PDA

View Full Version : মার্কিন যুক্তরাষ্টের অর্থনীতি এবং ডলারের হাল!



SUROZ Islam
2018-12-23, 03:40 PM
রের্কড অনুসারে গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্টের অর্থনীতির এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করেছে। ট্রেডওয়ার ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সম্ভাব্য অচলাবস্থা ঘিরে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ায় ওয়াল স্ট্রিটের এর মধ্যে বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার মার্কেট এর শেয়ারসূচকের মধ্যে নাসডাক ও ডাও জোনসের ২০০৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো খারাপ একটি মার্কেট দেখতে পেলে। তাই ধারনা করা হচ্ছে মার্কিন শেয়ার মার্কেটের সুদিনের এবার শেষ হতে যাচ্ছে। মুলত প্রায় ৭ শতাংশ পতনের মধ্য দিয়ে ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচকটির সপ্তাহ শেষ হয়েছে। এ সময় সূচকটির মোট পয়েন্ট ছিল ২২ হাজার ৪৪৫ দশমিক ৩৭। শুধু শুক্রবারেই ডাও ১ দশমিক ৮ শতাংশ বা ৪০০ পয়েন্ট হারায়। অন্য সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ গত ২০ সেপ্টেম্বরের রেকর্ড উচ্চতার তুলনায় সাড়ে ১৭ শতাংশ কমে যায়। শুক্রবার থেকে মার্কেটে মিশ্র অবস্থা দেখা যায়। এর মধ্যে ইউরোপের সূচকগুলো অপরিবর্তিত অথবা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

Montu Zaman
2018-12-26, 05:06 PM
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভকে ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় সোমবার শেয়ারবাজার চালুর পর থেকেই দরপতন লক্ষ্য করা গেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মার্কিন শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এছাড়া ডিসেম্বরে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক যে পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে তা মহামন্দার পরবর্তী সর্বোচ্চ। এসঅ্যান্ডপি৫০০ সূচকের ১১টি প্রধান খাতই নিম্নমুখী ছিল। টানা তৃতীয় দিনের মতো নাসডাক তালিকাভুক্ত নিউইয়র্ক শেয়ারবাজারের আড়াই হাজারেরও বেশি কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে ছিল। এক দশক আগে দেখা দেয়া আর্থিক সংকটের পর এ রকম পরিস্থিতিতে পড়েনি শেয়ারবাজার।

Rassel Vuiya
2018-12-27, 10:51 AM
যুক্তরাষ্ট্রে ৩য় বারের মত সরকারের আংশিক অচলাবস্থা এবং ফেড চেয়ারম্যানের প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনাস্থা বিনিয়োগকারীদের অনেকটা অস্থির করে তুলেছে। গত বুধবার এশিয়ার শেয়ার মার্কেটে আরেক দফা দরপতন হয়েছে। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবার উদ্বেগের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় গত সপ্তাহ থেকে শেয়ার মার্কেটের এই অস্থিরতা চলছে। শুধু শেয়ার মার্কেট নয়, চাপে রয়েছে ডলারও। যুক্তরাষ্ট্রে প্রশাসনিক কার্যক্রমে আংশিক অচলাবস্থা, হোয়াইট হাউজ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সম্পর্কে টানাপড়েনে গতকাল বেশির ভাগ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মানও কমে যায় এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস সূচক ০.৬ শতাংশ কমেছে। এছাড়া এশিয়াতে জাপানের নিক্কেইয়ে ৫ শতাংশ এবং চীনের সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স দশমিক ৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কস্পি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হারিয়েছে।
http://bonikbarta.net/bangla/uploads/news/2018/12/base_1545858252-Untitled-2.jpg

Tofazzal Mia
2019-01-03, 03:03 PM
২০১৮ সালটা ডলারের জন্য অনেকটাই ভালভাবে কেটেছে, যেহেতু মার্কিন স্টক মার্কেট ঠিল বুলিশ মুডে এবং ফেব্রুয়ারী থেকে ডিসেম্বের পর্যন্ত ডলার ইনডেক্স ৯% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ডিসেম্বরেরর পর থেকে এখন পর্যন্ত স্টক মার্কেট ও ডলার বেশ বড় পরিমানে কারেকশন করেছে। তাই ডলারের বিপরীতে মেজর কারেন্সীগুলো কিছুটা দূর্বল হয়েছে। তাই অনুমান করছি ২০১৯ সালটা ডলারের জন্য সুবিধার হবে না, কেননা চীনের সাথে শীতল অর্থনীতির যুদ্ধের কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্টের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

Rakib Hashan
2019-01-10, 04:46 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমে আংশিক অচলাবস্থা বা শাটডাউন পরিস্থিতি ১৯ দিন অতিক্রম করেছে। এ অচলাবস্থার আঁচ ক্রমে বিভিন্ন খাতে অনুভূত হচ্ছে। সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রে বেশকিছু এয়ারপোর্টের চেকপয়েন্টে কর্মীর অভাবে লম্বা লাইন দেখা গেছে। একের পর এক পার্কগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তাঘাটে ময়লার স্তূপ জমছে। দেশের সবচেয়ে বড় খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রেশন অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (এসএনএপি) তহবিল সংকটে বন্ধের হুমকির মধ্যে রয়েছে, যা প্রকল্পটির আওতাভুক্ত ৩ কোটি ৮০ লাখ নাগরিককে অনাহারের দিকে ঠেলে দেবে। আশা করা হয়েছিল, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওভাল অফিস বক্তৃতায় এ সমস্যা সমাধানের পথ পাওয়া যাবে, তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

DhakaFX
2019-01-14, 04:25 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ইতিহাসের দীর্ঘতম অচলাবস্থা চলছে। এ শাটডাউন বা অচলাবস্থার পরিস্থিতি ২৩ দিন পার হয়েছে গতকাল রোববার। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিটির ক্ষতি আরো বাড়বে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রশাসনিক কার্যক্রমে এ আংশিক অচলাবস্থা বন্ধে তিনি জাতীয় পর্যায়ে জরুরি অবস্থা জারি করবেন না। এর মধ্যে শাটডাউনের কারণে বেতন-ভাতা স্থগিত হয়ে পড়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংগঠন।

Montu Zaman
2019-01-14, 04:40 PM
মার্কিন সরকারের আংশিক শাটডাউন তিন সপ্তাহ পেরিয়েছে। সম্প্রতি 'এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং'য়ের প্রতিবেদনে অনুসারে বলা হয়েছে, এতে দেশটির অর্থনীতিতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, শাটডাউন আরো দু'সপ্তাহ চললে ক্ষতি ৬'শ কোটি ডলার ছাড়াবে। যা মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির ব্যয়ের চেয়েও বেশি। এছাড়াও চলমান শাটডাউনে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করছেন, আগামী শুক্রবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে দেশটিতে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশের উপরে উঠে যাবে।

SaifulRahman
2019-01-20, 05:59 PM
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে বাজেট বরাদ্দ ইস্যুতে কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় এক মাস ধরে ফেডারেল সরকারের ২৫ শতাংশের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থা নিরসনে ‘সমঝোতার’ জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, অভিবাসন নীতি বিষয়ক ড্রিমারস ও টেম্পরারি প্রোটেকশন স্ট্যাটাসের (টিপিএস) মেয়াদ বাড়ানো। গতকাল শনিবার হোয়াইট হাউসের কূটনৈতিক অভ্যর্থনা কক্ষে দেওয়া বক্তব্যে ওই প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এসব প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।

SumonIslam
2019-01-23, 03:33 PM
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের একটানা ৩২ দিন ধরে এক–চতুর্থাংশ অচল হয়ে পড়ে আছে। জানুয়ারী মাসে প্রায় আট লাখ লোকের বেতন হয়নি। এখন অভাবী ফেডারেল কর্মীরা বিনা পয়সায় খাবার সংগ্রহের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। নিরাপত্তাকর্মীর অভাবে বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যদিও আগামীকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে অচলাবস্থা শেষ করার লক্ষ্যে দুটি বিপরীত প্রস্তাব নিয়ে ভোট দিবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের প্রতিনিধিরা। মুলত একটি ট্রাম্পের দেয়ালের সমর্থনে রিপাবলিকান পার্টির, অন্যটি সেই দেয়ালের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটিক পার্টির। কোনোটিই সিনেটে পাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবু শেষ পর্যন্ত অচলাবস্থা থামাতে দুই পক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে, ফলে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

SaifulRahman
2019-01-24, 02:25 PM
আজ বৃহস্পতিবার দুটি বিল নিয়ে ভোটাভুটি করবে মার্কিন সেনেট। বিল পাস হলে কেটে যেতে পারে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অচলাবস্থা। দুটি বিলের প্রথমটি হচ্ছে, রিপাবলিকান-সমর্থিত একটি পদক্ষেপ। এতে মেক্সিকো দেওয়ালের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি করা ৫০০ কোটি ডলারের তহবিল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে অবৈধ তরুণ অভিবাসীদেরসুরক্ষ দেওয়ার বিনিময়ে।আর দ্বিতীয় বিলটিতে সম্প্রতি অচল হয়ে পড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন সপ্তাহের জন্য তহবিল যোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ডেমোক্রেটরা। তবে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়ালের জন্য ট্রাম্পের দাবি করা তহবিল তারা নাকচ করেছে। গত মঙ্গলবার সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল ও সংখ্যালঘিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেন, তারা বিল দুটি উত্থাপন করবেন। এই দুনেতা ওইদিনই দুটি বিল নিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার ঘোষণা দেন।

Rassel Vuiya
2019-01-27, 03:15 PM
আগামী ২৮শে জানুয়ারী থেকে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মার্কেটের টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস-
মার্কিক যুক্তরাষ্টে ৩৫ দিন শার্টডাউন থাকার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩ সপ্তাহের জন্য ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শার্টডাউন বিরতি দিয়েছে, ফলে ফোরলোড শ্রমিকেরা বেতন পাবে, যা NFP এর জন্য খুবই ভাল খবর। যদিও শার্টডাউন প্রভাবে স্টক মার্কেট দুর্বল হওয়াতে অন্যান্য কারেন্সীর বিপরীতে ডলারও দুর্বল হয়েছে, এতে জিডিবি ফোরকাষ্টও কমেছে। এখন যদি NFP রির্পোট অনুসারে ২ লাখের বেশি লোক কর্মসংস্থান হয় তাহলে ডলার পজেটিভ হবে। এছাড়াও আগামী সপ্তাহে ফেডের মনিটরিং পলিসিসহ এই ৩৫ দিনের অপ্রকাশিত নিউজগুলো রিলিজ করা হবে। ফেডের মনিটরিং পলিসিতে তেতন পরিবর্তন না হলেও অন্য রিপোর্টগুলো নেগেটিভ হবার সম্ভাবনা বেশি হয়েছে। ফলে
Eur/usd পেয়ারটি 1.1330 থেকে 1.1300 জোন টেষ্ট করতে পারে।
Gbp/usd পেয়ারটি 1.3175 থেকে 1.3250 পর্যন্ত জোন টেষ্ট করতে পারে।
Usd/jpy পেয়ারটি 107 থেকে 105.00 পর্যন্ত জোন টেষ্ট করতে পারে।

Montu Zaman
2019-01-31, 02:04 PM
গতকাল রাতের ফেডারেল ফান্ড রেট ডিসিশনে হাইক রেইট থেকে বেড়িয়ে এসে মনিটারি পলিসি রিলিজ করার পর ডলার এখন পজেটিভ মোডে চলে এসেছে। এছাড়াও আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে ডলারের আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রিলিজ হবে, সেটা হল এন এফ পি , এভারেজ আওয়ারলি আর্নি এবং আন ইমপ্লয়মেন্ট রেট । তাই তার শার্ট ডাউনের একটা ইফেক্ট সামনের শুক্রবারের এন এফ পি এবং এভারেজ আওয়ারলি আর্নিং এ অবশ্যই পরবে । এন এফ পি এবং এভারেজ আওয়ারলি আর্নিং দুটোই আগের থেকে খারাপ প্রেডিক্ট করা হয়েছে। যদি এন এফ পি এবং এভারেজ আওয়ারলি আর্নিং বেশি ড্রপ করে তবে ডলার ইনডেক্স অনেক বেশি ড্রপ করবে ।

FXBD
2019-02-03, 10:42 AM
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান হয়েছে, তা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং অর্থনীতিবিদদের দেয়া পূর্বাভাসের দ্বিগুণ। তাই কর্মী নিয়োগের দিক থেকে জানুয়ারি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ব্লকবাস্টার মাস। সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমে আংশিক অচলাবস্থার ধাক্কা সামলে এ সময় রেকর্ড ৩ লাখ ৪ হাজার জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে মতানৈক্যের জের ধরে পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলমান শাটডাউনের একটি প্রভাব রয়েছে এতে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক আলোচনার একটি প্রভাবও পড়েছে শেয়ারবাজারে। চলতি সপ্তাহে শেষ হওয়া দুই পক্ষের আলোচনায় কোনো চুক্তি না হলেও এ মাসের শেষের দিকে আরো একটি শীর্ষ পর*্যায়ে বৈঠক হবে। ফলে সাময়িকভাবে হলেও বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদের সঞ্চার করেছে। এর প্রভাবে শুক্রবার আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারের প্রায় সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠেছে।

Montu Zaman
2019-02-14, 03:40 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে ২২ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে, ২০১৮ সালে দেশটির গৃহস্থালি ঋণ ৪০ হাজার কোটি ডলার বেড়ে সাড়ে ১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে দাঁড়িয়েছে। ফলে মার্কিন রাজস্ব পরিস্থিতি শুধু অস্থিতিশীলই নয়, বরং দ্রুত পতনের দিকে যাচ্ছে। অনেক বিশ্লেষকরা মনে করে, ট্রাম্প প্রশাসনের ১ দশমিক ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারের কর কর্তন এবং বর্ধিত সরকারি ব্যয়ের কারণেই বাজেট ঘাটতি এবং সরকারি ঋণ দ্রুতগতিতে বেড়েছে। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে, যার কারনে বিশাল অংকের সুদের প্রভাব মার্কিন অর্থনীতিতে পড়বে। এর ফলে ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগে অর্থায়ন আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়বে।

SUROZ Islam
2019-03-11, 02:11 PM
যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর কর্মসংস্থান, চীনের রফতানি ও জার্মানির কারখানা কার্যাদেশে অপ্রত্যাশিত পতন দেখা গেছে। অর্থনীতিগুলো এরই মধ্যে ২০১৩ সালের পর প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রার বেশ নিচে রয়েছে। গত মাসে মার্কিন শ্রমবাজারে মাত্র ২০ হাজার নিয়োগের সংবাদ দিয়ে সপ্তাহ শেষ হয়েছে। এ সংখ্যা ব্লুমবার্গের অর্থনীতিবিদের করা ১ লাখ ৮০ হাজার গড় নিয়োগ পূর্বাভাসের অনেক নিচে। তবে এ পরিস্থিতির বিপরীত চিত্রও রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের মজুরি বৃদ্ধিতে দ্রুততম সম্প্রসারণ দেখা গেছে। মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাদের বাণিজ্য বিরোধ নিরসনের উপর, কেননা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংঘাতে বিনিয়োগ ও নিয়োগ বন্ধ রেখেছে সকল ব্যবসাগুলো।

Montu Zaman
2019-03-14, 07:24 PM
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার না বাড়ালেও চলতি বছর বাড়তে পারে ডলারের মান। ডলার ইনডেক্স, যা ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে, ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত ১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর গত সপ্তাহে এটি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে। ইউরোর বিপরীতে এ পর্যন্ত ডলারের মান বেড়েছে ২ শতাংশ।
সুদহার ধীরে বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বলেছিলেন ডলারের মান নিম্নমুখী হবে। তবে সে পর্যবেক্ষণ উল্টে দিয়ে মুদ্রাটির মান বাড়ছে। মঙ্গলবার প্রাপ্ত মূল্যস্ফীতি উপাত্তে এরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী পিটার এনজি বলেন, ‘নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে চাহিদা থাকায় ডলারের অবস্থান মজবুত রয়েছে। বৈশ্বিক শ্লথগতির প্রভাব পড়ছে সবার ওপরই এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের ভালো কোনো বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে না।

FXBD
2019-03-20, 01:46 PM
এক নজরে আমেরিকার বর্তমান ইকোনোমিক কন্ডিশন দেখে নেন। এখানে সবগুলিই গুরুত্বপুর্ন একটা স্টেটমেন্ট হকিশ বা ডোভিশ হওয়ার জন্য।
7370
কন্ডিহসন যত ভালো হকিশের সম্ভবনা তত বেশী, কন্ডিহসন যত খারাপ ডভিশের সম্ভবনা তত বেশী। যাস্ট আমাদের মাথায় রাখতে হবে ২০১৯ এ রেট আর কত বার বারতেছে। যদি ২ বার বারানোর কথা বলা হয় তাহলে ডলার আবার শক্তিশালী অবস্থা ধরে রাখবে।
এখন কথা হলো ২ বার রেট বাড়াতে গেলে আরো কিছু ব্যাপার স্যাপার আছে সেটা একটু পর আর্টিকেলেই দিয়ে দিবী সাথে মেজর কিছু ব্যাংক এর প্রিভিউ। এবং আজকে FOMC কে কেন্দ্র করে আজ রাত ১২:০০-১২:৩০ পর্যন্ত USD Currency নিয়ে একটা ঝাকুনি হতে পারে। অয়েট ফর দি FOMC প্রভিউ আর্টিকেল।

BDFOREX TRADER
2019-04-08, 04:11 PM
ফেডকে সুদের হার কমানোর আবারও আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প মনে করেন, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে ফেড। তাই মূল্যস্ফীতি না থাকা সত্ত্বেও ফেড সুদের হার কমাচ্ছে না বলে বেশ কয়েকবারই অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কর্মসংস্থান বেশ চাঙ্গা থাকার উপাত্ত প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানাগুলোয় ১ লাখ ৯৬ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে হয়েছিল ৩৩ হাজার। ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, কঠোর অবস্থানে না থেকে সুদহার কমানো দরকার ফেডের

DhakaFX
2019-04-15, 06:19 PM
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত জুমিয়া আফ্রিকার অ্যামাজন’ হিসেবে পরিচিত পরিচিতি, যারা প্রথম আফ্রিকান ইউনিকর্ন হিসেবে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে পাবলিক কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। শতকোটি ডলারের বেশি মূল্যের কোনো বেসরকারি কোম্পানিকে সাধারণত ‘ইউনিকর্ন’ অভিধা দেয়া হয়। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে লেনদেনের প্রথম দিনেই শেয়ারদর ৭৫ শতাংশ বেড়েছে এই আফ্রিকার বৃহত্তম ই-কমার্স অপারেটর জুমিয়া টেকনোলজিসের। শুক্রবার ১৪ দশমিক ৫০ ডলার দরে লেনদেন শুরু হলেও দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে ২৫ দশমিক ৪৬ ডলারে। কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৯০ কোটি ডলার।

SaifulRahman
2019-04-23, 04:24 PM
ইদানিং usd এর মুল্যমান চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় সময় পার করছে। কেননা ট্রাম্প সরকারের উল্টাপাল্টা সিন্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী এই সিন্ধান্তগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে। যেমন সম্প্রতি তারা ইরানের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়। কিন্তু রাশিয়া ও ইরান কাস্পিয়ান সাগর ব্যবহার করে উভয়ের ব্যবসা-বানিজ্য এর প্রসারে একটি চুক্তিও করে ফেলেছে, যা ট্রাম্প সরকারের উপরে চাপ ফেলেছে প্রচুর পরিমানে। এদিকে ইরান তাদের বানিজ্যিক চুক্তি বাড়িয়ে পাকিস্তানের সাথেও গতকাল বৈঠক করে ফেলেছে। উভয় দেশ সকল বৈরিতা মোকাবেলায় একে অপরের পাশে থাকবে বলে সম্মতিও হয়েছে!! অন্যদিকে ট্রাম্প সরকার তার দেশে চায়নিজ পন্যের শুল্ক কয়েকগুন বৃদ্ধি করার মৌন প্রতিশোধ হিসেবে চিনও ঘোষনা দিয়েছে, তারা ইরানের উপর আর কোন অবরোধ দেখতে চায় না। আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট জার্মানির এঞ্জেলা মার্কেলও ঘোষনা দিয়েছে তারা ইরানের উপরে আমেরিকার অবরোধ আরোপের চিন্তাকে সমর্থন করেনা।তারা আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। এতসবের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প সরকার বর্তমানে বুদ্ধিবৃত্তিমুলক সমস্যায় ভুগছেন। তার কোন সিদ্ধান্তই সঠিকভাবে কাজ করছে না। পায়ের নিচে থাকা ইরাকও আজ মুখের উপর কথা বলছে, আফগান সিরিয়ায় চরম বিপর্যয়ের পর বর্তমানে সারা বিশ্ব থেকে এমন চোখ রাঙ্গানী, সব কিছু মিলিয়ে usd এর মুল্যমান চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় সময় পার করছে।

SaifulRahman
2019-04-30, 04:42 PM
যদিও চলতি সপ্তাহে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের একটি মিটিংয়ে এ কথা বলা হয়েছে, সেখানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি সম্পর্কে একটি নীতিনির্ধারণী ধারণা পাওয়া গেছে। চার বছরের মার্কিন অর্থনীতি এখন সবচেয়ে চাঙ্গা, প্রবৃদ্ধি গড় ৩ শতাংশ। অবশ্য ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার ফলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে ওয়াল স্ট্রিটের অন্যতম সূচক এসঅ্যান্ডপি-৫০০।

SaifulRahman
2019-06-09, 12:55 PM
মার্কিন অর্থনীতি পর্যালোচনায় সংস্থার বার্ষিক আর্টিকেল ফোরের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছে আইএমএফ। পর্যালোচনার সমাপনী বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, চীন, মেক্সিকোসহ অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ তা সত্ত্বেও চলতি বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো ত্বরান্বিত হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

SUROZ Islam
2019-06-18, 03:07 PM
যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাপনের গড়পড়তা ব্যয়ের সঙ্গে দেশটির ন্যূনতম মজুরির পার্থক্য বেশ স্পষ্ট বলে মনে করেন গবেষকরা। চার সদস্যের একটি পরিবারে যেখানে মাতা-পিতা দুজনই চাকরি করেন, পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য বছরে তাদের গড়পড়তা ৬৭ হাজার ১৪৬ ডলার প্রয়োজন। চার সদস্যের একটি পরিবারের বার্ষিক ব্যয় নির্বাহে ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৬ দশমিক ১৪ ডলার মজুরি হওয়া উচিত বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেশটি সম্প্রতি টানা ১০ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে বলে জনিয়েছে ইউএসএ টুডে। তবে একই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলেও জানিয়েছে একই সূত্র।

Tofazzal Mia
2019-06-27, 11:39 AM
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) মুদ্রানীতি শিথিল করবে—এমন প্রত্যাশায় রয়েছে বাজারগুলো। সম্প্রতি ফেড কর্মকর্তাদের সুদহার কর্তন নিয়ে ভিন্ন সুরে কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে এ প্রত্যাশা। এর প্রভাবে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোয় পতন দেখা গেছে। একই সঙ্গে দ্রুতই সুদহার বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা না থাকায় তিন মাসের সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ডলার।

DhakaFX
2019-07-29, 04:05 PM
ইউ,এস, ডলার নিয়ে একটু গভীরে আলোচনার যাই। । ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে ১% ইন্টারেষ্ট রেট ধারাবাহিক ভাবে বাড়াতে বাড়াতে ২০১৯ এর মাঝামাঝি সময় আসার আগে, ২.৫০% এসে থেমে যায়। আগামী fomc নিউজ হবে ১লা অগাস্ট ২০১৯ বাংলাদেশের সময়ে রাত ১২টা বা ১২.৩০ মিনিটের সময়ে নিউজ প্রকাশিত হবে। শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গেলো ইউ,এস, ডলার ০.২৫% ইন্টারেস্ট রেট কার্ট দিতে যাচ্ছে, শুধু মাত্র ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের জন্য ০.২৫% রেট কার্ট দিলে ইউ,এস, ডলার দুই বা চার দিনের জন্য দুর্বল থাকবে, তার বিপোরিতে মেজর কারেন্সি গুলো স্টং থাকবে, পরে আবার ইউ,এস, ডলার পুনরায় ধিরে ধিরে স্টং হতে শুরু করবে। fomc নিউজ প্রকাশিত হওয়ার ৩০ মিনিট পরে প্রেস কনফারেন্স মিটিং হবে সেই সময়ে যদি ঘোষনা দেয় যে ইন্টারেস্ট রেট ধারাবাহিকভাবে ২০১৯ থাকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধিরে ধিরে কমাতে কমাতে পূর্বের যায়গায় ১% নিয়ে আসবে তাহলে ইউ,এস, ডলার দুর্বল থেকে দুর্বল হতে থাকবে। এদিকে যদি ব্রেক্সিট ইসুর কারনে ৩১শে অক্টোবর যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যায় তাহলে ইউ, এস, ডলার স্টং থেকে স্টং হতে থাকবে। ধন্যবাদ।

SUROZ Islam
2019-08-20, 04:34 PM
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী দুই বছরের মধ্যে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অর্থনীতি খুবই ভাল যাচ্ছে’ বলে অর্থবাজারকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, তিনি মন্দার কোনো লক্ষণ দেখছেন না। একই কথা বলেছেন হোয়াইট হাউজের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলোও। গত সপ্তাহে অর্থবাজারের পরিস্থিতি মন্দার দিকে মোড় নিতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। গত বুধবারে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে প্রায় ৩ শতাংশ ধ্বস নামে। যদিও সপ্তাহের শেষ দিকে আবার কিছুটা চাঙ্গা ভাব ফিরে আসে। তবে এর আগের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো সুদের হার কমায়। এবং তা আরো কমবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বছরের শেষার্ধে এসেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
তাছাড়া, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিদেশে অর্থনৈতিক মন্দার কারণেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অবনতির দিকে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, বিশ্বে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। সব মিলিয়েই বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র ২০২০-২১ সালেই মন্দায় পড়তে পারে।
কিন্তু রোববার ট্রাম্প অভয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মন্দার কোনো আভাস দেখতে পাচ্ছেন না। বিশ্ব এ মুহূর্তে মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্প বলেন, “আমরা মন্দায় পড়ছি বলে আমি মনে করি না। আমরা খুবই ভাল করছি। বাদবাকী বিশ্ব আমাদের মত ভাল অবস্থায় নেই।”

Tofazzal Mia
2019-10-27, 03:00 PM
9172
উচ্চ সরকারি ব্যয় এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদ পরিশোধে ২০১৯ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বাজেট ঘাটতি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিতে দেশটির বাজেট ঘাটতি প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্স ও এএফপি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় সম্পূর্ণ বাজেট বর্ষে যখন শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে কর ভিত্তি সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বেকারত্ব হার ৫০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, ঠিক সে সময়ে এই উপাত্ত প্রকাশিত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ৯৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা দেশটির জিডিপির ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ছিল ৭৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ২০০৯ সালে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছিল, যার আকার ছিল ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।

Tofazzal Mia
2019-11-12, 03:19 PM
চলতি সপ্তাহে আমেরিকান ডলারের মেজর নিউজগুলো হচ্ছে :
• ১৩ই নভেম্বর সন্ধ্যা ০৭টা ৩০মিনিটে CPI(m/m) এবং Core CPI(m/m) নিউজ রিপোর্ট।
• ১৪ই নভেম্বর সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে PPI(m/m) এবং Core PPI(m/m) নিউজ রিপোর্ট।
• ১৫ই নভেম্বর সন্ধ্যা ০৭টা ৩০ মিনিটে Retail Sales(m/m) এবং Core Retail Sales(m/m) নিউজ রিপোর্ট।আমেরিকান ডলারের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো চাঙ্গা করার লক্ষ্যে চলতি বছর কয়েক দফায় রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সেই ধারাবাহিকতায় গত FOMC মিটিং ২৫ বিপি রেট কমিয়ে ১.৭৫% করা হয়েছে। গতমাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত CB Consumer Confidence নিউজ রিপোর্ট কিছুটা খারাপ আসলেও প্রান্তিক Advance GDP q/q নিউজ রিপোর্ট বেশ ভালো ছিলো। ISM Manufacturing PMI নিউজ রিপোর্ট কিছুটা খারাপ আসলেও ISM Non-Manufacturing PMI নিউজ রিপোর্ট ছিলো বেশ ভালো। গত মাসের লেবার মার্কেট রিপোর্টে আর্নিং( ০.০০%) অনেকটা ড্রপ করলেও এবার আর্নিং রিপোর্ট(০.২%) গতবারের তুলনায় ভালো এসেছে। গতবারের তুলনায় বেকারত্বের হার কিছুটা বাড়লেও ( ৩.৬%) সেটা বেশ সহনীয় পর্যায়ে আছে।আমেরিকান ডলারের গত ১মাসের নিউজ রিপোর্ট কিছুটা মিক্স ছিলো এবং গত মিটিং এ রেট কমানো হয়েছে সেই হিসেবে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স গত মাসের থেকে টানা পড়তির দিকে ছিলো। যেহেতু লেবার মার্কেট নিউজ এবং জিডিপি নিউজ রিপোর্ট মোটামুটি ভালো ছিলো এবং লাস্ট মিটিং এ রেট কমানো হয়েছে সেই হিসেবে ইনফ্ল্যাশন ( সিপি আই এবং পিপি আই ) রিলেটেড রিপোর্ট ভালো আসার সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি আমেরিকা-চায়না ট্রেড ডিল নিয়ে নতুন করে সমঝোতা হবার কথা আছে। তাই যদি ইনফ্ল্যাশন রিপোর্ট খারাপ না আসে এবং আমেরিকা-চায়না ট্রেড ডিলে নতুন করে সমঝোতা হয় তবে আসা করা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহ সহ সামনের কিছুদিন মেজর পেয়ারগুলিতে আমেরিকান ডলার বাই মুডে থাকতে পারে।

Rassel Vuiya
2019-11-17, 01:09 PM
চতুর্থ প্রান্তিকে নিউইয়র্ক ফেডের জিডিপি পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ এর আগে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। অক্টোবরজুড়ে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে উৎপাদন হ্রাসসহ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর কারণে এ রকম ‘নেতিবাচক পূর্বাভাস’ দিতে হয়েছে বলে জানায় নিউইয়র্ক ফেড।
প্রবৃদ্ধির দেখা না পেতে পারে মার্কিন অর্থনীতিওয়াল স্ট্রিটে সাম্প্রতিক চাঙ্গা ভাবে মনে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে চলতি বছরের শেষ তিন মাসে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়তে পারে। শুক্রবার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের (ফেড) দুটি আঞ্চলিক শাখার প্রতিবেদনে এ রকম নেতিবাচক ছবিই ফুটে উঠেছে। খবর সিএনএন বিজনেস।
9327
আটলান্টা ফেডের জিডিপি পূর্বাভাস আরো খারাপ। শুক্রবার চতুর্থ প্রান্তিকের জন্য তাদের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশের। মাত্র এক সপ্তাহ আগে যেখানে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। গাড়ি ও গ্যাসোলিন বাদে রিটেইল বিক্রি সংকোচন এবং ভোক্তা ব্যয় হ্রাসের ফলে পূর্বাভাস কমাতে হয়েছে বলে জানায় আটলান্টা ফেড। শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, অক্টোবরে ভোক্তা ব্যয় মাত্র শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত অর্থনৈতিক উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এ পূর্বাভাস দিয়েছে ফেডের দুটি আঞ্চলিক শাখা। তবে নতুন উপাত্তের ভিত্তিতে পূর্বাভাসে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে বছর শেষে অর্থনীতি মারাত্মক সংকটাপন্ন বলেই প্রতীয়মান হতে পারে। জেনারেল মোটরসের ধর্মঘট বন্ধের ফলে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
য়াল স্ট্রিটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য চতুর্থ প্রান্তিক নিয়ে বেশ সতর্ক। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি পূর্বাভাস ১ দশমিক ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে গোল্ডম্যান স্যাকস। ফেডের জিডিপি মডেলে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি একেবারেই নগণ্য থাকবে। নেতিবাচক পরিক্রমা আরো খারাপ আকার ধারণ করলে দেশটি মন্দায় পড়তে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। তবে সব পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বেশ চাঙ্গা অর্থনীতিরই বার্তা দিচ্ছেন। মঙ্গলবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি বেশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।’ তবে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল অবশ্য ভিন্ন কথাই বলছেন। বৃহস্পতিবার আইনপ্রণেতাদের সামনে তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনীতির দিকে তাকালে সেখানে চাঙ্গা ভাবের কিছুই দেখছি না।
তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। অথচ নতুন বছর শুরু হয়েছিল ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে। যদিও ভোক্তা ব্যয় কিছুটা চাঙ্গা রয়েছে, তবে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সংকোচন চলছে এবং টানা দুই প্রান্তিক ধরে ব্যবসায় ব্যয় সংকুচিত হয়েছে। এর পেছনে ভূমিকা রাখছে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি। তবে বিনিয়োগকারীরা এখনো বেশ আশাবাদী। বছরান্তে সব অন্ধকার কেটে যাবে বলে মনে করছেন তারা। শুক্রবার শেয়ারবাজারে ডাও জোনস, এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ও নাসডাক সব সূচকই সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের আসন্ন বাণিজ্য চুক্তি এবং ফেডের কাছ থেকে পাওয়া ইজিমানিতে শেয়ারবাজারে এ আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে।
অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীরা অতটা আশাবাদী নন। সিসকোর প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহ হ্রাসের পেছনে আজকের বৈশ্বিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেছেন কোম্পানিটির সিইও চাক রবিনস। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিশ্লেষকদের বলেন, আপনি যদি বিশ্ব ঘটনাপ্রবাহ অনুসরণ করেন, তাহলে দেখবেন হংকংয়ে কী ঘটছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিরোধ কোন জায়গায় আছে, ওয়াশিংটনে কী চলছে। তার সঙ্গে আপনার সামনে রয়েছে ব্রেক্সিট এবং লাতিন আমেরিকায় অনিশ্চয়তা। বৈশ্বিক অর্থনীতি কোন দিকে এগোচ্ছে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মনে করেন চাক রবিনস।

Montu Zaman
2019-12-05, 01:30 PM
9501
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধায় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজী নববর্ষকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারীর প্রায় শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আমেরিকান স্টক মার্কেটে প্রচুর পরিমানে প্রোফিট টেকিং হয়। মূলত এই কারনেই বছরের এই সময়টাতে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স কিছুটা নিম্নমূখী থাকে, পাশাপাশি যেহেতু চাইনিজ ইকোনোমিক নিউজগুলোতে গোল্ড, অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলারে ভালো প্রভাব পরে এবং সাম্প্রতিক চাইনিজ রিপোর্টগুলো বেশ পজেটিভ তাই গোল্ড, অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলারে এর পজেটিভ প্রভাব পরার সম্ভাবনাও প্রবল এবং অলরেডি পরতে শুরু করেছেও। সাম্প্রতিক ট্যারিফ ইস্যু, চাইনিজ ইকোনোমিক্যাল নিউজ ভালো আসা এবং আমেরিকান ইকোনোমিক নিউজ কিছুটা খারাপ আসার ফলে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স কিছুটা ফল করেছে। কিন্তু যদি সামনে শুক্রবারের লেবার মার্কেট নিউজ আমেরিকান ডলারের পক্ষে আসে এবং পরের সপ্তাহের এফওএমসি মিটিং এ তুলনামূলক হকিশ টোন আসে তবে আমেরিকান ডলার সাময়িক সময়ের জন্য হলেও কিছুটা রিকভার করবে, এবং আসা করা যায় গোল্ডসহ মেজর কারেন্সিগুলো আমেরিকান ডলারের বিপক্ষে এখান থেকে কিছুটা হলেও ফল করবে। অপরপক্ষে , যদি লেবার মার্কেট নিউজ খারাপ আসে এবং ট্যারিফ ইস্যু নিয়ে ঝামেলা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে আমেরিকান ডলার এখান থেকে আরো ডাউন হবে।

Tofazzal Mia
2020-01-19, 04:36 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চাকুরি তৈরীতে গত বছরের নভেম্বরে চার বছরের সর্বোচ্চ পতন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে দেশটির শ্রম বিভাগের জব ওপেনিংস অ্যান্ড লেবার টার্নওভার সার্ভের (জেওএলটিএস) মাসিক একটি প্রতিবেদনে। জেওএলটিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির কর্মসৃজন নভেম্বরে ৫ লাখ ৬১ হাজার কমে ৬৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ সালের আগস্টের পর এটি সবচেয়ে বড় পতন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কর্মসৃজন ২০১৮ সালের মার্চের পর সর্বনিম্নে পৌঁছে। এদিকে শূন্য পদ হ্রাস ও মাঝারি গোছের নিয়োগ নিয়োগদাতাদের কর্মী চাহিদায় হ্রাস টানার লক্ষণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। এ সম্পর্কে এমইউএফজির প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্রিস রুপকি বলেন, শ্রমবাজার সুসময় হারাতে শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতি এরই মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। চাকরির আশায় যারা দিন গুনছেন, তারা হয়তো তরী হারিয়ে তীরে বসে আছেন।

SumonIslam
2020-01-28, 12:14 PM
9930
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সংকোচন ও সম্প্রসারণ এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর বিজনেস ইকোনমিকসের (এনএবিই) সমীক্ষায়। এটি দেশটির শ্রমবাজারের চাঙ্গা ভাব ও চলতি বছর কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির সেবা, পণ্য উৎপাদন ও পরিবহন, ইউটিলিটিস, তথ্য ও যোগাযোগ শিল্পে কর্মসংস্থান কমেছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থান বেড়েছে আর্থিক, ইন্স্যুরেন্স ও রিয়েল এস্টেট খাতে

Tofazzal Mia
2020-02-05, 05:24 PM
ডলারের বিপরীতে যেসব দেশ তাদের মুদ্রা অবমূল্যায়ন করে, সেসব দেশের পণ্যে ভর্তুকি-বিরোধী শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তে চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ শাস্তিমূলক শুল্কের মুখোমুখি হতে পারে, যারা বড় আকারের ভর্তুকি দেয় এবং রফতানি ব্যয় কমানোর জন্য ডলারের বিপরীতে নিজেদের মুদ্রা অবমূল্যায়ন করে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রাথমিক ধাপের বাণিজ্য চুক্তির কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। দ্রুত সম্প্রসারমান করোনাভাইরাস নিয়ে ওয়াশিংটন মিথ্যা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।

Tofazzal Mia
2020-02-12, 05:43 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/727537489.jpg
গত মঙ্গলবার আসন্ন অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ৪ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের এ বাজেট প্রস্তাবনায় ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। তাদের দাবি, ট্রাম্প এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষাজাল কর্মসূচি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি। ফলে প্রস্তাবিত এ বাজেট পাস হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ বাজেটে একদিকে মেক্সিকো সীমান্তে বিতর্কিত দেয়াল তৈরির জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হলেও সুরক্ষাজাল কর্মসূচির মতো কল্যাণমূলক সংস্কার কর্মসূচি থেকে কমানো হয়েছে কয়েকশ কোটি ডলার। একই সঙ্গে ঋণ ও বাজেট ঘাটতি হ্রাসে গৃহায়ণ, পরিবেশ, যোগাযোগসহ আরো বেশকিছু কর্মসূচিতে ফের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব রেখেছেন ট্রাম্প। এর আগে গত বছর তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কংগ্রেস সদস্যরা।

SumonIslam
2020-02-13, 01:55 PM
দুর্বল হয়ে পড়া মার্কিন ম্যানুফ্যাকচারিং খাত ফের শক্তিশালী অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, হোয়াইটহাউজে তার কার্যকালে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কারখানা স্থাপন হয়েছে অন্তত ১২ হাজার। পরিকল্পনাধীন রয়েছে আরো কয়েক হাজার কারখানা। এর মধ্য দিয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে দেশটিতে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এখন ম্যানুফ্যাকচারিং রেনেসাঁর পথে হাঁটছে, যা ব্যাপক ভূমিকা রাখছে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানে। কিন্তু প্রাপ্ত উপাত্ত ও বিশ্লেষকদের মতামত বিশ্লেষণে ট্রাম্প প্রশাসনের এ দাবির সঙ্গে ঠিক একমত হওয়া যাচ্ছে না। কারখানা ও কর্মসংস্থান বিষয়ে ট্রাম্পের দেয়া তথ্য মোটা দাগে আপাত সঠিক হলেও এক ধরনের ফাঁক থেকেই যাচ্ছে। এটা সত্যি, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে কারখানার কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মানুষের চাকরি হারানো থামছে না। বিশেষ করে গত দুই দশকে দেশটিতে ৪০ লাখ চাকরি হারানোর ঘটনা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের কর্মসংস্থানে রক্তক্ষরণেরই প্রমাণ দিচ্ছে।

Tofazzal Mia
2020-03-09, 01:28 PM
গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপাত্ত বেশ ইতিবাচক। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্ব হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ৫০ বছরের সর্বনিম্ন। যদিও বিশ্বের বৃহত্তম এ অর্থনীতিতে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে পরেছে। স্টেট স্ট্রিট অ্যাসোসিয়েটস ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে, কভিড-১৯ আঘাত হানার আগেই মার্কিন অর্থনীতি মন্দার ঝুঁকিতে ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরবর্তী ছয় মাসে মন্দার আশঙ্কা ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ, যদিও তখন শেয়ারবাজার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ চাঙ্গা ছিল। জানুয়ারির পর থেকে শেয়ারবাজারে বড় আকারের পতনে খানাগুলোর আর্থিক সংগতি হ্রাস এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো আরো হতাশায় পড়ায় প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে। চলতি সপ্তাহে শেয়ারদর যেখানে আছে, সেখান থেকে মন্দার আশঙ্কা ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন স্টেট স্ট্রিট অ্যাসোসিয়েটসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা উইল কিনলাউ। ম্যাসাচুসেটসভিত্ িক আর্থিক জায়ান্ট স্টেট স্ট্রিট করপোরেশনের গবেষণা ইউনিটটির এ শীর্ষ কর্মকর্তা আরো মনে করেন, গত ১২ মাসে শেয়ারবাজার যা অর্জন করেছে তা যদি ফিকে হতে শুরু করে, তাহলে মন্দার আশঙ্কা বেড়ে ৮০ শতাংশে দাঁড়াবে। কভিড-১৯ এমন একটি অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে, যা ওপর ওপর যে রকম শক্তিশালী মনে হচ্ছে প্রকৃত অর্থে অতটা শক্তিশালী নয়। অকৃষি খাতে গত জানুয়ারিতে কর্মসংস্থান গত বছরের একই মাসের চেয়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ চাঙ্গা হলেও শিল্পোৎপাদন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে।

গত জানুয়ারিতে একমাত্র শক্তিশালী সূচক ছিল শেয়ারবাজার, কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ওই সূচকেও লালবাতি জ্বলছে। কিছু অর্থনীতিবিদ যেখানে বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এরই মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়েছে, আবার কেউ কেউ বলছেন এটা সম্ভবত খুব কাছেই। মুডি’স অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি বলছেন, চলতি বছরে মন্দার শঙ্কা অন্তত ৫০ শতাংশ।

DhakaFX
2020-03-16, 04:56 PM
সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের কারনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ক্ষতিকর প্রভাব কাটানোর জন্য ফেডারেল রিজার্ভ আবারো রেট কাটের সিদ্ধান্ত নেয় এবং আজ মার্কেট ওপেনিং এর সময় একধাপে 100 বিপি রেট কমিয়ে 1.25% থেকে মাত্র 0.25% এ আনার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন একবারে 100 বিপি রেট কাটের ফলে আমেরিকান ডলার ইনডেক্সে ধশ নামবে। কিন্তু এমনটা ভাবার কোনো কারন নেই, কারন সবসময় রেট কাট মানেই কারেন্সির জন্য খারাপ বিষয়টা এমন না। যেহেতু বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং বানিজ্যে ব্যাপক মন্দাভাব বিরাজ করছে, তাই এই মূহুর্তে রেট কাটের সিদ্ধান্তে বিজনেসে ইনভেস্ট বাড়বে, মার্কেটে মানি ফ্লো বাড়বে। আর এই পরিস্থিতিতে মার্কেট আবারো সচল হওয়া এবং ব্যাবসার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হওয়াটা আমেরিকান ডলারের জন্য মঙ্গলজনক হবার সম্ভাবনা বেশি। তাই রেট কাটের কারনে আমেরিকান ডলার সাময়িক সেল মুডে গেলেও চলমান পরিস্থিতিতে পজেটিভ অবস্থানে ফেরার সম্ভাবনা বেশি। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করলে মার্কেট মুভমেন্ট অন্যরকম ও হতে পারে।

Tofazzal Mia
2020-04-12, 03:25 PM
10612
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে টালমাটাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাসের কারণে গত মার্চে প্রায় এক কোটি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে। এবার জানা গেল চলতি মাসে এক-তৃতীয়াংশ মার্কিন ভাড়াটিয়া যথাসময়ে তাদের ভাড়াই পরিশোধ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মাল্টিফ্যামিলি হাউজিং কাউন্সিলের (এনএমএইচসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বেকারত্ব বৃদ্ধি ও বাড়িভাড়া পরিশোধ না করা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নভেল করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাবের নমুনা মাত্র। ভাইরাসটির সংক্রমণে মার্কিনিদের আর্থিক অসংগতি ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। যদিও পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২ লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

Tofazzal Mia
2020-04-19, 04:23 PM
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে অন্যদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মার্কিন কৃষকরাও। লকডাউন পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে পারছেন না তারা। এতে খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। দেশটির ফুড ব্যাংকগুলোর সামনে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন না অনেকে। এ অবস্থায় কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা খাতের জন্য প্রণোদনার দাবি জোরালো হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের জন্য ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে মার্কিন কৃষি খাতের জন্য দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা এখানেই শেষ হচ্ছে না। আগামী জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়কে সহায়তা হিসেবে আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দেয়া হবে

rakib.r
2020-04-19, 10:10 PM
করোনা ভাইরাসের জন্য আসলে বিশ্বের সব দেশের ই নাজেহাল অবস্থা। বাদ যায় নাই অমেরিকাও। আমারিকায় আসলে এই করোনার জন্য আসল চিত্র গুলো ফুটে উঠেছে। অনেক মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজন মেটানোর মত ও সামর্থ হারাচ্ছে অর্থনৈতিক ভাবে। মানে স্থবির অবস্থার জন্য দেশের সাধারন মানুষের অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। কারন আমেরিকা তার রাজস্বের সিংহ ভাগ টাকা ব্যয় করে তাদের সামরিক খাতে

DhakaFX
2020-04-23, 07:40 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1962667131.gif
এক সপ্তাহের বেশি সময় আলোচনার পর প্রায় অর্ধট্রিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় নভেল করোনাভাইরাস ত্রাণ পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। অনুমোদনকৃত এ প্রকল্পের অর্থ দিয়ে চলমান মহামারীকালে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়া দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসা, রোগীর চাপে বিপর্যস্ত হাসপাতাল ও দেশব্যাপী ভাইরাস পরীক্ষায় সহায়তা করা হবে। মার্কিন সরকারের সর্বশেষ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগানের উদ্দেশ্য হলো দেশটির বিপদাপন্ন অর্থনীতিকে রক্ষা করা। কারণ কভিড-১৯ সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ওপর অকল্পনীয় আঘাত হেনে চলেছে। দেশটিতে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় চাকরি হারিয়েছে দেশটির ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

Rakib Hashan
2020-04-27, 07:21 PM
10767
মার্কিন যুক্তরাষ্টে লকডাউন উঠে যাবার আভাসে আজ থেকে মার্কিন শেয়ার মার্কেট আবারও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। ডো জোনস ৩০ মিনিট এর ব্যবধানে 1.0% শতাংশ বেড়ে প্রায় 237 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নাসডাক 1.2% শতাংশ বেড়ে 100 পয়েন্ট বেড়েছে।

BDFOREX TRADER
2020-04-28, 02:51 PM
10780
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে অভাবনীয় আঘাত হেনেছে বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাস। সংকট থেকে বাঁচতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। বিশেষ করে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সরকারি সহায়তা প্যাকেজ খানিকটা হলেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। একই সঙ্গে এ প্যাকেজের আওতায় নাগরিকদের প্রদান করা হচ্ছে নগদ অর্থ। মোট ১৫ কোটি মানুষকে দেয়া হবে ১ হাজার ২০০ ডলার করে।

Montu Zaman
2020-05-11, 02:10 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/747265279.jpg
বিশ্বব্যাপী সামষ্টিক অর্থনীতিকে মারাত্মক চাপে ফেলে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মহীনতা এখন তিরিশের মহামন্দার পর সর্বোচ্চে। সংকট ঠেকাতে গৃহীত প্রণোদনামূলক পদক্ষেপগুলো যে পরিমাণে আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি করছে, সেটাও এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়াবহ মহামন্দা এবং ঋণ সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এখনই এতটা আশঙ্কার কিছু নেই।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ ও তুলনার অতীত। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি যদি পুরনো প্রবৃদ্ধির ধারা বা হারে ফিরে আসতে না পারে, সেক্ষেত্রেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে কাঠামোগত দীর্ঘমেয়াদি সংকটের ছাপ রেখে যাবে নভেল করোনাভাইরাস। কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতিতে মহামন্দা বা ঋণ সংকটের মতো কাঠামোগত ধস নামার বিষয়টি এখনো অনেক দূর।
এক্ষেত্রে যে বিষয়টির দিকে আলোকপাত জরুরি, সেটি হলো মূল্য স্থিতিশীলতা, যা সামষ্টিক অর্থনীতিতে অনুকূল ফলাফল তুলে আনার চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত। যেকোনো মন্দা বা ঋণ সংকটের একটি লক্ষণ হলো অতিমাত্রায় মূল্য সংকোচন বা মূল্যস্ফীতি, যার ধারাবাহিকতায় অর্থনীতির স্বাভাবিক উপাদানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। গত ৩০ বছরে মার্কিন অর্থনীতিতে তুলনামূলক নিম্ন ও স্থিতিশীল মাত্রার মূল্যস্ফীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এর কারণে সুদহার কমিয়ে রাখা গেছে, বিজনেস সাইকেল দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং সম্পদের মূল্যায়নও হয়েছে বাড়তি মাত্রায়। কিন্তু যদি মূল্য স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে অর্থনীতিতে এর ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী।

Montu Zaman
2020-05-18, 06:19 PM
11016
নতুন করে প্রকাশিত অর্থনৈতিক উপাত্ত বলছে, সব ক্ষেত্রেই গভীর সংকটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। এমনকি নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে আরোপিত লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেয়া শুরু হলেও দেশটির অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে শিল্প উৎপাদনের যেমন রেকর্ড পতন হয়েছে, তেমনি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটির অর্থনীতির জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ খুচরা বিক্রি খাত। মূলত বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতে অভাবনীয় সংকট সৃষ্টি করেছে। আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছে ৮৬ হাজারের মতো মানুষ। অন্যদিকে ভাইরাস প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপ দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে কার্যত বিবশ করে তুলেছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বেকারত্ব। কয়েক মাস আগেও যেসব মার্কিন নাগরিক নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখছিলেন, তারা এখন বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করেছেন ৩ কোটি ৬৫ লাখ আমেরিকান। লকডাউন ঘোষণার পর মধ্য মার্চ থেকে প্রতি সপ্তাহে এ আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে বৈ কমছে না, যা দেশটির অর্থনীতির দুরবস্থারই প্রতিফলন।

Rakib Hashan
2020-05-27, 02:44 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1135209880.gif
মার্কিন অর্থনীতি মজবুত ছিল, নভেল করোনাভাইরাস বদলে দিল সবকিছু। কেউই হয়তো কল্পনা করতে পারেনি যে বেকারত্ব ২০ শতাংশ কমে যাবে এবং জিডিপিতে ৪০ শতাংশ অবনমন ঘটবে। এখন এটাই ঘটছে, পরিস্থিতি এখন এমনই করোনায় ডুবছে মার্কিন অর্থনীতি! যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বাড়ছে নজিরবিহীনভাবে। পতন ঘটেছে জিডিপিতে। করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়বে দেশটি। অক্সফোর্ড ইকোনমিকস বলছে, ভয়াবহ মন্দা তৈরি না হলেও অর্থনীতি এখন বেশ খারাপ অবস্থার মধ্যেই রয়েছে।

Montu Zaman
2020-06-01, 02:26 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/148482131.gif
গত মার্চে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ যত বেড়েছে, মার্কিন অর্থনীতি ততই পতনমুখী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় সংকটে পড়েছে একের পর এক করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তাদের ব্যয়সংকোচন নীতির কোপ গিয়ে পড়েছে কর্মসংস্থানে। ফলে চাকরি হারিয়েছে কোটি কোটি মার্কিনি। পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে হতাশা ভাব এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর পরই তা কমতে শুরু করে। এখন দলমত নির্বিশেষে সব গ্রুপের মানুষেরই অর্থনীতি নিয়ে আস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। যদিও এখনো কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে কিংবা তাদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে এবং ব্যাংকঋণে খেলাপির পরিমাণও বাড়ছে।

DhakaFX
2020-06-09, 01:43 PM
চলতি সপ্তাহে usd এর সম্ভাব্য মুভমেন্ট :
চলতি সপ্তাহে আমেরিকান ডলারের ইনফ্ল্যাশন রিলেটেড নিউজ সিপিআই, কোর সিপিআই, পিপিআই, কোর পিপিআই রিপোর্ট পাবলিশড হবে। তাছাড়াও চলতি সপ্তাহে ফেডারেল ফান্ড রেট, এফওএমসি স্টেটমেন্ট, ইকোনোমিক প্রোজেকশন এবং এফওএমসি প্রেস কনফারেন্স এর মত মহা গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রিপোর্ট পাবলিশড হবে। ব্যাংক রেট ফোরকাস্ট আগের মতই রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে এনএফপি তথা লেবার মার্কেট নিউজ মোটামুটি ভালো ছিলো। তবে গতকালকের ব্লুমবার্গের একটা নিউজে দেখলাম আরো বেশ কিছু সংখ্যক নতুন জব রিভাইজড হিসেবে এড হয়েছে, যা কিনা আমেরিকান ডলারের জন্য খুবই পজেটিভ।
চলমান করোনা সংকট তীব্র আকার ধারন করা সহ, পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুতে আমেরিকাতে দাঙ্গা বড় আকারে ছড়িয়ে পড়া, নিয়মিতভাবে ইকোনোমিক্যাল ইভেন্টগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার কারনে আমেরিকান ডলার ইনডেক্স টানা পড়তির মুখে আছে। ডেইলি চার্টে আমরা দেখতে পাচ্ছি ডলার ইনডেক্স ডাউন হয়ে গত মার্চের শক্তিশালী সাপোর্ট 96.40 এরিয়াতে বাধাঁ পেয়ে বুলিশ সাইনসহ পুলব্যাকের চেষ্টা করছে। যেহেতু গত সপ্তাহে প্রকাশিত এনএফপি তথা লেবার মার্কেট নিউজ মোটামুটি পজেটিভ ছিলো এবং গতকাল নতুন জব পজেটিভলি রিভাইজড হয়েছে, তাই আশা করা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহটা আমেরিকান ডলারের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটা ভালো সুযোগ।ট্রেড আইডিয়া: মেজর পেয়ারগুলোতে সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স অথবা ব্রেকআউট লেভেল থেকে আমেরিকান ডলারে বাই মুডে থাকা যেতে পারে।
11197

FXBD
2020-06-25, 03:35 PM
চীন,অস্টেলিয়া,জার্ মান ও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে।*এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দা পুনরায় বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে মার্কিন ডলারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করেছে। *চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন উত্তেজনা মার্কিন ডলারের উপর পজিটিভ প্রভাব ফেলেছে।হোয়াইট হাউজের বানিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো চীনের উপর প্রতিশোধকমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
11383

SaifulRahman
2020-06-30, 03:12 PM
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ আর্থিক সংকট দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও সংকট মোকাবেলায় আর্থিক ব্যবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ অর্থের জোগান দিয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এবারো নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে নগদ অর্থপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। কিন্তু এক যুগের ব্যবধানে দুটি সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের ধরনে ভিন্নতা রয়েছে, যা সেগুলোর কার্যকারিতায়ও বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ২০০৮ সালের পতনের সময় ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্টে প্রণোদনার অর্থ জমা হয়েছিল। আর এবার নগদ অর্থ জমা হয়েছে সরাসরি মার্কিনিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ফলে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হাতে খরচের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ রয়েছে, যা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

DhakaFX
2020-07-13, 06:24 PM
বিশ্বব্যাপী ডলারের চাহিদা কমেছে এবং চাহিদা না থাকায় ডলারের দরপতন হচ্ছে। যেমন প্রতি বছর হজ মৌসুমে ডলারের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে খুচরা বাজারে (কার্ব মার্কেট)। চাহিদা বাড়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে দামের ব্যবধান বড় হয়। অনেক সময় এ ব্যবধান ছাড়িয়ে যায় ৫ টাকা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়েও কম দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। চাহিদা না থাকায় লেনদেনও নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোটায়। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী আমদানি ও রপ্তানী খাত এখনো সচল হয়নি। তাই বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর ধরে রাখতে সাধারন ব্যাংকগুলো থেকে প্রতিনিয়ত ডলার কিনছে।

FXBD
2020-07-30, 03:38 PM
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ইন্টারেস্ট রেট অপরিবর্তনীয় রেখেছে।ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরেমি পাওয়েল বলেন, জুনের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। পরবর্তীতে ফেডারেল রিজার্ভের এস্টেটমেন্টে বলা হয়,যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইসের প্রবণতা লক্ষ্য করে ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেট ০.২৫% অপরিবর্তনীয় রেখেছে।এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকেই eurusd ১.১৮ এবং gbpusd ১.৩০ প্রাইস অতিক্রম করেছিল।
11768

FXBD
2020-08-18, 11:34 AM
বর্তমানে মার্কিন অর্থনীতি যে অভূতপূর্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ খুব বেশি নেই। কিন্তু শেয়ারবাজারের চাঙ্গা ভাব, আবাসন খাতের শক্তিশালী অবস্থা ও দুর্দান্ত খুচরা বিক্রির প্রেক্ষাপটে চলমান মন্দার স্বরূপ নিয়ে ধন্দ বাড়ছে বৈ কমছে না। মূলত কভিড-১৯ সংক্রমণের প্রভাবে যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তার স্বভাব মোটেই গতানুগতিক নয়; বরং অর্থনৈতিক পতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটি হাজির করেছে সম্পূর্ণ নতুন মানদণ্ড। অনেকেই বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র কভিড-১৯-জনিত মন্দা এরই মধ্যে কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, দেশটি সামনে আরো বড় ধরনের মন্দায় পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা।
স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে বিপুল প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটিতে বেকারত্বের হার যেন কিছুতেই নামছে না। এখনো মার্কিন বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ২ শতাংশ, যা মহামন্দা-পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি দেশটির বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন কবে স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। রেস্তোরাঁর মতো সমাগম স্থলগুলোয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে সীমিত পরিসরে। অন্য বিক্রয়কেন্দ্রগুল কেও মেনে চলতে হচ্ছে একই নিয়ম। একই সঙ্গে মার্কিন নাগরিক জীবন থেকে যেন হারিয়ে গেছে কনসার্ট ও উৎসব আয়োজন। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি সচেতন যে কাউকে বলে দেবে যে দেশটি নিশ্চিতভাবেই অর্থনৈতিক পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1452917201.jpg

BDFOREX TRADER
2020-08-27, 01:55 PM
যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা কবে শেষ হতে পারে তার একটি ধারনা পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চলতি বছরের শেষার্ধে বা ২০২১ সালের কোনো এক সময় মন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর বিজনেস ইকোনমিকসের (এনএবিই) এক জরিপে অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ এমনটা প্রত্যাশা করছেন। দুই-তৃতীয়াংশ প্যানেল সদস্য বলছে, গত ফেব্রুয়ারির পর থেকেই মন্দায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করছে দ্বিগুণ মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা চারের মধ্যে এক। গত জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের প্রথম দিকে ২৩৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে এনএবিই জরিপটি সম্পন্ন হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1131372401.jpg

SHARIFfx
2020-08-27, 05:02 PM
আমার মতে এই মন্দা হয়তো বা ইলেকসনের পরে কাটিয়ে তোলা সম্ভব। ডলার বেশ কিছু বছর শক্তিশালী ছিলো। এই অবস্থা পুনরায় পিরে আসতে পারে। তবে কিছু সময় লাগবে।

BDFOREX TRADER
2020-09-08, 02:24 PM
নভেল করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের যে পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। আগামীতে সরকারি ঋণের পরিমাণ দেশটির পুরো অর্থনীতির আকারকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন নীতিনির্ধারকরা। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) সতর্ক করছে চলতি বছরে সরকার যে বাজেট ঘাটতির মধ্য দিয়ে যাবে, তা ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান-পরবর্তী সর্বোচ্চ হতে পারে। আগামী বছরে কেন্দ্র সরকারের ঋণ দেশটির পুরো অর্থনীতির আকারের সমান হতে পারে। ১৯৪৬ সালের পর প্রথমবারের মতো এত বিশালাকার ঋণে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্চে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আগেই মার্কিন সরকার গভীর ঋণে ছিল। তার পরে মহামারীটি আসায় শাটডাউনের ফলে অর্থনীতিতে দ্রুত পতন শুরু হয়। এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে জিডিপি ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ পতন হয়, যা ১৯৪৭ সালের পর রেকর্ড সর্বোচ্চ প্রান্তিকীয় পতন। মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যে রেকর্ড ২ কোটি ২০ লাখ কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। এ সংকটে আমেরিকানদের সহায়তায় মার্চে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি সহায়তা বিল পাস করেছিল কংগ্রেস। অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে প্যাকেজটি আমেরিকানদের এককালীন ১ হাজার ২০০ ডলারের চেক প্রেরণ করেছিল এবং সাময়িক বেকারদের রাজ্যের বেকার সুবিধার বাইরেও সপ্তাহে সপ্তাহে ৬০০ ডলার করে দিয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দ্রুতগতিতে দেশটির ঋণ বাড়তে থাকে। ১৯৬১ সালের মধ্যে তা অবশ্য জিডিপির ৪৪ শতাংশে নেমে আসে। সেই সাফল্যের পেছনে ছিল একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, যা সরকারকে ক্রমবর্ধমান রাজস্ব প্রদান করে এবং সরকারি ঋণ কমিয়ে ফেলে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ করে। আর্থিক ব্যবস্থাটি সরকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। নীতিনির্ধারকরা সুদহার কৃত্রিমভাবে কম রাখার এবং ঋণ পরিশোধের ব্যয় হ্রাস করার অনুমতি দেন।
পরিস্থিতি এখন কিছুটা আলাদা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বছরগুলোয় অর্থনীতি যত দ্রুত এগিয়েছিল, বর্তমানে ওই গতিতে প্রবৃদ্ধি হয় না। ২০১০ সাল থেকে দেশটির গড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ১৯৮০-এর দশকের পরেও সরকার সুদহার নিয়ন্ত্রণ করেনি। তবুও ফেডারেল রিজার্ভ প্রচুর পরিমাণে ট্রেজারি ঋণ কিনে সরকারি ঋণের হারকে অতি নিচে রাখতে সহায়তা করছে।
অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছেন যে সরকার অত্যধিক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। সরকার যখন অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করে তখন এ যুক্তি দেয়া হয়, এটি ঋণের জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে এবং এর মাধ্যমে সুদহার বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিছু অর্থনীতিবিদ ও বাজেট পর্যবেক্ষক এখনো সতর্ক করেছেন যে এমন দিন আসবে, সরকার তার ব্যয় কমাবে এবং কর বাড়াবে বা দুটোই করবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1696133213.jpg

SUROZ Islam
2020-09-13, 06:55 PM
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি হু হু করে বেড়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া লকডাউনের কারণে ব্যাপক আকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশটি। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। (১ ট্রিলিয়ন সমান ৩ লাখ কোটি)। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে। সব মিলিয়ে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ঘাটতিও হয়ে গেছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এর আগেও ২০০৯ সালের বড় ধরনের বাজেট ঘাটতির মুখে পড়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ওই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছ। ১১ মাসেই সেই ঘাটতির দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৯ সালে আবাসন খাত থেকে শুরু হওয়া ওই অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে গিয়ে বেসামাল হয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগে কয়েক বছর।
অবশ্য মহামারির আগেই চলতি অর্থবছর ১ ট্রিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। যা কিনা যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ছিল। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস চলতি মাসে পূর্বাভাস দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো বছরের ঘাটতি ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার হবে। যা গত বছর রেকর্ড করা ঘাটতির চেয়ে তিনগুণ বেশি। ফেডারেল সরকারের আর্থিক বছর শেষ হয় সেপ্টেম্বরে। সংস্থাটি বলেছে মার্কিন ঋণ ২৬ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বরে আশঙ্কা করছে তারা। গত এপ্রিল-জুনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হয় ৩০ শতাংশেরও বেশি। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে গত সপ্তাহ পর্যন্ত আনুমানিক শ্রমশক্তির প্রায় ২০ শতাংশই বেকারভাতা নিচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি মানুষ।
12205

BDFOREX TRADER
2020-10-19, 04:49 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1334428846.jpg
রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প COVID-19 উদ্দীপনা সহায়তা $ 1.8 ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে রাজি হয়েছেন, কিন্তু তাঁর সহকর্মী রিপাবলিকান সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা, মিচ ম্যাককনেল, এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। গত সপ্তাহে, হোয়াইট হাউস উদ্দীপনা প্যাকেজের জন্য $ 1.8 ট্রিলিয়ন ডলার বাজেট প্রস্তাব করেছেন, যখন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাথে আলোচনা হয়েছে। তবে কংগ্রেসে চিফ ডেমোক্র্যাট পেলোসি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং $2.2 ট্রিলিয়ন ডলারের চুক্তির জন্য তাঁর দাবিতে জোর দিয়েছিলেন। সুতরাং, 3 নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের আগে কোনও চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ডেমোক্র্যাটিক সদস্য জো বাউডেন বিপক্ষে যাচ্ছেন মিঃ ট্রাম্প, ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে বলেছে যে তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুনুচিনকে আমেরিকান কর্মীদের সহায়তার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে একটি বৃহত্তর উদ্দীপনা প্রস্তাব দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে তিনি পেলোসির প্রস্তাবটি তৎক্ষণাৎ গ্রহণের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন কারণ তিনি খুব বেশি জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে সিনেটের বিলটিতে ভোট হওয়ার কথা, এতে ক্ষুদ্র ব্যবসা, স্কুল সহায়তা, ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতা সুরক্ষা, বেকারত্ব সুবিধা এবং হাসপাতালের সহায়তার জন্য অর্থ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তবে ডেমোক্র্যাটরা ইতিমধ্যে এ জাতীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। অধিকন্তু, অনেক অর্থনীতিবিদ, পাশাপাশি ফেডের প্রতিনিধিরা আরও একটি উদ্দীপনা উত্সাহিত করেছিলেন, যার ফলে লক্ষ লক্ষ আমেরিকান বেকার হয়ে পড়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন স্টকগুলো সম্প্রতি হ্রাস পেয়েছে, ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আলোচনাগুলো একটি অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। অনেক সিনেট রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউসের বর্তমান 1.8 ট্রিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব অনেক বেশি বলে বিবেচনা করেছেন। এই বিষয়ে, রিপাবলিকানরা সপ্তাহান্তে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে কথোপকথনের সময় এই বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পরিবর্তে, হাউস রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি গতকালকের প্রেস কনফারেন্সে $1.8 ট্রিলিয়ন ডলার প্যাকেজটি সমর্থন করবেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবুও, তিনি আশা করেন না যে পেলোসি জড়িত থাকলে মার্কিন নির্বাচনের আগে উদ্দীপনা প্যাকেজ চুক্তি সফল হবে। অন্যদিকে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মানুচিন বলেছেন যে তিনি পেলোসির সাথে একটি জাতীয় কোভিড -১৯ টেস্টিং এবং ট্র্যাকিংয়ের কৌশল নিয়ে কোনও চুক্তিতে পৌঁছাবেন না। তিনি আরও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে নির্বাচনের আগে কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো কঠিন হবে।

SaifulRahman
2020-10-28, 02:25 PM
মার্কিন রাজনীতিতে সংকট এবং ডলার এর ধীরগতি
মার্কিন মুদ্রা বিরোধী মৌলিক কারণগুলির বাধার সম্মুখীন হয়েছে। একদিকে, বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে করোনভাইরাসের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে, নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে রাজ্যগুলিতে নতুন উদ্দীপনা প্যাকেজ গ্রহণের আশা জঞ্জাল। যদি ঝুঁকিরোধী বিরোধী মনোভাবের কারণে প্রথম উপাদানটি গ্রিনব্যাকের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড সমর্থন সরবরাহ করে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ডলারের বুলিশ উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পিছনে ফেলেছে। গতকাল, আমেরিকান অর্থনীতিতে অতিরিক্ত সহায়তা প্রদানের বিষয়ে দীর্ঘকালীন বিলের বিষয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার জন্য আরেকটি "সময়সীমা" শেষ হয়েছে। আলোচনার ফলাফল ছিল "সামান্য অনুমানযোগ্য": দলগুলি আবারও একটি সাধারণ ডিনোমিনেটরকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারা বলেছে যে আলোচনা চলছে। কংগ্রেসের লোয়ার হাউসের চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন যে হোয়াইট হাউসের সাথে একমত হওয়া নতুন ট্রিলিয়ন ডলার উদ্দীপক প্যাকেজটি এই সপ্তাহের প্রথম দিকে গৃহীত হতে পারে, তবে একই সাথে সিনেট তা অনুমোদন করতে প্রস্তুত কিনা তা জানা যায়নি। একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ডেমোক্র্যাটরা তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের ছাড় দিচ্ছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিগণ এবং তার সাথে রিপাবলিকান সিনেটররাও পেলোসির আশাবাদ ভাগ করে নিচ্ছেন না। এছাড়াও, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মাইক ম্যাডোস ডেমোক্র্যাটদের উপর নিয়মিত "খেলার নিয়ম পরিবর্তন করার" অভিযোগ করেছিলেন। সিনেটের হিসাবে, পরিস্থিতি আরও জটিল - কংগ্রেসের উচ্চ হাউস রিপাবলিকানদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যাদের মধ্যে অনেকে অতিরিক্ত উদ্দীপনা ব্যবস্থাপনার বিরোধিতা করে। বিশেষত এরকম বিশাল, ট্রিলিয়ন ডলারের সহায়তামূলক প্রকল্পে। আমি আপনাকে মনে করিয়ে দেই যে অল্প কয়েকদিন আগে, সিনেট এমনকি রিপাবলিকান বিলও প্রত্যাখ্যান করেছিল, যার পরিমাণ ছিল (চূড়ান্ত সংস্করণে) "কেবল" 300 বিলিয়ন ডলার। এই স্বভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, হোয়াইট হাউস দ্বারা অনুমোদিত হলেও - 2-ট্রিলিয়ন ডলার বিলের ভাগ্যের পূর্বাভাস দেওয়া খুব কঠিন নয়। বেশ কয়েকজন আমেরিকান বিশেষজ্ঞের মতে, ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রতিনিধিরা কেবল স্টলিং করে চলেছেন, ক্রমাগত সময়সীমা স্থির করে চলেছেন, যার ফলে আলোচনার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এক সপ্তাহ পরে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ফলাফল অনুযায়ী একদলীয় ডেমোক্র্যাট জো বিডেন হোয়াইট হাউসে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। এই জাতীয় টেকটনিক স্থানান্তরিত হওয়ার প্রত্যাশায়, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিদের ছাড় দেওয়া খুব স্বল্পদৃষ্টির। সুতরাং, এটি সম্ভবত সম্ভাবনা রয়েছে যে নতুন উত্সাহের প্যাকেজটি ৩ নভেম্বর অবধি গৃহীত হবে না ।এই মুহূর্তে, কোন ফর্ম্যাটে আলোচনা আবার শুরু হবে তা বলা মুশকিল। এখানে 20 বছর আগের ঘটনাগুলি আবার স্মরণে রাখার মতো, যখন ভোট গণনা অনেক সপ্তাহের জন্য বিলম্বিত হয়েছিল - ২ হাজার নির্বাচনের ফলাফল কেবল ডিসেম্বরেই অনুমোদিত হয়েছিল, যখন নভেম্বর মাসে প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচনগুলি ঐতিহ্যগতভাবে শেষ হয়েছিল। এই বছর, ট্রাম্পের দল তথাকথিত "ডাক" ভোটের ফলাফলের জন্য আদালতে আবেদন করলে এই পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হতে পারে। অন্য কথায়, একটি নতুন উদ্দীপনা প্যাকেজের বিষয়ে একমত হওয়ার বিষয়টি পরবর্তী বছর পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে এবং বিনিয়োগকারীরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। দীর্ঘমেয়াদী বিলের সম্ভাবনা সম্পর্কে সাধারণ হতাশা গতকাল শেয়ার বাজারে প্রতিফলিত হয়েছিল। গতকালের লেনদেনের ফলাফলের পরে, মার্কিন স্টক সূচকগুলি দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। বিশেষত, ডো জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এবং 6 অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো শক্তিশালী ওয়ানডে ড্রপ দেখিয়েছে, এটি 28,000 পয়েন্টের নিচে ট্রেডিং শেষ করেছে। স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর 500 সূচকও একই গতিশীলতা দেখিয়েছিল, যা প্রায় 2% হ্রাস পায়, যার ফলে এক মাসে সর্বোচ্চ এক দিনের হ্রাস রেকর্ড করে। মার্কিন মুদ্রা ধাক্কাটি ধরে রেখেছে, তবে বেশিরভাগ অংশ জুড়ে আক্রমণাত্মক চালিয়ে যেতে পারেনি। বিশেষত, ইউরো / ডলারের জুড়িটি 18 তম সংখ্যার মধ্যেই রয়ে গেছে, যদিও গতকাল সারা দিন ধরে বিয়ার চাপ বাড়িয়েছিল। তবে বিক্রেতারা কেবল 1.1800-1.1870 এর ফ্ল্যাট রেঞ্জের নিম্ন সীমাতে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং এমনকি সমর্থন স্তরটিও পরীক্ষা করেননি। এছাড়া গতকাল রাতে মার্কিন রিয়েল এস্টেটের বাজার সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল, যা ব্যবসায়ীদের হতাশ করেছিল। সুতরাং, সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক বাজারে আবাসন বিক্রির পরিমাণ 3.5% হ্রাস পেয়েছে। এই সূচকটি এই বছরের এপ্রিলের পরে প্রথমবারের মতো (যখন করোনাভাইরাস সঙ্কট শীর্ষে ছিল) নেতিবাচক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। আজ, তথাকথিত "প্রধান গ্রুপ" এর কারেন্সি পেয়ারগুলোর ফ্ল্যাট লেনদেন হয়, যা ব্যবসায়ীদের সাধারণ আচরণ প্রতিফলিত করে। ইউরো / ডলারের জুড়ি ব্যতিক্রম নয়: দক্ষিণ গতি ম্লান হয়ে গেছে, যখন ক্রেতারা একটি নেতিবাচক মৌলিক পটভূমির পটভূমির বিপরীতে (মূলত ইইউ দেশগুলিতে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ জোরদার করার কারণে) সংশোধনমূলক বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়নি। পরবর্তী তথ্য পাওয়ার প্রত্যাশায় আলস্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
আমার মতে, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, "করোনাভাইরাস ফ্যাক্টর" সত্ত্বেও লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। এই মুহুর্তে EUR / USD এর বিক্রেতারা ফ্ল্যাট রেঞ্জের নিম্ন সীমাতে এসেছে, কিন্তু তা অতিক্রম করতে পারেনি। দক্ষিণের প্ররোচনাটি বিবর্ণ হয়ে গেছে, এবং এটি পুনরায় শুরু করতে, উপযুক্ত যুক্তি প্রয়োজন, যা এই মুহুর্তে পাওয়া যাচ্ছে না। এই জুটিটি বেশ কিছুটা আলতো করে দাম করিডোরের নীচের সীমানা থেকে দূরে সরে গিয়ে ধীরে ধীরে রেঞ্জের "সিলিং" এর দিকে চলে গিয়েছে। অতএব, এই মুহুর্তে, আমরা 1.1870 এর প্রথম লক্ষ্য নিয়ে লং পজিশন বিবেচনা করতে পারি - লক্ষ্যমাত্রাটি কুমো মেঘের উপরের সীমা, যা দৈনিক চার্টে বলিঞ্জার ব্যান্ড সূচকের উপরের রেখার সাথে মিলিত হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1305946252.jpg

Pavel66
2020-11-07, 09:28 PM
আগামী ২৮শে জানুয়ারী থেকে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মার্কেটের টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস-
মার্কিক যুক্তরাষ্টে ৩৫ দিন শার্টডাউন থাকার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩ সপ্তাহের জন্য ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শার্টডাউন বিরতি দিয়েছে, ফলে ফোরলোড শ্রমিকেরা বেতন পাবে, যা NFP এর জন্য খুবই ভাল খবর। যদিও শার্টডাউন প্রভাবে স্টক মার্কেট দুর্বল হওয়াতে অন্যান্য কারেন্সীর বিপরীতে ডলারও দুর্বল হয়েছে, এতে জিডিবি ফোরকাষ্টও কমেছে। এখন যদি NFP রির্পোট অনুসারে ২ লাখের বেশি লোক কর্মসংস্থান হয় তাহলে ডলার পজেটিভ হবে। এছাড়াও আগামী সপ্তাহে ফেডের মনিটরিং পলিসিসহ এই ৩৫ দিনের অপ্রকাশিত নিউজগুলো রিলিজ করা হবে। ফেডের মনিটরিং পলিসিতে তেতন পরিবর্তন না হলেও অন্য রিপোর্টগুলো নেগেটিভ হবার সম্ভাবনা বেশি হয়েছে। ফলে
Eur/usd পেয়ারটি 1.1330 থেকে 1.1300 জোন টেষ্ট করতে পারে।
Gbp/usd পেয়ারটি 1.3175 থেকে 1.3250 পর্যন্ত জোন টেষ্ট করতে পারে।
Usd/jpy পেয়ারটি 107 থেকে 105.00 পর্যন্ত জোন টেষ্ট করতে পারে।

Tofazzal Mia
2020-11-09, 02:38 PM
আগামী জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেনের হাতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিটি পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা থাকবে। কিন্তু একসময়ের চাঙ্গা অর্থনীতি ফের গতিশীল করার জন্য প্রথমে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যদিও নির্বাচনী প্রচারণায় ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, করনীতি ঢেলে সাজানো, অবকাঠামো খাতে বিশাল বিনিয়োগসহ কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাইডেন যে পদক্ষেপ নিতে পারেন, তার মধ্যে থাকতে পারে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো বিনিয়োগ, ঘণ্টায় ন্যূনতম মজুরি ১৫ ডলার করা এবং ‘আমেরিকান পণ্য ক্রয় করো’ এমন কর্মসূচি। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে চাঙ্গা করতে ‘আমেরিকান পণ্য ক্রয় করো’ উদ্যোগটি চালু হতে পারে। অবশ্য স্বাস্থ্যসেবা নীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাইডেনের কাছ থেকে আগ্রাসী পদক্ষেপ আশা করছেন ডেমোক্র্যাট পার্টিতে তার সহকর্মীরা। এছাড়া চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের সৃষ্টি করা বাণিজ্যযুদ্ধ কীভাবে সামলান, সেটাও দেখা দরকার।
http://forex-bangla.com/customavatars/892063287.jpg

Montu Zaman
2020-11-12, 06:31 PM
মার্কিন ডলারের ভবিষ্যত ভালো নয়, সিটি প্রাইভেট ব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বিডন প্রশাসন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি পুনরায় সাজিয়ে তুলবে, তবে একই সাথে তারা যুক্তি দিয়েছিল যে মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পাবে। জো বিডেন দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করার কারণে এমন ঘটতে পারে। অন্য কথায়, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন হতে পারে। নতুন রাষ্ট্রপতি সবার বিপক্ষে না থেকে জোট তৈরি করতে বেশি পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বিশ্বজুড়ে আর্থিক বাজারগুলি বিশেষত উদীয়মান বাজারগুলি উপকৃত হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরও অনুমানযোগ্য হবে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, মার্কিন ডলার দুর্বল হতে পারে, যেমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন। তদুপরি, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে, এশিয়ান মুদ্রাগুলি আরও জোরদার হয়েছে এবং আমেরিকান ডলার মূল বিক্রয় মুদ্রায় পরিণত হয়েছে - বিশ্লেষকদের মতামত অনুসারে। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও একটি নতুন উদ্দীপনা প্যাকেজ গ্রহণ করে নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রণোদনার পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে, যা ফলন কম এবং দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক হারের কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে স্বল্প ফলন আমেরিকান ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ বিনিয়োগকারীরা যেসব সম্পদে কম মুনাফা নিয়ে আসে তাতে আগ্রহী না। দ্বিতীয় উদ্দীপনা প্যাকেজটি প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে, এটি বিবেচনায় রেখে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের সাথে একমত হতে পারেছেন না। এটি গ্রিনব্যাকের উপরও প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়াও, করোনাভাইরাস মহামারী আমেরিকান মুদ্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এখনও পর্যন্ত সফল টিকা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি এবং আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এদিকে, ছয়টি মুদ্রার ঝুড়ির বিপরীতে মার্কিন ডলার পরিমাপকারী মার্কিন ডলার সূচকটি 0.02% হ্রাস পেয়ে 92.732 এ লেনদেন করেছে। নিউজিল্যান্ড ডলার বেড়েছে 0.86%, যা এক বছরেরও বেশি সময়ে তার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে - $0.6887। এর কারণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেতিবাচক সুদের হারের দিকে অগ্রসর হবে না এই কারণেই দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম আগস্টের পর থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ইউরো 0.03% বৃদ্ধি পেয়ে 1.1818 এ স্থির হয়েছে। যাইহোক, জেপি মরগান আশা করে যে ২০২১ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো 1.25 তে উন্নীত হবে। জিবিপি / ইউএসডি 0.13% হ্রাস পেয়ে $1.3254 তে ট্রেড করছে। JPY/USD 0.03% কমে গিয়ে 105.31 লেভেলে পৌঁছেছে। নিরাপদ সুইস ফ্র্যাঙ্ক 0.03% বৃদ্ধি লাভ করে $ 0.915 লেভেলে পৌঁছেছে। একই সময়ে, ইউরোর বিরুদ্ধে সুইস ফ্র্যাঙ্ক 0.07% বৃদ্ধি পেয়ে 1.0817 লেভেলে দাঁড়িয়েছে। কানাডিয়ান ডলার মার্কিন ডলারের বিপরীতে 0.02% বেড়েছে এবং তা 1.3027 ডলারে স্পর্শ করেছে। নরওয়েজিয়ান ক্রোনও প্রতি ডলারে 0.2% বৃদ্ধি পেয়ে 1.3027 লেভেলে দাঁড়িয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/690323609.jpg

DhakaFX
2020-11-29, 05:18 PM
যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ডে উপলক্ষ্যে অনলাইনে রেকর্ড ছাড়িয়ে ৫১০ কোটি ডলারের কেনাকাটা হয়েছে। চলতি বছরের থ্যাংকসগিভিং ডে-তে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনলাইন কেনাকাটায় অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন মার্কিনিরা। এবারের উৎসব ঘিরে তারা ইন্টারনেটভিত্তিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ৫১০ কোটি ডলার খরচ করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। শুক্রবার প্রকাশিত অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। খবর সিএনবিসি।
12983

SaifulRahman
2020-11-30, 05:04 PM
যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ডে উপলক্ষ্যে অনলাইনে রেকর্ড ছাড়িয়ে ৫১০ কোটি ডলারের কেনাকাটা হয়েছে। চলতি বছরের থ্যাংকসগিভিং ডে-তে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনলাইন কেনাকাটায় অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন মার্কিনিরা। এবারের উৎসব ঘিরে তারা ইন্টারনেটভিত্তিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ৫১০ কোটি ডলার খরচ করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। শুক্রবার প্রকাশিত অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। খবর সিএনবিসি।
12983

কভিড-১৯ মহামারীর যুগে সশরীরে দোকানে গিয়ে কেনাকাটায় রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ফলে ক্রেতারা এখন বাস্তবের দোকানের পরিবর্তে ভার্চুয়াল শপে কেনাকাটাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এ কারণে এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন বিক্রির পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অনলাইন শপিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি অ্যানালিটিকস জানিয়েছে, এ বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে মার্কিনরা রিটেইল ওয়েবসাইটগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের পেছনে মোট ৯০০ কোটি ডলার খরচ করেছে। এর আগের রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে ৭৪০ কোটি ডলার। গত বছরের চেয়ে এবার অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে ২২ শতাংশ।
http://forex-bangla.com/customavatars/421372086.jpg

Md.shohag
2020-11-30, 05:53 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ইতিহাসের দীর্ঘতম অচলাবস্থা চলছে। এ শাটডাউন বা অচলাবস্থার পরিস্থিতি ২৩ দিন পার হয়েছে গতকাল রোববার। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিটির ক্ষতি আরো বাড়বে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রশাসনিক কার্যক্রমে এ আংশিক অচলাবস্থা বন্ধে তিনি জাতীয় পর্যায়ে জরুরি অবস্থা জারি করবেন না। এর মধ্যে শাটডাউনের কারণে বেতন-ভাতা স্থগিত হয়ে পড়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংগঠন।

DhakaFX
2020-12-10, 01:44 PM
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিধ্বস্ত মার্কিন অর্থনীতি চাঙ্গায় নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ পাসে অচলাবস্থা নিরসনে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। মঙ্গলবার তারা ৯১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের প্রস্তাব পেশ করেছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন ওই প্রস্তাব পেশ করে জানান, এ অর্থ রাজ্য ও বিভিন্ন স্থানীয় সরকারকে সহায়তার পাশাপাশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুল র ঋণভার কমাতে সহায়তা করবে। এ বিষয়গুলো নিয়েই মতবিরোধে লিপ্ত ছিলেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মেয়াদ যখন ফুরিয়ে যাচ্ছে, তখন এ প্রণোদনা প্যাকেজের প্রস্তাব দিল হোয়াইট হাউজ।
http://forex-bangla.com/customavatars/1509907249.jpg

Tofazzal Mia
2020-12-28, 06:22 PM
জো বাইডেন অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসেবার প্রতি খুব বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। মুলত প্রতিটি রাষ্ট্রপতি প্রার্থী যথাসাধ্য প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে নির্বাপন এর পরে কী করা হবে সেটি দ্বিতীয় প্রশ্ন। সুতরাং, জো বাইডেন এর প্রতিশ্রুতিগুলোর স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ থেকে মার্কিন কারেন্সী কিছুটা এগিয়ে যাবে।তবে মার্কেটগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং বিভিন্ন মৌলিক খবরের প্রতিক্রিয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং, গত ৯ মাসে মার্কিন ডলারের পতনের আসল কারণগুলো যে কোনও কারণ হতে পারে। আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে কোনও নির্দিষ্ট মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদা যে কোনও পেয়ারের হার নির্ধারণ করে।
http://forex-bangla.com/customavatars/949598017.jpg
মার্কিন অর্থনীতিতে 2021 সালে মন্দার আশঙ্কা করছে (যদিও তাত্ত্বিকভাবে এটি পুনরুদ্ধার হওয়া উচিত) এবং সেজন্য এটিতে যথাক্রমে অর্থ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন না, তাদের ডলারের প্রয়োজন নেই। তারা তাদের বিক্রি বা অন্য একটি পরিস্থিতি: ফেড, বিপুল পরিমাণ অর্থের অনুপ্রবেশের সাহায্যে, বাজারে মার্কিন মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায়, যা বিনিময় হারকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। সর্বোপরি, ফেড এমনকি মার্কিন রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এটি প্রায় সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। সুতরাং, এটি অর্থনীতিতে উত্সাহিত করার জন্য কিউই প্রোগ্রাম এবং অন্যদের কাঠামোর মধ্যে কিছু পরিমাণ ঘোষণা করতে পারে, তবে বাস্তবে, এই পরিমাণগুলো আরও বহুগুণ বেশি হতে পারে। সাধারণভাবে, 2020 সালে, মুদ্রা বিনিময়ের হার শাসনকারী প্রধান অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রমের উপর বেশি নির্ভর করতে পারে না। স্বাভাবিক, শান্তিপূর্ণ সময়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে জিডিপির প্রতি অর্ধ শতাংশের জন্য লড়াই করতে হবে না, এবং অর্থনীতির ভবিষ্যত কোনও ঝুঁকিতে নেই। সুতরাং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো খুব কমই মুদ্রার হস্তক্ষেপ অবলম্বন করে, কারণ এই জাতীয় কার্যক্রম বিশ্ব মঞ্চে নিন্দিত। আমদানি-রফতানি পরিচালনার মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশ একে অপরের সাথে আবদ্ধ এবং কোনও মুদ্রার কৃত্রিম অবমূল্যায়ন কারও পক্ষে ভাল তবে অন্যের পক্ষে খারাপ। যারা খারাপ মনে করেন তারা বসে থাকবেন না এবং নীরব থাকবেন, তারা তাদের মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রভাবিত করবে, বা নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক এবং বিধিনিষেধ আরোপ করবে। এখন, যে কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার অর্থনীতির জন্য লড়াই করছে, সুতরাং সম্ভবত, সেখানে বড় আকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে। সুতরাং, এটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের কারণে, গত 100 বছরে সবচেয়ে গভীর এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজার "নিয়ম অনুসারে" যথেষ্ট ট্রেড করছে না।

Tofazzal Mia
2021-01-10, 03:07 PM
গত বছরের শেষ মাসে চাকরি হারিয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার আমেরিকান। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিএলএস) কর্তৃক প্রকাশিত উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। চাকরি হারানোদের বেশির ভাগই নারী, হিস্পানিক ও কিশোর-কিশোরী। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিটির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া যে থমকে দাঁড়িয়েছে, বিএলএসের এ উপাত্তে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার সংক্রমণ বেশ বেড়েছে, যেখানে একদিনেই দেখা গেছে চার হাজার মৃত্যু; যা ফের সরকারকে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার দিকে চালিত করেছে। ফলে বিশেষত অবকাশ ও আতিথেয়তা খাতকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ডিসেম্বরে এ খাতে চাকরি হারিয়েছেন ৪ লাখ ৯৮ হাজার আমেরিকান। মহামারী শুরু হওয়ার পর এ খাতে ৩৯ লাখ আমেরিকান চাকরি হারিয়েছেন, মহামারী সময়ের তুলনায় যা ২৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1843015599.jpg

DhakaFX
2021-01-21, 06:28 PM
করোনার এই দুঃসময়ে মার্কিন অর্থনীতির হাল ধরবেন নতুন কান্ডারি। এমন প্রত্যাশায় ভর করে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথের দিন ব্যাপক উত্থান দেখল ওয়াল স্ট্রিট। গতকাল বুধবার মার্কিন ইতিহাসের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জো বাইডেন। শপথের আগেই তিনি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন অর্থনীতির জন্য ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই নতুন প্রেসিডেন্টের নতুন অধ্যায়ের আশায় মার্কিন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল বেঞ্চমার্ক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে রেকর্ড ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শেষ করে। গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুই–তৃতীয়াংশ কোম্পানিরই দাম বেড়েছে। অন্যদিকে প্রযুক্তিভিত্তিক নাসডাক সূচক বেড়েছে ২ শতাংশ। এই সূচকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গতকাল কেবল নেটফ্লিক্সের দরই বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে ডাও জোন্স সূচক বেড়েছে ২৫৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
13490

Bossking
2021-01-23, 07:12 PM
মার্কিন শ্রম দফতরের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারিতে পেশাগুলির পরিমাণ প্রায় 12 মাসের মধ্যে সর্বাধিক লক্ষণীয় এবং ব্যবসায় বিশ্লেষকরা যে চিত্রটি দিয়েছেন তার দ্বিগুণ। সুতরাং জানুয়ারি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিসাবে কর্মীদের তালিকাভুক্তকরণ হিসাবে অন্য ব্লকবাস্টার মাস। জন কর্তৃপক্ষের পরিচালনামূলক অনুশীলনে অসম্পূর্ণ স্থবিরতাকে পিটিয়ে এই সময়ের মধ্যে রেকর্ড 3 লাখ 4 হাজার ব্যক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ বাড়ানো ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা সাত মাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। পাঁচ-সপ্তাহের এই বন্ধ মার্কিন-মেক্সিকো লাইনে বিভাজক তৈরির বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধকে প্রভাবিত করেছে। চীন-মার্কিন এক্সচেঞ্জ আলোচনার পাশাপাশি আর্থিক বিনিময়কে প্রভাবিত করেছে। চলতি সপ্তাহে শেষ হওয়া বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনার মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়নি, তবে আরও একটি উচ্চতম পয়েন্ট এখন থেকে বেশিদিন অনুষ্ঠিত হবে না। এরপরে, বিনিময় স্ট্রেনগুলি ঘটনাক্রমে, সহজতর করেছে এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞদের আস্থা দিয়েছে। সুতরাং, কার্যত বিশ্বব্যাপী সিকিওরিটি এক্সচেঞ্জের সমস্ত পয়েন্টার শুক্রবার উঠে গেছে।

BDFOREX TRADER
2021-01-26, 01:02 PM
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। দেশে খুব শীঘ্রই বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে যেহেতু ডেমোক্র্যাটস এবং রিপাবলিকানরা একে অপরকে ঘৃণা করে। যে কারণে কয়েক বছরের মধ্যে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। আমরা ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতন দেখতে পাব। প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্রপতি পদ কে গ্রহণ করবেন অর্থনীতির পক্ষে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, গ্রেট ডিপ্রেশন ইতিমধ্যে অনিবার্য। অর্থনীতিতে কোটি কোটি অর্থ ইনজেকশন প্রদানের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। অধিকন্তু, দেশে সহিংসতা বাদ দিয়ে কোনও লাভ নেই। ডেমোক্র্যাটরা তাদের বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো নতুন প্রোগ্রাম এবং বিভাগ উপস্থাপন করবেন। পরিবর্তনগুলো আরও বেশি ভিত্তিগত হবে। সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুনর্নির্মাণ এবং আমেরিকার অস্তিত্ব শেষ হতে পারে। মহা হতাশার প্রভাবগুলো জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করার বাইরে চলে যাবে। covid-19 এটি লক্ষণীয় যে, covid-19 এর জন্য সবচেয়ে খারাপ চিত্রগুলোও ১৯১৮ ও ১৯১৯ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর সাথে তুলনা করা যায় না। covid-19 এর বড় সমস্যাটি ফুটিয়ে তোলা রাজনৈতিকভাবে উপকারী ছিল। এখন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকার ভ্রমণ, খেলাধুলা এবং সাধারণভাবে ব্যবসা সম্পর্কিত নতুন আইন ও বিধি প্রবর্তন করেছে। অন্ধভাবে নির্দেশাবলী অনুসরণ করে এমন লোকদের শাসন করার জন্য তারা অবিশ্বাস্যভাবে কার্যকর নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছে। তবে এটি ভারী মূল্যে আসবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা অর্থ মুদ্রণের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা অনেক অর্থনীতির দেউলিয়া হবে।
13528

SumonIslam
2021-02-04, 03:04 PM
আধুনিককালে এসেও বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই লিঙ্গ ও জাতিগত বৈষম্য বিরাজমান। শ্রমশক্তিতে যোগদান এবং বেতনের ক্ষেত্রে নারী ও সংখ্যালঘুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আর এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতি প্রতি বছর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি হারাচ্ছে। জাতিগত ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে কেবল মার্কিন অর্থনীতিই ২০১৯ সালে ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি হারিয়েছে। সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মেরি ডেলির সহ-রচনায় একটি নতুন সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ব্লুমবার্গ।
http://forex-bangla.com/customavatars/314651103.jpg

DhakaFX
2021-02-23, 03:09 PM
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের এক-চতুর্থাংশ ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমবি) বন্ধ ছিল। তবে এপ্রিলের ৩১ শতাংশের তুলনায় এ হার কিছুটা কম। বছরের শেষ দিকে কিছু উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল। ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ জানিয়েছেন, ২০২০ সাল ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। অনেকেই অস্থায়ী কিংবা স্থায়ীভাবে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার খোলা থাকা অনেক ব্যবসা আর্থিক অবস্থা নিয়ে লড়াই করছে।
প্রায় ৩৩ শতাংশ ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ের উদ্যোক্তারা মনে করেন, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে ছয় মাসের বেশি সময় লাগবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার ২০০ জন ব্যবসায়ী নেতা, ৮ হাজার কর্মচারী এবং ৬ হাজার ৬০০ জন গ্রাহক এ জরিপে অংশ নিয়েছিলেন। ৫০০ কিংবা অনধিক কর্মচারী থাকা সংস্থাগুলোকে ছোট ও মাঝারি সংস্থা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, গত বছর ২০১৯ সালের তুলনায় সংস্থাগুলোর ৫০ শতাংশেরও কম বিক্রি হয়েছে। গ্রাহকনির্ভর শিল্প এবং অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে ব্যবসা করা সংস্থাগুলো মহামারীতে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। খাবার ও আবাসন খাতের ৩৫ শতাংশ, চারুকলা ও বিনোদনে ৩৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য ১০ শতাংশ এবং পরিবহন খাতের ৮ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধের উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে ছিল সরকারি বিধিনিষেধ, আর্থিক চ্যালেঞ্জ ও চাহিদার অভাব। সরকার ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত এপ্রিলে ৬২ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ ছিল।
স্যান্ডবার্গ বলেন, এটা স্পষ্ট যে মহামারীর প্রভাবও সমানভাবে অনুভূত হয়নি। পুরুষ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে নারী মালিকানাধীন ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ধের হার বেশি। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ ব্যবধান বেড়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসাও অন্যদের তুলনায় বেশি বন্ধ হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1454340528.jpg

BDFOREX TRADER
2021-03-03, 02:46 PM
মহামারীর মধ্যেও গত মাসে চাঙ্গা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। চাহিদা বৃদ্ধিতে ফেব্রুয়ারিতে বেশ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খাতটি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট (আইএসএম) প্রকাশিত উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। আইএসএমের উপাত্তে দেখা গেছে, গত মাসে ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক ২ দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটা সর্বোচ্চ সম্প্রসারণ। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের পিএমআই টানা নয় মাস ধরে ৫০ পয়েন্টের ওপরে রয়েছে, যা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত মাসে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ১৮টি শিল্পের মাত্র দুটিতে সংকোচন দেখা গেছে। গত জানুয়ারিতেও এ দুটি শিল্পে সংকোচন দেখা গিয়েছিল। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশটির মূল্যসূচকও বেড়েছে। আইএসএমের সার্ভে চেয়ার টিমোথি ফিওর জানান, কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও সরবরাহকারী তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করায় ম্যানুফ্যাকচারিং খাত সম্প্রসারিত হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি অবশ্য এটাও জানান, কর্মীদের অনুপস্থিতি, কারখানা জীবাণুমুক্ত করতে স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া এবং নতুন কর্মী নিয়োগ অনেকটা স্থবির হয়ে পড়া খাতটির জন্য এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1216283813.jpg

DhakaFX
2021-04-06, 01:50 PM
14069
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ ঋনগ্রস্থ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মুলত ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋন এবং দেনার পরিমাণ প্রায় ২৭.৭০ ট্রিলিয়ন ডলার। যা কিনা বাংলাদেশী টাকায় অংকে প্রায় ২,৩২৬ লক্ষ কোটি টাকার সমান। আর বিগত ১০ বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋন গ্রহণের হার ও প্রবণতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেছে। যেখানে ২০২০ সালের ঠিক একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋন ও দেনার পরিমাণ ছিল ২৩.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০১৫ সালে ছিল ১৮.০০ ট্রিলিয়ন ডলার। যা কিনা বিগত ৬ বছরে তাদের ঋন ও দেনার পরিমাণ আশাঙ্খাজনক হারে ৫৬% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। তবে ৩১শে জুলাই ২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশী দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া মোট বৈদেশিক ঋনের স্থিতির পরিমাণ ছিল ৭.০৬ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এই সুবিশাল বৈদেশিক ঋনের মধ্যে একক কোন দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ ১.২৯ ট্রিলিয়ন ডলার ঋন প্রদান করেছে জাপান। আর আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, চীনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্টের চরম বানিজ্য বিরোধ এবং কৌশলগত শত্রুতা বিরাজ করলেও এ মুহুর্তে আমেরিকাকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋন প্রদানকারী দেশ কিন্তু চীন। ২০২০ সালের জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদত্ত চীনের ঋনের স্থিতির পরিমাণ ১.০৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌছে গেছে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বৈদেশিক ঋন প্রদানকারী দেশের তালিকায় জাপান এবং চীনের পাশাপাশি ব্রাজিল, হংকং, লুক্সেমবার্গ, আয়ারল্যাণ্ড, যুক্তরাজ্যসহ আরো বেশকিছু দেশের নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল ২৬৭.১ বিলিয়ন ডলার, সুইটজারল্যাণ্ড ২৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৪৪৫.৬ বিলিয়ন ডলার, হংকং ২৬৬.৪ বিলিয়ন ডলার এবং আয়ারল্যাণ্ড ৩৩০.৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋন হিসেবে মার্কিন ফেডারেল সরকারের বণ্ড, ট্রেজারি বিল এবং নোটস ক্রয় করে রেখেছে। আবার দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন আর্থিক খাত থেকে মার্কিন প্রশাসনের ঋন গ্রহনের প্রবনতা ও হার আশাঙ্খাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিগত চার দশকের মধ্যে তা সর্বোচ্চ ২১.০০ ট্রিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে সারা বিশ্বে একক সর্বোচ্চ ঋনগ্রস্থ দেশ হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে অতি মাত্রায় যুদ্ধ প্রিয়তা, সুবিশাল সামরিক বাহিনী নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী শান্তির নামে আগ্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা এবং বিশেষ করে সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় শতাধিক সামরিক ঘাঁটি এবং স্থাপনা পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতি বছর ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অর্থ নির্বিচারে ব্যয় করে যাচ্ছে দেশটি। ২০২১ সালে মার্কিন প্রশাসন সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে ৭৪০ বিলিয়ন বরাদ্দ দিয়ে বরাবরের মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক খাতে ব্যয়কারী দেশের স্থান করে নিয়েছে। মার্কিন প্রশাসন বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীন এবং বৈদেশিক ঋন নিয়ে দেশ পরিচালনা করলেও সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রায় ছয় শতাধিকের কাছাকাছি সামরিক ঘাঁটি এবং সুবিশাল সামরিক বাহিনীর নিয়ে সারা বিশ্বে চলমান দীর্ঘ মেয়াদী বেশ কিছু যুদ্ধ পরিচালনায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের দায় শেষমেষ বহন করতে হচ্ছে মার্কিন সাধারণ জনগণকে। যদিও কৌশলগত কারণে রাশিয়া ও চিনকে প্রতিহত করতে এসব সামরিক ঘাঁটির ৭০% পর্যন্ত আদৌ কোন দরকার আছে কিনা তার কোন যৌক্তিক জবাব মার্কিন প্রশাসন দিতে পারবে বলে মনে হয় না। আর এহেন চরম মাত্রায় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বা ঘাটতি নিরিসনে মার্কিন প্রশাসন অত্যন্ত কৌশলে সারা বিশ্বে যুদ্ধের আবহ তৈরি করে তাঁদের অতি লাভ জনক অস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে যেতে ব্যস্ত। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বাদশা ও আমীর শাসিত দেশগুলোর কাছে নির্বিচারে চাঁদাবাজির পাশাপাশি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সাজ সরঞ্জাম তুলে দিচ্ছে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। যদিও এই শত বিলিয়ন ডলারের তেল ও অস্ত্র বানিজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই পাহাড় পরিমাণ ৭.০৬ ট্রিলিয়ন বৈদেশিক ঋনের বোঝা থেকে আগামী দুই দশকেও মুক্ত করতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।তবে এটা ঠিক যে, বিশ্বের সর্বোচ্চ ঋনগ্রস্থ দেশ হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী দেশ হচ্ছে কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নমিনাল জিডিপি ১৯ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০২০ সালে চলা ভয়াবহ করোনা মহামারির মধ্যেও ১.৪৩ ট্রিলিয়ন ডলারের পন্য, অস্ত্র, সেবা এবং যন্ত্রপাতি কিংবা সাজ সরঞ্জাম বিদেশে রপ্তানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মোট কথা বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি সর্বোচ্চ রেভিনিউ অর্জনকারী এবং সম্পদশালী কোম্পনি বা কর্পোরেশনের মধ্যে প্রায় ৫০টি একক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দখলে রয়েছে। যেমন বিশ্বের একক কোন সর্বোচ্চ আয় অর্জনকারী রিটেইলার কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওয়ালমার্টের রেভিনিউ ৫২৩.৯৬ বিলিয়ন ডলার এবং নীট মুনাফা হিসেবে ১৪.৮৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে এবং মোট সম্পদের বিবেচনায় বিশ্বের বুকে একক সর্বোচ্চ কোন কোম্পানি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি পন্য আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এ্যাপল নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে এ্যাপল জায়ান্ট কর্পোরেশনের মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৯৭ ট্রিলিয়ন ডলার বা ১৯৭১ বিলিয়ন ডলারে পৌছে যায়।আবার প্রায় এক শতাব্দী ব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা বা কারেন্সি ডলার একক কোন গ্রহনযোগ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে তার যোগ্য স্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানে বৈদেশিক বানিজ্যের ৮০% পর্যন্ত লেনদেন করা হয়ে থাকে ডলারের বিনিময়ে। জোটভুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরো ১৯৯৯ সালে অত্মপ্রকাশ করলেও তা কখনই ডলারের বিকল্প কিছু হয়ে উঠতে পারেনি। আবার রাশিয়ার রুবেল, চীনের কারেন্সি ইউয়ান বা জাপানের ইয়েন কোনটিই আন্তর্জাতিক আদর্শ মুদ্রা হিসেবে আমেরিকার ডলারের বিকল্প কিছু হয়ে ওঠার মতো যথেষ্ঠ যোগ্যতা অর্জন করেছে কিনা সন্দেহ। তাই আপাতত দৃষ্টিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক দেনা এবং ঋনের পরিমাণ যতই হোক না কেন দেশটির সার্বিক অর্থনীতি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা আগামী এক শতাব্দীর মধ্যে ভেঙ্গে পড়ার আদৌ কোন সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।

Rassel Vuiya
2021-05-27, 10:32 AM
14456
রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলার আধিপত্য হারাচ্ছে। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের আধিপত্য আর থাকছে না। চলতি মাসের শুরুর দিকে এমনটাই হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়েছেন মার্কিন ফান্ড ম্যানেজার ও ধনকুবের স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলার। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থনীতিতে এখন চাহিদার পরিমাণ অনেক বেশি। মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। এর বিপরীতে বিনিময় হার কমছে ডলারের। বাজারের এমন পরিস্থিতির কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজারেও এ নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুদ্রাবাজারে ডলারের আধিপত্য হারানোর আশঙ্কা নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলারের আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়াও যায় না। গোটা বিশ্বেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখন একাধিক মুদ্রানির্ভর রিজার্ভ ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। অন্যদিকে ডলারও দীর্ঘমেয়াদে অবমূল্যায়িত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতকেই সামনে তুলে এনে রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের আধিপত্য হারানোর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ড্রাকেনমিলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক এক জরিপের তথ্যেও এর সমর্থন মিলছে। বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিয়ে চালানো ওই সমীক্ষার তথ্য বলছে, ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের রিজার্ভের মোট পরিমাণ কমেছে ৫৯ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মোট রিজার্ভে ডলারের পরিমাণ নেমে এসেছে ২৫ বছরের সর্বনিম্নে। এর আগে ১৯৯৯ সালে ইউরো চালুর পর বৈশ্বিক মোট রিজার্ভে ডলারের অংশের পতন হয়েছিল ৭১ শতাংশ।

Montu Zaman
2021-07-15, 12:02 PM
কভিড-১৯ মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছিল। বর্তমানে এটি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণে পণ্য ও পরিষেবার দামে এমন উল্লম্ফন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মার্কিন শ্রম বিভাগের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে ভোক্তামূল্য বেড়েছে দশমিক ৯ শতাংশ। আর গত বছরের তুলনায় জুনে ভোক্তামূল্য বেড়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। গত মাসের এ মূল্যস্ফীতি ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ। বিশেষ করে তেল ও গ্যাসের বাজারে অস্থিরতার ফলে গত বছর মূল্যস্ফীতি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছিল। এটি ১৯৯১ সালের পর সবচেয়ে বড় বৃদ্ধির ঘটনা।
http://forex-bangla.com/customavatars/1588478055.jpg

SUROZ Islam
2021-07-19, 11:45 AM
http://forex-bangla.com/customavatars/1712856958.jpg
কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিসংশ্লিষ্ বিভিন্ন খাত পুনরায় তাদের কার্যক্রম চালু করতে সমস্যার মুখে পড়ছে। মূলত যা ঘটছে তা হলো এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি হঠাৎ করেই বিশাল বন্ধের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে অনেক খাত পুনরায় তাদের ব্যবসা চালু করতে চাইলেও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তারা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোমি পাওয়েলের সঙ্গে একটি বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন কাশকারি। যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় সবকিছু চালু করার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেই ব্যবসা খাতে পণ্যের দামে স্বাভাবিক পরিবেশের সৃষ্টি হবে। জুনের শেষ দিকে কাশকারি বলেছিলেন, শীতের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে শুরু করবেন এবং এ উচ্চ মূল্যস্ফীতি বেশিদিন থাকবে না। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে করোনা-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে শক্তিশালী সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিলেন পাওয়েল। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিষয়ে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এক শুনানিতে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হন পাওয়েল।

SaifulRahman
2021-08-02, 05:17 PM
চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে। ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়ের এ পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে বলে জানায় মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। খবর আনাদোলু এজেন্সি। জুনে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত আয় বেড়েছে ২ হাজার ৬১০ কোটি ডলার, যা এপ্রিলের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এ সময়ে ব্যক্তিগত ব্যয় বেড়েছে ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার, যা এপ্রিলের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। বাজার প্রত্যাশা অনুযায়ী জুনে ব্যক্তিগত আয় কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ, মে মাসে ব্যক্তিগত আয় ২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছিল। বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী, ব্যক্তিগত ব্যয় বেড়েছে দশমিক ৭ শতাংশ, মে মাসে বাজার প্রত্যাশা অনুযায়ী তা দশমিক ১ শতাংশ কমেছিল।
দ্য পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচারস প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতি নির্ণায়ক সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। জুনে এর পরিমাণ বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। খাদ্য ও জ্বালানি ব্যতীত এপ্রিলের তুলনায় জুনে মূল পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচারস বেড়েছে দশমিক ৪ শতাংশ।
http://forex-bangla.com/customavatars/127609557.jpg

DhakaFX
2021-08-05, 05:14 PM
কভিড-১৯ মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মার্কিন অর্থনীতি। দীর্ঘ বিধিনিষেধ শেষে তৈরি হয়েছে তীব্র ভোক্তা চাহিদা। বেড়েছে ক্রেডিট কার্ডের ব্যয় ও বাড়ি কেনার হার। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে গৃহস্থালি ঋণের পরিমাণ। এ সময়ে মোট ঋণের ব্যালান্স বেড়েছে ৩১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এটি ২০০৭ সালের পর সবচেয়ে দ্রত বৃদ্ধি। সম্প্রতি প্রকাশিত নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন শেষে মার্কিন ভোক্তাদের মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ঋণের পরিমাণ দেশটির ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর আগে মহামন্দার সময় ২০০৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এ ঋণ সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৬৮ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছিল। গৃহস্থালি ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের ঋণ নিয়ে প্রান্তিক প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক ফেড জানিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট ঋণ ১৪ লাখ ৯৬ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে বন্ধকি ঋণ সবচেয়ে বড় চালক হিসেবে কাজ করেছে। জুন শেষে বন্ধকি ঋণ ২৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার বেড়ে ১০ লাখ ৪৪ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সেন্টার ফর মাইক্রোইকোনমিক ডাটার অ্যাডমিনিস্ট্রেট জোয়েল স্ক্যালি বলেন, আমরা গত চার প্রান্তিকে বন্ধকি ও গাড়ি ঋণের জন্য খুব শক্তিশালী গতি দেখছি। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের শুরু থেকে ভোক্তা ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়। এরপর কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রমের সঙ্গে বাড়তে শুরু করে ভোক্তা ব্যয়। চলতি বছরে এসে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভোক্তা ব্যয় ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেড়েছে। ফলে এ সময়ে ক্রেডিট কার্ডের ব্যালান্সও বেড়েছে। তবে এমন বৃদ্ধি সত্ত্বেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যালান্স এখনো ২০১৯ সালের শেষে ১৪ হাজার কোটি ডলারের স্তরের তুলনায় পিছিয়ে আছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে বন্ধকি ও গাড়ির ঋণ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ঋণ ও ভাড়াসহ গাড়ির ঋণ ২০ হাজার ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে পুনঃতফসিলসহ নতুন বন্ধকি ঋণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। গত চার প্রান্তিকে মোট ৪ লাখ ৫৮ হাজার কোটি ডলার বন্ধকি ঋণ নেয়া হয়েছে। এ সংখ্যা মোট বন্ধকি ঋণের ৪৪ শতাংশ। নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের গবেষকরা জানিয়েছেন, এ ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ নেয়া হয়েছে বাড়ি কেনার জন্য এবং বাকি ৬০ শতাংশ পুনঃতফসিলের জন্য। ক্রেডিট কার্ড ও গাড়ির ঋণের ব্যালান্স শিক্ষার্থী ঋণ কমার কারণে কিছুটা প্রভাবিত হয়েছিল। ঋণের একমাত্র বিভাগ হিসেবে গত প্রান্তিকে শিক্ষার্থী ঋণ কমে গেছে। এপ্রিল থেকে জুনের এ সময়কালে শিক্ষার্থী ঋণের ব্যালান্স ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কমে ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে মার্কিন সরকারের প্রণোদনা সহায়তার কারণে শিক্ষার্থী ঋণে এমন পতন হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থী ঋণের পরিশোধ কার্যক্রম ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে। আগামী ১ অক্টোবর এ ঋণ পরিশোধ পুনরায় শুরু হওয়ার কথা। ১৯ মাসের এ স্থগিতাদেশ প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন নাগরিককে উপকৃত করেছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/648384147.jpg

BDFOREX TRADER
2021-09-28, 12:20 PM
কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। মহামারীকালীন সময়ে এ ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। মহামারীর শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিক ঘরে অবস্থান করেই সময় কাটিয়েছেন এবং এ সময় তারা স্বাভাবিক ব্যয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তারা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তাও পেয়েছেন, যা সে সময় জনগণকে ক্রেডিট কার্ডের বিল সাময়িকভাবে কমিয়ে আনতে সহায়তা করেছিল। ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ওয়েবসাইট ব্যাংকরেটের নতুন গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন নাগরিক ক্রেডিট কার্ডের ঋণ নিয়েছেন। মহামারী শুরুর পর থেকে তাদের অ্যাকাউন্টে এ ঋণ যুক্ত হতে থাকে।
http://forex-bangla.com/customavatars/223233571.jpg

Rassel Vuiya
2021-10-18, 05:20 PM
যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও খুচরা বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। তবে বাজার বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, সরবরাহের সীমাবদ্ধতা ও পণ্য সংকটের কারণে ছুটির মৌসুমে সামগ্রিক বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সম্প্রতি দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বিক্রি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত মাসে খুচরা বিক্রির হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। আগস্টে এ বৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রির হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভোক্তারা ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিক্রি বৃদ্ধির যে তথ্য প্রদান করা হয়েছে, সেটি অর্থনীতিবিদদের ধারণায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। টরন্টোভিত্তিক বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান বিএমওর প্রবীণ অর্থনীতিবিদ সাল গুয়াটিয়েরি বলেন, খুচরা বিক্রির যে প্রতিবেদন সেটি ভোক্তাদের স্থিতিস্থাপকতা ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকেই নির্দেশ করে। বর্তমান সময়ে সরবরাহ সংকট ও মাইক্রো চিপের ঘাটতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে ক্রেতাদের পছন্দের পণ্যের পরিমাণ কমছে ও চাহিদা বাড়ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/582380713.jpg

Montu Zaman
2021-11-01, 01:20 PM
যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে ভোক্তা ব্যয় দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। মূলত করোনা মহামারী ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ সময়ের মধ্যে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, যা গত এক দশকের তুলনায় সর্বোচ্চ। মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে বেতন-ভাতাদি। এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ আগস্টের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়ে দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মূলত দেশটিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন করে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং কর্মীরাও বেশি বেতন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
http://forex-bangla.com/customavatars/1631198395.jpg

Rassel Vuiya
2021-11-16, 12:22 PM
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইনফ্রাসট্রাকচার বিলে সাইন করেছে। এখন তারা কাগজী ডলার ছাপার কাজ শুরু করবে। এর ফলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সারা পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পরবে। যেহেতু আমেরিকার পাশাপাশি অনেকেই নিজেদের কাগজী নোট ছাপবে, তাই অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে আমেরিকান ডলার খুব বেশি বিপাকে পরবে না। তবে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়াতে ইনভেস্টররা নিজেদেরকে মুদ্রাস্ফীতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাতে সেফ হ্যাভেন খ্যাত গোল্ডের দিকে ঝুকবে বেশি। সেক্ষেত্রে গোল্ড মার্কেট আরো আপ হবার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে বেড়ে যাবে ।
15959