PDA

View Full Version : ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনে ফ্রান্সে ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়’



SUROZ Islam
2018-12-11, 04:58 PM
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকে ফ্রান্সের অর্থনীতির জন্য ‘একটি বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। চার সপ্তাহ ধরে চলা এ আন্দোলনে বিক্ষোভকারীরা জ্বালানি শুল্ক বৃদ্ধি, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর পদত্যাগের দাবিতেও বিক্ষোভ করেছেন। ৭ নভেম্বর বিক্ষোভ শুরুর পর এই চার সপ্তাহ ধরে চলা এ বিক্ষোভের কারণে পুরো অর্থনৈতিক ক্ষতি হিসাব সম্ভব না হলেও তা বড় অংকেরই হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা প্রায় ১০০ কোটি ইউরো (১১০ কোটি ডলার)। তৃতীয় প্রান্তিকে ফ্রান্সের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ, যা দ্বিতীয় ও প্রথম প্রান্তিকে ছিল দশমিক ২০ শতাংশ। আর চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি দশমিক ১০ শতাংশীয় পয়েন্ট হ্রাস পাবে, তবে চলতি বছরের ১ দশমিক ৭০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি।

Montu Zaman
2018-12-12, 06:21 PM
জ্বালানি কর বৃদ্ধি এবং জীবনমানের ব্যয় বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহব্যাপী ফ্রান্সে চলা ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে জ্বালানি কর প্রত্যাহার ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধিসহ বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টায় টেলিভিশনে দেয়া মাখোঁর ভাষণ নিয়ে আন্দোলনকারীসহ জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মাখোঁ ২০১৯ সাল থেকে মাসপ্রতি ন্যূনতম মজুরি ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১০০ ইউরো করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বলেছেন এ বৃদ্ধিজনিত খরচ নিয়োগকারীদের বদলে সরকার বহন করবে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে মোট ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় হতে পারে বলে বিএফএমটিভিকে জানিয়েছেন সরকারের মন্ত্রী অলিভিয়ের ডুসোপ।

SaifulRahman
2019-04-10, 04:18 PM
ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারীদের টানা ২১ সপ্তাহ আন্দোলনের পর কর কর্তনের পরিকল্পনা করছে ফরাসি সরকার। ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ বলেন, কর কর্তনকে অবশ্যই প্রাধান্য দেয়া হবে। এছাড়াও ফ্রান্সের নাগরিকরা সরকারের কাছে কী চায়, তা জানতে ‘গ্রেট ডিবেটের’ আয়োজন করা হয়। গত তিন মাসে ফ্রান্সের কমিউনিটি হলগুলোয় ১০ হাজার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনলাইনে তাদের মতামত জানিয়েছে। এসব বৈঠক ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানান ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী। মুলত উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে করহার সর্বোচ্চ। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) ২০১৭ সালের উপাত্ত অনুযায়ী, ফ্রান্সের জিডিপির ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ আসে কর থেকে। করের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। কর সংগ্রহের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক (জিডিপির ৪৬ শতাংশ) ও সুইডেন (জিডিপির ৪৪ শতাংশ)।