ঢাকা: বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল থেকে শুরু, এরপর বিস্তৃত হয়ে রূপ নেওয়া স্বাধীনতা আন্দোলনে উত্তাল হংকংয়ের পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে ক্রমে। বিক্ষোভ দমনের হুমকি দিয়ে আসছে চীন; তারপরও চীনা আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটিতে বেড়েই যাচ্ছে গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীর সংখ্যা। বিক্ষোভ আয়োজকরা বলছেন, বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান কঠোর হুঁশিয়ারির মধ্যেও হংকংয়ে রোববার (১৮ আগস্ট) প্রায় ১৭ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের আন্দোলনে মাঠে নেমেছেন।


গত ১১ সপ্তাহ ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধছে। একইসঙ্গে চীনের হুঁশিয়ারিও। এরপরও এবার বিক্ষোভে এতো মানুষের উপস্থিতি; অবশ্যই ইঙ্গিত করছে, এই আন্দোলনে গণমানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।

এছাড়া ১১ মাস ধরে বিক্ষোভে পুলিশের বাধা, সংঘর্ষ বা বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও রোববারের এই সমাবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।

যদিও নিজেদের অফিসিয়ালভাবে অনুমোদিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে এক লাখ ২৮ হাজারের চেয়েও কম মানুষ উপস্থিত ছিল বলে উল্লেখ করেছে হংকং পুলিশ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চীন সরকারের মদদে হংকং প্রশাসনের বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা। এই বিক্ষোভ এখন স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। কেননা, বিক্ষোভের মুখে অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বিলটিকে ‘মৃত’ ঘোষণা করলেও বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন আর এখন থামছে না। বরং বাড়ছে।

এও বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও কথিত পুলিশি বর্বরতার তদন্তের দাবিতে তারা এখন একটি বিস্তৃত আন্দোলনে রূপ নিয়েছেন।

ওয়াং নামে এক বিক্ষোভকারী রোববারের সমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করছি। কিন্তু আমাদের সরকারের তেমন কোনও সাড়া নেই। আমরা কেবল বারবার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকং ১৯৭৭ সালে চীনের অধীনে ফেরার পর থেকে ‘এক রাষ্ট্র দুই নীতি’র অধীনে পরিচালিত। যদিও গত দুই দশক ধরে অধিকার আদায়ে নানা ইস্যুতে চীন সরকারের সঙ্গে কড়াকড়ি চলছে অঞ্চলটির মানুষের।

বাংলানিউজটোয়েন্ িফোর.কম