যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ তাদের আয় ও সম্পদের অসম বণ্টন নিয়ে অসন্তুষ্ট। সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা এবং অসাম্য দূর করার বিষয়টি জরুরিভাবে নজরে আনা উচিত বলে তারা মনে করে। ধনী ও গরিবের মধ্যে ব্যবধান কমানোর জন্য সরকারের আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে দেশটির অধিকাংশ জনগণ।

নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএস নিউজ পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহে তারা জাতীয়ভাবে জরিপটি পরিচালনা করে।

সম্পদের সুষম বণ্টন ও ধনী-গরিবের পার্থক্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মনোভাবটি রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। রিপাবলিকান দলের সমর্থক মাত্র এক-তৃতীয়াংশ নাগরিক অসাম্য দূর করার জন্য সরকারের অধিকতর পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে। আর ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থক ৮০ শতাংশই মনে করে, অসাম্য দূর করার জন্য সরকারকে অধিকতর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

২০০৮ সালের মন্দা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখন প্রতিটি সুচকেই ভালো করছে। তার পরও আয় বৃদ্ধি ও সম্পদের বণ্টন নিয়ে রাজনৈতিক ভাবধারায় বিভক্ত মার্কিন জনগোষ্ঠী। সম্পদের ভারসাম্যের বিষয়টি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠবে বলে জরিপে অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিক মনে করে।

জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কর্মজীবীদের ব্যাপক সুবিধা বৃদ্ধির পক্ষে। পারিবারিক ছুটি, অসুস্থতার জন্য মজুরিসহ ছুটি এবং ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পক্ষে অধিকাংশের মত। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় ১০ ডলার করার পক্ষেও অধিকাংশ জনগণ।

জরিপে অংশগ্রহণকারী স্টেপেনি অলটেন্ডার (২৮) বলেছেন, আমেরিকার ছোট একটি জনগোষ্ঠী অধিকাংশ সম্পদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক। ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থক এই স্কুলশিক্ষক বলেন, যাদের সম্পদ রয়েছে তাদের আরও সম্পদশালী হওয়ার অনেকগুলো পদ্ধতি চালু রয়েছে দেশে।

বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দেশের সব জনগোষ্ঠীর সম্পদশালী হওয়ার জন্য সমান সুযোগ রয়েছেএমন মনোভাবেরও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে জরিপে। ৬০ শতাংশ মার্কিনি মনে করে, শীর্ষে থাকা অল্প কিছু মানুষের জন্য আরও উন্নতির সুযোগ-সুবিধা অবারিত।