আগামী বছর বিশ্বের প্রথম সারির ধনীদের তালিকায় জায়গা করে নিতে যাচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিলিয়নেয়াররা। গতকাল বুধার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীতে এশিয়ার ভারত ও চীনের ধনীরা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের আসনে বসতে যাচ্ছে। খবর এএফপি।

বহুজাতিক কম্পিউটার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপজেমিনি ও আরবিসি ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের তৈরি ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৫ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ ধনী এ দেশ দুটির মিলিত সম্পদের পরিমাণ ২০১৪ সালের মোট সম্পদ ১৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং দক্ষিণ আমেরিকার স্থানটি দখল করে নেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উচ্চ উপার্জনকারী ব্যক্তিদের (এইচএনডব্লিউআই) বসবাস রয়েছে। এ সংখ্যা ৪৬ লাখ ৯০ হাজার। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকায় ৪৬ লাখ ৮০ হাজার উচ্চ উপার্জনকারী ব্যক্তি রয়েছে। এইচএনডব্লিউআই তাদের বলা হয়, তাদের কাছে বাড়ি ও অন্যান্য সংগৃহীত সম্পদের বাইরে ন্যূনতম ১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগযোগ্য অর্থ রয়েছে।

এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আগামীতে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্পদের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সম্পদের আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনার কারণে এমনটি আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চীন ও ভারতের সুবাদে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এইচএনডব্লিউআইদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।

সারা বিশ্বের এইচএনডব্লিউআইদের সম্পদের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে চীন ও ভারতের। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের পর বৃদ্ধি পাওয়া বিশ্বের নতুন সম্পদের ১৭ শতাংশ রয়েছে দেশ দুটির কাছে। ২০১৪ সালে চীনে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৮ লাখ ৯০ হাজার, যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে দেশটিতে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সম্পদ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে ভারতে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে; তাদের সংখ্যা ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার এবং সম্পদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে