PDA

View Full Version : চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের ট্রেড ওয়ার!!!



Tofazzal Mia
2018-04-22, 04:28 PM
5791
চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট সকল ক্ষেত্রে ব্যবসায় নিয়ে সরাসরি যুদ্ধ নেমেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিং বিভিন্ন গনমাধ্যমগুলোতে তাদের পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন।
তারা দুজনই খুব আক্রমনাত্মক এবং তারা ইতোমধ্যে বলেছে তারা বিশ্বকে শাসন করবে। আসলে কি সত্যিই তারা পুরোবিশ্বকে শাষন করতে পারবেন?
আপনি এটাকে কিভাবে দেখছেন কিংবা এটা কি তাদের পক্ষে সম্ভব মনে করেন?

Montu Zaman
2018-04-23, 05:28 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ যে কিনা ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা রয়েছে, যা খুব একটা ভাল জিনিস নয়। মার্কিন সরকার যুদ্ধে নামার আগেই আমার মনে হয় তারা দেউলিয়া হয়ে যাবে। অন্য দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন সারা বিশ্বে একটি ঘৃণিত নাম।
চীনের স্বর্ণ কেনা এবং মার্কিন কোষাগারে তাদের রিজার্ভ এর টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে, ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেমন একটা সুবিধা করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।

Tofazzal Mia
2018-05-15, 04:16 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও চীনের মধ্যে শুধু ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপ নিয়ে নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে টেকনোলজি যুদ্ধে নেমেছে। এই বাণিজ্যযুদ্ধ বা প্রযুক্তিযুদ্ধ কোনটার পরিনাম শুধু যে চীনে বা মার্কিন যুক্তরাষ্টে প্রভাব পরবে সেটা নয়। বরং চীন-মার্কিন এই যুদ্ধের তীব্র প্রভাব পরবে বিশ্ব অর্থনীতিতে। প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট ইস্পাত আমদানি সীমিত করলে বা তাতে শুল্ক আরোপ করলে কানাডা, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া আক্রান্ত হবে। এভাবেই সেটা প্রভাব ফেলবে সে সব দেশের কারেন্সীগুলোতে। সুতরাং ফরেক্স মার্কেট হবে উত্তাল!

Montu Zaman
2018-05-21, 03:19 PM
আমরা সবাই জানি আমেরিকা ও চীন একটি ট্রেড ওয়ার বা বাণিজ্য যুদ্ধের মুখমুখি অবস্থানে দারিয়ে রয়েছে যা সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য এর জন্য হুমকি এবং যদিও এটি অন্য দেশগুলোর হাতে কোন কিছু করার নেই। এই যুদ্ধে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিকে নরবড়ে করে দিবে। কিন্তু কালকের ২০ শে মে ২০১৮ এর নিউজ দেখলাম যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে!
আপনি এটা সম্পর্কে কি ভাবছেন?

Tofazzal Mia
2018-05-22, 01:03 PM
ট্রেড ওয়ার খুব ভাল নয় এবং এটি বিশ্বের সকল ট্রেডারদের টেনশনে ফেলে দিবে যেহেতু এই ট্রেড ওয়ার এর প্রভাব অনেকদিন ধরে পৃথিবীজুড়ে চলবে। চীন আসলে বুঝতে পেরেছে যে অর্থনৈতিক শক্তির শীর্ষ স্থানটি দখল করতে হলে একা সে কখনোই এটা করতে পারবে না এবং তার টার্গেট পুরন করার জন্য অন্যান্য দেশগুলিরকে এর সাথে যুক্ত করতে হবে।

Montu Zaman
2018-05-23, 01:38 PM
সোমবার ওয়াশিংটন ও বেইজিং ট্রেড ওয়ারের মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এই দুটি দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির জন্য তারা আরো বেশি বেশি আলোচনা করতে রাজি হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির পর উভয় রাষ্ট্রই বার্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের লক্ষ্যে চীন কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অতিরিক্ত এনার্জি ও কৃষি পণ্য আমদানি করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য চীনের সাথে ৩৩৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানীর প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও এটার বিস্তারিত এবং কম সময়ের মধ্যে এটা বোঝা যাচ্ছে না।

Tofazzal Mia
2018-05-24, 02:39 PM
যদি কোন ট্রেড নিয়ে যুদ্ধ হয় তবে আমি মনে করি চীন জয়ী হবে কারণ তারা এমন এক দল রাষ্ট্র পরিচালনা করছে যারা ভবিষ্যতের লক্ষ্যকে তাদের বাস্তবে দৃষ্টিগোচর করতে পারে। তাদের মতে গণতন্ত্র সম্পর্কে খারাপ জিনিসের ফলে তারা শুধুমাত্র পরবর্তী নির্বাচনের উপর মনোযোগ দিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির মাত্র দুটি পদ দিয়েছে এবং তাই তারা রাজনীতিতে সমসময় ব্যস্ত থাকে। চীন ও রাশিয়ার মতো তাদের নিজস্ব ক্ষমতা ব্যবহারের সঠিক উপায় রয়েছে যেমন পুতিন এবং চী জিনপিং।

SumonIslam
2018-06-05, 05:50 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অন্যের পণ্যের ওপর ক্রমাগত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিচ্ছে যা সর্বাত্মক ট্রেড ওয়ারের চরম রুপ ধারন করছে এবং এই ট্রেড যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে তীব্র প্রভাব ফেলবে। তৈল এর দাম বাড়তে শুরু করেছে ফলে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমে যেতে পারে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া ও চীন। মুলত অস্ত্র ব্যবসায় আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে চীন!

SUROZ Islam
2018-06-24, 04:45 PM
গ্লোবাল ট্রেড ওয়ার এর একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিশ্ব। গত সোমবার ট্রাম্প ২০০ বিলয়ন ডলার সমমুল্যর চাইনিজ প্রডাক্ট এর উপর ট্যারিফ কার্জকর করার অর্ডার করছে ১০% ট্যারিফ এর জন্য। পালটা জবাব হিসেবে চায়নাও আমেরিকান প্রোডাক্ট এর উপর ট্যারিফ বসাইছে। আবার ইউরোজোন ৩.২ বিলিয়ন ডলার সমমুল্যর ট্যারিফ বসানোর ঘোষনা দিয়েছে আমেরিকান প্রডাক্ট এর উপর। আবার তুরস্ক আমেরিকান প্রডাক্ট এর উপর ২৬৬.৫ মিলিয়ন ডলার সমমুল্যর ট্যারিফ বসাইছে পক্ষান্তরে আমেরিকা বসাইছে ১.১ বিলিয়ন ডলারের। আজকে আবার ট্রাম্প টুইট করে গারির উপর ২৫% ট্যারিফ এর হুমকি দিছে। গাড়ির উপর হুমকি মানেই ইন ডাইরেক্টলি জার্মানির উপর হুমকি।

SaifulRahman
2018-06-27, 12:35 PM
সর্ববৃহৎ অর্থনীতির এই দুটি দেশের এই সংঘাতকে অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখা হচ্ছে বিশ্ববাণিজ্যের জন্য। যেমন ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা ইতোমধ্যেই দিয়েছে চীন।চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের নতুন ঘোষণাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।বেইজিং বলছে, ইতোপূর্বের বৈঠকগুলোতে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে এটি তার বিরোধী।আন্তর্জাত ক সম্প্রদায়কেও হতাশ করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণা।পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। ফলে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের ওপর।দেশের সুতার বাজারেও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।তুলার মূল্যবৃদ্ধির কারণে সুতার দামও বেশি চাইছেন স্পিনাররা। এ বিড়ম্বনারর মূল কারণ দুই পরাশক্তির মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ।
https://bartaprotikkhon.com/wp-content/uploads/2018/06/326450_138-800x443.png

Montu Zaman
2018-06-28, 12:39 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ট্রেড ওয়ারের প্রভাব বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র পরতে শুরু করেছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ট্রেড ওয়ারের সবার মধ্যে একটি ভয়ের সঞ্চার করেছে যার ফলে বিনিয়োগকারী অনেক দেখেশুনে বিনিয়োগ করছে এবং এর ফলশ্রতিতে বিশ্বের বড় বড় শেয়ার মার্কেটে বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার মার্কিন প্রযুক্তিতে বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগের উপর কিছু নীতিমালা প্রকাশ করবে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস চীনের অনুচিত বাণিজ্য ও বুদ্ধি দিয়ে সম্পত্তির গ্রাসের অভ্যাসে জন্য বিদেশী বিনিয়োগ কমানোর জন্য একটি বিল পাস হবার কথা রয়েছে যা সারা বিশ্বে এবার প্রযুক্তি পণ্যের যুদ্ধে অবর্তি ন হবে এবং ব্যাপকভাবে সব দেশে ব্যবসায় বাণিজ্যের উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে।
http://media.sarpoosh.com/images/9701/97-01-c13-604.jpg

Tofazzal Mia
2018-07-05, 03:07 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে , আগামী ৬ই জুলাই শুক্রবার থেকে ট্যারিফ চালু করবে দুইদেশ এবং এর ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এছাড়াও চীনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস। যদিও ২০১৭ সালে সিউলে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা (থাড) স্থাপন করা নিয়ে বিরোধের জেরে দেশটি সব ধরনের পর্যটকদের দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

rafiuqlislam
2018-07-05, 06:56 PM
চীন ও মার্কিন ট্র্র্র্রেড ওয়ার শুরু হয়েছে অনেক দিন হলো ।কিছুদিন আগে দেখলাম চীনের প্রেসিডেন্টও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মধ্যকার করমর্দন পূর্বক হাস্যোজ্জল চেহারা ।বিশ্ববাসীর মাঝে একটা স্বস্থির ভাব দেখা গেল।আমরা চাই বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতি।

Tofazzal Mia
2018-07-08, 06:43 PM
চীন ও মার্কিন ট্র্র্র্রেড ওয়ার শুরু হয়েছে অনেক দিন হলো ।কিছুদিন আগে দেখলাম চীনের প্রেসিডেন্টও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মধ্যকার করমর্দন পূর্বক হাস্যোজ্জল চেহারা ।বিশ্ববাসীর মাঝে একটা স্বস্থির ভাব দেখা গেল।আমরা চাই বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতি।

এর আগে শুধু এক অনের বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যে উপর একই পরিমাণ ট্যারিফ ধার্য্য করে যুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছিল মাত্র, কিন্তু গত শুক্রবার থেকে ওয়াশিংটনের সময় মধ্যরাত থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ঐসকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ হাজার ৪শ' কোটি ডলারের ট্যারিফের পরিবর্তে মার্কিন পণ্যেও একই পরিমাণ ট্যারিফ আরোপ করে চীন, যেখানে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪৫ টি পণ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের ৮১৮ টি পণ্যের ওপর একই পরিমাণ ট্যারিফ বাস্তবায়ন করেছে। যেটা বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে।

Rakib Hashan
2018-07-15, 04:03 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিজনেস এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনকে 'চিহ্নিত' করেছে। তারপর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সকল চীনা পণ্যের ওপর ট্যারিফ ধার্য্য করে ‘‘ট্র্র্র্রেড-ওয়ার’’ শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ট্যারিফ আরোপের ঘটনায় চীন না আমেরিকা কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেটা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। যদিও বিশ্লেষকদের ধারণা, এই ট্র্র্র্রেড-ওয়ারে সবচেয়ে চীনের কৃষকরা ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা এবং ভোক্তারাই। এছাড়া এই ট্র্র্র্রেড-ওয়ারের সবচেয়ে বড় প্রভাব পরবে আন্তর্জাতিক শেয়ার মার্কেটগুলোতে। গত ৬ই জুলাই থেকে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪৫ টি পণ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের ৮১৮ টি পণ্যের পরিমাণ ট্যারিফ ধার্য্য কার্যকর করা হয়েছে।

rafiuqlislam
2018-07-15, 04:36 PM
চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্রেড ওয়ার নতুন কিছু নয়।তবে মাঝে মাঝে আমরাই আতঙ্কিত হয়ে যাই এজন্য যে, কখন কি হয় ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছা বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার।কিন্ত চীন এ ব্যাপারে ছাড় দিতে নারাজ যার পরিপেক্ষিতে চলছে দুই দেশের মধ্যে ট্রেড ওয়ার।আমরা এর শান্তিপূর্ন একটা সমাধানের আশাকরি।

Montu Zaman
2018-07-24, 04:36 PM
বিশ্বব্যাপী মুদ্রা যুদ্ধ বা কারেন্সি ওয়ার প্রকট আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের ট্রেড-ওয়ার বেঁধে গেল যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপরও। ১ সপ্তাহে ইউয়ানের বিপরীতে ডলারের ৪%শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। তেমনি বালাদেরে টাকার বিপরীতে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটলে চাপে পড়তে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, এছাড়াও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে প্রবাসী আয়েও। এমন অবস্থায় চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের ট্রেড-ওয়ার বা বাণিজ্য যুদ্ধের গতি প্রকৃতির ওপর গভীরভাবে ট্রেডার সহ সবার নজর রাখার উচিৎ হবে বলের আমার মনে হয়।

rafiuqlislam
2018-07-24, 05:15 PM
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ওয়ারের বাতাস আজ আমাদের দেশেও লক্ষনীয়্।মুলতঃ সারা বিশ্বে এখন বানিজ্যযুদ্ধ প্রকট আকার ধারন করছে।ফলশ্রুতিতে কেউ আর ভাল নেই। সবার মাঝে আতঙ্ক কখন কি হয় ?

Montu Zaman
2018-07-25, 05:04 PM
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ওয়ারের বাতাস আজ আমাদের দেশেও লক্ষনীয়্।মুলতঃ সারা বিশ্বে এখন বানিজ্যযুদ্ধ প্রকট আকার ধারন করছে।ফলশ্রুতিতে কেউ আর ভাল নেই। সবার মাঝে আতঙ্ক কখন কি হয় ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও চীন ট্রেড-ওয়ারের চেন রিঅ্যকাশনের ফলে অন্যান্য দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন ক্রেতাদের নিজ দেশের পণ্য ব্যবহারের উপর জোড় দিলেও ম্যানুফ্যাকচারার ের তোপের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। অবশ্য চীন ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিশ্বে এগিয়ে রয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং এর সাথে লোকবল ও রপ্তানি খুবই গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যাই হোন না কেন সুরো বিশ্বের অর্থনীতি ও রাজনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও চীন ট্রেড-ওয়ারের সাথে সম্পর্ক এক সুত্রে বাধা।

DhakaFX
2018-07-26, 01:08 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের আমদানি পণ্যের উপর পাল্টা-পাল্টি অতিরিক্ত ট্যারিফ কার্যকর করার পর থেকেই বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক কিছু ঘটে চলেছে। ট্যারিফের মাধ্যমে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে কি পরিমাণ জটিল করে তুলবে তার পরিমাপ করতে অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছে। তবে এটা নিশ্চত যে এই এই ট্যারিফ যুদ্ধ বন্ধ না হলে উভয় পক্ষ এবং সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির উপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব পরবে।

rafiuqlislam
2018-07-26, 04:49 PM
আজ বিশ্ব বানিজ্য যুদ্ধ তুমুল আকার ধারন করছে।চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যে বানিজ্য যুদ্ধ তা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। আমরা একটা স্বস্থির নিস্বাস নিচ্ছিিলাম এই মাত্র কয়েকদিন আগে।আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে করমর্দনের চিত্র যখন আমরা দেখলাম তখন।কিন্ত সেটা বাস্তবে দেখলাম ঠিক তার উল্টা।উভয় নেতার প্রতি আমাদের বিনীত দাবী আপনারা একটা সমাধানে আসুন। আমরা শান্তিচাই আমরা স্বস্থিতে বা*চতে চাই।আপনারা বিশ্ববাসীকে................. ........?

DhakaFX
2018-07-30, 06:44 PM
গত বুধবারে ট্রেড ওয়ার ইস্যুতে ট্রাম্প এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়িন প্রতিনিধি জাংকার ওয়াশিংটনে মিটিং করে। সেখানে একটা পজিটিভ সংবাফ আউট কাম হয়েছে মুখে মুখে। ট্রাম্পের কাছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে প্রস্তাব করা হয় জিরো ট্যারিফ, জিরো নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার এবং অটোমোবাইল শিল্পে কোন ধরনের সাবসিডারি শ্তল্ক রাখা যাবে না। এবং সকল ধরনের ট্যারিফ তুলে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় জাংকার। ট্রাম্প এটাকে একটা গঠনমুলক মিটিং বলে মন্তব্য করায় সাময়িম ইউরো শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিল ডলারের বিপরীতে। কিন্তু এর পরেই ট্রাম্প এখনো অনেকদূর আমাদের আগাতে হবে বলে মন্তব্য করার পর মার্কেত ভোলাটিলিটি কমে যায়। ইউরো আর ১.১৭৬০ ব্রেক আউট করতে পারে নাই। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প টুইট করে চিন তাদের কৃষকদের টার্গেট করতেছে। চিন অলরেডি আমেরিকা থেকে সয়াবিন কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ট্যারিফ কার্যকর হওয়ার পর। এদিক দিয়ে আমেরিকাও চিনের উপর হিউজ পরিমান ট্যারিফ দিয়ে রেখছে। যদিও ট্রাম্প চাচ্ছে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সাথে ট্রেড কনফ্লিক্ট এ জড়াতে। কিন্তু জার্মানির অনেক গাড়ির কোম্পানি আছে চিনে। এক দেশের সাথে বানিজ্য রেখে আরেক জনের সাথে কন্টিনিউ করা ট্রাম্প এর জন্য টাফ হয়ে যাবে। আমার মতে ট্রাম্প এর সিদ্ধান্ত আমেরিকাকে ভোগাবে। এদিক দিয়ে আমেরিকার ট্যারিফ এর কারনে চিনের ইকোনোমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে , এই ক্ষতি থেকে বাচতে অলরেডী চিন কম্বাইনিং ট্যাক্স কাট শুরু করেছে, ৭৪ বিলিয়ন ডলার ইকোনোমিতে ইনভেস্টমেন্ট করছে এবং চাইনিজ ইউয়ান একচেঞ্জ রেট দুর্বল করে প্রোডাক্ট প্রাইজ চিপ রাখার চেষ্টা করতেছে।

SumonIslam
2018-07-31, 04:58 PM
আমেরিকা ও চীনের এই ট্রেড ওয়ার মুলত বিশ্ব অর্থনৈতিকে আধিপত্য করার যুদ্ধ। ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রেড ওয়ারের মধ্যে বাংলাদেশ নামও উল্লেখ করেছেন। তিনি ৪০ থেকে ৫০% ট্যারিফ বৃদ্ধির কথা বলেছেন এবং এই ট্যারিফ বৃদ্ধি বিল পাশ হয়ে কার্য কর করা শুরু হয়েছে। অাঙ্কটাড প্রেডিক্ট করেছে এই ট্রেড ওয়ারে পশ্চিমা বিশ্বে ও চীনে ( ০% থেকে ৪০% পর্যন্ত) ট্যারিফের হেরফেরে তাদের অর্থনীতির জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ সে সব দেশের এটা মোকাবেলা করার মতো অবস্থা আছে। চীন দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ আগে থেকেই গড়ে তুলেছে। আঞ্চলিক সামুদ্রিক বন্দর, আন্ত-রাষ্ট্রীয় সড়ক যোগাযোগ, ইত্যাদির মাধ্যমে একটা স্থিতিশীল বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পর্ক সৃষ্টি করে রেখেছে কিন্তু একই সময়ে আমাদের মতো দেশে ট্যারিফ ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি (অবশ্যই পশ্চিমা কর্তৃক) হতে পারে যা আমাদের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত।

DhakaFX
2018-08-02, 06:46 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ট্রেড ওয়ার অচলাবস্থা তৈরি করেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যে ট্যারিফ বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে। চীন পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে সমমূল্যের মার্কিন পণ্যে শুল্ক ধার্য করে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে—এমন আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা রপ্তানির তালিকা প্রকাশ করলে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তালিকায় ছিল ফলমূল ও সবজি, হাতব্যাগ, রেফ্রিজারেটর, রেইন জ্যাকেট ও বেসবল প্লাভস। ওই শুল্ক, যা এখন আরও চড়া হতে পারে, সেপ্টেম্বর নাগাদ কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

DhakaFX
2018-08-28, 06:26 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ট্রেড ওয়ার ধারণার চেয়েও অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এটি প্রায় ২০১৯ সাল বা তারও বেশি ধরে চলতে পারে। যেহেতু কোনো পক্ষই নিজেদেরকে দুর্বল মনে করে না এবং উভয়ই ইতিমধ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সুতরাং পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে এই যুদ্ধে কেউ কাউকে ছাড় দিবে না। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষক, ইস্পাত ব্যবহারকারী এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। চীনের উৎপাদনকারীরা তাকিয়ে দেখবে যে তাঁদের ব্যবসাগুলো ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো প্রতিবেশীদের কাছে চলে যাচ্ছে।

SUROZ Islam
2018-08-29, 04:37 PM
আমেরিকা ও চীনের ট্রেড ওয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে, যার প্রভাবে এবারের কোরবানী ঈদের পর দেশের চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। কেননা বাংলাদেশের চামড়ার মুল মার্কেট হলো চীন, কিন্তু দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন বিগত তিন মাস যাবৎ বাংলাদেশ থেকে চীনে কোন চামড়ার রফতানি হয়নি। চীন চামড়া নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, আগের অর্ডার বাতিল করেছে এবং নতুন কোনও অর্ডারও দিচ্ছে না। ফলে চীনের আগের অর্ডারের প্যাকিং করা প্রায় ১০০ কন্টেইনার এখনও নিচ্ছে না চীন।

Montu Zaman
2018-09-06, 11:51 AM
যদিও ট্রেড ওয়ার এখনো পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেই রয়েছে, কিন্তু অতি শীগ্রই এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করবে। যেমন একন কিছুটা প্রভাব পড়েছে ইইউ ও কানাডা থেকে আমদানি করা স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর এবং পরবর্তীতে এটা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। আর বিশ্ব অর্থনীতিতে এই ট্রেড ওয়ারের ফল হবে ভয়ানক, তবে কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর চীনের শুল্ক আরোপের কারণে লাভবান হতে পারে। যেমন: চীন সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, লাওস ও শ্রীলংকা থেকে আমদানির ওপর শুল্ক হ্রাসের একটি লম্বা তালিকা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশকে শুল্ক হ্রাসের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে এবং এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

Tofazzal Mia
2018-09-12, 04:00 PM
যারা চীনের কাছে হেরে যাচ্ছেন তারা হয়তো হতাশ হবেন, কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করতে পারে না যে, কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিক দিয়ে চীন এর থেকে পিছনে পড়ে আছে। যদিও চীন অভ্যন্তরীণভাবে অনেক বেশি প্রাণবন্ত। এছাড়াও আমার মনে হয় যে ট্রেড ওয়ারে তাদের দেশকে জাতীয় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য চীনের প্রত্যাশা পূরণের চেয়েও বেশি।

SaifulRahman
2018-09-18, 05:26 PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাচ্ছে চীনা পণ্যের ওপর ২০ হাজার কোটি ডলার সমপরিমান শুল্কা আদায় করতে, আর চীন এক্ষেত্রে আত্মরক্ষা করার পাল্টা আক্রমণ করে চীন শুল্ক আদায় করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। আগামীতে যদি ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর আবারও কোন অতিরিক্ত শুল্কারোপ করে, তবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটনের সাথে ব্যবসা- বাণিজ্য নিয়ে যে মিটিং এর কথা রয়েছে সেটা বাতিল হয়ে যেতে পারে এবংসব ধরনের সমঝোতায় পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

FXBD
2018-09-24, 03:40 PM
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার ট্যারিফ আদায় করার লক্ষ্য আজ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। যার প্রভাবে চীনের মার্কেট থেকে উৎপাদন কার্যক্রম সরিয়ে নিচ্ছে এশিয়ার বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো। এই কোম্পানীগুলোর তালিকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এসকে হাইনিকস ও জাপানের মিত্সুবিশি, তোশিবার মতো অনেক কোম্পানি। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে বাণিজ্যযুদ্ধে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে খেসারত দিতে হতে পারে ৪৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Tofazzal Mia
2018-10-02, 04:32 PM
দুটি আমেরিকান চেম্বার্স অব কমার্স প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বিশ্বের শীর্ষ দুই পরা শক্তির অর্থনীতির মধ্যে চলমান ট্রেডওয়ারের জের ধরে চীনে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধে্য চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব নিয়ে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, চীনে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মার্কিন কোম্পানির ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পরিকল্পিত আরো ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে আরো বেশি মার্কিন কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে

SaifulRahman
2018-10-09, 01:03 PM
বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং ও রফতানির আউটলুক এখন হুমকির মুখে। এ অবস্থায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির প্রবৃদ্ধির ওপর ক্রমে চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় চলতি বছর চতুর্থবারের মতো ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার কমিয়েছে পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি)। ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন এ নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার (৭৫ হাজার কোটি ইউয়ান) যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সহায়তামূলক পদক্ষেপ সত্ত্বেও সোমবার চীনের শেয়ারবাজারগুলোয় দরপতন লক্ষ করা গেছে।

Tofazzal Mia
2018-10-10, 04:03 PM
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেছে যে, বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে আমাগী দিনগুলো বিশ্ব অর্থনীতির জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের চেয়ে আরো কমিয়ে আনতে হবে। যুক্তরাষ্টের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০১৭ সালে ২.২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ২.৪ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২.১ শতাংশ হতে পারে। আবার চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০১৭ সালে ৬.৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬.৬ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২.২ শতাংশ হতে পারে।

Rassel Vuiya
2018-11-01, 04:26 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের সুবাদে বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি হবে বলে আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীন। এ দুইয়ের প্রভাবে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে ডিসেম্বরের শুরুতেই দেশটি থেকে আমদানি করা সব পণ্যেই অতিরিক্ত শুল্কারোপ হবে— যুক্তরাষ্ট্রের এ হুমকির কারণে বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন মাত্রা পাবে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারের এ দরবৃদ্ধি টেকসই হবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও চলতি বছরের অক্টোবরে মন্থর হয়ে পড়তে দেখা গেছে চীনের কারখানা কার্যক্রম, যা মার্কিন শুল্ক ও দুর্বল ইউয়ানের মুখে অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে হিমশিমরত এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটির জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ।

SaifulRahman
2018-11-04, 03:49 PM
https://i1.wp.com/nongornews.com/wp-content/uploads/2017/11/tramp.jpg?fit=400%2C256&ssl=1
গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন ট্রাম্প। পরে টুইটারে এক বার্তায় চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা ইতিবাচক দিকে মোড় নেয়ার কথা জানান তিনি। ফোনালাপে ট্রাম্প ও শি উভয় নেতাই তিক্ত বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে আশাবাদ প্রকাশ করলেও ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প এরই মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য শর্তের খসড়া নিয়ে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের আলাপের পর বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি দুটির বাণিজ্য লড়াই নিয়ে শঙ্কায় থাকা শেয়ারবাজারগুলোয় ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। গতকাল টোকিওতে নিক্কেই সূচক ২ দশমিক ৩ শতাংশ, হংকংয়ের হ্যাং সেং ৩ দশমিক ৩৫ এবং সাংহাই কম্পোজিট ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিমুখী কসপি সূচকেও ৩ শতাংশ যোগ হয়েছে।

Rassel Vuiya
2018-11-12, 06:55 PM
ট্রেড ওয়ারের কারনে চীনের মার্কেট থেকে বোযিং এবং এয়ারবাস এর মত নামীদামী উড়োজাহাজ নির্মানকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদরে ব্যবসায় গুটিয়ে নিচ্ছে।বেসরকারী বিমান পরিবহনে চীনের মার্কেট সবচেয়ে বড় যা প্রায় সরকার উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট থেকে চীনের বেশিরভাগ বিমান ক্রয় করতে হয়। কিন্তু এই ট্রেড ওয়ারের কারনে এখন এটা বন্ধ হবার উপক্রম হচ্ছে এবং চীনের নিজেদের তৈরী বিমানের উপর গুরত্বরোপ করা হচ্ছে। ফলে ট্রেড ওয়ারের প্রভাব মার্কিন উড়োজাহাজ কোম্পানীগুলোর উপর পরতে যাচ্চে। যার কারনে মার্কিন অর্থনীতিতে বিপুল পরিমান রপ্তানী বাণিজ্য কমে যাবে।

DhakaFX
2018-11-13, 01:47 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্রেড ওয়ার চরম আকার ধারন করার পরিপ্রেক্ষিতে চীন এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেকং অববাহিকাভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে যাচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ অর্থনীতি চীন এবার থাইল্যান্ড ও লাওসের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের দিকে এগোচ্ছে।এই মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল তৈরী হলে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নেই এমন দেশগুলো থেকে আমদানিতে শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করে (ভ্যাট) বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। এই প্রথম সীমান্ত বাণিজ্যে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে চীন এবং মেকং অববাহিকাভুক্ত দেশ তথা সমগ্র আসিয়ানভুক্ত দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বেইজিং।’

BDFOREX TRADER
2018-11-18, 03:32 PM
অনেকেই আশা করেছিল, চলতি মাসের শেষের দিকে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠেয় জি২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চলমান বিরোধ হ্রাসের পাশাপাশি কিছু চুক্তি হবে। পাপুয়া নিউগিনিতে চলমান এশিয়াপ্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অংশ নেননি, এছাড়াও প্রথম দিনেই বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো ইস্যু ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিরোধপূর্ণ বাক্যবিনিময় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান, যতদিন পর্যন্ত বেইজিং তাদের দাবির কাছে মাথা নত না করবে, ততদিন চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ চলবে। এমনকি চীনের আমদানি পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণও হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, রক্ষণশীলতাকে আলিঙ্গন করে থাকে এমন দেশগুলো ‘ব্যর্থতায়’ পর্যবসিত হবে।

Rassel Vuiya
2018-11-22, 04:01 PM
ট্রেড ওয়ারের প্রভাবে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো আনুষ্ঠানিক যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হলো এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তীব্র বিরোধের কারণেই শেষ মুহূর্তের যৌথ বিবৃতি প্রকাশে ব্যর্থ হন অংশগ্রহণকারী নেতারা। পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোর্সবিতে অনুষ্ঠিত এপেক সিইও সামিটে সদস্য দেশগুলোর নেতা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নীতিনির্ধারক এবং বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যে সহযোগিতার রূপরেখা নিয়ে এপেকের যাত্রা, এবারের আয়োজনে তার কোনো উপস্থিতি ছিল না বলেও সমালোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে।

Montu Zaman
2018-11-27, 04:18 PM
বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিবাদ বলা যায় ভারতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। যদিও আন্তর্জাতিক পণ্য রফতানিতে ভারতের চেয়ে চীনের দখল অনেক বেশি। এখানে ভারতের দখল ১ দশমিক ৭ শতাংশ, যেখানে চীন নিয়ন্ত্রণ করছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পরস্পরের আমদানি পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের পর নয়াদিল্লি গাড়ির যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মতো পণ্য রফতানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে বেইজিংয়ের রফতানি। এ সুযোগটিই গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে চাইছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারে নিজেদের পণ্য রফতানি বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন।

Tofazzal Mia
2018-12-02, 03:56 PM
6727
একটি খুশির খবর হল চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে চলা তিক্ত ‘ট্রেড ওয়ার’ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। গত শনিবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে দেশ দুটির প্রেসিডেন্টের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের মিটিংয়ের পর এই সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। যদিও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি-২০ সম্মেলনে যাওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা আমদানি পণ্যে শুল্কের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার বুয়েন্স আয়ার্সের বৈঠকের পর ওই পদক্ষেপ ‘এখনি কার্যকর করা হচ্ছে না’ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। দু্ই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ’ কৃষি, জ্বালানি, শিল্পপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও ভাষ্য তাদের। “দ্রুতই চীন আমাদের কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি পণ্য কিনবে,” বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়। বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি স্থানান্তর, মেধাসত্ত্ব আইনের সংরক্ষণ, শুল্কমুক্ত বাধা, সাইবার অনুপ্রবেশ ও চুরি, কৃষি এবং চাকরিখাতের অবকাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরুর ক্ষেত্রেও দুই নেতা সম্মত হয়েছেন। এ ‘লেনদেন’ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে, নাহলে চীনা পণ্যের ১০ শতাংশ শুল্ক ২৫ শতাংশেই উন্নীত হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

Rassel Vuiya
2018-12-04, 04:44 PM
বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী ২০টি শিল্পোন্নত দেশকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত জি২০’র এবারের জি২০ সম্মেলনটি কেন্দ্র করে তিন মাসের জন্য বানিজ্য যুদ্ধ স্থগিত করেছে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে এর একটি স্থায়ী সমাধানে পৌছাতে একমত হয়েছে। ডব্লিউটিওর বিষয়ে প্রথমবারের মতো আলোচনায় সম্মত হয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের আগের হুমকিগুলো বিবেচনায় নিলে জি২০ সম্মেলনে ডব্লিউটিও সংস্কারের ব্যাপারে ঐকমত্যের মতো বিষয়টি সত্যিই বেশ মজার।

Tofazzal Mia
2018-12-05, 06:38 PM
বাণিজ্যযুদ্ধ ৩ মাসের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে চীন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে মার্কিন গাড়ি আমদানিতে ট্যারিফ কমানো এবং মেধাসম্পদ চুরি ও বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি স্থানান্তর বন্ধের মতো প্রতিশ্রুতির অতি শীগ্রই বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশটি। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিলেও চীন এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ চীনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা সফরের কারণে দেশের বাইরে থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ দুই দেশের বিবাদ ঘুচবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাবে মঙ্গলবার এশিয়ার বেশির ভাগ শেয়ারবাজারে পতন দেখা যাচ্ছে।

SaifulRahman
2018-12-09, 05:59 PM
দুই পক্ষের বাণিজ্য বিবাদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে গত সপ্তাহে একমত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির সম্পর্কে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চীন খুব দ্রুত তাদের থেকে পণ্য কেনা শুরু করবে, কিন্তু বেইজিং এখনো এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ছাড়িয়ে নভেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। যদিও এ সময় চীনের আমদানি ও রফতানি দুটিতেই শ্লথগতি ছিল। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্যে এ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাসের বিষয়টিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি হারে আরো পতন ঠেকাতে চীনা কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে

Tofazzal Mia
2018-12-13, 06:24 PM
সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মিটিংয়ে ৯০ দিন পর্যন্ত শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে একমত হবার পর চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে চীন। গত মে মাসে ওয়াশিংটনে আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হুমকি বন্ধে একমত হয়। চীন সে সময় বিদেশী গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্টের মন্ত্রিসভা বিষয়টি পর্যালোচনা করবে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা এ সময় মার্কিন গাড়ির ওপর শুল্ক কমানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছে।

DhakaFX
2019-01-02, 06:15 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। জি২০-এর বুয়েন্স আয়ার্স সম্মেলনে ৯০ দিনের জন্য একে অন্যের পণ্যে শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছিল উভয় পক্ষ। গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জবাবে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। দেশটি বলছে, গত ডিসেম্বরে পৌঁছানো ‘গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা’ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত তারা। কয়েক মাস ধরে তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধের পর উভয় পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

SUROZ Islam
2019-01-06, 04:56 PM
চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে কমতে শুরু করেছে নামীদামী ব্র্যান্ডের বিক্রি আর আয়। বিক্রি কমে গেছে আইফোনের। যা কমিয়ে দিয়েছে অ্যাপলের আয়। আয় কমার তালিকায় আছে বিশ্বখ্যাত চেইনশপ স্টারবাকস, কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠান ফেডএক্স, জার্মান গাড়ি নির্মাতা মার্সিডিজ বেঞ্জ আর বিএমডব্লিউও। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতে কর্মতত্পরতা দুই বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। নতুন করে ক্রয়াদেশ ও কারখানাগুলোয় কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়ায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে চীন ও ইউরোপের ধীর প্রবৃদ্ধির মতো যুক্তরাষ্ট্রও একই দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদিকে উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে আগামী সপ্তাহে বেইজিংয়ে এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।

Rassel Vuiya
2019-01-07, 05:20 PM
দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে সম্প্রতি বছরে তারা লিপ্ত হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধে। বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত বছর উভয় দেশ একে অপরের পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারে শুল্ক আরোপ করে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ও উভয় দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে এই বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানের জন্য এবার আলোচনায় বসছে দেশ দুটি। সোমবারে চীনের রাজধানী বেইজিং এ বাণিজ্য যুদ্ধের সমঝোতার জন্য দেশ দুটি ৯০ দিনের জন্য একে অপররের শুল্ক আরোপ করবে না এমন চুক্তির পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দিনের আলোচনায় বসতে যাচ্ছে।

SumonIslam
2019-01-27, 03:22 PM
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ওয়ার যদি আরেকটু বৃদ্ধি পায় তাহলে এটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তীব্র মন্দা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং কঠোর আর্থিক পরিস্থিতি সিংহভাগ দেশের অর্থনীতির কার্যক্রমকে আক্রান্ত করছে। চলতি মাসে পাঁচশর বেশি অর্থনীতিবিদকে নিয়ে রয়টার্সের সর্বশেষ মতামত জরিপে ৪৬টি অর্থনীতির মধ্যে ৩৩টির চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস হ্রাস করা হয়েছে এবং ১০টি অর্থনীতির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কেবল তিনটি ছোট অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া সিংহভাগ অর্থনীতির চলতি বছরের মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসও কমিয়ে লোয়ার লো এবং লোয়ার হাইয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে গত বছর প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে চীন। এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সর্বশেষ মন্থরতার আভাসে গত ছয় মাসে ড্রাই-বাল্ক ও কনটেইনার জাহাজের পরিবহন ভাড়ায় উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।

SUROZ Islam
2019-02-13, 07:04 PM
অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে চলতি বছরও পতনের মুখে পড়তে পারে চীনের ভোক্তা প্রবৃদ্ধি। আর এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধে থাকা দেশটির অর্থনৈতিক ঝুঁকি আরো বাড়তে যাচ্ছে। ভোক্তা প্রবৃদ্ধির পতনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ব্যবসা ও বিনিয়োগে বাণিজ্য বিরোধের প্রভাব ঠেকাতে এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক শ্লথগতি ঠেকাতে দেশটির বিশাল ভোক্তাশ্রেণীর ওপরও নির্ভর করছে কর্তৃপক্ষ

BDFOREX TRADER
2019-02-20, 06:18 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতি। দেশ দুটির মধ্যকার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত হলেও বাণিজ্যনীতি নিয়ে সাম্প্রতিক বিরোধের কারণে এ সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বিশ্ব বাণিজ্যে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সর্ববৃহৎ রফতানি বাজার ও ষষ্ঠ আমদানিকারক দেশ। অন্যদিকে চীন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুতবর্ধনশীল রফতানি বাজার ও সর্ববৃহৎ আমদানিকারক দেশ। বিবদমান দেশ দুটির মধ্যকার শুল্ক বিরোধ বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে নাড়া দিতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

SUROZ Islam
2019-02-24, 06:43 PM
১লা মার্চ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট এবং চীনের মধ্যে ৩ মাসের অস্থায়ী ট্যারিফ ডিলটি শেষ হবে। এখন দুই দেশের মধ্যে একটি চুড়ান্ত ডিল হতে পারে, অবশ্য এটা কোন নিদিষ্ট মাসের জন্য থাকবে না। আর এই ডিল যত দেরী হবে অন্য অর্থনীতিগুলো তত বেশি সুবিধা পাবে। এর মধ্যে জাপান ও জার্মান অন্যতম।

Montu Zaman
2019-02-24, 06:48 PM
আগামী ১ মার্চের মধ্যে কোনো একটি চুক্তিতে পৌঁছার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে চূড়ান্ত দফা আলোচনা গত শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। স্পষ্টত উভয় পক্ষ আলোচনায় কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে অবস্থানের সময় আরো দুদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শুক্রবার লিয়ু হি ও নিজ ক্যাবিনেটের মন্ত্রিদের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যকার আলোচনায় যদি অগ্রগতি দেখা যায়, তাহলে ১ মার্চের সময়সীমা তিনি এক মাস বা তারও বেশি বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে শি জিনপিং ও ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প আশা করছেন, চুক্তির বিষয়টি ‘অত দূরে নয়’ এবং তিনি মনে করেন চুক্তি না হওয়ার চেয়ে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই চুক্তি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন ইঙ্গিত দেন, শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে ফ্লোরিডার মার-অ্যা-লাগো রিসোর্টে মার্চের শেষের দিকে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

Tofazzal Mia
2019-02-25, 05:41 PM
উভয় দেশের মধ্যকার এ বাণিজ্যযুদ্ধ দুই দেশের অর্থনীতিসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আর গত শনিবার থেকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কারেন্সী রেট দরকষাকষি নিয়ে আলোচনা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।বেইজিং ইচ্ছেমতো ইউয়ানের মান অবমূল্যায়ন করবে না, ওয়াশিংটনের এ দাবি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে এখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়নি। বিষয়-সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র জানিয়েছে, উভয় পক্ষ মুদ্রাচুক্তিসহ বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি।
উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীনের ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার হুমকি দিলেও শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো তিক্তকর অবস্থায় পৌঁছানোর বিষয়টি এড়াতে সময়সীমা মাসখানেক বাড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Montu Zaman
2019-02-26, 04:28 PM
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ১ মার্চের মধ্যে দুই দেশ কোনো চুক্তিতে না পৌঁছলে ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্কহার ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করবে ওয়াশিংটন। এখন এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ট্রাম্প, এছাড়াও ট্রাম্প শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। তাই যদি সবকিছু ঠিকমতো এগোয়, তাহলে আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে বড় কোন সংবাদ পাব। যদিও এই সংবাদের পর থেকেই এশিয়ার শেয়ারমার্কেটে লেনদেনের শুরুতেই সূচক বাড়তে দেখা যায়। সাংহাই কম্পোজিট সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং টোকিও নিক্কেই ২২৫ সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ।

DhakaFX
2019-03-03, 05:21 PM
গত শুক্রবার এক টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতির দাবি করে মার্কিন গরুর মাংস, শূকরের মাংসসহ কৃষিপণ্যে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে মার্চের ১ তারিখ থেকে চীনের পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার হুমকি থেকে বিরত হলেন ট্রাম্প। গত বছর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন কৃষিপণ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছিল চীন। গত জুলাইয়ে সয়াবিন, গরুর মাংস, শূকরের মাংস ও মুরগির মাংসসহ প্রথম দফায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ হয়েছিল। যদিও ট্রাম্পের আহ্বান সম্পর্কে চীনের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্লুমবার্গ শনিবার ফ্যাক্স ও টেলিফোন করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি।

Montu Zaman
2019-03-05, 02:31 PM
গত আট মাসের বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনও পাল্টাপাল্টি ১১ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য রফতানি সংকুচিত হয়। সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ট্রেডওয়ার বন্ধ হবার জন্য একটি চুড়ান্ত চুক্তির কাছাকাছি চলে এসেছে। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে চীন সম্মত হলে বেইজিংয়ের ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছে ওয়াশিংটন। যা আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন।

DhakaFX
2019-03-18, 12:55 PM
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদদের দ্বারা গঠিত একটি দলের গবেষণ ‘ দ্য রিটার্ন টু প্রটেকশনিজম’ এ দেখা যায় নের মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মার্কিন অর্থনীতিই। কেননা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৮ সালে জিডিপিতে ৭৮০ কোটি ডলার হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এ যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি ও মেধাসম্পত্তি রক্ষা করছে। মুলত ট্রাম্পের ‘লক্ষ্যবস্তু করা’ দেশগুলো থেকে আমদানি কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ, যখন ‘লক্ষ্যবস্তু হওয়া’ যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি কমেছে ১১ শতাংশ। এছাড়াও আমদানির উচ্চতর ব্যয়ের কারণে বার্ষিক ভোক্তা ও উৎপাদকদের বার্ষিক মোট ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।

SaifulRahman
2019-04-23, 04:11 PM
মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তি হলেও বিশ্বের শীর্ষ এ দুই অর্থনীতির মধ্যকার দ্বন্দ্বের যে ইতি ঘটবে, সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। গত বছর থেকে এ দুই দেশ বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত, যার নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়ছে। তবে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এ দুই অর্থনীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব শুধু বাণিজ্য নিয়ে নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। বাণিজ্যযুদ্ধ এ দুই দেশের ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রতিফলিত করছে। চুক্তি হোক আর না-ই হোক, আশঙ্কা করা হচ্ছে দুই দেশের দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরো বাড়বে এবং সমস্যার সমাধান কঠিনতর হয়ে উঠবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইউরেশিয়া গ্রুপের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মাইকেল হারসন বলেন, আমরা একটি নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রবেশ করেছি; যেখানে মার্কিন-চীন ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে এবং আরো বেশি করে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, মার্কিন-চীন ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কিছুটা হ্রাস করতে পারে একটি বাণিজ্য চুক্তি, তবে এর প্রভাব হবে সাময়িক ও সীমিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন-চীন দ্বন্দ্ব প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, কেননা বিশ্বের প্রযুক্তি নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে উভয় দেশই চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ দুই অর্থনীতির মধ্যে যে বাণিজ্য আলোচনা হয়েছে, সেখানে প্রধান ইস্যুগুলো ছিল মূলত প্রযুক্তিসংশ্লিষ ট।

Montu Zaman
2019-05-12, 04:13 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আয়োজিত *দুই দিনব্যাপী বাণিজ্য আলোচনা কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই গত শুক্রবার শেষ হয়েছে। যদিও ওয়াশিংটনে এ আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে অর্থনীতিতে উত্তেজনা হ্রাসের ছিলো। কিন্তু এই বাণিজ্য আলোচনা চলাকালেই চীন থেকে আমদানিকৃত ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বেইজিং বলেছে, তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। এতে করে বিশ্ব অর্থনীতি বড় ধরনের একটি ধাক্কা খেতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

DhakaFX
2019-05-13, 05:36 PM
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন মোড় নিয়েছে। একটি বাণিজ্য চুক্তির জন্য বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে আলোচনা চলমান থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ বেড়েই চলেছে। এদিকে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছার জন্য চীনকে এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন প্রথমবারের মতো স্পষ্ট করে জানাল, বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে।

SUROZ Islam
2019-05-15, 04:26 PM
নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে চীনের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণায় বিশ্বের প্রধান শেয়ারবাজারগুলোয় ব্যাপক দরপতন লক্ষ করা গেছে। চীনা ঘোষণার প্রথম প্রভাব পড়ে ওয়াল স্ট্রিটে। এরপর গতকাল বিশ্বের অন্যান্য প্রধান শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দেয়। চীন পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে বাণিজ্য সংঘাত আরো তীব্রতর হবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হুমকি অবজ্ঞা করে চার সহস্রাধিক মার্কিন পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। গত শুক্রবার কোনো চুক্তি ছাড়া আলোচনা শেষ হলে ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বেইজিংয়ের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের আরো ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।

SaifulRahman
2019-05-21, 02:38 PM
সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পুনরায় বাণিজ্য উত্তেজনায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় বড় করপোরেশনগুলোর চেয়েও বেশি ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনের ছোট মার্কিন কোম্পানিগুলো। বছরের বাকি অংশে তাদের জন্য আরো কঠিন হিসাব-নিকাশ দেখা দিতে পারে। ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোর জন্য এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচকে আয় বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ওয়াল স্ট্রিট। কিন্তু বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ তিক্ততর হওয়ায় সে আশায় গুড়ে বালি দেখা যাচ্ছে। বড় কোম্পানিগুলোর তুলনায় ছোট কোম্পানিগুলো বৈদেশিক বিক্রির ওপর কম নির্ভর করে বলে কিছু বিনিয়োগকারী অল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোকে কম নাজুক মনে করছিল। কিন্তু চীনা আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল শুল্ক আরোপের ফলে যদি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ছোট কোম্পানিগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ বড় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর তুলনায় অনেক সময়ই ছোট কোম্পানিগুলোর আর্থিক নিরাপত্তা দুর্বল। যেহেতু অনেক মার্কিন কোম্পানি বিদেশী সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরশীল, শুল্ক বৃদ্ধিতে তাদের আমদানি পণ্যের দাম অনেক বেশি পড়বে।

FXBD
2019-05-23, 05:09 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ট্রেড ওয়ার বা বাণিজ্য যুদ্ধের জের ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর প্রায় ২০০টি মার্কিন সংস্থা শীঘ্রই তাদের পণ্য উৎপাদনের মূ্*ল ঘাঁটি চিন থেকে ভারতে সরিয়ে নিতে চাইছে। মুলত কমিউনিস্ট শাসনে থাকা চিনের তুলনায় ভারত তাদের কাছে অনেক বেশি পছন্দের হয়ে উঠেছে। আপাতত ভারতে সাধারণ নির্বাচনের পর্ব চলছে। এটা শেষ হবার পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হলেই সংস্থাগুলি এ বিষয়ে চুড়ান্ত পদক্ষেপ নিবে। এবিষয়ে ইউএসআইএসপিএফ-এর প্রেসিডেন্ট মুকেশ আঘি জানিয়েছেন যে শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান গোষ্ঠী ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র*্যাটেজিক অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফোরাম (ইউএসআইএসপিএফ) এর সাথে কীভাবে ভারতে লগ্নি করা যায়, তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংস্থাগুলি আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে।

SUROZ Islam
2019-06-03, 05:01 PM
ট্রাম্প বলছেন, চলতি মাসের শেষ দিকে ওসাকায় জি২০ সম্মেলনে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন। তবে চীনের পক্ষ থেকে বরাবরই এ দাবি অস্বীকার করা হচ্ছে। চীনের সমঝোতাকারী দলের এ সদস্য বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, বাণিজ্যবিরোধ আরো কঠোর করার মাধ্যমে চীনকে চুক্তিতে পৌঁছতে বাধ্য করা যাবে, যা আসলে অসম্ভব কল্পনা। চীনের ওপর জোর করে কোনো বাণিজ্য চুক্তি চাপিয়ে দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য যে অর্থনৈতিক নীতিতে কাঠামোগত সংস্কারে নিয়ে আসার পূর্বপ্রতিশ্রুতি থেকে চীন সরে এসেছে—যুক্তরাষ্ট র গত মাসে এ অভিযোগ তুললে পরিস্থিতি তিক্ত আকার ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে চীনের আরো ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ৬ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করে।

SUROZ Islam
2019-06-11, 05:59 PM
চলমান চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ ধাপে ধাপে অনেক দূর গড়িয়েছে। সর্বশেষ হুয়াওয়ে-কেন্দ্রিক ঘটনা ও প্রতিপক্ষের পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ ছিল এ বাণিজ্যযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি পর্ব। চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে, বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দুই দেশের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে দুর্লভ খনিজ পদার্থকেন্দ্রিক বিশ্ববাণিজ্য। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ১৭ ধরনের দুর্লভ খনিজ পদার্থকেন্দ্রিক বিশ্ববাণিজ্যে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এসব দুর্লভ খনিজ পদার্থ রোবটিকস, ড্রোন ও বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো উচ্চপ্রযুক্তিনির ভর পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

SaifulRahman
2019-06-30, 03:51 PM
গতকাল ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলতে গেলে গোটা বিশ্বের নজর ছিল এর দিকে। সবার প্রত্যাশা, এ বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির মধ্যকার বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া শুরু হবে। অর্থাৎ বাণিজ্যযুদ্ধের মাত্রা আর বাড়বে না। এ দ্বন্দ্বের কারণে উভয় দেশের কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে কোটি কোটি ডলার লোকসানে পড়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে। তাই এবার নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা আবারও শুরু করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এবং চীনা রফতানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করবে না ওয়াশিংটন। চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আলোচনা নিয়ে তারা ‘ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন’। তবে কবে নাগাদ দুই দেশের মধ্যে ফের আলোচনা শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

DhakaFX
2019-07-02, 05:39 PM
মার্কিন-চীন বাণিজ্য বিরোধ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ক্রমে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জুনে এশিয়ার অধিকাংশ দেশের কারখানা কার্যক্রম সংকুচিত হতে দেখা গেছে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দ্বৈরথের মধ্যে একটি বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি এড়াতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণেরও চাপে রয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। জাপানের ওসাকায় জি২০ নেতাদের সম্মেলনের পর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের জরিপ পাওয়া গেল। শনিবার জি২০ সম্মেলনের শেষ দিন বিশ্বনেতারা মন্থর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্য উত্তেজনার তীব্রতা বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছেন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো নতুন শুল্কারোপ না করা এবং চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের নিষেধাজ্ঞা শিথিলসহ বেশকিছু ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জি২০ সম্মেলনে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্মতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ট্রাম্পের এ ঘোষণা ও বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে আলোচনা পুনরায় শুরুর সম্ভাবনা ব্যবসায়ী ও আর্থিক বাজারগুলোকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
তবে এ যুুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদে উত্তেজনা প্রশমিত করলেও একই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা করপোরেট ব্যয়ের আগ্রহ ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

Montu Zaman
2019-07-10, 11:14 AM
গার্ডিয়ানএর খবর অনুসারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং সুদহার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে গত বছর শেয়ারবাজারগুলোয় ২ লাখ কোটি ডলার হারিয়েছেন বিশ্বের অতিধনীরা। দীর্ঘ সাত বছর ধারাবাহিক সম্পদ বৃদ্ধির পর ২০১৮ সালে বিশ্বের অতিধনী (সুপার রিচ) ব্যক্তিদের সমন্বিত সম্পদের মূল্য এক বছর আগের চেয়ে ৩ শতাংশ কমে ৬৮ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মূলত ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবে আর্থিক বাজারগুলো পতনের জেরে এ পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছেন অতিধনীরা। এ পতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীন। এছাড়াও মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তায় গত বছর শেয়ারবাজারগুলোয় বড় পতন দেখা যায়। ফলে পেনশন তহবিল ও বিশ্বের অভিজাতদের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

DhakaFX
2019-07-14, 05:08 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ চীনের অর্থনীতির ওপর নিশ্চিতভাবেই প্রভাব ফেলছে। তবে এটি ছাড়াও আরো বেশকিছু কারণ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ অর্থনীতিটিকে স্থিতিশীল হতে দিচ্ছে না। আর এর জেরে প্রায় তিন দশকের মধ্যে চলতি বছর সবচেয়ে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধি দেখতে যাচ্ছে দেশটি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা তিন মাস সময়ে অনন্ত ১৯৯২ সালের পর সবচেয়ে শ্লথ। বছরের বাকি সময়ে বাহ্যিক চাহিদায় দুর্বলতা, কারখানাদরের সংকোচন এবং ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সংকোচন বিনিয়োগে স্থিতিশীলতা, ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধি ও আবাসন খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে সামাল দেয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

Montu Zaman
2019-07-15, 04:16 PM
চলমান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরচক্র থেকে বের হতে পারছে না চীন। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও (এপ্রিল-জুন) কমেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যা ১৯৯০ সালের পর সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। আজ সোমবার দেশটির পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়। চলতি বছরে অর্থনীতিকে চাঙা করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয় চীন। ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি কর কমিয়েছে সরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেই অর্থনীতির গতি বাড়েনি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। গত বছর ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট হারে কমে যাচ্ছে অর্থনৈতিক গতি। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, দেশের বাইরে ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে।
প্রবৃদ্ধি কমলেও শিল্প খাতে গতি বেড়েছে দেশটির। গত বছরের চেয়ে এ বছরের জুনে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে খুচরা বিক্রয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

SUROZ Islam
2019-07-21, 05:22 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক বছর ধরে চলা ট্রেড ওয়ার বন্ধ করার জন্য গত বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেছেন, এছাড়া শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিনের বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। তবে উভয় পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসতে পারে, কেননা বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব যেমন দুই দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে, তেমনি তা বিশ্ব অর্থনীতিরও ক্ষতি করছে।

SaifulRahman
2019-08-04, 04:51 PM
বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে নেয়ার কথা বলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফা শুল্ক কার্যকর করবে ওয়াশিংটন। প্রথম দফায় ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প, যার বেশির ভাগই ছিল শিল্পপণ্য। এর বিপরীতে সর্বশেষ যেসব পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হলো জুতা, পোশাক ও সেলফোনের মতো ভোগ্যপণ্য; যা আমেরিকান ভোক্তারা ব্যবহার করেন। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উত্কণ্ঠায় রয়েছে রিটেইলাররা। এরই মধ্যে গভীর সংকটে থাকা রিটেইলারদের সামনে দুটি কঠিন পথ অপেক্ষা করছে—হয় নতুন শুল্কের উচ্চ ব্যয় বহন করা কিংবা দাম নিয়ে সংবেদনশীল গ্রাহকদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে বাধ্য করা।
তার ওপর মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছে চীন, যা মার্কিন রফতানিকারকদের জন্য গোদের উপর বিষফোড়া হিসেবে দেখা দেবে। করপোরেট মুনাফায় কেমন প্রভাব পড়বে, সে বিষয়ে উদ্বেগের কারণে শুক্রবার শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা গেছে।

Montu Zaman
2019-08-05, 04:52 PM
‘টাইমিং’ এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯, জার্মানির সামরিক বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে প্রবেশ করে, যার সঙ্গে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ওইদিনের ৮০ বছর পর, অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানীকৃত আরো চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছেন। যদি এটি ঘটে, তবে তা হবে বাণিজ্য নিয়ে চলমান ‘কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের’ তেতে ওঠার মুহূর্ত।
এতে কোনো ভুল নেই যে, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত ঘোষণায় মারাত্মক ফলাফল দেখতে পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শুল্কারোপের জন্য সতর্কতার সঙ্গে চীনা পণ্য নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে মার্কিন ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। আগামী মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যে শুল্কারোপ হতে যাচ্ছে। এখনো এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানা গেলেও এটা প্রায় নিশ্চিত যে, মার্কিন ক্রেতাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও কাপড় কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। ট্রাম্প বড়াই করে বলেছেন, চীনের ওপর শুল্ক অস্ত্র নিয়ে চড়াও হবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নিজেদের অর্থনীতি নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা করে বসে রয়েছেন তিনি। আদতে চীন থেকে আমদানীকৃত পণ্যের জন্য মার্কিনদেরই ওই শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ের ১৮ মাসের কম সময় আগে, ট্রাম্প যে কৌশল গ্রহণ করেছেন, তা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গে জুয়া খেলছেন ট্রাম্প। তিনি চাইছেন শুল্কারোপের মাধ্যমে চাপ দিয়ে চীনের সঙ্গে একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি করতে। যে চুক্তির মাধ্যমে চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলো বৃহত্তর বাজার প্রবেশাধিকার পাবে, মার্কিন কৃষিপণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কিন মেধাস্বত্ব সম্পদ চুরি হওয়া রোধ হবে।

DhakaFX
2019-08-06, 03:08 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1940253410.jpg
চীন-আমেরিকা এর ট্রেডওয়ার আরও জোরলো হচ্ছে এবং উভয় দেশের মধ্যে অবিশ্বাস ও দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। চীন-আমেরিকার গত ৩১ জুলাই একটি বাণিজ্য আলোচনা হয়েছিল, এই আলোচনাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘গঠনমূলক’ উল্লেখ করেলেও এরপরই জানা যায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চীনের আরও ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করবে। যার মানে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চীনা প্রায় সব পণ্যকেই শুল্কের আওতায় নিয়ে আসছে। এ ধরনের ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলবে। চীন বিষয়টিকে নিজেদের মতো করেই মোকাবিলা করবে। এই ঘোষণা বাণিজ্য আলোচনা ‘ব্যর্থ হয়েছে’ বলেই বার্তা দেয়। ফলে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারেই, যা এরই মধ্যে দৃষ্টিগ্রাহ্য হচ্ছে। ঘোষণাটি আসার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক একটি ঝাঁকুনি লেগেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তি সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট জানাচ্ছে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকে মার্কিন বিভিন্ন শেয়ারের দাম এরই মধ্যে নিম্নমুখী হয়েছে। কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের বিপরীতে সুদহার।

Montu Zaman
2019-08-14, 03:40 PM
বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুই দেশের বাণিজ্যযুদ্ধ আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে হাজির হয়েছে। চীন আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ক্রয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে মার্কিন কৃষকদের হাতছাড়া হলো তাদের অন্যতম বৃহৎ এক ক্রেতা। শস্য ও পণ্যের দাম নিয়ে এমনিতেই চলতি বছর সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল দেশটি। তদুপরি চীনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের এ খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের এ সিদ্ধান্তে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং জন ডিয়ারের মতো কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কোম্পানিটি দেশটির কৃষি ব্যবসায় সরাসরি জড়িত।
বিরাজমান শুল্কের কারণে দেশটির চলতি শস্য মৌসুম এমনিতেই শ্লথ হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে দেশটি চীনে কোনো ধরনের কৃষিপণ্য রফতানিতে ব্যর্থ হলে সেটি দেশটির কৃষিবাজার ও দামের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও কৃষিনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্যাট ওয়েস্টহফ। নিজেদের কৃষিবাজার থেকে চীনের সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ানো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাতের বড় ক্ষতি করবে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

DhakaFX
2019-09-01, 05:50 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1872951132.jpg
চীন এবং আমেরিকার মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বরং দুপক্ষ নতুন করে একে অপরের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ শুরু করেছে। আজ রোববার মার্কিন সরকার চীনের ১১ হাজার ২০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর নতুন করে শতকরা ১৫ ভাগ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। এসব পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগই ভোগ্যপণ্য। জবাবে চীনও মার্কিন জ্বালানি তেলের ওপর শতকরা ৫ ভাগ বাড়তি শূল্ক এবং মার্কিন অন্য পণ্য সামগ্রীর উপর ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বছরেরও আগে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম মার্কিন তেলের উপর শূল্ক আরোপ করল চীন। এছাড়া, দুপক্ষই চলতি বছরের শেষের দিকে পরস্পরের পণ্যের ওপর আরো বাড়তি শূল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি বলেছে, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এসব বাড়তি শূল্ক আরোপের কারণে চীনের উন্নয়ন থেমে থাকবে না। পত্রিকাটি বলছে, চীনের বিস্ফোরণোন্মুখ অর্থনীতি এখানকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রকে এত বেশি উর্বর করেছে যে, বিদেশী কোম্পানিগুলো তা উপেক্ষা করতে পারবে না।

SUROZ Islam
2019-09-02, 05:49 PM
লমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। রবিবার থেকে শুল্ক আরোপের প্রথম দফা কার্যকর হয়েছে এই দুই দেশে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন জ্বালানি পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করেছে চীন। অন্যদিকে, রবিবার থেকেই সাড়ে ১২হাজার কোটি ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় দফায় মার্কিন পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ আগামী ১৫ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে রেখেছে বেইজিং। একই দিন চীনের পোশাক ও প্রযুক্তি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করবে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে, চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানে চলতি মাসেই দুদেশের বাণিজ্যিক দল আলোচনায় বসবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Montu Zaman
2019-09-23, 04:16 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/626949767.jpg
চিনের সঙ্গে আমেরিকার দ্বি-পাক্ষিক শুল্ক নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মাঝে কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরস্পরকে জবাব দিতে অস্ত্র হয়ে উঠেছিল শুল্ক। সম্প্রতি ফের বেজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে। কিন্তু ওয়াশিংটন নানা সময়ে এক একরকম বার্তা দিয়ে চলেছে। ফলে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হতে পারছে না বিভিন্ন মহল। সমস্যা পুরোপুরি না-মেটা পর্যন্ত সংস্থাগুলিও নতুন করে লগ্নির সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এর আগে ১২ দফা আলোচনায় বসেও সন্ধিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। ফলে আগামী দিনে অবস্থা কী দাঁড়ায়, সে দিকেই নজর রাখছে বিনিয়োগকারীরা।

Rassel Vuiya
2019-10-03, 11:48 AM
রফতানির ওপর দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্যযুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম কমে ১০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। এদিকে মার্কিন ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রমের এ পতনের ধাক্কায় গতকাল বিশ্বব্যাপী শেয়ারদর এক মাসের সর্বনিম্নে নেমে যায়। গত সপ্তাহে আগস্টে মার্কিন ভোক্তা ব্যয় প্রশমিত হওয়ার পরিসংখ্যান প্রকাশের পর মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (আইএসএম) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম নিয়ে জরিপ প্রকাশ করল। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিটির ক্রমাগত ম্লান হয়ে পড়ার পেছনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চীনের সঙ্গে ১৫ মাসব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ বাণিজ্যযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা আস্থার অবনতি ঘটিয়েছে ও উৎপাদন ক্ষুণ্ন করেছে। গত মাসে কারখানা কর্মসংস্থান সূচক আগস্টের ৪৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৬ দশমিক ৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানা কার্যক্রম এক দশকের সর্বনিম্নে নামায় বিশ্বব্যাপী শেয়ারদর বড় ধাক্কা খেয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব বিস্তৃত হচ্ছে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।

Rakib Hashan
2019-10-15, 04:38 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতি চীনের প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি নেমে এসেছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনের আমদানি-রফতানি তথ্য বলছে, গত মাসে বৈশ্বিক চাহিদায় দুর্বলতা বজায় রয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে কার্যকর হওয়া মার্কিন শুল্কও বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
9088
চীনের কাস্টমস অফিসের তথ্যানুসারে, সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে বড় পতন। অন্যদিকে একই সময় আমদানি কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, যা মে মাসের পর সবচেয়ে বড় পতন। আর এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস দেশটির আমদানি কমল। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে চীনের মোট ট্রেড ব্যালান্স ৩ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলারে।

DhakaFX
2019-10-31, 03:50 PM
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য বিরোধে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে উঠলেও দুপক্ষের এ বিরোধ চীনের সমর্থনপুষ্ট একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে। চুক্তিটি চূড়ান্ত না হলেও চলতি সপ্তাহে ব্যাংককে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে চুক্তি বিষয়ে বড় ধরনের অগ্রগতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। চুক্তি চূড়ান্ত হলে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে পরিণত হবে ১৬টি দেশের রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)। বৈশ্বিক জিডিপিতে এ দেশগুলোর অবদান এক-তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বসবাস করে এ অঞ্চলটিতেg

Rakib Hashan
2019-11-03, 05:01 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/672686711.jpg
অ্যান্টি-ডাম্পিং আইন না মানায় ৩৬০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে চীন শুল্ক আরোপ করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।
যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, ধাতু ও খনিজসহ ১৩টি আমদানীকৃত চীনা পণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ২০১৩ সালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে চীন এবং ২০১৬ সালে ডব্লিউটিওর একটি প্যালেন বেইজিংয়ের পক্ষে রায় দেয়। তর্কের মূলে ছিল অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহার করা পদ্ধতি নিয়ে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, এ শুল্ক হিসাব করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ‘জিরোয়িং’ পদ্ধতির ব্যবহার। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধের বেশ আগেই এ মামলা করা হয়েছিল। বাণিজ্য বিবাদের জেরে এ দুই দেশে একে অন্যের প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে। তবে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে একটি চুক্তির প্রথম পর্যায় প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দুই দেশ। ঠিক এমন সময় এ রায় বেইজিংয়ের হাতে একটি নতুন ও আইনসিদ্ধ অস্ত্র তুলে দিল। চুক্তির এ পর্যায়ে যদি ট্রাম্প প্রশাসন পিছু হটে, তবে বেইজিং এটি ব্যবহার করতে পারবে।

Montu Zaman
2019-11-21, 04:25 PM
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ট্রেডওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চীন ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিরা। শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি দুটির বিরাজমান বাণিজ্যিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে আলোচনা চলছে ‘প্রথম পর্যায়ের’ বাণিজ্য চুক্তি। আর এই চুক্তি ব্যর্থ হলে চীনা পণ্যে আরো বেশি করে শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম পর্যায়ের এ চুক্তি সম্ভব হলে লাভবান হবে উভয় পক্ষ। চাঙ্গা হয়ে উঠবে দুই দেশসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি ও মার্কেটেগুলো। যদিও এই ট্রেডওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের কারনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
9370
এদিকে প্রথম পর্যায় বা যেকোনো বাণিজ্য চুক্তির জন্য বাণিজ্যযুদ্ধের শুরু থেকে ওয়াশিংটন কর্তৃক চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চীনের দাবি-দাওয়া খানিকটা বিস্মিত করেছে মার্কিন কর্মকর্তাদের। তবে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশানুযায়ী বেইজিং মার্কিন কৃষিপণ্যের ক্রয়, দেশটির আর্থিক সেবা শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি এবং মেধাস্বত্ব আইন মেনে চলার গ্যারান্টির বিনিময়ে চীনের দাবি পূরণ হতে পারে। চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতে ট্রাম্প প্রস্তুত। এছাড়া মধ্য ডিসেম্বর থেকে চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্কারোপের সিদ্ধান্তও বাতিল করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বেইজিং কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের ছাড় দিলেই ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সম্ভাব্য ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার শুল্কারোপ বাতিল করতে পারে ওয়াশিংটন।

Tofazzal Mia
2019-12-08, 03:02 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/323223258.jpg
গত বৃহস্পতিবার নেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি বছর চীনকে স্বল্প সুদে ১০০ থেকে দেড়শ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এ পরিকল্পনায় আগের পাঁচ বছরের গড় ১৮০ কোটি ডলার থেকে ঋণের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু চীনকে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেইজিংকে ঋণ দেয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর পরের দিনই এ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

FXBD
2019-12-12, 02:10 PM
9564
আগামী সপ্তাহের আগেই বাণিজ্য চুক্তি করতে পারে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ আগামী ১৫ ডিসেম্বর, রোববার চীনা পণ্যের ওপর আরেক দফা শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববারের আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পক্ষ থেকে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। এটা খুব সম্ভব শনিবার রাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা এসে বলতে পারেন, পরস্পরের প্রতি আস্থা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে আপাতত এই শুল্কারোপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আর এমনটা হলে আর এমনটা হলে মার্কেটে একটা বড় প্রভাব পড়বে এবং শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

SUROZ Islam
2019-12-17, 05:23 PM
9582
অবশেষে বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ আলোচনা এবং অনিশ্চয়তার পর প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দেশ দু'টি। শুক্রবার এই সম্মতির পর মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি শুল্ক আর না বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর থেকে বাড়তি শুল্ক কমানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এরই জেরে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজার আট মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া নীতি শিথিল করতে পারে, এমন সম্ভাবনাও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত এখনো জানা না যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। ফলে শেয়ারবাজারের উল্লম্ফন সীমার মধ্যে ছিল। অন্যদিকে গত সপ্তাহে দেখতে পাওয়া চাঙ্গা ভাব গতকালও বজায় ছিল ইউরোপের শেয়ারবাজারে। প্যান-ইউরোপের ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও এফটিএসই ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। মার্কিন শেয়ারবাজারেও চাঙ্গা ভাব ছিল। বেঞ্চমার্ক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দিন শেষ করে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে।

Montu Zaman
2019-12-24, 03:47 PM
9668
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধসহ আরো বেশকিছু কারণে চীনের অর্থনীতির অবস্থা মোটেই ভালো নেই। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। এবার বেসরকারি খাতের জন্য বড় ধরনের প্রণোদনা নিয়ে হাজির হয়েছেন চীনা নীতিনির্ধারকরা। বেসরকারি কোম্পানির জন্য তেল ওগ্যাস থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ ও রেলওয়ে পর্যন্ত বিভিন্ন খাতকে আরো উন্মুক্ত, বাজার নীতি শিথিল ও বিনিয়োগ ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

Tofazzal Mia
2019-12-31, 04:47 PM
9709
২০১৯ সালে শুল্কযুদ্ধের সমাধান হলো না, প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। বছর শেষ হলেও যুদ্ধের সমাধান মেলেনি। যদিও বছরের শেষ দিকে এসে কিছু চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। দুই পক্ষই একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানালেও এখনো চুক্তি সই হয়নি। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিপাকে ছিল বিশ্ব অর্থনীতি।

Rassel Vuiya
2020-01-02, 05:38 PM
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি ১৫ জানুয়ারি:
9717
১৫ জানুয়ারি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প জানান, চীনের উচ্চপদস্থ এক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। পরে বাণিজ্য চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্প বেইজিং সফর করবেন বলেও জানান।গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, তিনি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চুক্তির প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করবেন। গত ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক ধাপের এ চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে প্রবেশ করে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র যেমন শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়, তেমনি মার্কিন কৃষি, জ্বালানি ও তৈরি পণ্য আমদানি বাড়ানোর ব্যপারেও সম্মত হয় চীন। এছাড়া মেধাস্বত্ব নিয়ে বিবাদ কিছুটা মীমাংসার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা বলা হয়।
তবে উভয় পক্ষের মধ্যেকার চুক্তির লিখিত কোনো রূপ প্রকাশ্যে আসেনি। মার্কিন পণ্য ও সেবা আমদানির ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো চুক্তির সম্ভাব্য বিভিন্ন শর্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা।

Tofazzal Mia
2020-01-13, 05:17 PM
প্রায় দুই বছর ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধ শেষে আগামী বুধবার প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী থাকছে গত ১৩ ডিসেম্বর ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তিতে, চলুন দেখা যাক:
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তিতে মেধাস্বত্ব, খাদ্য ও কৃষিপণ্য, আর্থিক সেবা ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন, বিরোধ নিষ্পত্তির উপায় নির্ধারণ ইত্যাদি থাকছে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার বলেন, এ চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, উভয়পক্ষ যেন বিরোধ নিষ্পত্তির একটি দ্রুত ও কার্যকর উপায় বের করতে পারে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো। চুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কৃষি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য রফতানিতে চীন ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। কিন্তু বিরোধ শুরু হওয়ার পর চীনের অবস্থান পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। ওয়াশিংটন বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তিতে আগামী দুই বছরে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি মূল্যের মার্কিন পণ্য আমদানিতে রাজি হয়েছে বেইজিং। এতে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি ডলারের কৃষিপণ্য থাকছে বলে জানান তারা। তবে এটা বার্ষিক নাকি দুই বছরে হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। চীনা কর্তৃপক্ষ চুক্তির এ শর্তগুলোর কোনোটিই নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এদিকে মার্কিন কৃষকরা ওই পরিমাণ কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন কিনা তা নিয়ে গত শুক্রবার সন্দেহ পোষণ করেন স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির শর্ত সত্যি হলে ২০১২ সালে চীন সর্বোচ্চ পরিমাণ যে কৃষিপণ্য আমদানি করেছিল, তার দ্বিগুণ আমদানি করতে হবে। বাণিজ্য বিরোধ শুরুর আগে ২০১৭ সালে চীনে ১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করেছিলেন আমেরিকান কৃষকরা। মার্কিন শুল্কের বিপরীতে চীনের শাস্তিমূলক শুল্কে ২০১৮ সালে কৃষিপণ্য রফতানি ৯০০ কোটি ডলারেরও বেশি হ্রাস পায়। চীনের উপকৃষিমন্ত্রী হান জুন বলেন, আংশিক এ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রেও চীনের কৃষিপণ্য রফতানি বাড়বে, বিশেষ করে কুকড পোলট্রি, নাশপাতি ও খেজুর। চুক্তির বিভিন্ন শর্ত যে বেইজিংয়ের জন্যও ইতিবাচক, এ বিষয়টি স্বীকার করে জুন বলেন, গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই প্রথম উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হলো।
প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তির অংশ হিসেবে ১৬ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে গতকাল যে ১৫ শতাংশ শুল্কারোপের কথা ছিল, তা বাতিল করছেন ট্রাম্প। সেলফোন ও কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিকস পণ্যে ওই অতিরিক্ত শুল্কারোপ হলে মার্কিন ভোক্তাদের জন্যই কষ্টকর হতো।
এছাড়া বড় ছাড়ের অংশ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর ১২ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক কমানো হচ্ছে। চীনা কর্মকর্তারা যদিও বলছেন, ধাপে ধাপে অন্যান্য শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে; তবে ওয়াশিংটন বলছে, প্রথম দফায় আরোপিত ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে বহাল শুল্ক প্রত্যাহার করবে কিনা, তা স্পষ্ট করে বলেননি চীনের উপ-অর্থমন্ত্রী লিয়াও মিন। ১৬ ক্যাটাগরির মার্কিন পণ্যে গত সেপ্টেম্বরে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল বেইজিং।
বুধবার বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি প্রাথমিক পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও চীনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো ততটা আশাবাদী নয়।
ফের বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কায় তারা আপত্কালীন পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে। স্বাক্ষরের পরও চুক্তিটি ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে চীনের ম্যানুফ্যাকচারার ও সাপ্লায়ারদের মধ্যে। এজন্য তারা চুক্তির ইতিবাচক দিকের ভরসায় না থেকে সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিদেশে নতুন বাজার খুঁজছে

Montu Zaman
2020-01-16, 04:49 PM
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, গত বছর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ৮ শতাংশ কমে ২৯ হাজার ৫৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চীনের শুল্ক প্রশাসনের পরিসংখ্যানে। পরস্পরের পণ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমেছে। এদিকে বৈদ্যুতিক পণ্যসহ আরো কিছু চীনা পণ্যে গত মাসে শুল্কারোপ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। তবে প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনায় তা থেকে বিরত থাকে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া চীনা পণ্যে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া শুল্কারোপ পূর্ব ঘোষণার চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে এনে ১২ হাজার কোটি ডলারে নির্ধারণ করে ওয়াশিংটন। তবে ২৫ শতাংশ হারে ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্কারোপ এখনো বজায় রয়েছে। অন্যদিকে বাণিজ্যযুদ্ধ দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যেসব কারখানা প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করে, সেগুলো কিছুটা চাপে পড়েছে বলেও জানান সিয়ু। তিনি বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি কমলেও নতুন বাজার খুঁজে পেতে আমাদের উদ্যোক্তারা যে সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারে চীনের রফতানি বেড়েছে এবং সার্বিক রফতানি এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বলে জানান তিনি।

Tofazzal Mia
2020-01-19, 04:42 PM
দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আমেরিকা ও চীন, কিন্তু এর আগে এই যুদ্ধ অনেক ক্ষতি করেছে। নতুন চীন-মার্কিন চুক্তিতে অনুসারে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে ২০০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে নিয়ে যাবে, যা ২০১৭ সালের সমপরিমান হবে। কৃষিপন্য আমদানি বাড়াবে ৩২ বিলিয়ন ডলার, শিল্পপন্য আমদানি করবে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ আমদানি ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবাখাতে চীন আমদানি করবে ৩৮ বিলিয়ন ডলার। নকল ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছে চীন। আর ট্রেড সিক্রেট চুরির ব্যাপারে কোম্পানিগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করবে। ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। অপরপক্ষে চীন, ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক কাঠামো পুনঃবিন্যাস করবে।

DhakaFX
2020-02-16, 02:22 PM
10097
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের রফতানি বড় আকারে ধাক্কা খেয়েছে। চীনের বাজারে রফতানি কমে যাওয়ায় আক্রান্ত হয়েছে গম, হুইস্কি থেকে শুরু করে জিনসেং ও গ্যাস। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ উপাত্তে দেখা গেছে, চীনে যুক্তরাষ্ট্রের মার্চেন্ডাইজ রফতানি ১১ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে বড় আকারে ধাক্কা খেয়েছে টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও আলাবামার মতো বৃহৎ রফতানিকারক প্রদেশগুলো। চীনে এ রাজ্যগুলোর রফতানি ২৫ শতাংশের বেশি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার প্রাথমিক ধাপের বাণিজ্য চুক্তি গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তির প্রথম বছরে ২০১৭ সালের তুলনায় অতিরিক্ত ৭ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানিতে সম্মত হয়েছে চীন। দ্বিতীয় বছরে অতিরিক্ত ১২ হাজার ৩৩০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করবে বেইজিং। ব্লুমবার্গের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশটির অর্থনীতিতে এরই মধ্যে বৃহদাকারের প্রভাব পড়ায় চুক্তিতে নমনীয়তা প্রত্যাশা করছে চীন।

DhakaFX
2020-04-15, 05:18 PM
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কভিড-১৯-এর কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির চালচিত্র আমূল পাল্টে গেছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেন, সম্প্রতি মারাত্মক ও জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে। চুইয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চীন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য কিনছে। একই সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে দেশী বাজারে বিদেশী কোম্পানির ওপর আরোপিত বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হচ্ছে।

DhakaFX
2020-05-05, 03:32 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1105796103.gif
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চীনের ‘ভূমিকার’ জন্য বেইজিংকে শাস্তি দিতে নতুন শুল্কারোপের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প। বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেমন হুমকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতির চাকা। এ অবস্থায় উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন এজেন্সি কোম্পানিকে কাঁচামাল ও উৎপাদনের ক্ষেত্র হিসেবে চীনের বিকল্প বেছে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ পরিবর্তনের জন্য শুল্ক প্রণোদনা ও ভর্তুকি প্রদানের কথাও ভাবা হচ্ছে। মূলত চীননির্ভরতা কমানোর জন্য মার্কিন সরকার সামগ্রিকভাবে এগিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে সরকারি এজেন্সিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত নির্ধারণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্য কীভাবে চীনের বাইরে উৎপাদন করা যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে।

DhakaFX
2020-05-10, 06:11 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1699183764.gif
বাণিজ্যযুদ্ধের দামামা কিছুটা হলেও কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বিবদমান দেশ দুটি চলতি বছরের শুরুতে ‘ফেজ ওয়ান’ বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে তারা। এর প্রভাবে চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় অর্জন ধরা হচ্ছিল ‘ফেজ ওয়ান’ চুক্তিকে। দীর্ঘদিনের আলোচনার পর অবশেষে গত জানুয়ারিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হি।এর আগে একে অন্যের ওপর বাণিজ্য শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় মেতেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি যেভাবে বাণিজ্যের শীতল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল, তা ভাবিয়ে তুলেছিল অন্য দেশগুলোকেও। এমন পরিস্থিতিতে দেশ দুটি প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তিতে উপনীত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন সবাই। হোক না সেটি স্বল্প পরিসরের চুক্তি, কিন্তু দ্বন্দ্ব নিরসনের শুরুটা তো অন্তত হলো।
তবে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সে স্বস্তি উবে যেতে চলেছে। শুক্রবার টেলিফোনে ফক্স নিউজ চ্যানেলের মর্নিং নিউজ শো ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’কে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প জানান, নভেল করোনাভাইরাস ইস্যু নিয়ে চীনের সঙ্গে তার মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, চীনের সঙ্গে আমার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কয়েক মাস আগে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। সে সময় পরিস্থিতি এমন ছিল না। চুক্তিটির বাস্তাবায়ন শুরু হলো। এরপর নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপও দেখা দিল। এটি চুক্তিটির সাফল্যে বড় একটি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

DhakaFX
2020-09-14, 07:13 PM
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। বিশেষত মার্কিন মুলুক থেকে ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়েছেন চীনা আমদানিকারকরা। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের বাণিজ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ কথা জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এভাবে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের দামামা অনেকটাই কমে আসতে পারে, যা সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য সুখকর হবে। ইউএসডিএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনা আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ১৬ লাখ ৮ হাজার টন সয়াবিন আমদানি করেছেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বাজারে আমদানি হয়েছে মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার টন ভুট্টা। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আমদানির করা ভুট্টা ও সয়াবিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ। ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য শ্লথ হয়ে আসে। একের পর এক বৈঠক হলেও চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের কার্যকর উদ্যোগের দেখা মিলেনি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে করোনা মহামারী। এ সংকটের সময় ভুট্টার সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বেইজিং। সম্ভাব্য খাদ্য সংকট এড়াতে তাই কৃষিপণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছে চীন। অন্যদিকে করোনা তুলনামূলক স্বাভাবিক হয়ে আসায় দেশটিতে পশুখাদ্যের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। মূলত এসব কারণে বাণিজ্য বিরোধের মধ্যেও ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ঝুঁকেছেন চীনা আমদানিকারকরা।
http://forex-bangla.com/customavatars/2045546173.jpg

SaifulRahman
2021-01-13, 06:36 PM
বাণিজ্যযুদ্ধে জয়ের মালা বেইজিংয়ের গলাতেই, যদিও ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিখ্যাত একটি টুইট ছিল, ‘বাণিজ্যযুদ্ধ ভালো এবং এখানে জেতা সহজ।’ এরপর থেকে ট্রাম্প চীনের প্রায় ৩৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করতে শুরু করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পণ্য আমদানিতে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ শুরু করে। এর মধ্য দিয়েই বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রকাশ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়। যদিও বর্তমান সময়ে এসে ট্রাম্পের সেই মন্তব্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা ট্রাম্প প্রশাসনের আগে থেকে শুরু হলেও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোয় অভূতপূর্ব শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাধ্যমে বিরোধকে আরো তীব্র করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি যেমনটা আশা করেছিলেন তেমন ফল ফলেনি। কোন নীতি কাজ করেছে আর কোনটি করেনি, সেই নীলনকশা উত্তরসূরি জো বাইডেনের কাছে রেখে যাচ্ছেন তিনি। আর নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাণিজ্যযুদ্ধ চালিয়ে যাবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, তিনি অবিলম্বে শুল্কগুলো সরিয়ে নেবেন না এবং পরিবর্তে তিনি প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনা করবেন।
http://forex-bangla.com/customavatars/1989688336.jpg

Bossking
2021-01-23, 05:05 PM
এর আগে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর একই রকম চাপিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিল, যদিও গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন পক্ষ ওয়াশিংটনে রাত ১২ টা থেকে একে অপরের আইটেমের উপর ২৫ শতাংশ কর আদায় করে চলেছে। চীনা পণ্যদ্রব্যগুলির উপরে মার্কিন করের পরিমাণ ৩.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নয়, চীন মার্কিন পণ্যের উপর তুলনামূলক শুল্ক আরোপ করতে বাধ্য করেছে, চীন 545 মার্কিন আইটেম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 617 চীনা আইটেমের অনুরূপ শুল্ক আরোপ করেছে। যা বিশ্ব অর্থনীতির তিহাসিক পটভূমিতে বৃহত্তম বিনিময় যুদ্ধ শুরু করেছে।