বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদ তরী। যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে সম্প্রতি নোঙর তুলেছে আইকন অব দ্য সিজ নামের জাহাজটি। উচ্চতা আইফেল টাওয়ারের চেয়ে উঁচু এ প্রমোদ তরী প্রায় সাত হাজার যাত্রী ও কর্মী পরিবহন করতে সক্ষম। টাইটানিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ধারণক্ষমতা এ জাহাজের, আড়াই লাখ টন। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম দিক হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নির্মিত জাহাজের মধ্যে সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব এই আইকন অব দ্য সিজ। এই ক্রুজ শিপের ভেতরে রয়েছে থ্রিল আইল্যান্ড ও ইনডোর ওয়াটারফল। রয়েছে বিনোদনের সব ধরনের উপকরণ। ইউরোপীয় গড়পড়তা প্রমোদ তরীর তুলনায় এর কার্বন নিঃসরণের হার অনেক কম, যার প্রধান জ্বালানি মূলত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি। অবশ্য ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন ক্লিন ট্রান্সপোর্টেশনে পরিচালক ব্রায়ান কামার মনে করেন, ‘শিল্পে এ ধরনের জ্বালানি ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কোনো সমাধান নয়। বরং হাইড্রোজেন কিংবা মিথানল ব্যবহার করলে আরো কম গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হবে।’ আইকন ডিজাইন করা হয় সাত বছর আগে। ওই সময় এলএনজিকেই সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এ জ্বালানি ব্যবহারের জন্য নকশা ও কাঠামোগত পরিবর্তনকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আইকন প্রস্তুতির সময় পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনকে মাথায় রাখা হয়েছিল। অতিকায় জাহাজটিকে ডকে ভিড়িয়ে রাখা হলেও পানি থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারবে। ভেনিস, বার্সেলোনা ও আমস্টারডামের মতো বিখ্যাত বন্দরগুলো চলমান জলবায়ু সচেতনতার অংশ হিসেবে ক্রুজ শিপের আনাগোনা কমিয়েছে। সেদিক থেকে রয়্যাল ক্যারিয়ানের আইকন অব দ্য সিজ কিছুটা ব্যতিক্রম। অবশ্য ক্রুজশিপটি নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থের মারকি কিভার বলেন, ‘এলএনজিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যমে ক্রুজ শিল্প ভুল দিকে যাচ্ছে।’
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/796942018.jpg[/IMG]