PDA

View Full Version : চীন কি সত্যিই পুরো বিশ্বের ব্যবসায় দখল করতে পারে?



Montu Zaman
2018-05-31, 05:15 PM
চীন কৃষি সেক্টর এর পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে এবং ইতোমধ্যে তারা খুব আত্মবিশ্বাস এর সাথে এগ্রিসিভভাবে বলেছে তারা একদিন বিশ্বকে শাসন করবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেনে চীনের অর্থনীতি অনেকটা শক্তিশালী কিন্তু সবসময় সবাই এটা দেখতে পায় না। যদিও তাদের অনেক দরিদ্র মানুষ আছে, তাই তাদের অর্থনীতি খুব জটিলভাবে তাদের রাষ্ট্র চলছে। আমি মনে করি চীন একস সময় শক্তিশালী হবে এবং শক্তিশালী অর্থনীতির হিসাবে বিশ্বের শাসন করতে পারবে। কিন্তু আপনিও কি তাই আপনি কি মনে করেন বা তাদের এই বক্তব্য সম্ভব মনে করেন? সবাই কি এটা যুদ্ধ ছাড়াই অর্থনৈতিকভাবে এটা মেনে নিতে পারবে?
https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcSxN6lfIjtOkhhdYlFLzZ-LUXbXKmyx_7bnFPod7iNiCWFzaSas

Montu Zaman
2019-07-22, 01:42 PM
আর্থিক খাতের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে চীন সরকার। যার অংশ হিসেবে নিজেদের আর্থিক খাত আরো বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি। ২০২০ সাল নাগাদ সিকিউরিটিজ, তহবিল ব্যবস্থাপনা ও ফিউচার্স কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশী মালিকানার সীমাবদ্ধতা তুলে নেয়া হবে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের অধীনস্থ অফিস অব ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটি জানিয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা চীনে বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট ইউনিট, পেনশন ফান্ড ম্যানেজারস, কারেন্সি ব্রোকারসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। শুক্রবার চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে নীতিনির্ধারকরা ৪৪ ট্রিলিয়ন ডলারের আর্থিক খাতের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
চীনের রক্ষণশীল বৈদেশিক নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা রয়েছে। দেশটি বৈশ্বিক বাণিজ্যের একতরফা সুবিধাভোগ করছে বলে সমালোচনা করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি আর্থিক খাতে বিদেশী প্রতিযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে চীন। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দেশটি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটির আর্থিক খাতের বিশালাকার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। এ বাজারে এক অংকের অংশীদারিত্বও যেকোনো বিনিয়োগকারীর জন্য দ্বিগুণ মুনাফা উত্পন্ন করবে। কিন্তু চীনের অস্পষ্ট নিয়ন্ত্রক পরিবেশে প্রায়ই বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোকে ঘুরপাক খেতে এবং বাজারে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নামতে হয়। উল্লেখ্য, চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সিংহভাগই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করে থাকে।

SUROZ Islam
2019-07-28, 04:38 PM
চীনের শিল্প-কারখানার মুনাফা এপ্রিলে কিছুটা বাড়লেও জুনে ফের সংকুচিত হয়েছে, যার ফলে দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং খাত নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ আরো বাড়ল। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা আরো একবার সামনে এল। গতকাল চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এসবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জুনে শিল্প মুনাফা ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ১৯০ কোটি ইউয়ান (৮ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার)। বছরওয়ারি হিসাবে মে মাসে শিল্প মুনাফা বেড়েছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। আর জানুয়ারি-মে সময়ে মুনাফা কমেছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে বছরের প্রথম ছয় মাসে শিল্প-কারখানা মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধের পর থেকে চীনের শিল্প মুনাফা চাপে রয়েছে, কেননা ওই সময় থেকে মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এ বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে অনেক শিল্প-কারখানা নিজেদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে, যার নেতিবাচক প্রভাব খাতটিতে তথা পুরো অর্থনীতিতেই পড়ছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩০ বছরের নিম্নে নেমে এসেছে। পরিসংখ্যান ব্যুরো এ বিবৃতিতে জানিয়েছে, অটো, তেল প্রক্রিয়াকরণ ও ইস্পাত খাতগুলোর মুনাফায় বড় পতন বছরের প্রথমার্ধের মুনাফা কমতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

Rassel Vuiya
2019-12-31, 04:58 PM
9712
২০১৯ সালে উত্থান-পতনময় একটি বছর পার করেছে চীন। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ বাজারে নিম্ন চাহিদাসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছর আশানুরূপ প্রবৃদ্ধির দেখা পায়নি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতিটি।
এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আগামী বছর ২০২০ থেকে নিজেদের ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারের আর্থিক বাজার বিদেশীদের কাছে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। আর নিজেদের ইন্স্যুরেন্স ও ফিউচার মার্কেটগুলো কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিসরে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ার দেশটি। এ পরিকল্পনার ফলে গোল্ডম্যান স্যাকস, জেপি মরগান চেজ, ব্ল্যাকরকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাজারটিতে নিজেদের কার্যক্রম আরো বাড়ানোর সুযোগ পাবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে চীনা অর্থনীতিতে বিশ্বের আর্থিক খাতের মেগা করপোরেশনগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার নতুন পর্বের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কয়েক বছর ধরেই চীনে বিদেশী আর্থিক কোম্পানি বা করপোরেশনগুলোকে সীমিত আকারে বিনিয়োগ অনুমোদন করছেন দেশটির নীতিনির্ধারকরা। তবে এবার বৃহত্ পরিসরে আর্থিক বাজার উন্মুক্ত করার ফলে বিদেশী কোম্পানিগুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি মুনাফা করতে পারবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।