PDA

View Full Version : বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৩৩ সালে বিশ্বের ২৪তম বড় অর্থনৈতিতে পরিণত হবে!



SUROZ Islam
2019-01-08, 12:41 PM
বিশ্বের ১৯৩টি অর্থনীতির অবস্থা বিবেচনা করে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ‘সেন্টার ফর ইকোনমিকস এ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ কর্তৃক প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লীগ টেবিল ২০১৯’-এ বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৩৩ সালে বিশ্বের ২৪তম বড় অর্থনৈতিতে পরিণত হবে। এছাড়াও বলা হয় গত কিছু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও একদশক যাবৎ দেশটির গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। চারহাজার ৬শ’ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয়ের বিশ্বব্যাংকের র*্যাংকিং অনুসারে এটি নিন্ম-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দেশটির অভ্যন্তরীন চাহিদাজনিত ব্যয়, সরকারের ব্যয়, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানির দ্বারা চালিত হচ্ছে। মুলত তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ২০১৭ সালের হিসেব অনুয়ায়ি দেশটির রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। দেশটির আয়ের আরেকটি প্রধান উৎস রেমিট্যান্স। এছাড়াও বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত।

SaifulRahman
2019-01-13, 11:36 AM
বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুসারে ( ৮ জানুয়ারি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস-২০১৯) সারাবিশ্বে এ অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে এমন নয়টি দেশের তালিকার মধ্যে একটি বাংলাদেশ রয়েছে। অন্য ৮টি দেশ হলো ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, জিবুতি, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ঘানা ও রুয়ান্ডা। তবে এই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতকেই উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ এবার ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও পরের তিন অর্থবছরে তা কমে যেতে পারে। ২০১৯-২০,২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, মূলত ব্যক্তি খাতের ভোগ চাহিদা ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিই চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/0x460x1/uploads/media/2019/01/10/7202168a62a7c3cdeddb7515beee038a-5c36db460d7ba.jpg

SaifulRahman
2019-10-14, 04:18 PM
বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি তৈরীর চেষ্টা করছে আর আমরা সাবাই জানি দেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক অর্থনীতির ভূমিকা অনেক। বাংলাদেশের ভূখণ্ড বাদ দিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার নতুন সীমানা বাংলাদেশের জলসীমায় সংযুক্ত হয়েছে, সেটার সম্ভাবনা এখনো কাজে লাগানো যায়নি অর্থনীতির কোনো সমীকরণে। তবে দেশের নীল অর্থনীতি হিসেবে খ্যাত এ সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়েছে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ (সিজিএমএফ) প্রকল্প। এ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে মত্স্য জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে চিংড়ি, তলদেশীয় ও ভাসমান প্রজাতির মত্স্য মজুদ নিরূপণসহ সম্পূর্ণ জলসীমার সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের বাজেট সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশাল সমুদ্র থেকে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২২১ মিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার সিজিএমএফ একনেকে পাস করা হয়। প্রকল্পের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২৮০ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে চারটি ভাগে ভাগ হয়ে বাস্তবায়ন করা হবে প্রকল্পটি।

SaifulRahman
2019-10-29, 04:32 PM
২০২৪ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিনিধিত্ব করবে এমন ২০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অবস্থান ধরে রাখতে হলে ৭ ভাগের উপরে জিডিপি'র প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হবে বাংলাদেশকে। আর এজন্য- সার্বিক উৎপাদনশীলতা প্রতিবছর ১ ভাগ হারে বৃদ্ধি করতে হবে। বিনিয়োগের হার রাখতে হবে জিডিপির ৩৪ ভাগের উপরে। মানব সম্পদ সূচকেও প্রবৃদ্ধি রাখতে হবে ১ দশমিক ৩ ভাগ.**

SUROZ Islam
2019-12-17, 05:31 PM
9583
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন পৃথিবীতে তৃতীয় চরম অবস্থা বিরাজ করছে। সেটি হচ্ছে তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধ। বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে পৃথিবীতে কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় (মন্দা) দেখা দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে সারা বিশ্বে মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশকিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। আর ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তখনো আমাদের (বাংলাদেশ) অর্থনীতি বিপর্যের সম্মুখীন হয়নি। গত অর্থবছর আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরই আমরা ৮ দশমিক ২৫ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ।