গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর কয়েকদিন পরই তা মুলতবি করে দিতে রানি এলিজাবেথের কাছে আবেদন করেছে বরিস জনসনের সরকার।

এর মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও সরকার যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া পরবর্তী সময় নিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবে, বলছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট।

সমালোচকরা বলছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারের অবস্থান আটকাতে বিরোধীদের কোনো রকম সুযোগ না দেয়ার লক্ষ্যেই সরকার অধিবেশন মুলতবির এ পথে হাঁটছে।

বিবিসি জানিয়েছে, বিরোধীদল লেবার পার্টির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক সাংসদও জনসন সরকারের এ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন।

চলতি বছরই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া জনসন ৩১ অক্টোবরের সময়সীমার মধ্যেই ব্রেক্সিট কার্যকরে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এজন্য ‘চুক্তি ছাড়া’ ব্রেক্সিটেও আপত্তি নেই তার।

বিরোধীরা যেন এ ‘চুক্তি ছাড়া’ ব্রেক্সিট বন্ধে নতুন কোনো আইন পাস না করতে পারে, জনসন সে কারণেই পার্লামেন্ট মুলতবির পথে হাঁটছেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদেরও।

অক্টোবরে রানির ভাষণের আগে এ ধরনের মুলতবির রেওয়াজ থাকলেও ব্রেক্সিটের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এমন পদক্ষেপ নতুন সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে বলে ধারণা টোরি সাংসদ ডমিনিক গ্রিভের।

অধিবেশন মুলতবির পদক্ষেপ অনাস্থা ভোট ডেকে আনবে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার এ সমর্থক বলেছেন, “এ সরকার পড়েও যেতে পারে।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজরসহ প্রভাবশালী অনেক রাজনীতিক সরকারের এমন পদক্ষেপ রুখতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিও (এসএনপি)।

এর আগে মঙ্গলবার বিরোধীদল লেবার পার্টির বেশ কয়েকজন সাংসদ চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট বন্ধে পার্লামেন্টে প্রস্তাব আনার পরিকল্পনার বিষয়টি জানিয়েছিলেন।

অবশ্য ডাউনিং স্ট্রিটের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট মুলতবি হয়ে গেলে, বিরোধীরা প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য তুলনামূলক কম সময় পাবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম