[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1330034635.jpg[/IMG]
বিক্রি কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি প্রধান বাজারে গাড়ির মূল্য কমিয়েছে টেসলা। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির পতনকে এর কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বিশ্বব্যাপী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহের তীব্র পতন ঘটে। অবশ্য টেসলার জন্য মূল্য কমানোর বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরে নতুন কিছু নয়। বিশ্বের প্রধান গাড়ির বাজার চীনে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুখে পড়ে আগেও একই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, চীনে নতুন মডেল থ্রির প্রারম্ভিক মূল্য ১ হাজার ৯৩৪ ডলার কমেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মডেল ওয়াই, এক্স ও এস গাড়ির মূল্য কমিয়েছে ২ হাজার ডলার।
শুধু চীন বা যুক্তরাষ্ট্র নয় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও গাড়ির মূল্য কমিয়েছে এ অটো জায়ান্ট। বিষয়টি ইলন মাস্ক নিজেই নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি জানান, চাহিদা ও উৎপাদনের সংগতি বজায় রাখতে টেসলার গাড়িগুলোর মূল্য ঘন ঘন পরিবর্তন হতে পারে।
সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক ইভি খাতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস থাকলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বেশ ভাটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্লেষকরা বিভিন্ন সময়ে সতর্কতা জানিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েক দশকের পুরনো গাড়ি নির্মাতাসহ শাওমি, হুয়াওয়ের মতো হালের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এ খাতে নাম লিখিয়েছে। এ কারণে অন্য ইভি কোম্পানি বিশেষ করে চীনা সংস্থার সঙ্গে ব্যাপক প্রতিযোগিতায় পড়েছে টেসলা। গত বছর চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্য কমানোর দৌড়ে শামিল হতে বাধ্য হয় মার্কিন ইভিমেকারটি। ওই সময় মূল্য কমিয়ে সুফলও লাভ করে।
গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে টেসলা সম্প্রতি বেশকিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে পুরনো মডেলগুলোর পরিমার্জনের ধীরতা উল্লেখযোগ্য। সেমি ট্রাক প্রকল্পও অনেকটা বন্ধের মুখে। এ কারণে হারাতে হয়েছে অনেক গ্রাহক। এর বিপরীতে স্বল্পমূল্যের মডেল বাজারে ছাড়ছে বিওয়াইডি ও নিওর মতো চীনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা