বৈশ্বিক মেধাসত্ত্ব সংস্থা জানিয়েছে যে বিশ্বে উদ্ভাবনের র্শীষে রয়েছে চীন এবং দেশটি এখন 'চীনে প্রস্তুত' পরিচিতি থেকে 'চীনে সৃষ্ট' পণ্যের উৎসে রুপান্তরের পথে রয়েছে।

আর্ন্তজাতিক মেধাসত্ত্ব সংস্থা ওর্য়াল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রর্পাটি অর্গানাইজেশন ( ডাব্লু আই পি ও) মঙ্গলবার তার সর্বসাম্প্রতিক জরিপের ফল প্রকাশ করে বলেছে যে চীনের পরই যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশ হিসাবে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।

ডাব্লু আই পি ও বলছে যে এই ফলাফল খুবই গুরুত্বর্পূণ, কেননা, এতে বিশ্বের একশোটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।

ডাব্লু আই পি ওর মহাপরিচালক ফ্রান্সিস গারি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

মি গারি বলেন যে এই প্রবৃদ্ধির একটি বিপুল পরিমাণ ঘটেছে চীনের কারণে এর রয়েছে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পেটেন্টের আবেদন, ট্রেডর্মাকের আবেদন এবং নকশা অনুমোদনের নথি। বিশ্বের অন্য যেকোন স্থানের অফিসের তুলনায় চীনা দপ্তরে আবেদন জমা পড়ে সবচেয়ে বেশি। সুতরাং, কৌশলগতভাবে অবশ্যই এই দেশটি এমন এক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা হচ্ছে চীনে তৈরির বদলে চীনে সৃষ্ট বা্স্তবতা।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় মি গারি আরো জানান যে গবেষণা এবং উন্নয়নখাতে বিনিয়োগের দিক থেকে চীনের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের পরে এবং ২০১৯ সাল নাগাদ তা সমমাত্রায় পৌঁছাবে ।
সংস্থার প্রতিবেদনে মেধাসত্ত্বের আবেদনসহ চারটি প্রধান সূচকের তথ্য তুলে ধরা হয়, যাতে দেখা যায় যে বিবেচনাধীন ছাব্বিশ লাখ রেজিষ্ট্রেশনের আবেদনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই হচ্ছে চীনের। সংস্থা জানায় যে বিবেচনাধীন আবেদনগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এবং তারপর জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার।

সংস্থা জানায় যে চীনের ট্রেডর্মাক আবেদনের পরিমাণও গতবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ডাব্লু আই পি ও বলছে যে চীনের সাথে বাকী বিশ্বের যে দূরত্ব তা যেমন উদ্ভাবন এবং নকশার ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্বের বিষয়টি তুলে ধরছে তেমনি তাতে রয়েছে সাহিত্য ও শিল্পকর্মের বিষয়ও।