বায়িং হাউজগুলোকে ৬০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/900135050.jpg[/IMG]
দেশে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের যাত্রা আশির দশকে। শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাগোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি ও দরকষাকষিতে খুব একটা পারদর্শী ছিলেন না পোশাক শিল্পমালিকরা। এ সুযোগে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উত্থান ঘটে বায়িং হাউজ ব্যবসার। এর ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি না থাকায় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দেশের বায়িং হাউজগুলোয় বিপুল পরিমাণ বিদেশী কাজ করেন, যাদের কারণে প্রচুর অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়। কূটকৌশল অবলম্বনের কারণে এ অর্থের বেশির ভাগটাই যায় অবৈধ পন্থায়। আবার বায়িং হাউজের গাফিলতিতে পণ্য প্রস্তুতকারক কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ক্রেতার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে করে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সমস্যার মূলে থাকা বায়িং হাউজকে কোনো জবাবদিহিতায় আনা সম্ভব হয় না।