মানি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (লাকি -7, ট্রেডিং সিকুয়েন্স)
আজ এখানে একটি ভিন্ন রকম ট্রেডিং কৌশল দেয়া হল। আশা করা যায়, এই ফরম্যাট টা অনেকের কৌশল এর সাথে আরও ভালভাবে ফিট করে যাবে।
আগেই বলে রাখি এটা অনেকটা সেমি- মারটিনগেল (Martingale) সিস্টেম, যার মাধ্যমে আপনি আপনার লসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অন্যান্য অনেক মারটিনগেল সিস্টেম (যে সিস্টেম এ কোন লস এর পর ট্রেডকে ডাবল করে দেয়া হয়) এই প্রায় পুরো মূলধনই চলে যায়। এখানে ঝুঁকি এবং জয়ের অনুপাত 1:2।
প্রক্রিয়াটি এরকমঃ
1) আমরা আমাদের এন্ট্রির বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে একটি ট্রেড ওপেন করি। উদাহরণস্বরূপ, আমরা EUR/USD তে 1:1200 প্রাইস এ একটি বাই ট্রেড ওপেন করলাম। আমাদের স্টপ লস হল 10 পিপে (1:1190) এবং টেক প্রফিট 50 পিপে (1:1250) সেট করা আছে। এটা আমাদের সিকুয়েন্স এ প্রাথমিক এন্ট্রি বলা হয়।
2) যদি আমাদের টেক প্রফিট হিট করে তাহলে আমরা পরবর্তী এন্ট্রি সিগন্যাল এর জন্য অপেক্ষা করি এবপর পুনরায় শুরু করি।
3) যদি স্টপ লস হিট করে, তাহলে আমাদের পরবর্তী ট্রেড হবে সেল(উপরের মত আমাদের প্রথম ট্রেড বাই ধরে), যেটা স্টপ লস হিট করার সাথে সাথেই এন্ট্রি দেয়া হবে।এই নতুন সেল পজিশন এর প্রাথমিকভাবে একইরকম টেক প্রফিট (50 পিপস) এবং স্টপ লস (10 পিপস) থাকবে প্রতিবার আমাদের স্টপ লস হিট হওয়ার ক্ষেত্রে এই সিকুয়েন্স টিই চলতে থাকবে।যখনই কোন টেক প্রফিট হিট হবে তখন ট্রেডের সিকুয়েন্স টি বন্ধ হবে ।
একটি ট্রেডের সিকুয়েন্স মানে বুঝায় প্রতিবার আমাদের স্টপ লস হিট করেছে, পরবর্তী ট্রেড টি হবেঃ
1. বিপরীত ডিরেকশনে
2. আমাদের প্রাথমিক এন্ট্রি হিসেবে সিকুয়েন্স এ সবগুলোর স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেটিং একইরকম থাকবে (স্টপ লস= 10 পিপ, টেক প্রফিট= 50 পিপ)।
3. একাউন্ট ব্যাল্যান্স বাড়া বা কমার সাথে সাথে লট বা ভলিউম এর পরিমাণ এ পার্থক্য হয়ে থাকে।
একাউন্ট এর ব্যাল্যান্স এর পরিমাণ হিসেবে আপনি আপনার ঝুঁকির পরিমাণ এবং লট আগেই হিসাব করে নিতে পারেন।
এই সিস্টেম টি সবাই নিজের মত করে মডিফাই করে ব্যবহার করতে পারেন। লাইভ একাউন্ট এ শুরু করার আগে বরাবরই ডেমো একাউন্টে এ প্র্যাকটিস করে নেয়া উচিৎ। তাহলেই আস্তে আস্তে ট্রেডিং এ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করা যাবে।