টেকনিক্যাল এনালাইসিস করার জন্য আমরা নানা ধরনের ইনডিকেটরের সাহায্য নিয়ে থাকি ,যেমন MA, FIBO, Support, Resistant, RSI, Candle sticks pattern, Chart প্যাটার্ন ইত্যাদি। ঠিক তেমনি ফান্ডামেন্টাল (fundamental) এনালাইসিস করার জন্য কিছু ইনডিকেটর বা ডাটা বা নিউজ আছে যেগুলো দিয়ে বড় বড় অর্থনীতিবিদগণ ব্যবহার করে ফান্ডামেন্টাল (fundamental) এনালাইসিস করে থাকে। আমি আমার পক্ষ থেকে তা ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের কাজে আসবে। আজকে আমি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসএর একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক বা ইনডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব,
এজন্য আমাদের প্রথমে জানতে হবে মুদ্রাস্ফীতি প্রভাব এর ফলে কি হয়?
অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে কর্মচারীদের চাহিদা তত বৃদ্ধি পাবে। তাদের চাহিদা যত বেড়ে যাবে মজুরীও তত বেড়ে যাবে। মজুরী বেড়ে গেলে সাথে সাথে খরচ ও বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন পণ্যের বিক্রয়ও বেড়ে যায় এবং ঐ পণ্যটির দাম ও বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো (CPI) এবং (PPI) এর উপর ভিত্তি করে তাদের সিদ্ধান্ত তৈরি করে আর (CPI) এবং (PPI) এর জন্য তারা মুল চারটি নির্দেশক পরিসংখ্যান বা ইন্ডিকেটর নিউজকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই কিভাবে একটি মুদ্রার মূল্য বাড়ে অথবা কমে এবং সেই মুদ্রাকে আপনি কিভাবে মূল্যয়ন করবেন।
Consumer Price Index (CPI)ভোক্তা মূল্য সূচক - নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পণ্য ও সেবার গড় মূল্যের পরিবর্তনকে পরিমাপ করার সূচক হচ্ছে ভোক্তা মূল্য সূচক।
ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার মূল্য বোঝার জন্য। যদি ভোক্তা মূল্য সূচক বৃদ্ধি পায় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় যে জাতীয় মুদ্রা এর ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে। আর যদি ভোক্তা মূল্য সূচক হ্রাস পায় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় যে জাতীয় মুদ্রা এর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও বলতে হয় যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ভোক্তা মূল্য সূচক এর তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে, বিশেষ করে সুদের হার নির্ধারণে। এটা জানা কথা যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করে যাতে ভোক্তা মূল্য সূচক এর বৃদ্ধি থামানো যায়।
উৎপাদক মূল্য সূচক (Producers Price Index)- উৎপাদক মূল্য সূচকও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক মূল্য সূচক কে ইংরেজিতে বলা হয় Producers Price Index বা (PPI) যার দ্বারা অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা বোঝা যায়।
এককথায় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণে ভবিষ্যৎ কারেন্সি প্রাইস ভেলু নির্ধারণ বা অনুধাবন করার একটা প্রক্রিয়া। আরো সহজ করে বলা যেতে পারে, কোন একটা দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ঐ দেশের কারেন্সি ভেলুর যে পরিবর্তন ঘটে এবং তা বিশ্লেষণ বা বের করার যে একটা উপায় তা-ই হল ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের মুল মন্ত্র হল ভালো অর্থনীতিতে কারেন্সি ভেলু বাড়বে এবং খারাপ অর্থনীতিতে ভেলু কমবে, যেমনঃ ইন্টারেস্ট রেইট, এমপ্লয়মেন্ট সিচুয়েশন, ট্রেড ব্যালেন্সȷ,বাজেট, ট্রাজেরি বাজেট এবং গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট ইত্যাদির বিভিন্ন প্রভাবই হল বিভিন্ন ধরনের ফান্ডামেন্টাল ইস্যু। আরো যেসব বিষয় ফান্ডামেন্টালএনা াইসিসের আওতায় পড়ে সেগুলো হলঃ
১। গভমেন্ট ক্রাইসিস।
২। সরকার বা মন্ত্রী পরিষদের বড় কোন পরিবর্তন।
৩। দেশের অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশনায়।
৪। আন্তর্জাতিক দ্ধন্দ
৫। ইলেকশন পুর্ববর্তী সময়।
৬। প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের জন্য খুব বেশি সন্দিহান না থেকে দু-তিনটি বিষয় ব্যবহার এবং বিবেচনায় আপনি সহজে এই এনালাইসিস করে পারেন। সেগুলা হলঃ
১। ইকোনমিক ডাটাঃ
২। গোল্ড
৩। অয়েল
৪। ইকোনমিক ক্যালেন্ডার