১৯৯৬ সালে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক খুচরা ভোক্তা ব্যয় গত জুনে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে দ্য ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের (বিআরসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। ব্রেক্সিটের কারণে দেশটির অর্থনীতিতে সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। খবর গার্ডিয়ান।

দেশটিতে একদিকে কেনাকাটা অনুকূল চলমান বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় পরিবর্তিত কেনাকাটা প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে না বেড়ে জুনে খুচরা বিক্রি কমেছে। ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ায় দেশটির খুচরা বিক্রি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআরসি। ব্রেক্সিট নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য থাকা একান্ত দরকার বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

মাল্টিন্যাশনাল প্রফেশনাল সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক কেপিএমজির মাধ্যমে বিআরসি পরিচালিত খুচরা ভোগ খাতের মাসিক প্রতিবেদন বলছে, জুনে যুক্তরাজ্যে মোট বিক্রি ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে, আর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬ শতাংশে।

গত বছরের জুনে কেনাকাটার অনুকূল পরিবেশ থাকায় যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রি ভালো হয়। কিন্তু এবার কেনাকাটার প্রতিকূল পরিবেশের কারণে বিশ্বকাপ ক্রিকেট সত্ত্বেও গত মাসে দেশটির খুচরা বিক্রি ২৩ বছরের সর্বনিম্নে নেমে আসে বলে জানিয়েছেন বিআরসির প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকেনসন। জুনে প্রত্যাশিতসংখ্যক টিভি সেট, বাগানসংশ্লিষ্ট আসবাব ও বারবিকিউ বিক্রি সবই কমেছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। চলমান ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তার কারণে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও মানুষ একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাইরে তেমন কিছু কেনাকাটা করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইইউর সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও জনগণ স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চায় বলে মন্তব্য করেন ডিকেনসন। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে অব্যাহত অনিশ্চয়তা ভোক্তার আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং সার্বিকভাবে খুচরা বিক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।

নিউজ বনিকবার্তা