[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1944947525.jpg[/IMG]
এভিয়েশন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি সৌদি আরব। বর্তমানে দেশটির জিডিপিতে প্রায় ২ হাজার ৮০ কোটি ডলারের অবদান রাখছে খাতটি। সৌদি এভিয়েশন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (জিএসিএ) প্রতিবেদনে বলেছে, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা দেশের অর্থনীতির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোয়ও ছড়িয়ে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ট্যুরিজম থেকে আসা প্রায় ৩ হাজার ২২০ কোটি ডলার আয়ে এভিয়েশন পরিষেবার অবদান রয়েছে।
জিএসিএর প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু এভিয়েশন খাত ২ লাখ ৪১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে। এছাড়া পর্যটন সম্পর্কিত ক্ষেত্রসহ মোট ৭ লাখ ১৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানে এর পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে।
২০২৩ সালের বৈশ্বিক এভিয়েশন খাতের প্রবৃদ্ধির হারকে সৌদি আরবের এ শিল্প ছাড়িয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রাক-মহামারী সময়ের তুলনায় দেশটির এভিয়েশন খাতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের আসন সক্ষমতা ১২৩ শতাংশ বেড়েছে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পুনরুদ্ধারের গড় হার যথাক্রমে ৯০ ও ৯৫ শতাংশ। গত বছরে ১১ কোটি ১৭ লাখ যাত্রী পরিবহনের হিসেবে সক্ষমতা বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
সৌদি পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রী এবং জিএসিএর চেয়ারম্যান সালেহ আল জাসের এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এভিয়েশন খাতের এ সাফল্য সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ অর্থনৈতিক কর্মসূচি এবং পরিবহন ও লজিস্টিক পরিষেবাগুলোর জন্য গৃহীত জাতীয় কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
এভিয়েশন ও পর্যটন খাত সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। জ্বালানি তেল নির্ভরতা কাটিয়ে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য আনতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি। এর অংশ হিসেবে দেশটি আরো বেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে চায়। একই সঙ্গে বৈশ্বিক লজিস্টিক হাব হিসেবেও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করাতে চায়।
সৌদি সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে পর্যটন খাত, ২০১৯ সালের তুলনায় যা ৩ শতাংশ বেশি।
এ লক্ষ্যে বাস্তবায়নে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর আধুনিকায়নে মনোযোগ দিয়েছে। এছাড়া উড়োজাহাজ বহরে নতুন এয়ারক্রাফট যোগ করতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে।
গত বছরের অক্টোবরে একটি সংস্কার পরিকল্পনা শুরু বাস্তবায়ন করেছে রিয়াদ। এর লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে এভিয়েশন খাতে ১০ হাজার কোটি ডলার সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা।