View Full Version : বাংলাদেশে অতি ধনীদের বৃদ্ধির হার বেশি- ওয়েলথ-এক্স-এর তথ্য অনুসারে
SaifulRahman
2018-09-18, 05:53 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স-এর তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে অতি ধনীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ১৭ দশমিক তিন শতাংশ হারে সারা বিশ্বের তুলনায় সব থেকে বেশি। যদিও বাংলাদেশি টাকায় যাদের সম্পদ আড়াইশো কোটি টাকার বেশি তাদেরকেই অতি ধনী বলেধরা হয়েছে। বাংলাদেরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ দেশে ১০ হাজার ১৫২ জন অতি ধনী ব্যক্তি আয়কর দিয়েছে। যদিও ওয়েলথ-এক্স-এর প্রতিবেদনের ফলে বাংলাদেশে ধনী- গরিবের বৈষম্য বাড়ছে কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক ধাপে এটি ঘটা খুবই স্বাভাবিক। কেননা শিল্প খাত এবং সেবা খাত, এই দুটি খাতেই তারা বিনিয়োগ করছে। শিল্প খাতে তৈরি পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, চামড়া শিল্পে অনেকে বিনিয়োগ করেছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে এখন ভৌত অবকাঠামো সৃষ্টির একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখানে অনেক বড় বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের সবারই কিন্তু এখানে একটা সম্পদ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পাশাপাশি সেবা খাতেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিও একটি বিকাশমান খাত হিসেবে এসেছে। এর ফলে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে যে একটা গোষ্ঠী অতি ধনী হয়ে যাচ্ছে।
Rassel Vuiya
2018-12-10, 04:14 PM
রবিবার রাজধানীতে গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি নিয়ে এমন একটি পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ- সিপিডি। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দ্বিতীয় ভাগে এসে অর্থনীতি ব্যবস্থপনার গুণগত মান কমেছে আর দ্রুত বেড়েছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। বিগত ১০ বছরে মধ্যে প্রথম ৫ বছরের চেয়ে দ্বিতীয় ভাগের ৫ বছরে অর্থনীতিতে উন্নয়নের গতি কমে যাবার কারনে এ সময়ে বেড়েছে ঋণের ভার। পাশাপাশি অর্থনীতি ব্যবস্থপনার গুণগত মান কমেছে আর দ্রুত বেড়েছে ধনী-গরিবের বৈষম্য।
Montu Zaman
2019-01-23, 03:16 PM
শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বজুরে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে ধনীদের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে তাদের আয়ের পরিমানও। যা বাড়িয়ে দিচ্ছে আয় বৈষম্যও। হিসেব বলছে বিশ্বের শীর্ষ ২৬ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমান এক দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষের মোট সম্পদের সমান। অক্সফাম এই হিসেব দিয়ে বলছে, ধনীদের সম্পদ গেলো বছর ১২ ভাগ হারে বাড়লেও দরিদ্র মানুষের আয় কমে গেছে ১১ ভাগ হারে। এছাড়া বিশ্বের ২৬ জন ব্যক্তির যে সম্পদ আছে তা ৩৮০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের সমান। ওই ২৬ জন ধনীর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার।
SUROZ Islam
2019-04-24, 03:29 PM
জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের সব প্রান্তের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেই নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। ফলে দরিদ্র দেশগুলো দরিদ্রতর হচ্ছে ও বৈশ্বিক অসমতা বাড়ছে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। দেখা যায় বৈশ্বিক উষ্ণতা গত ৫০ বছরে বিভিন্ন দেশের ওপর কেমন প্রভাব রেখেছে, সে বিষয়ে স্ট্যানফোর্ডের দুই গবেষকের গবেষণাটি সোমবার ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে দেশগুলোর জলবায়ু অধিক উষ্ণ, সেসব দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তত বেশি। ২০১০ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ৩১ শতাংশ কম হতো না যদি পূর্ববর্তী অর্ধশতকে মনুষ্যসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি না ঘটত। গবেষণায় দাবি করা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আফ্রিকার দেশ শাদের ব্যক্তিপ্রতি অর্থনৈতিক কার্যক্রম ৩৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ভেনিজুয়েলা ও নাইজেরিয়ায় ব্যক্তিপ্রতি অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৩২ ও ২৯ শতাংশ।
SaifulRahman
2020-05-27, 05:54 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1457371679.jpg
করোনার প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ! পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এক জরিপ প্রতিবেদনে এটা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হিসাবে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। করোনার কারণে দরিদ্র সংখ্যা আরো ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে হবে ৪৩ শতাংশ।কেননা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদে ছুটি ও লকডাউনের প্রভাবে গ্রামের মানুষের ৬২ শতাংশ এবং শহরের মানুষের আয়-রোজগার ৭৫ শতাংশ কমে গেছে। কাজ হারিয়ে নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ। আগে থেকেই দরিদ্র ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। সবমিলিয়ে ৭ কোটি দরিদ্র মানুষ করোনার কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাদের খাদ্যসহায়তা এবং অতিপ্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে প্রতিমাসে ১০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা প্রয়োজন।
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.