View Full Version : ক্রুড ওয়েল এর দাম কমছে
Rakib Hashan
2018-10-31, 11:59 AM
বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের দাম ধীরে ধীরে আবার কমতে শুরু করেছে। গেল দুই সপ্তাহের পতনে দর নেমে এসেছে প্রায় ৭৭ ডলারে। ট্রেড ওয়ারের কারনে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা বাতিল হয়ে যাওয়াই এর বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই দর কমার পেছনে অতিরিক্ত সরবরাহও অবদান রাখছে...
SUROZ Islam
2018-12-09, 04:35 PM
নতুন বছরের শুরু থেকেই জ্বালানী তেলের উৎপাদন কমিয়ে আনতে চায় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। কিন্তু ওপেকের নেতৃত্বে থাকা সৌদি আরব বলছে, প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৩ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানো হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে একমত হতে পারেনি সদস্য দেশগুলো। আর বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পড়তি জ্বালানি তেলের বাজারে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
SaifulRahman
2020-04-02, 05:04 PM
10520
বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে ব্যাপক চাহিদা কমেছে জ্বালানি তেলের। দেশে দেশে বন্ধ হয়েছে বিমান চলাচল। লকডাউনের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। সব মিলিয়ে কমেছে চাহিদা। ফলে দামের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। গত সোমবার তেলের দাম কমে ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। কিন্তু গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা করছেন, তেলের দাম নিয়ে চলা ‘মূল্যযুদ্ধের’ ইতি টানতে খুব শিগগির চুক্তিতে যাবে সৌদি আরব ও রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন আশাবাদের পর আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এশিয়ার বাজারে আজ অপরিশোধিত তেলের দাম ৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্যারেল প্রতি ২৬ ডলার হয়েছে।
SaifulRahman
2020-04-06, 05:47 PM
10547
বিশ্ববাজারে আবারও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, উৎপাদন কমাতে রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি চুক্তি হবে। এরপর বিশ্ববাজারে কিছুটা বাড়ে তেলের দাম। তবে সেই চুক্তির বিষয়টি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আজ সোমবার আবার কমেছে দাম।বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।আজ অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ১২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ।গত এক মাস ধরেই তেলের দাম নিয়ে `মূল্যযুদ্ধ' চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। করোনাভাইরাসের কারনে বিশ্বের একটা বড় অংশ লকডাউনে রয়েছে। বেশির ভাগ দেশই উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় অপরিশোধিত তেলের জোগান চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ফলে তেলের দাম হু হু করে কমেছে বিশ্ববাজারে। সম্প্রতি প্রতি ব্যারেল তেলের দাম দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৫৮ ডলার। যা ছিল ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দাম। তবে উৎপাদন কমাতে একটা চুক্তিতে যাচ্ছে সৌদি আরব ও রাশিয়া এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত তেলের দাম বাড়ে। প্রতি ব্যারেল ২৬ ডলার হয়। ওই চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার খবরে আজ আবার কমেছে দাম।
Montu Zaman
2020-05-04, 12:32 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/814177692.gif
গত ১ মে থেকে ওপেক-নন ওপেক দেশগুলোর আওতায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলন হ্রাসের চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন বাড়িয়েছে চুক্তির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য দেশ রাশিয়া। রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত এপ্রিলে দেশটির কূপগুলো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় উত্তোলন আগের মাসের তুলনায় ৬০ হাজার ব্যারেল বাড়ানো হয়েছে। এমনকি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) দেশটি থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। রুশ উত্তোলন ও রফতানি খাতের এ চাঙ্গা ভাব আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির সাম্প্রতিক রেকর্ড দরপতনের বড় একটি কারণ বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
Mas26
2020-05-04, 11:34 PM
বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের দাম ধীরে ধীরে আবার কমতে শুরু করেছে। গেল দুই সপ্তাহের পতনে দর নেমে এসেছে প্রায় ৭৭ ডলারে। ট্রেড ওয়ারের কারনে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা বাতিল হয়ে যাওয়াই এর বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই দর কমার পেছনে অতিরিক্ত সরবরাহও অবদান রাখছে
Montu Zaman
2020-06-22, 05:53 PM
করোনার থাবায় কিছুদিন আগেও মার্কেটে তেলের মুল্য ব্যারেল প্রতি ১ ডলারেরও কম ছিল, আর ফরেক্স মার্কেটে পিপ্স ভ্যালু হিসেবে প্রাইস ১১ এর কাছাকাছি ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেকটাই টাল্টে গেছে, বিশ্বব্যাপী লকডাউন তোলার কারনে তেলের দাম উর্দ্ধ মুখি এবং ফরেক্স মার্কেটে তেলের পিপ্স ভ্যালু ৪০ এ এসে ঠেকেছে। এমন সুযোগ থেকে প্রফিট নিয়েছেন কে কে?
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় শিগগিরই চাঙ্গা ভাব ফেরার সম্ভাবনা নেই। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের যে চাহিদা ছিল, ২০২২ সালের আগে তা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উদ্বৃত্ত সরবরাহ প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুতগতিতে কমছে। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বছরের শুরুর দিকে পণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহার ব্যাপকহারে কমে গিয়েছিল। তবে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ ও মিত্র দেশগুলোর (ওপেক প্লাস) রেকর্ড উত্তোলন হ্রাস ও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি দেশে চাহিদা ফের বাড়ায় বাজারে পণ্যটির চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য ফিরতে শুরু করেছে। সম্প্রতি দৈনিক গড়ে ৯৭ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন হ্রাস চুক্তির মেয়াদ আরো এক মাস বাড়াতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওপেক ও নন-ওপেকের দেশগুলো। এর জের ধরে চলতি বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দৈনিক গড়ে ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল কমেছে।
এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি অনেকটা সামলে উঠেছে চীন। ফলে মহামারীর মধ্যে দেশটির স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফিরছে। এতে দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। গত এপ্রিলে চীনে পণ্যটির চাহিদা বেড়ে স্বাভাবিক স্তরে ফিরেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে দেশটি। চীনের মতো এশিয়া ও ইউরোপের আরো কয়েকটা দেশ লকডাউন থেকে সরে এসেছে। এতে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দ্রুত চাঙ্গা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। তবে এতে বাদ সাধতে পারে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাদুর্ভাব। সম্প্রতি চীন ঘোষণা দিয়েছে, মহামারীর নতুন সম্ভাব্য আঘাতের কারণে শিগগিরই রাজধানী বেইজিংয়ের স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দেশটির অর্থনীতি এতে নতুন করে সংকটে পড়তে পারে। বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল ভোক্তা দেশ হওয়ায় পণ্যটি বাজার নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া অন্যান্য দেশেও ভাইরাসটির দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন দৈনিক গড়ে ৭২ লাখ ব্যারেল কমে যেতে পারে। তবে পরের বছর এর তুলনায় পণ্যটির উত্তোলন দৈনিক গড়ে ১৮ লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। এতে জ্বালানিটির দাম মোটামুটি ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারে স্থির হতে পারে, যা পণ্যটির বাজার পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট নয়
http://forex-bangla.com/customavatars/362875865.jpg
DhakaFX
2020-07-06, 12:32 PM
করোনাভাইরাস সারা দুনিয়ার রাজনীতি, অর্থনীতিসহ বহু কিছু পাল্টে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে দুনিয়া থমকে গেছে। এতে সারা দুনিয়ার কলকারখানা, যানবাহন, বিমান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তেলের ব্যবহার বিপুলভাবে কমে গেছে। গত বছর প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম গড়ে ৬৪ ডলার ছিল। আর চলতি এপ্রিলে তা ফ্রি-তে পরিণত হয়েছে। অবশ্য দাম সেখান থেকে বেড়েছে। দুনিয়ায় এই প্রথম তেলের দাম শূন্যের নিচে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এর পরপরই তেলের বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বছরজুড়ে তেলের বাজার ব্যারেলপ্রতি ৩০ ডলারে ঘোরাফেরা করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তেলের দাম বাড়ানোর নানা চেষ্টা বিশ্বব্যাপী করা হচ্ছে। এর মধ্যে ওপেকভুক্ত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেল (১০০ মিলিয়ন ব্যারেল) তেল উত্তোলন বন্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের তেল উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও তেলের দরপতন ঠেকানো যাচ্ছে না। পৃথিবীতে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে, যে তেলের ব্যবহার নেই, বাজারও নেই। যদি তেলের ব্যারেল ২০ ডলার থাকে তাহলে অন্তত ৮০ শতাংশ তেল কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে। আড়াই লাখ লোক চাকরি হারাবেন। আর যদি ৩০ ডলারে থাকে, তাহলে অনেক কোম্পানি সংকটে পড়বে ঠিকই কিন্তু এ খাতটি বেঁচে যাবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1520677710.jpg
Rakib Hashan
2020-07-15, 06:59 PM
চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা পূর্বাভাস বাড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। তবে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এ বছর জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক উত্তোলনে নিম্নমুখী প্রবণতা ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্যারিসভিত্তিক আইইএর সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ২১ লাখ ব্যারেলে। প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে দৈনিক গড়ে চার লাখ ব্যারেল। মূলত চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা যে হারে কমার আশঙ্কা করা হয়েছিল তার তুলনায় কম কমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে পণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহারের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আইইএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের বাজার প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে। তবে বৃহত্তর অর্থে বাজারটি নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। কয়েকটি দেশ দ্বিতীয় ধাপে ফের নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মুখে পড়েছে। ফলে মহামারী পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এতে পণ্যটির উত্তোলন নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায় এবং চলতি বছর জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসতে পারে।
তবে চীনসহ অনেক দেশে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এসব দেশে লকডাউন অনেকটা শিথিল করে আনা হয়েছে। শিল্প ও আর্থিক খাতগুলো কার্যক্রমে ফিরেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি ফিরেছে। ফলে গত মে ও জুনে এসব দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদায় বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে। পণ্যটির আমদানিতে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে চীন। চলতি মাসেও পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আইইএ।
এদিকে এ বছর জ্বালানি তেলের পরিশোধন কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমে যেতে পারে বলে সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইইএ। এমনকি আগামী বছরও পণ্যটির পরিশোধন কার্যক্রম ২০১৯ সালের সমপর্যায়ে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অন্যদিকে আগের প্রতিবেদনের তুলনায় পণ্যটির চাহিদা পূর্বাভাস বাড়ালেও তা গত বছরের সমপর্যায়ে উঠবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ২০২১ সালে গিয়েও পণ্যটির চাহিদায় ২০১৯ সালের তুলনায় দৈনিক গড়ে ২৬ লাখ ব্যারেল কম থাকতে পারে। মূলত পরিবহন খাতে বিশেষ করে আকাশ ভ্রমণে জ্বালানি চাহিদা হ্রাস এক্ষেত্রে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। কেরোসিন ও জেট ফুয়েলের চাহিদা গত বছরের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1518833231.jpg
SumonIslam
2020-08-09, 02:18 PM
ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ৪৫ ডলারের নিচে ট্রেড করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বশেষ কার্যদিবসে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় কমে এসেছে। এ ধারাবাহিকতায় ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল ৪৫ ডলারের নিচে নেমে গেছে। তবে এর পরও সাপ্তাহিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে সর্বশেষ সপ্তাহে ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্ট—দুই ধরনের জ্বালানি তেলের গড় দাম বেড়েছে। মূলত করোনা মহামারীর মধ্যেও চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় জ্বালানি তেলের সাপ্তাহিক বাজার গতি ফিরে পেতে শুরু করেছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪ ডলার ৪০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলে ৬৯ সেন্ট কমেছে। অন্যদিকে দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই ৪১ ডলার ২২ সেন্টে বেচাকেনা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলে ৭৩ সেন্ট কমেছে। তবে এটা দৈনিক হিসাব। সাপ্তাহিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে সর্বশেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ডব্লিউটিআইয়ের সাপ্তাহিক দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
11853
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কয়েক দিন বাড়তির দিকে ছিল। গতকাল জ্বালানি পণ্যটির বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দিন শেষে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের তুলনায় কমলেও অপরিবর্তিত ছিল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গতকাল ডব্লিউটিআইয়ের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কমেছে। দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআইয়ের দাম দাঁড়িয়েছে ৪২ ডলার ২৩ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ১ সেন্ট কম। একইভাবে দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৪৪ ডলার ৮০ সেন্ট। আগের দিনও জ্বালানি পণ্যটি একই দামে বিক্রি হয়েছে।
হঠাৎ করে ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমে যাওয়ার পেছনে চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্যহীনতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওপেক প্লাস জোটের দেশগুলো অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলন হ্রাস চুক্তির শর্ত মানলেও সম্মিলিত উত্তোলন আগের তুলনায় বাড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছর জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদায় বড় পতনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি। এ দুইয়ের জের ধরে গতকাল আন্তর্জাতিক বাজারে ডাব্লউটিআইয়ের দাম হুট করে কমে গেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/2088505644.jpg
BDFOREX TRADER
2020-10-19, 04:45 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1232752077.jpg
কয়েক বছর ধরে জ্বালানি তেলের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য রীতিমতো হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে অন্যান্য উত্তোলন ও রফতানিকারক দেশগুলোর জন্য। আর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের এ আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম সহায়ক হলো শেল অয়েল (পাথরের ভাঁজে থাকা জ্বালানি তেল)। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে শেল অয়েল উত্তোলন উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে তথ্য বলছে, চলতি ও আগামী বছর দেশটির শেল অয়েল উত্তোলন বড় পরিমাণে কমে যেতে পারে। সেটি হলে জ্বালানি তেলের বাজারে মধ্যপ্রাচ্যের যে নির্ভরতা ছিল সেটি আরো বেশি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবানা দেখা যাচ্ছে। তবে জ্বালানি তেলের সরবরাহের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় মধ্যপ্রাচ্যনির্ভ হওয়ার ফলে তখন বাজার আরো বেশি নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে প্রবল। এসঅ্যান্ডপির সাপ্লাই অ্যান্ড প্রডাকশন অ্যানালিটিকসের প্রধান শিন কিম মনে করেন, এমনিতেই বাজার চাঙ্গা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরবরাহ কমিয়ে আসছে ওপেক প্লাস জোটের সদস্যরা। তবে এখন লিবিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন ব্যাপক মাত্রায় বাড়িয়েছে। তাছাড়া দেশটির বাজারে সরবরাহ ভারসাম্য আনার মতো যথেষ্ট সক্ষমতাও রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছতে পারলে ইরানের জ্বালানি তেলও বাজারে প্রবেশ করবে। ফলে তখন জ্বালানি পণ্যটির বাজার নিম্নমুখী প্রবণতায় চলে আসতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার রোধ এবং বাজার চাঙ্গা করার যে দীর্ঘ চেষ্টা ওপেকের, সেটির অন্তত একটি পূরণ হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
Tofazzal Mia
2020-10-22, 06:11 PM
জ্বালানি তেলের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম হাতিয়ার হলো শেল অয়েল (পাথরের ভাঁজে থাকা জ্বালানি তেল)। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে শেল অয়েল উত্তোলনে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে। কিন্তু আগামী মাসেই দেশটির উত্তোলনে বড় ধস দেখছে এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ)। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, আগামী মাসে দেশটির শেল অয়েলের দৈনিক উত্তোলন ১ লাখ ২১ হাজার ব্যারেল কমতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1140779353.jpg
DhakaFX
2020-11-03, 02:56 PM
চলতি বছরের ডিসেম্বরে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অফিশিয়াল সেলিং প্রাইস (ওএসপি) কমাতে পারে সৌদি আরব। মূলত আরব লাইট গ্রেডের জ্বালানি তেলের দরপতনের কারণে ওএসপি কমানোর উদ্যোগ নিতে পারে দেশটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও অয়েলপ্রাইসডটকম। রয়টার্স জানিয়েছে, এশিয়ার প্রধান ছয় ক্রেতা দেশের মধ্যে অন্তত তিনটি দেশ ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে সৌদি আরবের কাছ থেকে জ্বালানি তেল ক্রয়ে ওএসপি ছাড়ের সুবিধা পেতে পারে। এক্ষেত্রে আরব লাইট গ্রেডে আগের মাসের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ১০-১২ সেন্ট ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1827514912.jpg
বর্তমান পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় চাহিদা বৃদ্ধি। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা যে হারে কমিয়েছে তা সংকটে ফেলেছে পুরো শিল্পকে। ২০২১ সালে গিয়েও জ্বালানি তেলের চাহিদা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বাড়বে না, এমনটাই মনে করছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রফতানিকারকদের জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)। সংস্থাটির মতে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ও ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তা আগামী বছর জ্বালানি পণ্যটির কাঙ্ক্ষিত চাহিদা বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে
http://forex-bangla.com/customavatars/887514564.jpg
Sakib42
2020-11-17, 09:15 PM
বর্তমান পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় চাহিদা বৃদ্ধি। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা যে হারে কমিয়েছে তা সংকটে ফেলেছে পুরো শিল্পকে। ২০২১ সালে গিয়েও জ্বালানি তেলের চাহিদা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বাড়বে না, এমনটাই মনে করছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রফতানিকারকদের জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)। সংস্থাটির মতে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ও ভ্যাকসিন নিয়ে অনিশ্চয়তা আগামী বছর জ্বালানি পণ্যটির কাঙ্ক্ষিত চাহিদা বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে
http://forex-bangla.com/customavatars/887514564.jpg
সামনের দিনগুলোতে ক্রুড অয়েলের দাম আরো কমবে আমরা দেখছি যে গত কয়েকদিন ধরে ক্রুড অয়েলের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে আর এর পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে আমেরিকার নির্বাচন যা বর্তমানে শেষ হয়ে গেলেও তার ইম্প্যাক্ট বেশ কিছুদিন রয়েছিল ক্রুড অয়েল এর উপর। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে ক্রুড অয়েলের দাম ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং আশা করা যায় সামনের দিনগুলোতে ক্রুড অয়েলের দাম আরও কমে যাবে এর পিছনে আরও একটি কারণ হতে পারে করোনাভাইরাস কারণ আমরা জানি মহামারী দিল্লি খারাপ দিকে যাচ্ছে যার ফলে আমরা যেকোন সময় যেকোন কিছুর সম্মুখীন হতে পারি যার ইফেক্ট অনেক বেশি ক্রুড অয়েল এর উপরেও পড়তে পারে তাই এটি প্রায় নিশ্চিত যে ক্রুড অয়েলের দাম সামনে আরো অধিক কমে যাবে।
SUROZ Islam
2021-04-19, 02:01 PM
আগামী ১০ বছরের মধ্যে ক্রড ওয়েল এর দাম ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারে নামবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে বেশ জোরালোভাবে কাজ করছেন বিশ্বনেতারা। এজন্য কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘও, যার অংশ হিসেবে দেশে দেশে জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করছে সরকারগুলো। আর এ চেষ্টা অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব পড়বে জ্বালানি তেলের বাজারে। এডিনবার্গভিত্তিক বাজারবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জির (উডম্যাক) পূর্বাভাস বলছে, জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার ফলে আগামী দশ বছরের মধ্যে (২০৩০ সাল নাগাদ) জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারে নেমে আসবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/721631307.jpg
উড ম্যাকেঞ্জির পূর্বাভাস অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের ব্যবহার হ্রাসের এ হার ২০৫০ সাল নাগাদ আরো কমে আসবে। এ সময়ে দৈনিক জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহারে পরিমাণ কমে আসবে ২০ লাখ ব্যারেলে। অন্যদিকে দৈনিক চাহিদা কমে ৩ কোটি ৫০ লাখ ব্যারেলে নামতে পারে। তবে আশার কথা হলো, জ্বালানি তেলের ব্যবহার হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে এ সময় কার্বন নির্গমনের পরিমাণও অনেকটা কমে আসবে। বর্তমানের তুলনায় ২০৫০ সালের মধ্যে জ্বালানি তেল থেকে কার্বন নির্গমন ৬০ শতাংশ কমে আসবে। এসবের ফলে চলতি দশকের শেষে তেলের দাম আরো অনেক কমে যাবে বলে মনে করছেন উড ম্যাকেঞ্জির বিশ্লেষকরা। সংস্থাটির ‘অ্যাকসেলারেটেড এনার্জি ট্রানজিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদন বলছে, এমন পরিস্থিতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম কমে গড়ে ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারে দাঁড়াবে। বর্তমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৬৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ২০৫০ সাল নাগাদ ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্টের দাম ১০ থেকে ১৮ ডলার কমতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এর আগে ২০১৯ সালে দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল ব্যবহারের রেকর্ডে পৌঁছে বিশ্ব। গত বছর (২০২০ সালে) করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদায় অনেকটাই ঘাটতি দেখা দেয়। তবে চলতি বছরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে আরো সক্রিয়ভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সম্প্রতি বিশ্ব জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) এক পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২৩ সালের আগে বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা মহামারীপূর্ব অবস্থায় পৌঁছবে না।
SaifulRahman
2021-04-20, 01:28 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1273569465.jpg
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও সামনের দিনগুলোতে বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ জ্বালানি তেল সরবরাহ করার কথা ওপেক প্লাসের। তবু অন্য উৎপাদনকারী দেশগুলোতে জ্বালানি পণ্যটির উৎপাদন হার নিচে রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এ কারণে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য আরো বাড়বে বলে শঙ্কা তাদের। এমনকি এ সময়ে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক চাহিদার প্রভাব থাকবে বলে তারা মনে করছেন। বর্তমানে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের ডেটেড ব্রেন্টের (নির্ধারিত তারিখে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ডেলিভারি দেয়া) দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের নিচে রয়েছে। গত নভেম্বরে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর থেকেই জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। এ সময়ের মধ্যে ডেটেড ব্রেন্টের দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। তবে করোনাভাইরাসের শঙ্কা ধীরে ধীরে কমে আসায় জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি দামও ফের বাড়বে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের জ্বালানি বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস মতে, চলতি বছরের মাঝামাঝিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাম ৭০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সরবরাহ ও চাহিদার অসামঞ্জস্যে আগামী মে মাস থেকেই এমনটা শুরু হবে। আগস্টে তা পূর্ণ মাত্রা পাবে।
SumonIslam
2021-06-08, 06:47 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/414836605.jpg
তিনদিনের ব্যবধানে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম! আন্তর্জাতিক বাজারে দুই বছরের শীর্ষে উঠে এসেছিল জ্বালানি তেলের দাম। কিন্তু তিনদিনের ব্যবধানে গতকাল জ্বালানি পণ্যটির দাম কমে যায়। জ্বালানি তেল খাতের বিনিয়োগকারীরা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পরমাণু সংলাপের ফলাফল নিয়ে আশাবাদী। ১০ জুন এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। মূলত সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনায় জ্বালানি তেলের দাম কমেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে চীনের জ্বালানি তেল আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতাও বাজারে প্রভাব ফেলেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের আগস্টে সরবরাহ চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ৩৮ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭১ ডলার ৫১ সেন্টে নেমে গেছে। এর আগে শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ ডলার ২৭ সেন্টে উঠেছিল, যা দুই বছরের সর্বোচ্চ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারে উঠেছিল। তবে গতকাল এটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৬৯ ডলার ৩২ সেন্টে নেমে আসে।
BDFOREX TRADER
2021-11-25, 01:03 PM
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন পড়তির দিকে। মূল্যসূচক নিম্নমুখী প্রাকৃতিক গ্যাসেরও। কভিড-উত্তরণ পরিস্থিতিতে জ্বালানির দামের ব্যাপক উল্লম্ফন দেখে বাজার বিশ্লেষণকারী বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান আভাস দিয়েছিল, নতুন বছরেও বৈশ্বিক জ্বালানির বাজার আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। যদিও মার্কিন জ্বালানি খাতের গবেষণা ও তথ্য সেবাদাতা ফেডারেল সংস্থা এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ) বলছে, নতুন বছরে তেল-গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী নয়, বরং কমে যাবে। সংস্থাটি বলছে, কভিড পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা বজায় থাকলে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন যেমন বাড়বে, তেমনি পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনায়ও গতি ফিরবে।
বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য কমে গেলে বৃহৎ আমদানিকারক দেশগুলো মজুদ বাড়াবে। বাংলাদেশও এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, মজুদ সক্ষমতা ও ক্রয় চুক্তি বাড়ানো গেলে জ্বালানি খাতে বর্ধিত মূল্য ধরে রাখারও প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এখনই আলোচনা শুরু করা উচিত সরকারের, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারের কম মূল্যের সুযোগ সংকটকালে কাজে লাগানো যায়। এক্ষেত্রে মজুদের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
জ্বালানির বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা ইআইএ তাদের পূর্বাভাসে বলছে, আগামী বছরের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমে আসবে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে (প্রথম প্রান্তিক) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) স্পট মূল্য থাকবে ব্যারেলপ্রতি ৭৪ ডলার ৯২ সেন্ট। বছর শেষে অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে মূল্য পতন হয়ে ৬২ দশমিক ৯৮ ডলারে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম বছরের শুরুতে ব্যারেলপ্রতি ৭৮ দশমিক ২৬ ডলার থাকবে, যা বছর শেষে কমে ৬৬ দশমিক ৯৮ ডলারে দাঁড়াবে।
16065
SumonIslam
2022-01-13, 04:11 PM
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজারদর বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ৫ ডলার বেড়েছে বলে জানিয়েছে এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ)। তবে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যেই জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক সরবরাহ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে বছরের বাকি সময়গুলোয় পণ্যটির দাম অব্যাহতভাবে কমতে পারে।
ইআইএর প্রত্যাশা, ২০২২ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা গত বছরের তুলনায় দৈনিক ৩৬ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল করে বাড়বে, যা গত মাসে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় দৈনিক ৭০ হাজার ব্যারেল বেশি। সংস্থাটি বলছে, এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা মহামারীপূর্ব পর্যায়কে ছাড়িয়ে যাবে। তবে পণ্যটির উত্তোলনও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে সরবরাহ সংকটের অবসান ঘটতে পারে।
16483
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.