[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1145698747.jpg[/IMG]
রফতানি হ্রাসের ফলে থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে শ্লথগতি দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কাউন্সিলের (এনইএসডিসি) তথ্যানুসারে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ১ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। কেননা ওই সময় থাই পর্যটন শিল্প বেশ চাঙ্গা ছিল এবং একই সঙ্গে মানুষের ভোগব্যয় বেড়েছিল। যদিও সম্প্রতি রয়টার্সের এক অর্থনৈতিক জরিপ পূর্বাভাস দিয়েছিল, পুরো বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৪ ও চতুর্থ প্রান্তিকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আবার এনইএসডিসির পূর্বাভাসেও ছিল এমন তথ্য। তাদের মতে, পুরো বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত বছরের বৈশ্বিক চাহিদায় শ্লথগতির ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রফতানিনির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের বার্ষিক জিডিপির উপাত্তেও এটি উঠে এসেছে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যসংকোচন নীতির ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্থর গতি এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার চীনের অর্থনৈতিক মন্দা এ প্রবৃদ্ধি হ্রাসের পেছনে দায়ী।
২০২৪ সালে ২ দশমিক ২ থেকে ৩ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে গতকাল পূর্বাভাস দিয়েছে এনইএসডিসি। সে *তুলনায় সম্প্রতি বেসরকারি খাতের অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ থেকে ৪ দশমিক ১ শতাংশের ভেতরে। তাদের এ ধারণার পেছনে রয়েছে ২০২৩ সালের চেয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত রফতানির চিত্র, খানা ব্যয় বৃদ্ধি এবং সরকারি খরচ বাড়ছে। একই সঙ্গে বিদেশী পর্যটকদের ভিড় এতে সাহায্য করবে। ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক (ইউওবি) গবেষণা সেন্টারের অর্থনীতিবিদ এনরিকো তানুউইডজাজা বলেন, ‘*২০২৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। কারণ থাই পণ্য ও পরিষেবার বৈদেশিক চাহিদা চাঙ্গা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত ভোগব্যয়ের স্থিতিস্থাপকতা এবং রাজনৈতিক ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে রাজস্ব প্রণোদনাও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে প্রভাব বিস্তার করবে। যদিও অর্থনীতির এ পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হতে পারে ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে উৎসারিত ঝুঁকির ফলে। আশাতীত বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি এবং চীনা অর্থনীতির আকস্মিক উত্থান থাই অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।’