PDA

View Full Version : বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে যাবার আশঙ্কা



Tofazzal Mia
2018-10-23, 05:11 PM
রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান ট্রেড ওয়ারের কারনে এবংেউভয়ের কঠোর আর্থিক নীতিমালা গ্রহনের কারেন বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি প্রথমবারের মতো আরেক বার কমে যেতে পারার আশঙ্কা করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক অর্থনীতিবিদের ওপর পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হবে বলে ধারণা করছেন। মোট ৪৪টি অর্থনীতি আগামী বছর কেমন থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাদের মতামত অনুযায়ী, আগামী বছর ১৮ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আউটলুক সংকুচিত হবে, ২৩টির অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে এবং বাকি মাত্র তিনটি অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে।

Montu Zaman
2019-04-11, 02:54 PM
বিশ্ব অর্থনীতি ‘নাজুক পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাস না দিলেও তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেকগুলো নিম্নমুখী ঝুঁকি রয়েছে। আইএমএফ তাদের বিশ্ব অর্থনৈতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে তা দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশে। আইএমএফের আগের পূর্বাভাসের তুলনায়ও হ্রাস পেয়েছে চলতি বছরের এবারকার পূর্বাভাস। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরো অঞ্চলের দেশগুলোসহ উন্নত অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ২০ শতাংশ, যা কিনা সংস্থাটির গত জানুয়ারির পূর্বাভাসের তুলনায় ৩০ বেসিস পয়েন্ট কম। ২০২০ সালের সংশোধিত প্রবৃদ্ধিও আগের তুলনায় কমার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

SUROZ Islam
2019-06-10, 04:35 PM
মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিবাদ নিরসনে কয়েক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও সমাধানের দেখা মেলেনি, উল্টো বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যকার বাণিজ্য বিবাদের কারণে অনেক দেশ লাভবানও হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সুযোগের ফায়দা লোটার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম। আমদানিকারকরা উচ্চতর শুল্ক এড়ানোর জন্য নিজেদের বাণিজ্য অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কারণে এখন পর্যন্ত লাভবান দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। চীনের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে দেশটির। নমুরা হোল্ডিংস ইনকরপোরেটেড অর্থনীতিবিদ রব সুব্বারামান, সোনাল ভার্মা ও মাইকেল লুরের করা গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত এক বছরে শুল্ক আরোপিত পণ্যের বাণিজ্য ডাইভারশনের কারণে ভিয়েতনাম যে পরিমাণ আদেশ পেয়েছে, তা দেশটির জিডিপির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। লাভবানদের তালিকায় দ্বিতীয় তাইওয়ান, যারা পেয়েছে জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ আদেশ। উভয় অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর চীনের বাড়তি শুল্কারোপের চেয়ে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন বাড়তি শুল্কারোপের কারণে বেশি লাভবান হয়েছে।

BDFOREX TRADER
2019-07-01, 04:53 PM
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, চলমান দুর্বল প্রবৃদ্ধি থেকে বিশ্ব অর্থনীতিকে রক্ষার জন্য এ সময় দেশগুলোর মধ্যে গভীরতর সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এজন্য শুল্ক কমাতে হবে এবং বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করতে হবে। যদিও চলতি বছরের এপ্রিলে দেয়া পূর্বাভাসে আইএমএফ জানিয়েছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য বিবাদ ও চীনা অর্থনীতির শ্লথ গতির জন্য প্রবৃদ্ধি কমবে। এপ্রিলে দেয়া পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলছে চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, অথচ জানুয়ারির পূর্বাভাসে ৩ দশমিক ৫ শতাংশের কথা বলা হয়েছিল। ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি নিজেদের সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বলছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশে স্থির থাকবে। চীন ও ভারতের মতো অর্থনীতিগুলোর উন্নতির কারণে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়বে।

SUROZ Islam
2019-07-04, 03:01 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কারনি। ট্রাম্পের শুল্কনীতি বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি স্তিমিত করে দিতে পারে বলেও সতর্ক করেন এ কর্মকর্তা। চীন, মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবকে নীতিনির্ধারকরা খাটো করে দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকপ্রধান। ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তায় বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমেই ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা। বৈশ্বিক অর্থনীতি, ম্যানুফ্যাকচারিং, শিল্প উৎপাদন এবং মূলধনি পণ্যের ক্রয়াদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে তীব্র প্রতিকূল ও অনিশ্চিত বাণিজ্য পরিবেশ সম্পৃক্ত বলে মন্তব্য করেন কারনি। এসব প্রতিবন্ধকতার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ক্রমেই শ্লথ হয়ে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

SUROZ Islam
2019-07-11, 01:54 PM
এ মুহূর্তে পুরো বিশ্ব বাণিজ্যযুদ্ধ ও ব্রেক্সিটবিষয়ক অনিশ্চয়তা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। কিন্তু এর বাইরে আরো একটি আর্থিক সংকট দানা বেঁধে উঠছে, যা সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে। বছরের পর বছর ঋণ নেয়ায় আজ বিশাল ঋণের চাপে পর্যুদস্ত ইতালির সরকার। বর্তমানে দেশটির সরকারি ঋণের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়েছে, যা ইতালির জিডিপির ১৩০ শতাংশের বেশি। অন্যান্য আরো কিছু কারণসহ গত শতকের সত্তর ও আশির দশকে অনিয়ন্ত্রিত ব্যয়ের কারণে বর্তমানে ইতালির জাতীয় ঋণের পরিমাণ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। এদিকে দেশটির এত বিশাল অংকের ঋণ ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ইউরো অঞ্চলের সদস্য দেশগুলোর ঋণ গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করে ইসি।

Montu Zaman
2019-07-28, 04:35 PM
১২৯টি দেশ নিয়ে পরিচালিত দ্য গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৯-এর নতুন প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক শ্লথগতি, পাল্লা দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মেধাস্বত্বের একজন সহস্পন্সর। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০১৯ এর তথ্য অনুসারে শীর্ষে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডের পরই রয়েছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও ব্রিটেন। এদিকে চীন আগের ১৭ থেকে ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে। বিশ্বের প্রথম সারির উদ্ভাবনী দেশগুলোর মধ্যে চীন ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের প্রতিবেদনে। উদ্ভাবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটি উন্নতির স্বাক্ষর রেখেছে বলে জানিয়েছে এ প্রতিবেদন। মৌলিক পেটেন্ট, শিল্প পরিকল্পনা, মৌলিক ট্রেডমার্ক, উচ্চ প্রযুক্তি রফতানি এবং সৃজনশীল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে দেশটি শীর্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

BDFOREX TRADER
2019-10-17, 01:13 PM
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধি করতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। সংস্থাটির মতে, ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রমের শ্লথগতি ও বাড়তে থাকা বাণিজ্য এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমাতে মূল ভূমিকা রাখছে। বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি নিজেদের সর্বশেষ ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে পূর্বাভাস করেছে যে চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ। এপ্রিলের পূর্বাভাসে ৩ দশমিক ৩ শতাংশের কথা জানিয়েছিল আইএমএফ। এবার নিয়ে পাঁচবার প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল সংস্থাটি। প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে, ২০০৮-০৯ বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর চলতি বছর সবচেয়ে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২০ সালের জন্যও প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ। এপ্রিলে ৩ দশমিক ৬ শতাংশের কথা বললেও আগামী বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে এবার জানিয়েছে তারা।

FXBD
2019-11-19, 03:30 PM
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনাগুলো ও মুদ্রানীতি প্রশমিত হওয়ায় আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস করেছে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি। এর মধ্য দিয়ে গত সাত প্রান্তিকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়বে। যা সিএনবিসি, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর একটি রিপোর্টে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এছাড়াও গ্লোবাল আউটলুক ২০২০ প্রতিবেদনে মরগান স্ট্যানলির বিশ্লেষকরা জানান, প্রশমিত বাণিজ্য উত্তেজনা (যা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পতনের প্রধান কারণ) ব্যবসায় সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা হ্রাসের পাশাপাশি নীতি উদ্দীপনাগুলোকে আরো কার্যকর করবে। চলতি বছরের ৩ শতাংশের তুলনায় আগামী বছরের জন্য ৩ দশমিক ২ শতাংশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছে ব্যাংকটি।
এদিকে চলতি বছর শেষে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ছয় বছরের সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়াবে বলে জুলাইয়ে পূর্বাভাস করেছিলেন ব্যাংকটির বিশ্লেষকরা। তবে এ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামান্য পুনরুদ্ধার হতে দেখায়, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৩ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি আশা করছেন তারা।

FXBD
2019-12-19, 01:16 PM
ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনাল বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে ২০২০ সালেও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা ভাব বজায় থাকবে, যদিও চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি চাঙ্গা ভাব দিয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য শুল্ক ঝুঁকি, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যবসা ও গ্রাহক আস্থায় পতন এবং মন্থর উৎপাদন প্রবৃদ্ধি—সব মিলিয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাসের অবনতি ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ব্যবসা জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রবৃদ্ধি ও আগামী বছরের জন্য ব্যবসা প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা ২০১৬ সালের পর সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে।
9610
২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি, বিশেষত উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মন্থর প্রবৃদ্ধির কারণে ব্যবসা আস্থা, ম্যানুফ্যাকচারিং ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির আরো অবনতি ঘটেছে। ফলে বৈশ্বিক মন্দা, মন্থর উদীয়মান বাজার ও বৈশ্বিক সংকটের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সমঝোতায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সংক্রান্ত ঝুঁকি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

SaifulRahman
2019-12-23, 04:09 PM
9649
একের পর এক বাণিজ্য উত্তেজনা ও বৈশ্বিক উৎপাদন মন্দার কারণে এক দশকের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় ২০১৯ সাল শেষ করে ২০২০ সালে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। চলতি বছর শক্তিশালী পূর্বাভাস সত্ত্বেও প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল পারফরম্যান্স দেখা গেছে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিতে। বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং এর পাশাপাশি জার্মানির গাড়ি শিল্পে তীব্র পতনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলোর প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল পারফরম্যান্স আকস্মিক কিছু নয়। প্রধান অর্থনীতিগুলোয় প্রত্যাশার চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য উত্তেজনা থেকে শুরু করে ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তার মতো বহু উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যার প্রভাবে প্রবৃদ্ধি চক্র প্রত্যাশার তুলনায় অনেক মন্থর হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু উদ্বেগ বাস্তবে রূপ না নিলেও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধির পতন ঘটেছে।

Tofazzal Mia
2020-01-15, 05:15 PM
সর্বকালের সর্বোচ্চ ঋণভারে বিশ্ব, ২০১৯ সালের তিন প্রান্তিকে বৈশ্বিক ঋণ বেড়েছে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স (আইআইএফ) সোমবার তাদের গ্লোবাল ডেট মনিটর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিপুল এ ঋণের কারণে বৈশ্বিক ঋণ-জিডিপির অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৩২২ শতাংশ, যা ২০১৬ সালের সর্বোচ্চ হারকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশাল অংকের এ ঋণের প্রায় অর্ধেকই ছিল অগ্রসর অর্থনীতিগুলোর, যাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাদের ঋণ-জিডিপির অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৩৮৩ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান এ ঋণের বোঝা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য প্রকৃত হুমকি হিসেবে দেখছে আইআইএফ। তাদের আশঙ্কা, চলতি বছরও এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নিম্ন সুদহার ও দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ ২৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

Montu Zaman
2020-01-22, 03:30 PM
চলতি বছর মন্থর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আইএমএফের ঘুরে দাঁড়ানোর আগে তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে এ ধরনের কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে ন।এছাড়া বাণিজ্য উত্তেজনা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যন্ত একাধিক ঝুঁকি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।ভারতসহ অন্য উদীয়মান বাজারগুলোর প্রত্যাশার চেয়ে তীব্র মন্দার কারণে চলতি ও আগামী বছরের জন্য বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি তলানিতে পৌঁছে যাওয়া কার্যক্রমে আশাবাদের সঞ্চার করলেও এর কোনো প্রভাব দেখতে পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।রফতানি ও বিনিয়োগের ওপর বাণিজ্যযুদ্ধগুলো প্রভাবের মধ্যে গত বছর বিশ্ব অর্থনীতি ২ দশমিক ৯ শতাংশ সম্প্রসারণ হয়, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে মন্থর বৃদ্ধি। যদিও বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রায় একই তালে মুদ্রানীতি শিথিলের পদক্ষেপ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ১ শতাংশীয় পয়েন্টের অর্ধেক যুক্ত করেছে।

Montu Zaman
2020-02-11, 04:48 PM
২০২০ সালে ইতিবাচক আভাস দিয়েই নতুন বছর শুরু করেছিল বৈশ্বিক অর্থনীতি। বিশেষ করে গত বছরের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় চীনের সঙ্গে প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের শুরু সম্ভবত প্রত্যাশিতই ছিল। মনে হচ্ছিল, ওই চুক্তির ফলে গত বছরের ঊর্ধ্বগামী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এ বছর প্রশমিত হবে। একই সঙ্গে সব মহাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ২০২০ সালে দূর হবে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি। বৈশ্বিক আর্থিক বাজারগুলোয় এ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছিল। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক ইকুইটির এমএসসিআই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩ শতাংশেরও বেশি। ওই সময় বন্ডের দামেও দেখা দিয়েছিল ইতিবাচকতা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডের ঝুঁকিমুক্ত সুদহারেও গত শরতের মন্দার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে বাজারের এমন চেহারা অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ভরসা জাগাতে পারছে না। উপাত্ত বিশ্লেষণের পর চলতি বছরে মন্দার আশঙ্কা না করলেও, তারা খুব বেশি আশাবাদও ব্যক্ত করতে পারছেন না। বরং তাদের পূর্বাভাস বলছে, অর্থনৈতিকভাবে আরো একটি দুর্বল বছর হতে যাচ্ছে ২০২০ সাল।

FXBD
2020-02-27, 01:39 PM
10202
করোনাভাইরাসে কারনে বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতি ১ ট্রিলিয়ন ডলার। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে। ইউরোপে সংক্রমণজনিত কারণে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে ইতালি। এরই মধ্যে প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেশটির অর্থনীতির সমৃদ্ধিশালী অংশ। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলমান এ স্বাস্থ্য সংকটে ১ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বৈশ্বিক জিডিপি। কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, উৎপাদন হ্রাস, সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য কমে যাওয়ায় এ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরাও এখন উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টক বেঞ্চমার্কে গত সোমবার ৩ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। একইভাবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে দ্রুত হারে কমছে এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক।

BDFOREX TRADER
2020-03-01, 05:00 PM
নভেল করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের ৪৫টি দেশের ৮১ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এ রোগে। এর মধ্যে পর্যটন শিল্পসহ বৈশ্বিক বাণিজ্যের বিভিন্ন অংশে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। পর্যটন শিল্পে ভাইরাসটির প্রভাব সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করাটা খুব দ্রুত হয়ে যায় উল্লেখ করে ডব্লিউটিটিসির সিইও গ্লোরিয়া গুয়েভারা বলেন, ডব্লিউটিটিসি ও গবেষণা সংস্থা অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের যৌথ গবেষণায় ভাইরাসের কারণে পর্যটন খাতে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ডব্লিউটিটিসির সঙ্গে অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের গবেষণায় আনুমানিক ২ হাজার ২০ কোটি ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল। গত মাসে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে চীনা পর্যটকদের সংখ্যা ৭ শতাংশ কমে যাওয়ার প্রাক্কলন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গবেষণা শেষে ক্ষতির পরিমাণ দেখা যায় প্রায় দ্বিগুণ। নভেল করোনাভাইরাস সার্স ভাইরাসের মতো দীর্ঘ সময় স্থায়ী হলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

Montu Zaman
2020-03-02, 01:10 PM
10223
গত সপ্তাহটি ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল, এমনকি তা বিলিয়নেয়ারদের জন্যও সত্য। করোনাভাইরাসের প্রভাব বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ায় শেয়ারবাজারে ৪৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার খুইয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা। ডাউ জোনস শিল্প সূচক গত সপ্তাহে ১২ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে, যা ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা-পরবর্তী সর্বোচ্চ। শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহের বিশাল এ বিপর্যয়ে বৈশ্বিক শেয়ারের প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন ডলার লাপাত্তা হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী ব্যক্তির সম্পদ কমেছে ৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সবচেয়ে বেশি লোকসান গুনেছেন বিশ্বের শীর্ষ তিন ধনী ব্যক্তি; অ্যামাজন ডটকমের জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান বেহনা আহনু। তাদের মোট সম্পদ কমেছে ৩ হাজার কোটি ডলার। লোকসানের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিশ্বের ২৫তম শীর্ষ ধনী ও টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলোন মাস্ক। গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ৯০০ কোটি ডলার খুইয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে ইলোন মাস্কের নিট সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার, যা গত বছরের চেয়ে এখনো ৮৮০ কোটি ডলার বেশি।

amreta
2020-03-02, 06:33 PM
রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান ট্রেড ওয়ারের কারনে এবংেউভয়ের কঠোর আর্থিক নীতিমালা গ্রহনের কারেন বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি প্রথমবারের মতো আরেক বার কমে যেতে পারার আশঙ্কা করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক অর্থনীতিবিদের ওপর পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হবে বলে ধারণা করছেন। মোট ৪৪টি অর্থনীতি আগামী বছর কেমন থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাদের মতামত অনুযায়ী, আগামী বছর ১৮ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আউটলুক সংকুচিত হবে, ২৩টির অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে এবং বাকি মাত্র তিনটি অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে।
বিলকুল আইসা হ'ল একমাত্র বাজার যা বাজারে আসেনি এবং এই বাজারে ক্রাশ হচ্ছে, এবং এটি সম্ভব যে বাজারটি চীনে বাজারে ব্যর্থ হচ্ছে is শক্তি এবং আমি একটি লাভজনক ব্যবসায়ের অংশীদার খুঁজছি।

Montu Zaman
2020-03-03, 05:15 PM
10238
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক জিডিপিতেও এর প্রভাব পড়বে। কারণ, বর্তমানে বিশ্বের মোট উত্পাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে চীন থেকে। আর চীনে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অধিকাংশ বড়ো কোম্পানির কারখানায় উত্পাদন স্থগিত রাখা হয়েছে। আরো দুই মাস উত্পাদন বন্ধ থাকলে বিশ্ব প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে বড়ো বিপর্যয় দেখা দেবে।করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বাতিল হয়ে গেছে প্রযুক্তি দুনিয়ার সবচেয়ে বড়ো আয়োজন মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি)। প্রতি বছর এ আয়োজনেই নতুন প্রযুক্তিপণ্যের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়া হতো দুনিয়াকে। সম্প্রতি এমডব্লিউসির আয়োজক জিএসএমএ কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা ভাইরাসের বিস্তারজনিত চরম উদ্বেগজনক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিতব্য এমডব্লিউসির আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি চীন ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা- যা হবে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর সর্বনিম্ন বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি। বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

SUROZ Islam
2020-03-05, 03:04 PM
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ২০২০ সালে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশার গুড়ে বালি পড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ২০০৮-২০০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর এ বছর প্রবৃদ্ধির গতি সবচেয়ে ধীর। আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানান, সংস্থাটির অনুমান, ২০২০ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি দুই দশমিক নয়ের নিচে থাকবে। বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে গত বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২০০৯ সালের পর সবচেয়ে কম। আইএমএফের অনুমান ছিল, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত হওয়ায় বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে তিন দশমিক তিন শতাংশ। বর্তমান অনুমান বলছে, তার চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমবে শূন্য দশমিক চার শতাংশেরও বেশি। জর্জিভা বলেন, ২০২০ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের চেয়ে নিচে নামবে। তবে সেটি কতোটা নামবে এবং কতো সময় পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে সেটি এখন অনুমান করা কঠিন।

Tofazzal Mia
2020-03-15, 04:17 PM
একদিকে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রকোপ, অন্যদিকে জ্বালানির বাজারে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে আকস্মিক মূল্যযুদ্ধ—এ দুয়ের যুগপত্ সংক্রমণে টালমাটাল হয়ে পড়ে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার। গত ৯ মার্চ ভয়াবহ এক ধসের মুখে পড়ে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার, ডাও জোনস ও এসঅ্যান্ডপি-৫০০ উভয় সূচকই প্রায় ৮ শতাংশ হারে পয়েন্ট হারিয়েছিল। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির এই ব্ল্যাক মানডেতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের নয়জনই সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।

DhakaFX
2020-03-16, 04:58 PM
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এ কারণে চলতি বছর ইউরোপের প্রবৃদ্ধির হার শূন্যেরও নিচে নেমে যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা জানায়।*ইইউয়ের কার্যনির্বাহী শাখা ইউরোপিয়ান কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চলতি বছর ইউরো জোন এবং ইইউয়ের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির হার কমে শূন্যে নেমে আসতে পারে। এমনকি চূড়ান্ত পরিসংখ্যান শূন্যেরও নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ এদিকে, করোনার প্রভাব থেকে ইউরোপের অর্থনীতিকে রক্ষায় গত শুক্রবার একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানায় ইইউ। বিশেষ করে, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ইতালিকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রধান।

SaifulRahman
2020-04-16, 07:47 PM
10648
বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ২০১৯ সালটি কিন্তু খুব ভালো ছিল না। মন্দার আশঙ্কা নিয়ে পুরো বছরটি কেটেছে। আর এর প্রভাবে অর্থবছরের প্রায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ছিল মন্দায়। একই অবস্থা ছিল আমদানির ক্ষেত্রেও। রাজস্ব আদায় পরিস্থিতিও খুব স্বস্তিদায়ক ছিল না। এ কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছিল। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহও ছিল বেশ কম। সব মিলিয়ে অর্থনীতির গতি যে শ্লথ হয়ে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত ছিল প্রায় সব সূচকেই। আর ব্যাংক খাততো দুর্বল অনেক আগে থেকেই। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল প্রবাসী-আয়। ‘অর্থের সন্ধানে মরিয়া সরকার’ বা ‘একটি ছাড়া অর্থনীতর সব সূচকই নিম্নমুখী’-এসবই ছিল বিভিন্ন সংবাদের শিরোনাম। এ রকম এক অবস্থায় করোনার আঘাত। মহামারি কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির মহামন্দা নিয়ে আসছে।এ রকম এক সময়ে অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও জিডিপির কথা পুরোপুরি ভুলে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো। জিডিপি কত হরে এই বিতর্ক এখন একেবারেই অহেতুক। বরং বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এই প্রাক্কলনকে সতর্কবার্তা হিসেবে নেওয়াটাই অর্থনীতির জন্য ভালো। মনে রাখা দরকার পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ, এক দশকের অর্জন মুছে যাওয়ার উপক্রম, দারিদ্র্য পরিস্থিতি উন্নতির যে ধারায় দেশ এসেছিল তাও হয়তো আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। এই মুহূর্তের প্রথম কাজই হচ্ছে জীবন বাঁচানো, আর জীবিকা বাঁচানো। আর এ দুটো করা গেলে জিডিপিও বাড়বে। সারা বিশ্ব এখন এ কাজটিই করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

Tofazzal Mia
2020-04-19, 05:43 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/519293166.jpg
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা এখন স্পষ্ট যে ১৯৩০-এর দশকের মহামন্দার পর সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার সামনে দাঁড়িয়ে পৃথিবী। এটা এক দশক আগের অর্থনৈতিক সংকটকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই লকডাউন বিশ্বের প্রবৃদ্ধি নাটকীয়ভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলছেন, এই সংকটে বিশ্ব আগামী দুই বছরে ৯ ট্রিলিয়ন ডলার (৯ লাখ কোটি ডলার) প্রবৃদ্ধি হারাবে। এই অঙ্ক জার্মানি ও জাপানের মতো দুই শিল্পোন্নত দেশের মোট জিডিপির পরিমাণের চেয়েও বেশি। গত জানুয়ারি মাসেও আইএমএফ এ বছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করেছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের দেশগুলোতে যে অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরি হয়েছে তার ফলে আরেকটি মন্দার দিকে চলে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। শতাব্দীকাল আগের সেই মহামন্দার পর এই প্রথম বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো একসঙ্গে মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে। এক দশক আগের মন্দার পর ২০০৯ সালে বিশ্বে অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল, যা ছিল, মহামন্দার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। এবার তা হতে যাচ্ছে ৩ শতাংশ।

rakib.r
2020-04-19, 09:14 PM
করোনার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে যে লক ডাউন শুরু হয়েছে তাতে সব দেশের অর্থনৈতিক সব ধরনের কর্ম কান্ড ধেমে গেছে বলেই ধরা যায়। এটার প্রভাব আসলে অনেক দিন ধরেই রয়ে যাবে। বিশ্বের সব দেশের সাথে সাথে এটা আমাদের বাংলাদেশেও বেশ জোড়ালো প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ এমনি ই অর্থনৈতিক ভাবে খুব একটা সচ্ছল দেশ নয় এখন চলমান অবস্থার কারনে আরো সমস্যা হবে দেশে।

Rassel Vuiya
2020-04-21, 12:50 PM
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের ছোবলে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। নতুন এই ভাইরাস একদিকে যেমন কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ, অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে খাদের কিনারে, যার জের টানতে হতে পারে লম্বা সময় ধরে। অর্থনীতিকে কতটা ধসিয়ে দিয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস, তার একটা আভাস কয়েকদিন আগেই দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমফ)। সংস্থাটি বলছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের কারণে যেভাবে ডুবতে বসেছে, তাতে এবছর বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখতে পারবে। সেখানে এশিয়ার অবদান শূন্য। অর্থাৎ এ বছর এশিয়ার অর্থনীতিতে কোনো প্রবৃদ্ধিই হবে না। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ বলেছেন, এই সঙ্কটের কারণে আগামী দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নয় লাখ কোটি ডলার কমে যেতে পারে।
10676
আইএমএফের দৃষ্টিতে, ১৯৩০ এর দশকের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করে আইএমএফ।
10677
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সর্বশেষ বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক) সঙ্কট মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপের প্রশংসা করা হলেও কোনো দেশই অবনতি ঠেকাতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে যদি মহামারী কিছুটা কমে আসে, সেক্ষেত্রে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে আইএমএফ।

SUROZ Islam
2020-05-13, 02:13 PM
10946
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার পথে বিশ্ব অর্থনীতি! কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে। ফলে চলতি ২০২০ সালে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে পরের বছরেই অর্থাৎ ২০২১ সালেই বৈশ্বিক জিডিপি ঘুরে দাঁড়াবে। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক বিনিয়োগ ও আর্থিক সেবাদাতা বহুজাতিক কোম্পানি মরগ্যান স্ট্যানলি এমন আশা-নিরাশার কথা শুনিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে, মানে কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। কিন্তু ২০২১ সালে তা আবার চাঙা হয়ে উঠবে এবং প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তাতে আগামী বছর ভারত হবে এশিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। ভারতের সামনের বাকি তিনটি দেশ হবে চীন ৯ দশমিক ২ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৯ দশমিক ৬ শতাংশ ও ফিলিপাইন ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম বিশ্ব সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে যাচ্ছে। তবে নীতিমালা শিথিল করার সুবাদে বিভিন্ন দেশের জিডিপি দ্রুতই আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

SaifulRahman
2020-05-17, 03:47 PM
তিন মাসে বিশ্ববাণিজ্য ৩ শতাংশ কমেছে
10985
চলতি ২০২০ সালের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি–মার্চে কোভিড–১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববাণিজ্য ৩ শতাংশ কমেছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক এপ্রিল–জুনে বাণিজ্যে রীতিমতো ধস নামবে। প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাণিজ্য তো ২৭ শতাংশ কমতে পারে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের। াতিসংঘের বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত সংস্থা আঙ্কটাডের (ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এক প্রতিবদেনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি ৩৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানি করা প্রাথমিক পণ্যের দাম জানুয়ারি যেখানে কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ, সেখানে ফেব্রুয়ারিতে তা কয়েক গুণ বেড়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আর মার্চে তা ২০ দশমিক ৪ শতাংশে উঠে গেছে।তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের কারণেই মূলত পণ্যের দাম কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন মার্চে তেলের দাম ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে সংকোচন ঘটবে। কারণ গত শতকের ত্রিশের দশকের মহামন্দার পর এবারই কোভিড–১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে স্থবির করে ফেলেছে এবং চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে,*করোনা মহামারির কারণে দক্ষ ব্যক্তিদের তুলনায় কম দক্ষ ও কম মজুরি পাওয়া ব্যক্তিরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ কারণে দেশে দেশে আয়বৈষম্য আরেক দফা বাড়বে।

DhakaFX
2020-06-02, 03:37 PM
২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৩ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রান্তিক প্রবৃদ্ধি। গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। যেমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা-ই সত্যি হলো। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে বড় ধাক্কা খেল ভারতের প্রবৃদ্ধি। গত প্রান্তিকে যেখানে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত আট বছরের মধ্যে এ রকম গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে হয়নি ভারতীয় অর্থনীতিকে। আগামী দিনে যে আরো খারাপ সময় আসতে চলেছে, তা পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছে। এতে বিড়ম্বনা বাড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরো সহায়তা প্যাকেজের দাবি উঠেছে। সরকারি এ ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনেও সরকারের উপরে প্রণোদনা প্যাকেজের দাবি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঋণে সুদহার কমানো নিয়ে বেশ চাপের মুখে পড়তে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (আরবিআই)।

DhakaFX
2020-06-16, 05:45 PM
বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে সম্প্রসারণের পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিক নাগাদ অর্থনৈতিক উৎপাদন করোনা-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদরা এমন পূর্বাভাস জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ।
প্রতিষ্ঠানটির একদল অর্থনীতিবিদ তাদের মিড-ইয়ার আউটলুক রিসার্চ নোটে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধির তথ্যে আশ্চর্য উত্থান ও ইতিবাচক নীতিগত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা দেখে ভি-শেপ রিকভারির বিষয়ে আমাদের আস্থা আরো জোরালো হয়েছে।’ বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি বছর বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি অর্থনীতিকে মন্দায় পড়তে হতে পারে। স্বল্প সময়ের জন্য কিন্তু বড় ধরনের সংকোচনের পূর্বাভাস জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক জিডিপিতে বছরওয়ারি ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পতন দেখা যেতে পারে। তবে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক নাগাদ প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

Bossking
2021-01-23, 05:01 PM
আইএমএফের উলটাপালনের আগে এই বছর বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের প্রাক্কলনকে সহজ করে দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী বিকাশে এখন পর্যন্ত এরকম কিছু হওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তদারকি পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। ভারতসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল ব্যবসায়িক খাতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি চরম মন্দার কারণে আইএমএফ বর্তমান এবং এক বছরের জন্য তার বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের প্রাক্কলনকে হ্রাস করেছে। নতুন চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক চুক্তি সত্ত্বেও কোনও নিমজ্জনের কোনও প্রত্যাশা বাড়িয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্থানীয় অঞ্চলটির কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। ভাড়া এবং উদ্যোগে বিনিময় লড়াই: এই প্রভাবগুলির মধ্যে একটি বছর আগে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি 2.9 শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। যা বিশ্বব্যাপী আর্থিক জরুরী অবস্থা থেকে ধীরতম বিকাশ। যাইহোক, গ্রহের চারপাশে জাতীয় ব্যাংকগুলি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের জন্য 1 হারের হাইলাইটের অর্ধেক যোগ করেছে হিসাবে প্রায় গ্রহের চারপাশে জাতীয় ব্যাঙ্কগুলি কার্যত একই গতিতে অর্থ সম্পর্কিত ব্যবস্থা আলগা করার লক্ষণ।

SaifulRahman
2021-01-28, 06:25 PM
গত বছর ২০২০ সালে বড় সংকোচনের পর এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পূর্বাভাস দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী করোনার ভ্যাকসিন অনুমোদনের ফলে অর্থনীতি নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে; কিন্তু করোনার ভিন্ন প্রকরণ এবং নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ রয়েই গেছে। এ রকম ভিন্ন ধরনের অনিশ্চয়তার পরে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত অক্টোবরের পূর্বাভাসের চেয়ে শুন্য দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে এবারের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। যদিও গত বছর (২০২০) বিশ্ব অর্থনীতি সাড়ে ৩ শতাংশ সংকোচন হয়েছিল।
http://forex-bangla.com/customavatars/707160161.jpg

BDFOREX TRADER
2021-04-06, 02:02 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/973667548.jpg
চলতি বছরে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ঝুঁকি অনেক, অর্ধশতকের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। কিন্তু অঞ্চলভেদে প্রবৃদ্ধিতে ফারাক এবং বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে মহামারী-পূর্ব সময়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধরতে অনেক সময় লাগবে। ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে। গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের মাধ্যমে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিরও পতন হয়। গতকাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্ধবার্ষিক বৈঠকে জো বাইডেনের নেতৃত্বে বিশ্ব অর্থনীতির ঝাণ্ডাবরদারের ভূমিকাও অবতীর্ণ হয় যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি খবরও সামনে আসে। দেশটিতে গত মার্চে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিমাণ গত আগস্ট-পরবর্তী সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। গত বছর সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন। এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশও করোনা পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবুও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্রটা যেন ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট-পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং আর্থিক সহায়তার বিষয়গুলো যেন অঞ্চল ও দেশভেদে ভিন্ন। এতে বেশির ভাগ উদীয়মান অর্থনীতি এবং ইউরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তার ওপর নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ফ্রান্স ও ইতালির মতো দেশ ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে এশিয়ার অনেক উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতিতে। গত সপ্তাহে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি চিত্র ইতিবাচক হলেও বিভিন্ন অংশের মধ্যে ফারাক চিত্রের কারণে তা বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে। সব দেশে সব মানুষের কাছে এখনো ভ্যাকসিন পৌঁছায়নি। এখনো অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাচ্ছে এবং দারিদ্র্য ক্রমেই বাড়ছে। অনেক দেশই বেশ পিছিয়ে পড়েছে।
২০২১ সালে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে ডব্লিউটিও। ২০২২ সালে তা দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশ। কিন্তু মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মাত্রায় পৌঁছতে অন্য দেশগুলোর অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের নিচেই থাকবে। মহামারীর আগেও এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। পর্যটন ও সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতিগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও এ চিত্রটি উঠে এসেছে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্রটা বেশ অসম ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যেখানে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সেখানে সংকুচিত হচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও জাপানের অর্থনীতি। উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যেও পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে চীন থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত।
সার্বিকভাবে চলতি বছর ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের, যা ১৯৬০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস। তবে ইতিবাচক এ চিত্রের বিপরীতে শঙ্কার জায়গা হচ্ছে অব্যাহত করোনা হুমকি, যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক প্রণোদনা প্যাকেজ যা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে এবং বৈষম্য আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।

SumonIslam
2021-05-02, 06:34 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/693601367.jpg
পূর্বাভাসের তুলনায় চলতি বছর দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে এশিয়ার উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো। তবে এ দেশগুলোর পুনরুদ্ধারের পথটি আলাদা বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর এ অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে। এটা গত ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। কভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে গত বছর শূন্য দশমিক ২ শতাংশ সংকোচনের পর দ্রুত পুনরুদ্ধারের দিকে আগাচ্ছে এশিয়ার অর্থনীতি। এডিবি ২০২২ সালে এশিয়ায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। শক্তিশালী রফতানি ও গ্রাহকব্যয় পুনরুদ্ধার এ বছর চীনের অর্থনীতিকে ৮ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে সহায়তা করবে। এটা আগের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। এছাড়া পরের বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে।

Mas26
2021-06-29, 11:23 PM
সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনাগুলো ও মুদ্রানীতি প্রশমিত হওয়ায় আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস করেছে মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি। এর মধ্য দিয়ে গত সাত প্রান্তিকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়বে।২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত এক বছরে শুল্ক আরোপিত পণ্যের বাণিজ্য ডাইভারশনের কারণে ভিয়েতনাম যে পরিমাণ আদেশ পেয়েছে, তা দেশটির জিডিপির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। লাভবানদের তালিকায় দ্বিতীয় তাইওয়ান, যারা পেয়েছে জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ আদেশ। উভয় অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর চীনের বাড়তি শুল্কারোপের চেয়ে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন বাড়তি শুল্কারোপের কারণে বেশি লাভবান হয়েছে।