বাজারের অনুভূতি: ব্যবসায়ীরা বাজারের অনুভূতি এবং কীভাবে সংবাদের ঘটনাগুলি বাজার দ্বারা ব্যাখ্যা করা হতে পারে তাও বিবেচনা করে। অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ, ভূ-রাজনৈতিক ইভেন্ট এবং অন্যান্য খবর মুদ্রার দামকে প্রভাবিত করে অনুভূতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।

ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা: রাজনৈতিক ঘটনা, যেমন নির্বাচন, বাণিজ্য আলোচনা, এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, মুদ্রার মূল্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যবসায়ীদের বৈশ্বিক ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে এবং ফরেক্স মার্কেটে তাদের সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে।

অর্থনৈতিক নীতি: সরকারী রাজস্ব নীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতিগুলি মুদ্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ট্যাক্স নীতির পরিবর্তন, সরকারী ব্যয়, এবং পরিমাণগত সহজীকরণ প্রোগ্রাম একটি মুদ্রার শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে।

বাণিজ্য ভারসাম্য: একটি দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য, যা তার রপ্তানিকে তার আমদানির সাথে তুলনা করে, তার মুদ্রার চাহিদাকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি বাণিজ্য উদ্বৃত্ত (আমদানীর চেয়ে বেশি রপ্তানি) একটি মুদ্রাকে শক্তিশালী করতে পারে, যখন একটি বাণিজ্য ঘাটতি (রপ্তানির চেয়ে বেশি আমদানি) এটিকে দুর্বল করতে পারে।

মৌলিক বিশ্লেষণ প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় যারা ফরেক্স মার্কেটে আরও কৌশলগত পন্থা গ্রহণ করে। যে ব্যবসায়ীরা মৌলিক বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে তারা সাধারণত মুদ্রা জোড়ায় জড়িত দেশগুলির অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করে এবং এই কারণগুলির বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মৌলিক বিশ্লেষণ হল ফরেক্স ট্রেডিংয়ের একটি পদ্ধতি, এবং কিছু ব্যবসায়ী জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মৌলিক এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের সংমিশ্রণ ব্যবহার করতে পারে।