বিশ্বব্যাংকের সামনে নিজেদের অবস্থানে অলস দাঁড়িয়ে আছেন নিরাপত্তাকর্মীরা বাইরে ওয়াশিংটন ডিসির ফুটপাত প্রায় জনশূন্য। ব্যাংকটি বর্তমানে খোলা রয়েছে, প্রস্তুত রয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের বার্ষিক সভা আয়োজনের জন্যও। কিন্তু সত্যি বলতে, এখন আর কোনো সভাই সশরীরে সরাসরি অনুষ্ঠানের সুযোগ নেই। পাশেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এইচকিউটু ভবনের সামনে ছয় মাস ধরে টানানো রয়েছে ‘সাময়িকভাবে বন্ধের’ সাইন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক মাসখানেক আগে আমেরিকার রাজনৈতিক কেন্দ্র ওয়াশিংটন কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ছয় মাস পর এখনো সামাজিক ও অর্থনেতিকভাবে স্থবির হয়ে আছে। ফলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের আসন্ন সভায় অংশ নিতে যে ১২ হাজার মানুষের ওয়াশিংটনের রাস্তায় পদচারণা করার কথা ছিল, তা আপাতত আর হচ্ছে না। এর বদলে তারা অবস্থান করবেন তাদের বাড়িতে ল্যাপটপের সামনে।

ডেস্টিনেশন ডিসির পরিচালক এলিয়ট ফার্গুসন বলেন, মহামারীর আগে আমরা ওয়াশিংটনে রেকর্ডসংখ্যক সভা ও দর্শনার্থীর সমাগম দেখেছি। শুধু যে তখন কংগ্রেসের সঙ্গে সভা হয়েছে তা নয়, সার্ভিবকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের বিভিন্ন সভাও এবং এসব কার্যক্রমই স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। ওই সময়ে আমরা শহরটিতে ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি দর্শনার্থীর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এখন শহরটি ১ কোটি ১০ লাখের মতো দর্শনার্থী আশা করছে।

তবে শহরটির বেশকিছু ডিস্ট্রিক্ট পুনরায় কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। রেস্তোরাঁগুলোর পাশাপাশি ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করেছে রুফটপ ডাইনিংগুলো। তবে এর পুরো কৃতিত্ব বা ধন্যবাদ প্রাপ্য স্থানীয় গ্রাহকদের। কিন্তু হোয়াইট হাউজের অদূরে ডাউনটাউন এলাকার কে স্ট্রিটের ফাস্টফুড দোকানগুলো এখনো বন্ধই রয়েছে। মূলত এসব দোকানে খাবার গ্রহণের জন্য স্বাভাবিক সমেয় ভিড় করতেন লবিস্ট ও আইনজীবীরা। কিন্তু তারা ফিরে না আসায় ফাস্টফুডের দোকানের মালিকরা ব্যবসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারছেন না। একই সঙ্গে তাদের মতো সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলো।

বণিক বার্তা