PDA

View Full Version : বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ফরেক্স



SaifulRahman
2018-03-15, 03:13 PM
বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমশ এগিয়ে চলছে এবং স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনীতি থেকে মধ্যম আয়ের দেশের অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে চলছে। তারপরও বাংলাদেশ সরকার ফরেক্স মার্কেটে অনুমোদিতভাবে লেনদেন করার জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যদিও ফরেক্স বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থিক বিনেয়োগের মার্কেট। এই নিষেধাজ্ঞার কতগুলো কারনগুলো থাকতে পারে তা নিচেে উপস্থাপন করছি।
প্রথম কারন হল: বাংলাদেশ এর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা সরকার রির্জাভ থেকে কমাতে চায় না এবং টাকার মান বাড়াতে চায় কেননা একটি দেশের আমদানি ব্যয় প্রাথমিক ভাবে রিজার্ভ থেকে নির্বাহ করা হয় এবং কোন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যত বৃদ্ধি পায়, ঐ দেশের মুদ্রা মান তত ডলার বা যে কোন বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাড়তে থাকে।
দ্বিতীয় কারন হল: রাজনৈতিক কারনে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ্যভাবে মুদ্রা পাচারে হবার সম্ভাবনায় রয়েছে। অবশ্য ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ( আটশত আট কোটি টাকা) ডিজিটাল পদ্ধতিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা হয়।
তিত্বীয় কারন হল: মুদ্রা পাচারে হবার সম্ভাবনায় বাংলাদেশের কোন ব্যংকেই বাহিরে গেটওয়েগুলোতে ডিপোজিট করে না কিন্তু ঐ গেটওয়েগুলোত থেকে টাকা উইড্রো ঠিকই করা যায়।

যদিও এটাগুলো আমার ব্যাক্তিগত মতামত, তাই আপনাদের কাছে যদি কারন থাকে তাহলে সেটা উর্লেখ্য করতে পারেন।

SumonIslam
2018-03-15, 03:29 PM
সম্প্রতি একটি নিউজ হল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ভিয়েতনামের পর বাংলাদেশ, সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের সরকার অর্থনীতির জন্য নিরলস কাজ করছে, এছাড়াও তার প্রমান হল নতুন ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়েছে এবং সারা দেশে মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। যদিও শেয়ার মার্কেট নিয়ে সরকারের বর্থ্যতা ছিল কিন্তু বর্তমানে দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন দেখলাম ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। যদিও ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এর লেনদেনের পরিমান বিশ্বের অন্য মার্কেটগুলোর তুলনায় খুবই কম। আর ​​​​​পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ (আমেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জ) যার থেকেও ফরেক্স মার্কেটের মোট লেনদেনের প্রায় ৩০ গুনেরও বেশি। তারপরও বাংলাদাশে সরকার ফরেক্স ট্রেডিংয়ে অনুমতি দিচ্ছে না।

FXBD
2018-03-27, 11:14 AM
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পদক্ষেপ এর কারনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ - ডিএসইতে এর সাথে চীনের স্টক এক্সচেঞ্জ এর যুক্ত হয়ে অংশীদারিত্ব হচ্ছে, ফলে খুব শীঘ্রই দেশের শেয়ার বাজার চাঞ্চল্য ফিরে পাবে এবং ডিএসইতে চাঙ্গা ভাব দেখা যাবে। তখন ব্রোকারেজ হাউসগুলো ফিরে পাবে কর্ম চাঞ্চল্য। মতিঝিলের চা বিক্রেতা ও রেষ্টুরেন্টগুলোতে আবারও জমে উঠবে রমরমা ব্যবসায়। সর্বোপরী ৩৩ লক্ষ বিনিয়োগকারীদের মুখে মধুর হাঁসি ফুঁটে উঠবে!

Montu Zaman
2019-01-13, 11:27 AM
২০১৯ সালের শুরু আগে থেকেই ডলারের বিপরীতে টাকার মানে দরপতন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে ২০১৭ সালের জুলাইয়ের শুরুতে ১ ডলার ৮০ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০১৮ সালের জুন শেষে ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আর গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এটি আরো বেড়ে ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা হয়েছে। ফলে ডলারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বিভিন্ন কোম্পানির গ্রস প্রফিট মার্জিন ও নিট প্রফিট মার্জিন দুটোই কমেছে।