অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করার প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে। ভুলভাবে তুলনা করার কারণে মানুষ ধৈর্যহীন হয়ে পড়ে। আপনার বন্ধু ও প্রতিবেশিদের মধ্যে কেউ যদি আপনার প্রত্যাশিত কোনো সাফল্যটিও অর্জন করে, তাহলে ভেবে নেবেন যে, তার অবস্থান ও পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে আপনার অবস্থান ও পরিবেশ-পরিস্থিতির পার্থক্য রয়েছে। অন্যের সাফল্য দেখে হতাশ ও ধৈর্যহারা হলে চলবে না। ধৈর্য শক্তি বাড়ানোর আরেকটি পথ হলো- যেসব বিষয় আপনার মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, সেসব বিষয়কে চিহ্নিত করুন। অনেক সময় আমাদেরকে উদ্বেগ ও হতাশা কাবু করে ফেলে, এর পেছনেও অধৈর্য ও অস্থিরতা প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে। আমাদের অজান্তেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। অধৈর্য ও অসহিষ্ণুতা কমানোর জন্য এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তনও জরুরি। শান্তি ও স্বস্তি পাওয়ার পদ্ধতিও সঠিকভাবে রপ্ত করতে হবে।

যেমন ধরুন, ধৈর্যহারা হয়ে পড়লে কয়েক বার গভীর নিশ্বাস নিন। এরপর কয়েক মিনিটের জন্য সব ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। মাথা থেকে দুঃশ্চিতা ঝেড়ে ফেলুন। এ সময়টায় টেলিভিশন দেখবেন না এবং কোনো কিছু পড়বেনও না। অন্য কোন কাজও করবেন না। প্রথম দিকে এ পদ্ধতিটি আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। এক অথবা দুই মিনিট পার হওয়ার পর আপনার মধ্যে অধৈর্য ভাবটা আরো বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু আরো কিছু সময় শান্ত ও বিশ্রাম অবস্থায় কাটালেই আপনি আপনার ভেতরের জগতটাকে শান্ত করতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি চিন্তার বিকাশ এবং ধৈর্য শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো, সব সময় এটা স্মরণ রাখা উচিত যে, প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। সময় ব্যয় করা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। ধৈর্যহারা ব্যক্তিরা সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে কাজ সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন। তারা কোনো কাজের জন্যই সময় ব্যয় করতে চান না। কিন্তু এটা বুঝতে হবে যে, অনেক কাজই তাড়াহুড়োর মাধ্যমে করা সম্ভব নয়।