যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার যে ‘নো ডিল’ বা চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পরিকল্পনা করছে তাতে সমুদ্রে পণ্য পরিবহন রুটে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা এবং সুনির্দিষ্ট ধরনের টাটকা খাবার ও ওষুধ সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে ব্রিটিশ সরকারেরই এক প্রাকমূল্যায়ন নথিতে সতর্ক করা হয়েছে।

কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকর হলে তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হতে পারে, যা দেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে বলেও এতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বৃধবার প্রকাশিত‘অপারেশন ইয়োলোহ্যামার’ নামের এ প্রাকমূল্যায়ন নথিটি বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয় দিন পর, গত ২ অগাস্ট প্রস্তুত হয়েছিল বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

জনসনের পরিকল্পনার সাপেক্ষে ৩১ অক্টোবর যুক্তরাজ্য ‘নো ডিল ব্রেক্সিটের’ মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে যে পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে, তার ধারণা পেতেই এ মূল্যায়ন তৈরি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, কীভাবে ব্রেক্সিট কার্যকর হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ধারাবাহিক বিভ্রান্তির কারণে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের প্রস্তৃতি একেবারেই নিম্নতম পর্যায়ের।

‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ হলে পণ্যবাহী লরিগুলোর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে আড়াই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের ইইউ সীমান্ত চৌকিগুলোতে অধিকতর তল্লাশির মুখোমুখি হতে হবে বলেও নথিটিতে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

“সুনির্দিষ্ট ধরনের টাটকা খাদ্যের সরবরাহ কমে আসবে। তখন আতঙ্কিত মানুষজনের বেশি খাদ্য ক্রয়ের ঝুঁকিও থাকছে, যা খাদ্য ঘাটতির কারণ হতে পারে,” প্রকাশিত নথিতে এমনটাই বলা হয়েছে।

চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পর প্রথম দিনই ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া যানবাহনের সংখ্যা এখনকার তুলনায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ব্রেক্সিট কার্যকরের পর এমন বাজে পরিস্থিতি তিন মাস পর্যন্ত থাকতে পারে বলেও এতে ধারণা দেওয়া হয়েছে।



বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম