PDA

View Full Version : আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহন ও এ



MohabbatElahi
2017-01-16, 02:51 AM
3008
আগামী ২০ই জানুয়ারি শুক্রবার(12:00PM ET (17:00GMT) on Friday in Washington, D.C) মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে চলেছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেই বিদায় নেবেন আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা।সমাপ্তি ঘটবে কৃষ্ণাঙ্গ এ প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ আট বছরের রাজত্ব। হোয়াইটহাউস ইতোমধ্যে ওবামার শেষ ভাষণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেমন হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্র পরিচালনা….? তিনি কি সর্বক্ষেত্রে বিগত প্রেসিডেন্টদের পথেই হাঁটবেন, নাকি মার্কিনিদের জন্য নতুন কোন ইতিহাস সৃষ্টি করবেন?
**/**
ট্রাম্পের রাষ্ট্র পরিচালনা বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও বর্তমানে উইলসন সেন্টারের সিনিয়র ফেলো উইলিয়াম বি মাইলাম বলেন।--“ইটস টু আর্লি টু কমেন্ট”। কেননা ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তবে ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহনের পর পররাষ্ট্র বিভাগে কারা কাজ করছেন সেটা জানা গেলে অন্তত আমরা ডনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে কিছুটা আঁচ করতে পারবো--- সূতরাং ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহন, রাষ্ট্র পরিচালনা ও পরারাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মার্কিনীদের সাথে সমগ্র বিশ্বও সম্পূর্ণ অন্ধকারেই থেকেগেছে।
**/**
এছাড়া সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে তার বহুরূপী আচরন। নির্বাচনের পূর্বে নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট যেসব বক্তব্য দিয়ে হিলারি ক্লিন্টন কে বেকায়দায় ফেলার পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন, নির্বাচন পরবর্তিতে সেসব বক্তব্য থেকে তিনি সম্পূর্ণ সরে এসেছেন। উদাহরণস্বরূপ ফ্লোরিডার এক আলোচনা সভায় তিনি ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জিহাদী সংগঠন আইএস এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উল্লেখ করে সমগ্র বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন।ঠিক এমনই আরেকটি মন্তব্যছিল হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে। তিনি বলেন, “রাশিয়া, তোমরা কি শুনছ আমায় ? আশা , হিলারির যে ৩০ হাজার ইমেলের কোনো খোঁজ নেই, তার হদিস তোমরাই দিতে পারবে” যা পরবর্তিতে এফবিআই-এর তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
কিন্তু সমগ্র বিশ্বে হেডলাইন হওয়া এসব বক্তব্য বিষয়ে ট্রাম্প পরবর্তিতে সুর পাল্টিয়ে এক টুইটার বার্তায় বলেন, 'আমি তো এসব মজা করে বলেছিলাম। বিষয়টা নিয়ে মিডিয়াই বাড়াবাড়ি করছে। ওরা মজাই বোঝে না।'
**/**
তার এমন ডিগবাজি মূলক আচরন এখন মার্কিন নীতিনির্ধারকদের দারুন ভোগাচ্ছে। যার ফলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বোদ্ধারা ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কে এরুপ মন্তব্য করেছেন যে“ আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি তা ‘ভীতিকর’; আর এখনো যা জানি না হতে পারে তা আরো ভয়ঙ্কর” সূতরাং এটা পরিস্কার যে মার্কিন এ প্রেসিডেন্টর গতিবিধি সন্দেহ জনক।তার প্রকৃত চরিত্র এখনো অজনা?
++/++
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সহ সমগ্র বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতে চলছে তা কিভাবে দেখছেন নবনিবার্চিত এই প্রেসিডেন্ট তার সম্ভাব্য বিভিন্ন দিকে নিয়ে বিশ্লেষকগন অনেকটাই অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।তবে এক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত মূল্যায়ন হচ্ছে ট্রাম্পের গতিবিধি খুবই ভয়ংকর এবং সমগ্র বিশ্ব কে একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাড় করাবে এতে কোন সন্দেহ নেই যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বার উন্মুক্ত করবে। আমি যে কয়টি বিষয় পয়েন্ট আউট করেছি তা হচ্ছে...
০১) সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি সিরিয়া সংকট সমাধানে বাশার আল আসাদ কে নিরাপদ মনে করেন যা আরব গালফ মেনে নিবেনা।সূতরাং পরিস্থিতি আরো জটিল হবে।
০২) ট্রাম্প মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সাথে সম্পর্ক উন্নায়নে গুরুত্ব আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন যা মিশরের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমূলে ধংস করে দিবে।
০৩)ইরান নীতিতে তিনি আঙ্কারা,কায়রো এবং রিয়াদ কে নিয়ে মার্কিন সমর্থিত “সুন্নি ট্রায়েঙ্গেল” তৈরি করতে তাদের বিশ্বস্ত মিত্র সৌদিকে প্রলুব্ধ করতে পারেন।যা ইরান ও রাশিয়া কখনো মেনে নিবেনা। অর্থাৎ সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানের কোন সম্ভাবনায় নেই বরং তা আরো উস্কে দিতে পারেন নব নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট।
**/**
তবে তার বিগত দিনের বক্তব্যগুলোর মাঝে শুধু মাত্র দুটি বিষয় কেবল সন্তুষ্ট জনক বলে মনে করছি। আর তা হচ্ছে,ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আভাস দিয়েছেন।যা দুই পরাশক্তির মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে সহাবস্থানে বা সৃষ্ট দৃরুত্ব কমাতে সম্ভাবনা তৈরি করবে। আপর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ ,অপ্রতিরোধ্য চীনের সাথেও তিনি কাজ করতে আগ্রহী বলে ঘোষনা দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে চীন থেকেও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এবং তিনি একক চীন নীতি ঘোষনারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
------------------------------------------------------------------------------
Md Mohabbat E Elahi
Admin: Forex online training academy Bangladesh

RUBEL MIAH
2017-04-28, 07:08 PM
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ ,অপ্রতিরোধ্য চীনের সাথেও তিনি কাজ করতে আগ্রহী বলে ঘোষনা দিয়েছে । র্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সহ সমগ্র বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতে চলছে তা কিভাবে দেখছেন নবনিবার্চিত এই প্রেসিডেন্ট তার সম্ভাব্য বিভিন্ন দিকে নিয়ে বিশ্লেষকগন অনেকটাই অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ।