বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গতকাল থেকে সাংহাইয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রায় তিন মাস স্থগিত থাকার পর আবার আলোচনায় বসল বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মানিউচিন ও বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার। অন্যদিকে চীনা পক্ষে রয়েছে ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হি। গতকাল সকালে জিজিয়াও স্টেট গেস্ট হোটেলে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচনার টেবিলে চীনের পক্ষে ছিলেন ছয়জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে পাঁচজন।

মার্কিন প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সাংহাইয়ে পৌঁছে এবং সন্ধ্যায় ফেয়ারমন্ট পিস হোটেলে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। বিষয়টির সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, নৈশভোজে মধ্যস্থতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এটির আয়োজন করা হয়।

বাণিজ্য বিবাদ নিয়ে সমাধানে পৌঁছতে না পেরে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি পরস্পরের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক বাড়িয়েছে। চীনা টেলিকম সরঞ্জাম কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে ওয়াশিংটনের কালো তালিকাভুক্ত করার পর উত্তেজনার পারদ আরো বাড়ে। বাণিজ্য দ্বন্দ্ব নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ মে। এরপর জুনে জি২০ সম্মেলনে দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিগগিরই তারা আবার আলোচনায় বসতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আলোচনায় বসল দুইপক্ষ।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি টুইটে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, দেশটি মার্কিন কৃষিপণ্য কিনতে অনিচ্ছুক এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করা চালিয়ে যাবে। এদিকে চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি করতে চায় না এবং কখনো করেনি এবং চীন নিজেদের বাণিজ্যনীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না।

নিউজ বনিকবার্তা