PDA

View Full Version : স্টক একচেঞ্জে কি এবং এটা কীভাবে কাজ করে?



DhakaFX
2018-08-13, 03:26 PM
6180
স্টক একচেঞ্জে বা শেয়ার মার্কেট এমন একটি জায়গা যেখানে বিভিন্ন নির্দিষ্ট পরিমান দায়বদ্ধ কোম্পানি(পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি) যারা স্টক একচেঞ্জে নিবন্ধিত হয়ে তাদের শেয়ার জনসাররনের নিকট বিক্রি করে পুঁজি সংগ্রহ করে থাকে। তাই একে পুঁজি বাজার ও বলা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক মানে ১৮+ যে কেউ শেয়ার ব্যবসায় আসতে পারেন। তবে তার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্যাংকে সঞ্চয়ী (savings) হিসাব খুলতে হবে। এরপর সেই ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে CDBL (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের) অধীনে বিও (বেনিফিসিয়ারি অনার) একাউন্ট খুলতে হবে। মানে সোজা বাংলায় আপনি যে কোনো ব্রোকার হাউসে থেকে এ বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। এ বিও একাউন্ট খোলার পর একজন বিনিয়োগকারী প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় মার্কেটে শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন। প্রত্যেক বছর বেশ কিছু কোম্পানি IPO (ইনিশিয়াল পাবলিক অফার ) দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। একটি কোম্পানি যখন প্রথমবারের মতো বাজারে প্রবেশ করে বা শেয়ার বাজারে ছাড়ে তাকে প্রাইমারি শেয়ার বলে। যখন আপনি B.O. Account খুলবেন, তারপর আপনাকে ঐ কোম্পানীর প্রাইমারী শেয়ারের আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে এবং ঐখানে যেসব ব্যাংক এর লিস্ট থাকবে তার যে কোন একটি ব্যাংক এ তা জমা দিতে হবে। আর যেটাই করেন না কেন, সবকিছুই করতে হবে আপনার একটি Broker House এর মাধ্যমে। প্রাইমারি শেয়ার একবার বাজারে বিক্রি হয়ে গেলেই তা সেকেন্ডারি হয়ে যায়। তখন সেটা সেকেন্ডারি মার্কেট চলে আসে আর সেই শেয়ার সেকেন্ডারি শেয়ার বলে গণ্য করা হয়। সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি ইচ্ছা মতো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। পুঁজি ও ঝুঁকি কেমন বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বর্তমানে দুটা ক্যাটাগরিতে শেয়ার লেনদেন হয়ে থাকে। প্রাইমারি(আইপিও) এবং সেকেন্ডারি।

SUROZ Islam
2019-03-07, 04:16 PM
স্টক একচেঞ্জে বা শেয়ার মার্কেট এমন একটি মার্কেট যেখানে কোন কোম্পানি তার মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি (আইপিও) করে থাকে। যদি কোন কোম্পানি খুব ভাল ব্যাবসা করে এবং তার মালিক পক্ষের কাছে ব্যবসা পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অর্থ থাকে, তবে ঐ কোম্পানি কোনকালেই পুঁজি বাজারে আসবে না। কারণ বাধ্য না হলে অথবা অর্থের প্রয়োজন না থাকলে মালিক পক্ষ অযথা তার ব্যবসায়িক মুনাফার ভাগ সাধারণ মানুষকে দেবে না। তাই মোটা দাগে পুঁজিবাজারে আইপিও ছেড়ে লিস্টেড হওয়ার মূল কারণ চারটি –
(ক) আইনী বাধ্যবাদকতা : কোম্পানি যথেট মুনাফা করছে, মালিকদেরও অর্থের প্রয়োজন নেই কিন্তু দেশের আইন মেনে ব্যবসা করার জন্য বাধ্য হয়ে পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। যেমন- বাংলাদেশের ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিগুলোকে ব্যবসা শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে লিস্টেড হতে হয়।
(খ) স্বল্প পুঁজি কিন্তু সম্ভবনাময় : কোম্পানিগুলোর শুরু কম পুঁজি দিয়ে কিন্তু ব্যবসায়িক আইডিয়া চমৎকার। ব্যবসা করতে নেমে মালিকরা সফল হন। এখন বড়পুঁজি যোগাড় করা সম্ভব হলে অল্প সময়ে ব্যবসা কয়েকগুণ বড় করা সম্ভব। যেমন- স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক, সামিট পাওয়ার, ইফাদ অটো ইত্যাদি।
(গ) ব্যবসায়িক মুনাফা বৃদ্ধি : আর্থিক সঙ্কট নেই, ব্যবসাও মন্দ নয়। তবু অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য কিছু কোম্পানি বাজারে আসে। যেমন আমাদের দেশে কর্পোরেট ট্যাক্স হার ৩৭.৫% কিন্তু লিস্টেড কোম্পানির জন্য এই হার ২৫%। আবার মোবাইল কোম্পানির কর হার ৪২.৫% কিন্তু লিস্টেড ফোন কোম্পানির জন্য তা ৪০% শতাংশ। আবার বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানিকে প্রথম ৫ বছর কোন কর দিতে হয়না। এরপর থেকে কর্পোরেট ক্যাটাগরিতে কর দিতে হয়। ফলে অনেক কোম্পানি এই কর রেয়াত পাবার জন্য বাজারে লিস্টেড হয়। যেমন- জিপি, ম্যারিকো, হাইডেল বার্গ, রাকা পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার ইত্যাদি।
(ঘ) অলাভ/স্বল্প লাভজনক ব্যবসা বিক্রি করে দেয়া : দুঃখজনক হলেও পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানি লিস্টেড হয় তাদের ব্যবসা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে দিতে। মূলত মালিক পক্ষ ও ব্যাংক উভয়ে মিলে এই কাজ করে। মালিক পক্ষ তাদের পুঁজি অনকে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তার ব্যবসা দাঁড় করান। কিছুদিন পরে তারা উভয়ে বুঝতে পারেন- যতটুকু মুনাফার আশায় তারা ব্যবসা গড়েছেন তা করার সামর্থ
তাদের নেই।
আবার এক সময়ের নামি কোম্পানি সময়ের বিবর্তনে, প্রযুক্তির পরিবর্তনে বা নিজেদের ব্যর্থতায় ব্যবসায়িক মুনাফা হ্রাস পাওয়ায় মালিক পক্ষ তাদের ব্যবসা বিক্রি করে দিতে চায়। কিন্তু ডুবন্ত জাহাজের খবর কম বেশি সবাই জানে। তাই চাইলেই অন্যকোন ব্যাবসায়ির কাছে চড়া দামে কোম্পানি বিক্রি করা সম্ভব নয়। সুতরাং বিকল্প পথ হল পুঁজিবাজার। ইউরোপের বড় বড় ব্যাংকার ও পুঁজিপতিরা এই ‘এক্সিট রুট’ তৈরি করতে পুঁজিবাজার গঠন করেছিলেন।
ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকা কোম্পানি পুঁজিবাজারে লিস্টেড করে এবং প্রথমে ধাপে ব্যাংক তার পাওনা টাকা নিয়ে যায়। দ্বিতীয় ধাপে মালিক পক্ষ শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রণ করে ক্রমাগত তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করে। এক সময় তাদের হাতে নাম মাত্র পরিমাণ শেয়ার থাকে এবং অধিকাংশ শেয়ার থাকে আমজনতার হাতে। ভবিষ্যতে এই কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ দেউলিয়া হয়ে যায়। আর অতি অল্পকিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মার্কেট থেকে কম দামে শেয়ার কিনে অন্যকেউ মালিকানা গ্রহণ করে ব্যবসা নতুন রুপে দাঁড় করায়।

Rakib Hashan
2019-11-13, 02:53 PM
9299
বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে বা শেয়ারবাজার অনেকটাই পিছিয়ে আছে আর চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শেয়ারবাজারসহ আর্থিক খাতে তথ্যপ্রযুক্তির (ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি বা ফিনটেক) ব্যবহার খুবই সীমিত। যেমন শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে ৯৫% হিসাব খোলা হয় মুঠোফোনে।
পাশাপাশি রয়েছে সুশাসন ও বিনিয়োগযোগ্য ভালো শেয়ারের ঘাটতি।* এমতবস্থায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।